স্বাদের কচু ভুনা রেসিপি || Bengali Recipe by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
প্রয়োজনীয় উপরকণঃ
- কচু
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- রসুন
- ধনিয়া পাতা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- আদা রসুন পেষ্ট
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে কচুর নিজের অংশ পরিস্কার করে স্লাইস করে নিয়েছি, তারপর হলুদ মরিচ ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে কিছু তেল দিয়ে গরম করেছি এবং কচুগুলোকে তেলে ছেড়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
তারপর কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যাতে দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়, ঢাকনা সরিয়ে উল্টে পাল্টে দিয়ে ভাজাটা সম্পন্ন করেছি।
তারপর কচুগুলো নামিয়ে প্যান রসুন কুচি দিয়েছি এবং সেগুলোকে হালকা ভেজে নিয়েছি।
তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি এবং সেগুলোকেও ভেজে নিয়েছি একত্রে।
এরপর সকল মসলা, আদা রসুন পেষ্ট এবং তার সাথে হালকা পানি দিয়ে কষা করার চেষ্টা করেছি।
কষা হয়ে যাওয়ার পর ভেজে রাখা কচুগুলো দিয়েছি সেগুলোর সাথে।
কষানো মসলাগুলোর সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি তারপর কাঁচা মরিচ এবং ধনিয়া পাতা কুচি দিয়েছি। পুনরায় ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি।
তারপর উপর দিয়ে হালকা জিরা ফাকি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
ব্যস হয়ে গেলো আমাদের আজকের স্বাদের কচু ভুনা রেসিপি। অনেকেই কচু ভাজা খেতে পছন্দ করেন কিন্তু আমি এভাবে ভেজে ভুনা খেতে বেশী পছন্দ করি, এটা আমার কাছে বেশী স্বাদের মনে হয়।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
এটা তো জানা ছিল না ভাইয়া।হি হি 😊বেশ মজার ছিল ।যাইহোক কচু বাঙালিদের প্রিয় একটি রাজকীয় খাবার বলা যায়।বিভিন্ন বড়ো মাছ দিয়ে কচুর রেসিপি খুবই ভালো লাগে খেতে।তাছাড়া আপনার কচু রেসিপিটি দারুণ হয়েছে👌,যেন মনে হচ্ছে পিঠা।তবে এটি মনে হয় সলা কচু ,মানকচু নয়।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কচু যে ভাজাও যায় এটা তো জানাই ছিলোনা।বেশ ইউনিক দেখছি।আগে আমিও খেতাম না,এখন খাই।
আমাদের বাসায় তো বলা হত,যারা বেশি ঝগড়াটে তাদের গলা ধরে,তাই কখনো গলা ধরলে কাউকে বলতাম না। হি হি।যাই হোক মেয়েরা বেশি সাহসী দেখেন না,বিয়ের পরে একাই চলে আসে শশুর বাড়ি।এভাবে কচু ভাজি করলে গরম ভাতের সাথে খেতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু বলবো না ভাই বলবো বুঝতে পারছি৷ না🤪🤪
বাহ ভাই দারুণ একটা পথ দেখিয়ে দিলেন। মন খারাপ হলে পছন্দের খাবার গুলো সামনে পেলে মন ভালো হয়ে যাবে। আমার মনে হচ্ছে এটা কার্যকর হবে। দারুণ ছিল বুদ্ধি টা। সত্যি বলতে কচু নিয়ে এখনও আমার ঐ ধারণাটা আছে। সেজন্য এখনো ওটাকে একটু এড়িয়ে চলি হা হা। কচুর রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন। প্রতিটা ধাপের পরিবেশন উপস্থাপন অনেক সুন্দর হয়েছে।।
আসলে ভাইয়া কচুর নিয়ে আমার জীবনের ঘটনা রয়েছে। কচু খেয়েছিলাম একবার তখন আমারও গলাতে ধরেছিল, আর কেমন যেন হয়ে যাচ্ছিলাম। খুব ভয় পেয়েছিলাম, তার মধ্যে আমার আপু এসে আরও ভয় দেখিয়েছে, যে বললো তুই চুরি করে কিছু খেয়েছিস, যার কারণে কচু গলাতে তোর দরেছে, আপনারও ঠিক তাই হয়েছে। আপনি ছোটবেলা কচু খেতে খুব ভয় পেতেন। তারপরে আপনার ভাই আপনাকে ভয় দেখিয়েছে, যাইহোক লেবু খেলে ঠিকই এই সমস্যাটার সমাধান হয়। তারপরে আজকে আপনি সেই ভয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই মজাদার রেসিপি।আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
আপনি বিয়ে করেছেন এই কথাটা বলতে মনে হয় একটু ভয় পেয়ে গেলেন? মনে হল কথাটা বলতে গিয়ে খুব কষ্ট হয়েছে। তবে যাই বলুন না কেন ভালো একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। যেই মানুষটি আপনার পছন্দের রেসিপিগুলো আপনাকে তৈরি করে খাওয়ান। ছোটবেলায় আমিও কচু খেতাম না। তবে এখন মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। কিন্তু এভাবে প্রচুর রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। এই রেসিপি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
কচু খেতে ছোটবেলায় আমি ও খুব ভয় পেতাম। এখন খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনারা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ও অনেক ভালো হয়েছে। এভাবে কচু ভুনা এর আগে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে একদিন চেষ্টা করব ভাবছি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কি ভাই আসলে আপনি ঠিক বলেছেন যখন অসুস্থ থাকি তখন যদি পছন্দের খাবারগুলো সামনে আসে তাহলে আসলে মনটা ভালো হয়ে যায়। আর মন ভালো থাকলে শরীরটাও মোটামুটি ভালোই লাগে। আর কচু আসলে আমিও তেমন পছন্দ করি না। তবে আপনি আজকে যে কচু ভুনা রেসিপি করেছেন এটার কালার এবং রান্নার পদ্ধতি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে। যদিও আমার কচু খেলে গলা চুলকায় না তবে তবুও এটা খেতে আসলে আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না তবে আপনার রেসিপি বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে।
সময় গুলোকে উপভোগ্য করার উপায়টি আমি মাত্রই বলতে যাব আর আপনি বলে দিলেন সাথে সাথেই, ঠিকই বলেছেন মজার মজার খাবার ছাড়া কি সময়কে উপভোগ করা যায়। মন খারাপ থাকলে পছন্দের খাবার গুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায় কিন্তু শরীর খারাপ থাকলে পছন্দের খাবারও তখন আর ভালো লাগেনা। কচু নিয়ে এ ধরনের কথা আমরাও শুনেছি দুষ্টু মানুষের নাকি কচু খেলে গলা জলে। কচু আমি খুব একটা খাই না কবে খেয়েছি তাও জানিনা। তো বীর পুরুষ ভাইজান কচু খেয়ে ভয়টা কিভাবে গেল তা তো বললেন না ভয় কাটিয়ে যেদিন খেয়েছিলেন সেদিন কার অনুভূতিটুকু বলতেন ।এই কচুগুলো এরকম গোল গোল চাপ চাপ করে ভাজি করলে খেতে খুব ভালো লাগে অনেক আগে আম্মা যখন করত তখন খেয়েছি ভালই লাগতো। নিজে করে কখনো খাওয়া হয়নি, তাই অনেকদিন পরে আপনার এই খাবারটি দেখে লোভ লাগছে। ধন্যবাদ মজার একটি খাবারের রেসিপি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কচুর পাশাপাশি এমন আরেকটা সাধারণ কথা ছিল,যা বড় ভাই বোন বা আম্মুরাও বলে মাঝে মাঝে।সেটা হচ্ছে,তোকে তো স্টেশন থেকে কুড়িয়ে এনেছি😂😂।এখন আমি আমার ছোট ভাইকে বলি এটা🤣।
আপনার রেসিপি মানেই ইউনিক কিছ।কচুর ভুনা আমি এমন কখনো দেখি নাই,আজই প্রথম।যদিও কচু খাইনা তবে দেখে এবিং আপনার কথা শুনে সুস্বাদু মনে হলো।
শুভ কামনা জানাই ভাই🌸💜