Diary Game || A day with my family
আসসালামুয়ালাইকুম
ছুটিতে ২রা জুলাই চমৎকার একটি দিন পার করেছি। আর সেদিন টি কি আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে হয়? তাই আমার ২রা জুলাইয়ের গল্প নিয়ে হাজির হলাম আজকের ডাইরি গেম এ।
কোলাজ এপ দিয়ে তৈরি
আগের দিন ১লা জুলাই চাঁদপুর আমার শ্বশুর বাড়িতে একটা প্রোগ্রাম ছিল। সেটা শেষ করে রাতে আমরা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর গেস্ট হাউসে ছিলাম। রাতেই প্লান করে রাখলাম যে সকালে কুমিল্লার আসেপাশে কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবো।
সকালে আমরা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে প্রথমে কুমিল্লা বার্ড এ গেলাম । এত সুন্দর নির্জন পরিবেশ খুব ভালো লাগলো। বিশাল বিশাল গাছে ঘেরা বনের মাঝখান দিয়ে সরু পথ অসাধারণ তার সৌন্দর্য। সেখানে একটা ডুপ্লেক্স গেস্ট হাউস দেখে নস্টালজিক হয়ে গেলাম। মনে পড়ল জুট মিলে আমার আব্বা যখন চাকরি করতেন এমন একটি বাংলা ছিল। কত স্মৃতি আমাদের একে নিয়ে। পাশের আরেকটি গেস্ট হাউজের সামনে একটি রিক্সা ছিলো, আমার ছোট ছেলে তাতে চড়ে একটু দুষ্টামি করে নিলো।
কুমিল্লা বার্ড এর গেস্ট হাউজ
আমার ছোট ছেলের রিক্সা নিয়ে দুষ্টামি
কুমিল্লা বার্ড পরিদর্শন শেষে আমরা কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ দেখতে গেলাম। ক্যাডেটরা সবাই ঈদের ছুটিতে তাই নিরিবিলি ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখলাম। ওদের গ্রাউন্ডটা খুব সুন্দর। নতুন হাউজেরও কিছু ছবি ও ভিডিও নিলাম। আমার বড় ছেলেকে বললাম তোমার পাবনা ক্যাডেট থেকে এদের ক্যাম্পাস অনেক বড়। আমার ছেলে মেনে নিলেও সে খুব একতা খুশি হলো না কারন তার কলেজ বেষ্ট অন্য সবকিছু পরে।
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের মেইন গেইট
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের মাঠ
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের হোস্টেল
কুমিল্লা বার্ড এর পরে আমরা গেলাম শালবন বিহার দেখতে। এখানে এসে খুব হতাশ হলাম পরিবেশ খুব একটা ভালো না, আশেপাশে জংলা ময়লা রক্ষণাবেক্ষণ এর অভাব দেখতে পেলাম । কিছু উঠতি বয়সী ছেলে মেয়ে tiktok বানাচ্ছে যেটা এই পরিস্থিতিতে বা এই পরিবেশে কাম্য নয়। আমরা শালবন বিহার জাদুঘরটি দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু বন্ধ ছিল তাই দেখতে পেলাম না।
শালবন বিহার
এখানে মনে হয় জীবনে প্রথম বাবুই পাখির বাসা সচক্ষে দেখলাম। কি সুন্দর করে তাল গাছে বাসা গুলো ঝুলে আছে।
বাবুই পাখির বাসা
এরপর আমরা গেলাম ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি তে সেখানে ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যেসব সৈনিক এখানে ছিলেন এবং মারা গিয়েছেন তাদের কবর রয়েছে। মোট ৭৩৭টি কবর এখানে আছে। বেশিরভাগ সৈনিকের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যেই ছিল। খুব খারাপ লাগলো এমন কিছু মানুষ এখানে শুয়ে আছে যাদের আত্মীয়-স্বজনরা এসে তাদের কবর দেখতেও পায় না কারণ এরা সবাই ভিনদেশী।
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি
এখানে একটা গণকবর আছে যেখানে ২৩ জন এয়ার সোলজার একই সাথে মারা গিয়েছিল একটি ফ্লাইটে । তাদের দেহাবশেষ এখানে সমাহিত করা হয়েছে ।
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির ২৩ জন বিমান সৈনিকের দেহাবশেষ
ওয়ার্ড সিমেট্রি দেখা শেষ করে আমরা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেই সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্রের মতো আছে সেখানে গেলাম যার নাম রূপসাগর। এখানে আমার দুই ছেলে বোটিং, করলো এটা তাদের খুব পছন্দের একটি কাজ যেখানে সুযোগ পায় এই সুযোগ তারা মিস করে না।
রূপসাগর দিঘী
আমার দুই ছেলে বোটিং করছে
রুপসাগর দিঘির পাশে একটি রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে আমরা হালকা স্নাক্স ও কফি খেলাম।
ক্যাফে রূপসাগর
ক্যাফে রূপসাগর
এরপর আমরা আমাদের গেস্ট রুমে ফিরে এসে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ রেস্ট করে আমরা বিকাল ৩ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসার পথে একটি মজার জিনিস লক্ষ্য করলাম। এই রুটে কিছু মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখলাম যাদের ডোর সব সময় খোলা থাকছে চলন্ত অবস্থায়ও। এবং এরা লোকাল বাসের মতো এ রুটে যাত্রী আনা নেওয়া করছে।
অদ্ভুত মাইক্রোবাস সার্ভিস
ঢাকার আগ পর্যন্ত আমরা ভালোভাবে এসেছি কোন জ্যাম ছিল না। ঢাকার ঢোকার পরেই আমরা হানিফ ফ্লাইওভারের আগে বিশাল জ্যামে পড়লাম। মূলত এই জ্যামের জন্যই ঢাকায় বেড়াতে আসলে আমার কোথাও যেতে ইচ্ছা হয় না । খুবই বিরক্তকর একটি জিনিস এই জ্যাম।
ঢাকার বিরক্তিকর জ্যাম
যাই হোক সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের আগে আগে আমরা উত্তরায় বাসায় পৌছে গেলাম । এদিকে আমার ছোট ছেলেটার জ্বর এসে গিয়েছে তাকে নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম।
বাসায় এসে তাকে গোসল করিয়ে, খাবার খাইয়্ ওষুধ খাইয়ে দিলাম। আমরা সবাই বেশ টায়ার্ড ছিলাম তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম ও ঘুমিয়ে গেলাম।
এভাবেই ভালো-মন্দ মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন পার করলাম।
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.Thank you so much for the support.
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application.
Thank you for reviewing my post vai