প্রকৃতির সাথে নিরীহ রক্তচোষার ফটোগ্রাফি || My Photography
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?
জানিতো সবাই বেশ সুন্দর করে উত্তর দিবে ভালো আছি, কিন্তু ভেতর দিক হতে কতটা ভালো আছে সবাই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে আমাদের দেশে যারা অবস্থান করছেন তাদের ব্যাপারে তো সবটাই আমার জানা। তবে সে যাই হোক দিনে শেষে আমরা ভালো থাকার চেষ্টা করছি সেটাই হলো বড় কথা, কতটা পারলাম আর না পারলাম সেটা না হয় পরে বিবেচনা করা যাবে। কিছু জিনিষ বা বিষয় আমি মাঝে মাঝে তুলে রাখি, তুলে রাখি মানে পরে করবো এই রকম চিন্তা করে ভুলে যাই। তারপর আর কি বউয়ের সেই বকা, তারপর আবার দৌড় শুরু করা। আহা জীবন, দৌড়ের উপর ঘোড়া যেমন হি হি হি।
সবাই মাইরের ভিতর ভিটামিন আছে কিন্তু কথাটি মোটেও সত্যতা না, অন্তত আমি এর সত্যতা খুঁজে পাই নাই কোন দিন। আরে ভাই মাইরের মাঝে ভিটামিন থাকলে অফিসের বস কি মাস শেষে বেতন দিতো, বলতো টাকা নিয়ে কি হবে তারচেয়ে বরং কিছু মাইর নিয়ে যাও ভিটামিন বৃদ্ধি পাবে। কি বলেন আপনারা ঠিক বলেছি না আমি হি হি হি। তবে হ্যা, মাইরের মাঝে একটা জিনিষ আছে আর সেটা হলো ভয়, ভয় না থাকলে ভালোবাসা বাড়ে না আর ভালোবাসা না বাড়লে সম্পর্কগুলো মজবুত হয় না। আর এই জন্যই তো শিক্ষকদের এতো মাইর খাওয়ার পরও তাদেরকে ভুলে যাই নাই বরং এখনো তাদের নামগুলো সযত্নে স্মরণে রেখেছি। তবে সবাই কিন্তু সেই রকম করে না, যেমন আমার ছেলে এখনই বলে খালি বড় হয়ে নেই আগে অমুক মাস্টারকে মাইর দিবো, আমাকে সেদিন শুধু শুধু মারছে।
আসলে আমাদের সময়কাল আর বর্তমান সময়কালের মাঝে দারুণ একটা স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, আমরা ভিটামিনের কথা শুনে যতটা নিবরে শিক্ষকদের মাইর হজম করার চেষ্টা করেছি, বর্তমান প্রজন্ম ঠিক ততোটাই উত্তেজনা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আমরা যেটাকে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতাম, তারা সেটাকে মোটেও স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে প্রস্তুত না। যার কারনে শিক্ষক এবং তাদের মাঝে দারুণ একটা ব্যবধান তৈরী হয়ে গেছে। এই জন্য শিক্ষাটা পূর্ণত পাচ্ছে না এবং ছাত্রদের মেধার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না। হ্যা, হয়তো এখানে আরো অনেক কারণ লুকায়িত হয়েছে, তবে তার মাঝে এটাও অন্যতম একটা সেটা কিন্তু অস্বীকার করার সুযোগ নেই। হয়তো দিনে দিনে এই ব্যবধানের হারটা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকবে!
যাইহোক, আমার আজকের লেখার টপিকটা একটু ভিন্ন আর সেটা হলো ফটোগ্রাফি। তবে যেই সেই ফটোগ্রাফি না, আমিও তো আবার উড়াধুরা ফটোগ্রাফার এটা নিশ্চয় আপনাদের অজানা না। তবে ফটোগ্রাফির মান যতই খারাপ হোক সেটা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তা করি না, বরং নিজের কাছে ভালো লাগে। কেউ প্রশংসা না করলেও সমস্যা নেই, আমি নিজেই নিজের প্রশংসা করি। মাঝে মাঝে বউকে দেখাই দেখো কি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছি, আমি ক্যাপচার করেছি এগুলো, বউ বেচারি আর কি করবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে হ্যা, খুব সুন্দর হয়েছে। ব্যস আমি খুশি, যেভাবেই হোক প্রশংসাতো নিয়েছি হি হি হি।
আজকের ফটোগ্রাফিগুলো একটা নিরীহ প্রাণী নিয়ে, তবে আমরা কেউ কিন্তু একে মোটেও নিরিহ প্রাণী হিসেবে গন্য করি না, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা এগুলোকে ভিন্নভাবে চিহ্নত করার চেষ্টা করি। অনেকেই আনজিলা বলে কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষ এগুলোকে রক্তচোষা হিসেবে চিনে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এদের মাঝে এই রকম আজব কোন ক্ষমতা নেই যে, আপনার দিকে তাকিয়ে আপনার শরীরের রক্ত শোষণ করে নিবে। কিন্তু হ্যা, আমাদের সমাজে এই রকম বিশাল দেহের অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রকৃতপক্ষে আসল রক্তচোষা কিন্তু আমরা ভুলেও তাদেরকে সেই নামে ডাকতে পারি না। অথচ নিরিহ এই প্রানীটিকে ঠিকই আমরা রক্তচোষা বলে অপবাদ দিয়ে থাকি। অনেকটা সেই মুলোর গল্পের মতো, শুধু শুধু নিরীহ সবজিটিকে নানাভাবে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা।
অবশ্য ছোট বেলায় এদের দেখলে আমি নিজেও বেশ ভয় পেতাম, ঐ যে সবাই বলতো সরে আয় সরে আয় তোর শরীরের রক্ত সব খেয়ে নিবো। ব্যস আর কি অমনি একটা লাঠি নিয়ে তেড়ে যেতাম, ধর ধর বলে। কিন্তু আদতে এরা খুবই নিরিহ এবং উপকারী একটা প্রাণী। প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকে এবং কীটপতঙ্গ খেয়ে বেঁচে থাকে, যা আদতে আমাদের জন্য উপকার করে। আমাদের বাড়ীর চারপাশে মানে গ্রামের বাড়ীর আশেপাশে প্রায় দেখা যায়। সেদিন সুযোগ পেয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি, আজ তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি বেশ দূর হতেই দৃশ্যগুলো ক্যাপচার করেছি, তবে মোবাইলের মাইক্রো ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। এদের শারীরিক গঠন কিছুটা ব্যতিক্রম। লক্ষ্য করুন মাথার উপরের দিকে কিছুটা জুটির মতো রয়েছে এবং মুখটা কিছুটা ভয় ধরিয়ে দেয়। আর লেজটাতো বিশাল সাইজের মানে তুলনামূলকভাবে একটু বড়। আমার দিকে বেশ কঠিনভাবে তাকিয়ে ছিলো, যদিও আমি তার ভাষা বুঝার কোন চেষ্টা করি নাই, খামোখা কি দরকার তাদের সমস্যার মাঝে ঢুকে যাওয়া। আমি বাপু নিজের সমস্যা নিয়েই বিপদে আছি হি হি হি।
তবে সবশেষে সত্যিটা হলো, আমি এই দৃশ্যগুলো বেশ উপভোগ করি। আসলে প্রকৃতি এবং প্রকৃতির মাঝে যা কিছু রয়েছে তার অধিকাংশ জিনিষই আমাদের নানাভাবে উপকার করে থাকে কিন্তু আমরা বড্ড বেশী অকৃতজ্ঞ তাই প্রকৃতির সাথে সাথে এইসব নিরিহ প্রাণীর আবাসভূমি ধ্বংস করে চলছি এবং তাদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছি। আগে গ্রামীন পরিবেশে যতটা বেশী এদের দেখা যেতো, এখন তেমনটা দেখা যায় না। তাই আসুন প্রকৃতির সাথে সাথে তার মাঝে থাকা প্রাণীকুলকেও রক্ষায় এগিয়ে আসি। আমাদের চারপাশের প্রকৃতি ও পরিবেশ যতটা সুন্দর থাকবে, আমরাও আমাদের জীবনকে ততোটা সুন্দর রাখতে পারবো।
তারিখঃ মার্চ ২৫, ২০২২ ইং।
লোকেশনঃ মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ক্যামেরাঃ Redmi 9, Xiaomi স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
ভাই ছোটবেলায় এই প্রানীটা দেখলে খুবই ভয় পেতাম। থুথু দিয়ে গলা ভেজাতাম। কারণ তখন জানতাম যে এই প্রানীটা দূর থেকে মানুষের রক্ত চুষে খেতে পারে। কখনো একা থাকলে এই প্রাণীটার কাছে যেতাম না। কিন্তু এখন বুঝতে পারি আসলে কতটা ভুল ধারণা নিয়ে বড় হয়েছি। ছবিগুলো ভালোই হয়েছে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাই ছোট বেলায় আমিও নাভিতে থুতু লাগাতাম ভয়ে, এরা নাকি শরীরের সব রক্ত খেয়ে ফেলে হা হা হা।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
ভাইয়া আমি যখনই আপনার লেখাগুলো পড়ি তখনই আমার মন ভালো হয়ে যায়। আসলে আপনি এত সুন্দর ভাবে আপনার এই পোস্ট গুলো সাজিয়ে লিখেন যেগুলো পড়লে অনেক ভালো লাগে। মাইরের মাঝে ভিটামিন আছে এই কথাটি সত্যি না হলেও শিক্ষকের মাইরের মাঝে যে অনেক গুণ আছে এটা কিন্তু সত্যি কথা। সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময়ে এসে আমরা অনেক বেশি অকৃতজ্ঞ হয়ে গেছি। যাদের দ্বারা আমাদের উপকার হয় তাদেরকে ভুলে গেছি। আর এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যেগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। সেই প্রাণীগুলোর বাসস্থান আমরা নষ্ট করে ফেলছি। বসবাসের অযোগ্য করে তুলছি তাদের বেঁচে থাকার জায়গা গুলো। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আপনি আপনার পোস্টের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মানুষ দিন দিন অকৃতজ্ঞ হয়ে যাচ্ছে, যারা উপকার করে উল্টো তাদেরই ক্ষতি করে থাকে। যেমন প্রকৃতি আমাদের উপকার করে আর আমরা সেটা ধ্বংস করি।
ভাইয়া এই কথাটি কিন্তু একদম ঠিক কথাই বলেছেন। দৌড়ের উপর জীবন চলে। আসলে আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই বড় কঠিন হয়ে যাচ্ছে। জীবন মানেই মনে হচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াই। তবে যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর করে এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী রক্তচোষার ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে বিলুপ্তপ্রায় এসব প্রাণী রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আর এসব প্রাণীকে রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ হারিয়ে ফেলবো।
বেঁচে থাকার লড়াইয়ে, জীবনের তাগিতে সবাই শুধু দৌড়াচ্ছে, কেউ আস্তে আর কেউ কেউ জোরে, আহা জীবন।
আসলেই ভাই আমরা আগে আমাদের শিক্ষকদের বকা এবং মার নিরবে শুয়ে গেছি, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রের যদি শিক্ষকরা একটু মারধোর করে তাহলে সেই শিক্ষকের নামে মামলা পর্যন্ত হয়ে যায়। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে আমাদের গ্রামের এক হেডমাস্টারের নামে। সে এক ছাত্রকে মেরেছিল যার কারণে তার বাবা সাংবাদিক ডেকে সেই শিক্ষকের নামে কত কিছু লেখালেখি করালো। যাই হোক আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি ভাবিকে দেখান যে ফটোগুলি কেমন হয়েছে, ভাবি আপনার ফটোগ্রাফির গুলো প্রশংসা করে। সত্যিই ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয় সেজন্যই প্রশংসা করে। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লাগলো।শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আমাদের একটা ভক্তি কাজ করতো শিক্ষকদের উপর কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সেটা একদমই নেই।
আসলেই ভাই জীবন দৌড়ের উপরে চলে। আসলে আমাদের জীবনটা এরকমই। থামাতে গেলে জীবন থমকে যাবে।আর একটা কথা হলো এই যে এই যে জিনিসটা এটা কিন্তু আমরা সবাই ভয় পাই। এটা রক্তচোষা বলে। আসলে আমাদের সমাজে যে কত মানুষ আছে তারা কিন্তু ঠিকই মানুষের রক্তে চুষে খাচ্ছে। তাদেরকে কখনো এই নামে ডাকতে পারিনা সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর আপনার ফটোগ্রাফি আসলেই সুন্দর ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি নিজেও ছোট বেলায় অনেক ভয় পাইতাম, কিন্তু আমাদের ভয়গুলো ছিলো একদম নিছক কারন এগুলো নিরীত প্রাণী।
আপনার পুরো পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার পোস্টে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন যেগুলো আমাদের জীবনে খুবই প্রয়োজন।এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু কথা জানতে পারলাম এবং আপনার তোলা অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও দেখতে পেলাম।আসলে আমি নিজেও এই প্রাণীটাকে দেখে খুবই ভয় পাই, এখনো অনেক ভয় পাই।এমনকি ছবির মধ্যে হয়ে পানি থাকে দেখে আমার শরীর শিরশির করছে।সত্যি কথা বলতে কি ভাইয়া আমি একটু ভিতু টাইপের।😃😅
বাস্তবতা আমাদের অনেক কিছুই শেখায় ভাই কিন্তু আমরা সেখান হতে কিছুই শিখতে চাই না।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া দিন শেষে আমরা কতটা ভালো থাকলাম সেটাই মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত। আমাদের প্রতিটা দিন বিভিন্ন ভাবে কেটে যায় বিভিন্ন মানসিক যন্ত্রণা মানসিক চিন্তার মধ্যে পারো কিন্তু দিন শেষে যখন সবকিছু ছাপিয়ে মানসিক প্রশান্তি তাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে। মানসিকভাবে বা শারীরিক ভাবে ভালো থাকার তার জন্যই আমাদের এতসব আয়োজন।
আমার তো মনে হয় না আপনি কখনো মার খেয়েছেন ভাবি তো আপনার তেমন মারতেই পারে না। হাওলা পান্টিতে মারা উচিত ছিল আপনাকে। আমি কিন্তু কখনোই স্কুল-কলেজে মার খাইনি । আমাকে সবাই অনেক আদর করতো আমি নাকি অনেক কিউট ছিলাম। 🤭 এই প্রাণীটি দেখলে আমি ভীষণ ভয় পেতাম ছোটবেলায় যখন স্কুলে যেতাম তখন মাঝে মাঝেই দেখতাম এই প্রাণীটি ।আমাদের সাথে থাকা বন্ধুরা এটা মারার জন্য উঠে পড়ে লাগতে। সবাই বলতো এটা মানলে নাকি অনেক নেকী হয়। এটি নাকি আমাদের কোমর থেকে রক্তচোষা। সবাই বলতো নাভির নিচে জামা পরলে এই গিরগিটি রক্তচোষা আমাদের শরীর থেকে। তাই গিরিগিটি দেখলে আমরা ছোটবেলায় নাভির উপরে জামা পড়তাম। তবে আজ গিরগিটি কয়েকবছর পর দেখলাম শহরে আসার পর থেকে এই প্রাণীটির তেমন চোখে পড়ে না।
তবে এই প্রাণীটি আজ বিলুপ্তির পথে। তবে এই রক্তচোষা প্রাণীটি বিলুপ্ত হলেও মানুষ নামে রক্তচোষা প্রাণী গুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের সমাজে এর অভাব পূরণ করে দিচ্ছে। যার প্রতিটি এত গরিব অসহায় মানুষদের রক্ত চুষে বড়লোক হচ্ছে। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐ আমি একদম ভালো ছেলে, স্বাক্ষীর সাথে সাথে সার্টিফিকেটও আছে আমার, স্কুলে বেশ দুষ্টু ছাত্র ছিলাম আমি, কতদিন বেঞ্চের উপর দাড়িয়ে ছিলাম আমি হি হি হি।
মজা পেলাম
ভাইয়া আপনি একদমই ঠিক কথা বলেছেন। আমি এই প্রানীটিকে দেখে ভিশন ভয় পেতাম। এই তো কিছুদিন আগের কথা হঠাৎ রাস্তায় পাশে দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম গাছের ডালে দেখে তো ভয় পেয়েছিলাম। আপনি আজকে এই প্রানীটিকে নিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আসলেই এরা ক্ষেতের পাশে অথবা বাড়ীর পিছনে গাছের আড়ালে বেশী থাকে, কারন এরা পোকা মাকড় খেয়ে থাকে।