অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২৩)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। অনেক দিন হয়ে গেলো কলকাতার পর্বগুলো আর লেখা হচ্ছে না, তাই আজকে কলকাতা নিয়ে পোষ্ট লিখবো বলে আগ হতেই চিন্তা করে নিয়েছি। অবশ্য ইতিমধ্যে কলকাতা নিয়ে ২২টি পর্ব লেখা হয়েছে, আশা করছি আরো বেশ কিছু পর্ব লিখতে পারবো, হি হি হি। আসলে আমরা প্রচুর ফটোগ্রাফি করেছি, যদিও নানা কারনে সবগুলো শেয়ার করা যাবে না, কিন্তু বেছে বেছে নিরাপদ থাকার জন্য কিছু কিছু শেয়ার করে নিবো আপনাদের সাথে হি হি হি।
২২তম পর্বে ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফিগুলো শেষ করেছিলাম। যদিও সময়ের স্বল্পতার কারনে মিউজিয়ামের খুব বেশী ফটোগ্রাফি করতে পারি নাই, জাস্ট প্রতিটি রুম ভিজিট করেছি এবং কোথায় কি কি আছে সেগুলো জানার চেষ্টা করেছি। কারন পরের বার কলকাতা আসলে এখানে আবার আসবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। আসলে অনেক কিছু দেখার সাথে সাথে অনেক কিছু শেখারও আছে এখানে। অনেক বিষয় থাকে, যেগুলো মুখস্ত করলেও স্মরণে থাকে না কিন্তু দেখার কারনে সেগুলো স্মরণে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়। যাক সে সব কথা। আমরা মিউজিয়াম হতে বের হয়ে পুনরায় চারপাশটা একটু দেখে নিলাম এবং কিংপ্রস ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছি।
বাহিরের পরিবেশটা অনেকটাই আমাদের শহরের গুলিস্তানের মতো, বেশ জমজমাট ফুটপাত এবং প্রচুর মানুষের উপস্থিতি রয়েছে সেখানে, বুঝাই যাচ্ছে বেশ কেনাকাটা হয় এখানে। অনেকটা আমাদের শহরের মতো পরিচিতি পরিবেশ। দেখে বুঝাই যাচ্ছে না আমরা কলকাতা নাকি ঢাকা শহরের মাঝে আছি। ঢাকার ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে আমরা যেমন মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাই, এখানেও ঠিক তেমন পরিবেশ, হাঁটতে গিয়ে মনে হয় কারো সাথে ধাক্কা লেগে না যায়, হি হি হি।
তারপর চোখ পড়লে সামনে থাকা শরবতের একটা দোকান, আমি সেখানে চলে গেলাম এবং লাচ্ছির কথা জিজ্ঞেস করলাম। তারপর মূল্য তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলাম। যেহেতু বেশ গরম অনুভূত হচ্ছিল আমাদের, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম লাচ্ছি খাওয়ার। যেহেতু আমি পুরান ঢাকায় থাকি সেহেতু লাচ্ছির সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে আমার। কারণ বিউটি লাচ্ছি পুরান ঢাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটা নাম। আর সেটা ছিলো আমার বাসার কাছাকাছি, আর এই কারনে সেটার স্বাদ কখনো মিস করতাম না। তাই গরমের আরাম লাচ্ছির অর্ডার করলাম আমরা এবং অপেক্ষা করতে লাগলাম কাংখিত সময়ের জন্য। তার সাথে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় সেটাও জেনে নিলাম কিংপ্রস ভাইয়ের নিকট হতে।
ঢাকার ফুটপাতের মতো প্রতিটি দোকান পাশাপাশি ছিলো। লাচ্ছির দোকানের পাশেও একটা দোকান ছিলো। আমরা লাচ্ছি খাচ্ছিলাম আর সেই দৃশ্যগুলো দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল সবাই সিরিয়াল ধরে সেখানে কিছু কিনতে আসছেন। প্রতিটি দোকানে বেশ ক্রেতা দেখা যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো ঢাকার গুলিস্তানের মতো অনেক কিছুই এখানে হয়তো কিছুটা সস্তায় পাওয়া যায়। যেহেতু আমাদের সময় কম, তাই দ্রুত লাচ্ছি শেষ করে হাঁটা শুরু করলাম আবার। কলকাতা পৌরসভা সংস্থার দিকে। উদ্দেশ্য নিজামস- মাটন রোল খাওয়ার জন্য, সবচেয়ে পুরনো এই রেস্টুরেন্টের মাটন রোল নাকি বেশ স্বাদের। পরের পর্বে সেই স্বাদের কথা লিখবো।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
কলকাতা ভ্রমণের এবারের পর্বটি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে নিজেকে নিরাপদ রেখে এরপর ফটোগ্রাফি পোস্ট করাই ভালো। না হলে আবার জনগণ কবির প্রেমে পড়ে যাবে 😅😅। যাইহোক ভাইয়া একটু মজা করলাম। আর গরমে লাচ্ছি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে ও নিরাপদ দরকার।যাক অনেক তো ফটোগ্রাফি করেছেন।আপনার ফটোগ্রাফি ও বিবরন পড়ে অনেক জায়গা সম্বন্ধে জানা গেলো আর দেখতে ও পেলাম।গরমে লাচ্ছি খেতে বেশ মজার।তবে আমি যখন গিয়েছি লাচ্ছি খাইনি।কারন বাইরে পানি জাতীয় খাবার আমি খাই না।কিন্তু আগ্রার তাজমহল দেখে বের হয়ে গরমে লেবুর একটা শরবত পান করেছিলাম।জাস্ট সারা শরীর শীতল হয়ে গিয়েছিল।পরে আর এক গ্লাস ও পান করেছিলাম,হিহিহি।পরের পর্বে মাটন রোলের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জ্বী, সচারচর আমিও বাহিরের পানি খাই না, এটা আমার অনেক পুরনো অভ্যেস। তবে এটাও সত্য যে, আমাদের দেশের তুলনায় তারা অনেকটা বেশী পরিচ্ছন্ন এবং আমরা দেখেছি সব শ্রেণীর লোকেরা তাদের ফুটপাতের খাবার খায়। ধন্যবাদ
অনুভূতির গল্প - হৃদয়ের টানে কলকাতা ২৩ তম পর্বের পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনি, মিউজিয়াম গুলোতে যেমনি দেখার বিষয় আছে অনেক তেমনি সেখান থেকে শেখারও বিষয় রয়েছে।পরিবেশ তো ঢাকার মতোই তো লাগছে ফটোগ্রাফি তে ।আপনারা দ্রুত লাচ্ছি খেয়ে নিলেন।কারণ মাটন রোল খেতে যাবেন।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মজার ব্যাপার হলো আমি আপনার কলকাতা ভ্রমনের প্রথম পর্ব এটা পড়লাম। কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম টাইটেল দেখে! হঠাৎ করে ২৩ তম পর্বে কিভাবে সম্ভব 😁। যাক, কলকাতার অলিগলি তাহলে গুলিস্তানের মতো। তাহলে তো পকেট মারের সংখ্যাটাও বেশি ছিল, নাকি ভদ্র পাবলিক 😁