‘আমার বাংলা ব্লগ’-সাপ্তাহিক হ্যাংআউট রিপোর্ট-৬২ (ABB Weekly Hangout Report-62)
ভূমিকাঃ
“আমার বাংলা ব্লগ”- এখন শুধু একটি কমিউনিটির নাম না বরং সকলের নিকট জনপ্রিয় মাধ্যম, নিজের ভাষায় আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশের। দিন দিন যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শীর্ষে উঠে আসছে র্যাংকিং এ। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর যাত্রা শুরু হয় মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশে স্টিম ব্লকচেইন এ সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটিকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে ভাষার প্রতি ভালাবাসা সৃষ্টি করা এবং নিজেদের বন্ধনকে আরো মজবুত করা। আমাদের বিশ্বাস আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মাঝে আমাদের লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হবো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এখন পর্যন্ত ৩৮১৪ জন সদস্য হয়েছেন এবং বর্তমান এ্যাকটিভ পোষ্টের সংখ্যা ২৩৬।
আমরা পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের নিজের মাতৃভাষায় আবেগ, অনুভূতি ও জীবনের গল্পগুলোকে ভাগ নেয়ার সুযোগ করে দিতে চাই। কারন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ব্লকচেইন সবার মাঝে একটি সেতু বন্ধন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা এই সুযোগটির পূর্ণ ব্যবহার এবং বাঙালি কমিউনিটির একটি নির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় সহজসাধ্য করতে চাই।
হ্যাংআউট-৬২
সময়ের পূর্বে আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @shuvo35 ভাই চলে আসেন এবং সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন, সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানান এবং হ্যাংআউট সম্পর্কে সবাইকে কিছুটা ধারনা দেন। আজ অনেকগুলো সেগমেন্ট রয়েছে, অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তারপর যথাযথভাবে সবাইকে হ্যাংআউটে স্বাগতম জানান শুভ ভাই।শুরুতেই বলেন আজকের কথাগুলো একটু ভিন্নভাবে শুরু হবে তবে সবাইকে মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনার আহবান জানান আর মাইক অফ রাখতে বলেন।
এরপর আমি @hafizullah কথা বলি, আমার বাংলা ব্লগের ৬২তম হ্যাংআউটে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমাদের হ্যাংআউটগুলো অন্য সকল কমিউনিটির মতো হ্যাংআউট না, এখানে শুধুমাত্র খোশগল্প করে সময় কাটানো হয় না, বরং ইউজারদের অনেক বিষয়ে গাইড করার চেষ্টা করা হয়, তাদেরকে আরো বেশী অনুপ্রাণীত করার চেষ্টা করা হয় এবং সর্বোপরি কোয়ালিটি বৃদ্ধির ব্যাপারে যথাযথ পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করা হয়। সুতরাং যারা হ্যাংআউটে জয়েন হন, দয়া করে আমাদের কথাগুলোর প্রতি একটু মনোযোগ দিবেন।
এই সপ্তাহে আমার অধীনে যে সকল ইউজার ছিলেন তাদের এ্যাকটিভিটি ভালো ছিলো কিন্তু কিছু বিষয়ে বেশ ঘাটতি ছিলো। প্রথমত মার্কডাউনের সঠিক ব্যবহার অনেকেরই হচ্ছে না, এটাতে কোন ছাড় দেয়া হবে না। যদি ভেরিফাইড মেম্বাররা এই রকম করে তাহলে তাদের আবার লেভেল-৩তে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ডিসকর্ড এনগেজমেন্ট বেশ খারাপ ছিলো @aflatunn এবং @mrahul40 এরপর এই ক্ষেত্রে আপনাদের আর ছাড় দেয়া হবে না। @litonali এবং @kibreay001 আপনাদের কমেন্টের ক্ষেত্রে আরো একটু যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, কমেন্টগুলো যেন গতানুগতিক না হয়।
এরপর কমিউনিটির এ্যাডমিন @winkles ভাই কথা বলেন, শুরুতেই তার অধীনে থাকা ইউজার @samratsahaকে নিয়ে কিছু কথা বলেন, ডিসকর্ডসহ কমিউনিটির সকল ক্ষেত্রে এ্যাকটিভিটি কম, তা বাড়ানোর সাথে সাথে পোষ্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বলেন। এরপর কথা বলেন @shuvo2021 কে নিয়ে, কমিউনিটিতে আরো বেশী সময় দিতে হবে কারন আগের মতো কমিউনিটিতে এ্যাকটিভিটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, এ্যাকটিভিটি অনেক বেশী হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া বাকী ইউজারদের সব ঠিক ঠাক আছে, তা নিয়ে কিছু বলার নেই। কাংখিত কমেন্টের ক্ষেত্রে সব চেক করা হয় নাই, যথা সময়ে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
এরপর কথা বলেন কমিউনিটির এ্যাডমিন এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোলার @rex-sumon সুমন ভাই, তার অধীনে যে সকল ইউজার ছিলেন তাদের মাঝ হতে কয়েক জনের নাম প্রকাশ করেন, কারন তাদের এনেগেজমেন্ট, কোয়ালিটি এবং পোষ্ট সংখ্যা সব বৃদ্ধি করতে হবে। এই বিষয়ে তাদের অনুরোধ করে বলেন, কাজ করলে ভালোভাবে করতে হবে আর কোন সমস্যা থাকলে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করতে বলেন। এরপর আরো একজন ইউজারের নাম বলেন, খুব সমান্য সমস্যার কারনে সে সুপার এ্যাকটিভ তালিকায় আসতে পারেন নাই, সবগুলো সেক্টরে হালকা সমস্যা ছিলো। সে ব্যাপারে কিছু না বলে কাজের মান ধরে রাখার পরামর্শ দেন। পোষ্টের সংখ্যা না কোয়ালিটি বৃদ্ধি করার অনুরোধ করেন এই ক্ষেত্রে, কারন পোষ্ট কোয়ালিটি সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলে সুপার এ্যাকটিভ তালিকা তৈরী করার ক্ষেত্রে। কমেন্ট এর কোয়ালিটি ঠিক করতে বলেন সবাইকে, আমরা এই ব্যাপারে আরো একটু কঠিন হবে, যথাসময়ে এই বিষয়ে নতুন ঘোষণা দেয়া হবে।
আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @shuvo35 ভাই কথা বলেন এরপর, তার অধীনে যারা ছিলেন তাদের নিয়ে কথা বলেন। তাদের নিয়ে খুব বেশী কিছু বলার নেই তার, তবে একটা পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেন। আমাদের ইউজার বাড়ছে আমার বাংলা ব্লগ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সবার কোয়ালিটি বৃদ্ধি করে এগিয়ে যাওয়ার, তবুও অনেকেই চিকন বুদ্ধির ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। পেশাদারিত্ব ধরে রাখার অনুরোধ করেন সবাইকে, এটা খুবই জরুরী। আগের থেকে আমাদের ইউজারদের এ্যাকটিভিটি বেড়েছে, কমেন্টের ক্ষেত্রে গতানুগতিক ভাবে সাধারণ পোষ্ট সমূহে একটু বেশী কমেন্ট করা হয় । কিন্তু জেনারেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে কমেন্ট সংখ্যা অনেক কম হয়, কেন এই রকম হচ্ছে সেটা জানা নেই। তবে আমাদের ভিতরগত কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যথা সময়ে সেটা সবাই জানতে পারবেন। চলার পথে কেউ পা পিছলে পরে গেলে তার আবার সঠিক স্থানে ফিরে আসাটা কষ্ট কর হয়ে যায়। আমরা সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই, তাই যাদের চিকন বুদ্ধি আছে তাদের তা সরিয়ে রাখতে অনুরোধ করেন।
এরপর কথা বলেন কমিউনিটির মডারেটরগন। প্রথমে মডারেটর @rupok ভাই কথা বলেন, লেভেল ওয়ানে এখন মেম্বার আছে দুইজন। এই দুজনের সাথের বাকি সব মেম্বার লেভেল টু অতিক্রম করে গিয়েছেন। এই মেম্বার দুইজন নিয়মিত পোস্ট করেন না। সাপোর্ট পেতে হলে আপনাদেরকে নিয়মিত ভালো মানের পোস্ট করতে হবে। পোস্টের কোয়ালিটি ভালো করার জন্য ভেরিফাইড মেম্বারদের পোস্টগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আগামীকাল থেকে এক তারিখ পর্যন্ত নতুন মেম্বার নেয়া হবে। তবে এখন নতুন মেম্বার নেয়ার শর্ত হচ্ছে অবশ্যই তাদেরকে কোন ভেরিফাইড মেম্বার এর মাধ্যমে আসতে হবে। ভেরিফাইড মেম্বাররা প্রত্যেকটা রেফারের জন্য পাঁচ স্টিম করে পাবেন। তবে একজন মেম্বার পাঁচটার বেশি রেফার করতে পারবেনা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা এমন মানুষ কমিউনিটিতে আনবেন যাদেরকে আপনারা গাইড করতে পারেন বা যারা আপনাদের কথা শুনবে। এর আগে দেখেছি ভেরিফাইড মেম্বাররা যাদেরকে রেফার করেছে তারা ইন্ট্রো পোস্ট করে হারিয়ে গিয়েছে। এমনটা যেন না হয় সে বিষয়ে সবাই খেয়াল রাখতে বলেন।
এরপর মডারেটরগন @alsarzilsiam ভাই কথা বলেন, প্রথমেই লেভেল ৩ সম্পর্কে কিছু কথা বলেন। লেভেল ৩ এ মার্কডাউনের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে শেখানো হয়। কোন মার্কডাউন কোথায় বসবে, কোন মার্কডাউন কি কাজে ব্যবহার করা হয়, এই বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আপনাদের শেখানো হয়। তারপরও দেখা যাচ্ছে আপনারা ভুলভাল মার্কডাউন ব্যবহার করছেন। এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার যদি কোন মার্কডাউন সম্পর্কে সন্দেহ থাকে বা জানার ইচ্ছা থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আমাকে লেভেল ৩ এ মেনশন দিতে পারেন বা টিকিট কাটতে পারেন। বর্তমানে লেভেল ৩ এ যারা অবস্থান করছেন তাদের এক্টিভিটিস একেবারেই কম। নিয়মিত পোস্ট করছেন না অন্যের পোস্ট পড়ে গতানুগতিক কমেন্ট করছেন না। এই বিষয়গুলো আপনাদের বারবার বলার পরও ঠিক হচ্ছে না। আপনারা অনেকেই ইতিমধ্যে লেভেল ৪ এর ভাইবা পরীক্ষা দিয়েছেন। অনুগ্রহ করে এই লেভেল থেকে একটু অ্যাকটিভ হওয়ার চেষ্টা করুন। অনেক ইউজার আছে খুব দ্রুত কমেন্ট করে যার কারণে একবার লেখার পরে বানানের প্রতি তারা একটুও গুরুত্ব দেয় না। এই বিষয়গুলো কিন্তু মোটেও ভালো চোখে দেখা হয় না। অন্ততপক্ষে আপনি কি লিখেছেন সেটি একবার রিভাইস দিয়ে তরপর পোষ্ট করার চেষ্টা করতে বলেন।
কমেন্টের প্রতি আপনাদের সকলেই সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ একটি মানুষ যখন পোস্ট করে তখন কিন্তু অনেক কিছু বিবেচনা করে মনের ভাবগুলো গুছিয়ে তারপরে পোস্ট করে। তার পোস্টটি পড়ে গতানুগতিক কমেন্ট করার চেষ্টা করেন। অনেকে আছে রোবটিক কমেন্ট করেন, এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে না হলে আমার বাংলা ব্লগে টিকে থাকা আপনার জন্য খুবই দুস্কর একটি বিষয় হবে। Discord এ অযথা কাউকে মেনশন দেবেন না, যারা অনলাইনে থাকবে তাদের সাথে আড্ডা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনাদের যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই টিকিট কেটে আমাদেরকে জানাবেন। সর্বশেষে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের লিংক গুলো শেয়ার করেন।
কমিউনিটির মডারেট @kingporos ভাই কথা বলেন এরপর, প্রথমে লেভেল-২ নিয়ে কথা বলেন। লেভেল-২ তে দশজন রয়েছে, যে দশজন রয়েছে তাদের মাঝে ৩-৪জন ভালো করছেন, যতটুকু করেন বেশ ভালো করেন, ডিসকর্ডেও এ্যাকটিভ থাকেন। তাদের এটা ধরে রাখার অনুরোধ করেন, তাহলে আমার বাংলা ব্লগে একটা ভালো জায়গায় আসতে পারবেন। যারা ঠিক নেই তাদের নিরাশ হতে না করেন, চেষ্টা করতে বলেন, তাহলে আপনারাও ঠিক অবস্থানে আসতে পারবেন। তারপর অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেন, দাদার পোষ্টের বিষয়ে কুঞ্জবিহার পর্ব নিয়ে, যেখানে মাত্র ৫জন সাধারণ ইউজার কমেন্ট করেছেন এ্যাডমিন মডারেটরদের বাদ দিলে। এটা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এতো জন সুপার এ্যাকটিভ ইউজার রয়েছে কিন্তু তার মাঝে এতো কম কমেন্ট সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর। দাদা এতো সময় দেন, এতো বিনিয়োগ করেছেন আপনাদের জন্য, তার পোষ্টের ক্ষেত্রেও যদি আপনাদের অবস্থা হয় তাহলে কিভাবে হবে? এর আগে বহু বার কমিউনিটির এক্সিকিউটিভ এ্যাডমিন ব্ল্যাক দাদা কথা বলেছেন। এই বিষয়গুলো সত্যি বেশ দৃষ্টিকটু লাগে। বার বার বলে সব ঠিক করা যায় না, তবুও আশা প্রকাশ করেন অন্তত্য এ্যাডমিন মডারেটররা যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন সেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবে সবাই।
এরপর মডারেটর @nusuranur আপু কথা বলেন, প্রথমেই আপু লেভেল-৪ নিয়ে কথা বলেন।কারণ যেহেতু লেভেল ৪ এর দায়িত্বে রয়েছি।এক্সামের টাইমে ডিএম করে অনেকেই অনেক ধরণের অযুহাত দেন। যা গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ ক্লাসে জিজ্ঞেস করা হয় সমস্যা আছে কিনা। তাও এসবের মানে হয়না। কারণ যেসব এক্সকিউজ দেন সেসব ভিত্তিহীন তা বুঝার মতো অবস্থা আমাদের রয়েছে। এরপরে বলেন, লেভেল - ৪ এক্সামের আগে বারবার বলা হয় সব কিছু ট্রাই করতে। একটা ক্লাসেই ভাইভা + ক্লাস ২টাই হয়। তাও ক্লাসে এসে বলেন, আপনি একটা ক্লাস করেছেন তাই পারবেন না ভাইভা দিতে। এটা সত্যিই খুবই বিরক্তিকর হয়ে যায় আমাদের জন্যে। আমরা যদি প্রফেশনাল হতে পারি আপনারা পারবেন না কেনো?
এরপর আপু বলেন,আমি হাফিজ ভাই এর একটি কথা আবারও বলতে চাই। লেভেল ৪ এ এসে অহেতুক বা অসামাঞ্জস্য মার্কডাউন ইউজ করলে লেভেল ৩ তে নামিয়ে দেওয়া হবে কোনো বিবেচনা ছাড়াই। যেমন আমি একজনকে মার্কডাউন একটু কম ইউজ করতে বলাতে উনি মার্কডাউন একেবারে ইউজ করাই ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর বলেন, আরেকটা বিষয় হলো, আর্ট পোস্ট সবার করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যা ভালো পারবেন তাই করবেন। আর যেটা পারবেন না, সেটা আগে নিজে নিজে ট্রাই করে নিজের স্কিল ডেভলপ করবেন। যেমন আমি ডিজিটাল আর্ট কখনো করিনি। এখন আমি যদি, প্রথম প্রথম করা ডিজিটাল আর্ট গুলো স্টিমিটে পোস্ট করি তাহলে এটা কি ভালো দেখাবে? এরপর বলেন, লেভেল - ৪ এ যেহেতু এখন অনেক ইউজার। তাই আমি ডিস্কোর্ড একটিভিটিটার দিকেও খেয়াল রেখে এরপর নমিনেশনে দিবো । কারণ লেভেল এর বেশিরভাগ ইউজারকেই ডিস্কোর্ড এ দেখাই যায়না।
এরপরে বলেন, পোস্টের কোয়ালিটি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আমি কমেন্ট করে যাচ্ছি, একই পোস্ট করে যাচ্ছেন। এমন করলে, আমি কয়েকবার কমেন্ট করে এরপর আর কমেন্ট করবোনা, তবে কিউরেশন অফ করে দিবো। কারণ কমেন্টে অনেক গুলো ভুল ধরেও পোস্টগুলো নমিনেশন এ পাঠাই। যাতে আপনারা হতাশ না হয়ে পরেন। এরপরও চেঞ্জ না হলে আমার কিছুই করার থাকবেনা। আর আপুদের যদি কেউ অহেতুন ডিএম করেন বা বিরক্ত করেন তাহলে আপুকে নির্দ্ধিধায় বলতে পারবেন ডিএম করে।
এরপর মডারেটর @ayrinbd আপু কথা বলেন, সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আগামীকাল ২৬/৮/২০২২ তারিখ হতে ০১/৯/২০২২ তারিখ পর্যন্ত নিউ মেম্বার নেয়া চালু থাকবে। ভেরিফাইড মেম্বারদের মধ্যে যারা নতুন মেম্বার রেফার করতে চান তারা এই সময়ের মধ্যেই রেফার করবেন। আরেকটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন যে মেম্বারকে আপনি রেফার করবেন সে তার এবং আপনার সম্মানের কতটা গুরুত্ব দেয় সে দিক বিবেচনা করে রেফার করবেন, কারণ দেখা গেল আপনার রেফার করা মেম্বার আমাদের কমিউনিটিতে দেয়া Rules গুলো অবহেলা করছে অথবা কারো কথাই শুনছেনা না, ওই ব্যক্তির জন্য আপনি একটু একটু করে তৈরি করা সম্মানের জায়গা খানিকটা হলেও নষ্ট হতে পারে।
আর আপনার রেফার করা মেম্বারকে অবশ্যই অবগত করবেন এখানের প্রতিটা বিষয়, প্রতিটা ক্লাস এবং প্রতিটা ক্লাসের প্রফেসরদের কথাগুলো সামান্য নয় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এটা কোন সাধারণ প্ল্যাটফর্ম নয় নিজেকে তুলে ধরার একটা প্রফেশনাল প্ল্যাটফর্ম। এখন কথা হচ্ছে যাই করেন, যাকেই রেফার করেন বুঝেশুনে করবেন। অন্যের কারণে নিজের জায়গা যাতে কখনো নষ্ট না হয়। আর পরিচিতিমূলক পোস্ট করার পর তাকে ডিসকোর্ডে নিয়ে আসবেন এবং যতক্ষণ না সে লিংক আপ করতে না পারছে তাকে সাহায্য করবেন। আর অবশ্যই মনে রাখবেন নিউ মেম্বার রেফার করার পর প্রত্যেক রেফারেন্সদের লেভেল -১ এর ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে আর উপস্থিত না থাকলে আপনার রেফার করা মেম্বারকে নিউ মেম্বার হিসেবে গ্রহণ করা হবে না।
আর যে কথাটা আমি সবসময় বলি ডিসকোর্ডে কথা বলার সময় অবশ্যই নিজের জায়গা ও নিজের সম্মান ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। এমন কোনো ইমোজি বা এমন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন না যা ডিসকোর্ডের পরিবেশ নষ্ট করে। নিজে ভাল থাকবেন অন্যকে ভাল রাখবেন।
এরপর শুভ ভাই আসেন এবং যথারীতি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মডারেটর @tangera আপুর বিষয়ে কথা বলেন, তারপর আপুকে তার বক্তব্য লিখে প্রকাশ করতে বলেন। এরপর আপু লিখেন, আপনারা ইতিমধ্যেই আমার announcement এর মাধ্যমে জেনে গিয়েছেন এখন থেকে সুবিধাবঞ্চিত ইউজারদের তালিকার লিস্ট প্রকাশিত হবে সোমবারের এর পরিবর্তে রবিবারে। আর নতুন একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে , যদি কারও নাম এই লিস্ট এ থাকে অর্থাৎ যদি কেউ সপ্তাহে একটি সাপোর্ট পান তাহলে পরবর্তী সপ্তাহে তাকে তিনটি করে সাপোর্ট দেয়া হবে দুইটির পরিবর্তে।
আর আপনারা সকলেই কমেন্টস এর ব্যাপারে সতর্ক হোন, কারণ নতুন একটি নীতিমালা আনা হচ্ছে।এখন থেকে কমেন্টস মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। শুধু রেসিপি, আর্ট, ফটোগ্রফি এসব পোস্টে কমেন্ট না করে অন্যান্য পোস্টেও কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন। দরকার হলে আপনার কমেন্টেস এর সংখ্যা কম হোক কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু কমেন্টস যেন স্প্যামিং এর পর্যায়ে না পড়ে। কমেন্টসের কোয়ান্টিটি টির দিকে নজর না দিয়ে কোয়ালিটির উপর নজর রাখুন ।আশা করি আপনারা সকলেই এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন, এটি ছিল বলার।
এরপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদা কথা বলেন, স্টিমটি দাদার শখ, এটা দাদার কাজের জায়গা না। এখান হতে ইনকাম করার কিছুই নেই । ২০১৬ সালে জয়েন করেছিলেন তারপর ২০১৭ সালে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর আমার বাংলা ব্লগ দিয়ে আবার কাজ শুরু করেন, হিসেব করে দেখেছেন ৪৪০ দিন দাদা এখানে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। এর মাঝে দাদার আত্মীয় স্বজনদের কেউ কেউ মারা গিয়েছেন তবুও ভোট বন্ধ করা হয়নি, দাদার ছেলেও অসুস্থ্য ছিলেন, পুরো ফ্যামিলিসহ তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, রাত জাগা নিষেধ ছিলো তবুও ভোট দেয়া বন্ধ করেন নাই। দাদার বড় ভাই অসুস্থ্য হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন অনেক দিন ধরে সে সময়েও দাদা ভোট দেয়া বন্ধ করেন নাই। কারন দাদা তার দায়িত্ব নিয়ে সর্বদা সচেতন ছিলেন। তাই শতভাগ দায়িত্ব পালন করেছেন সচেতন থেকে। কারন এর মাঝে একদিনও কিউরেশন করা বন্ধ করেন নাই। যদিও দাদা টানা কিছু পারেন না বা করেন না, এটা তার কাছে ভালো লাগে না, এক ঘেয়েমি চলে আসে।
তিনি যে এখানে বেশী দিন থাকবেন না সেটা হয়তো আপনারা সবাই সেটা জানেন। হাইভ ছেড়েছেন বহুদিন। স্টিম এর ফিউচার ভালো না সেটা কিন্তু না, স্টিম এর ফিউচার ভালো। এই ক্ষেত্রে দাদা যেটা বলেছেন সেটাই হবে। ২০২৪ সালে স্টিম এর প্রাইস ২-৩ ডলারের উপরে থাকবে। দাদা যদি স্টিম না ছাড়েন তাহলে প্রতিদিন ৩-৪ লাখ টাকা ইনকাম হবে, শুধু ব্লগিং করে ৫ লাখ টাকা আসবে। তারপরও তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন, কেন ছাড়ছেন? তার কারন হলো দাদা নিজের কাজে ফোকাস করতে পারছেন না, তাকে রাত জেগে ভোট দিতে হয়, প্রচুর সময় দিতে হয়, বিশেষ করে কিউরেশনের ক্ষেত্রে। এটা অনেক হিসেব নিকেশ করে দিতে হয়। তার না হলে সবাই ঠিক ঠাক ভোট পায় না, যেমন ইদানিং সাইফক্স এর পাওয়ারটা এডজাস্ট করা যাচ্ছে না, কোন একটা প্রবলেম আছে হয়তো, যা আগামী সপ্তাহ হতে ঠিক হয়ে যেতে পারে। মাঝে মাঝে এই রকম হয়, তখন কিউরেশন বন্ধ কিংবা কয়েকজনকে কম ভোট কিংবা % দিয়ে সেটা ঠিক করার চেষ্টা করা হয়।
হয়তো লক্ষ্য করলে মাঝে মাঝে এমনটা দেখতে পাবেন যে, বছরে ৪৮টা সপ্তাহ তার ভিতর ৩৬-৩৭টি সপ্তাহ সাইফক্স সঠিকভাবে ভোট দেয় আর বাকি ১১-১২টি সপ্তাহ ঠিক ঠাক ভোট দিতে পারে না। যার কারনে দাদা নিজের কাজ ঠিক মতো করছে পারছেন না। যেমন গতকাল দুপুরে কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। এসব কারনেই দাদা মূলত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, স্টিমিটে নিয়মিত করতে চাচ্ছেন না মানে নিয়মিত পোষ্ট করা এসব। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নাই, পরিবার হতেই আপত্তি রয়েছে বিশেষ করে বৌদির। তারপরও দাদা এ্যাডমিন ও মডারেটরদের মতামত জানতে চেয়েছেন। আর দায়িত্ব ভাগাভাগি মানে দাদা নিজের পোষ্ট করতে পারবেন না, আর ভোট দেয়ার বিষয়টি সেটা একার পক্ষে নিয়মিত করা কষ্টকর হয়ে যাবে। কারণ দাদা একদম রোবটিকভাবে ভোট দেন, সময়-ক্ষন এবং % কোনটারই হেরফের হয় না কখনো। রাত ১২টায় বসেন ভোট দিতে আর বসেন দুপুর ৩টায়। এটা সত্যি বেশ জটিল ক্যালকুলেশন। হাইভ নিয়ে সমস্যা হয় না, কারন সেখানে একটা মাত্র আইডি।
কিন্তু স্টিমিট এ তিনটি কমিউনিটি এবং ভোট দেয়া হয় একাধিক আইডি হতে। এই জন্য এখানে হিসেব নিকেশ করা বেশ জটিল। এ বিষয়ে দাদা বিস্তারিত ক্যালকুলেশনের তথ্য উপস্থাপন করেন। সবগুলো আইডি হতে ভিন্ন ভিন্ন স্লট হতে ভোট দেয়া হয়, ইউজার, মডারেটর এবং এ্যাডমিনদের আলাদা আলাদা স্লটে ভোট দিতে হয়। এখানে আবার ইউজারদেরও আলাদা আলাদা স্লট রয়েছে। সেই কারনে ভোট দেয়াটা বেশ জটিল। এখানে আবার এমন না যে কিউরেশন লিষ্ট পেন্ডিং রাখা হয়, কিউরেশন লিষ্ট কখনো এক্সপায়ার হয় নাই। ভোট দেয়াটা এতো বেশী জটিল যে বুঝালেও আপনারা সেটা বুঝতে পারবেন না। এর জন্য অনেকগুলো সফটওয়্যার ও টুলস ব্যবহার করতে হয়। এই জন্যই দাদাকে এখানে প্রচুর টাইম দিতে হচ্ছে। মোটামোটি প্রতিদিন ৩ ঘন্টা লস হচ্ছে দাদা, শখের বশে এভাবে ৩ঘন্টা দেয়া খুবই কষ্টকর দাদার জন্য। যার কারনে নিজের কাজে ঠিক মতো সময় দিতে পারছেন না দাদা।
যাইহোক, দাদা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই, এটা পেন্ডিং অবস্থায় আছে। তারপরও সবাইকে সেটা নিয়ে চিন্তিত হতে না করেন। দাদা যদি নাও থাকেন তবুও পাওয়ারগুলো এখানেই থাকবে বরং প্রতিদিন সেটা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ভোটিং যেভাবে চলছে সেটা চলবে কিন্তু সেটা নিয়মিত ঠিক ঠাক হবে কিনা সেটার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না, তবে বর্তমান ভোটিং হারটা ঠিক থাকবে। দাদার চারটি কমিউনিটিই এ্যাকটিভ থাকবে সমানভাবে। এর বেশী কিছু বলা হয় নাই এখনো, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নাই, তবে তিনি নিজে চাচ্ছেন ছেড়ে দিতে। সবাইকে মন খারাপ করতে নিষেধ করেন, কারন দাদা হুট করেই চলে যাবেন না।
এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এক্সিকিউটিভ এ্যাডমিন @blacks দাদা, কমেন্টের বিষয়ে ইতিপূর্বে দাদা বলেছেন এনাউন্সমেন্ট করার মাধ্যমে, পোষ্টের দুই-তিন লাইন পড়ে মোটামোটি একটা জিস্ট করে তারপর সবাই মন্তব্য করে। মানে তার কমেন্টটা পড়লেই বুঝা যায় সে পুরো পোষ্টটি পড়ে নাই। আর দ্বিতীয় বিষয়টি হলো বেশী বেশী কমেন্ট করতে হবে এই ধরনের মানসিকতার কারনে একই প্যাটার্নে কমেন্ট করেন শুধু। কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া কঠিন, সেটা সেম হতে পারে কিন্তু কমেন্ট করাতো সেম হয় না কখনো কারন কারণ এটা নির্ভর করে একটা পোষ্টের ধরনের উপর। স্বাভাবিক কারনেই প্রত্যেকটি কমেন্ট ইউনিক হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা মোটেও হয় না, বরং একই রকম হয়। তাহলে সেটা বুঝা গেলো যে না পড়ে কমেন্ট করা হয়।
আরো একটা বিষয় দাদা খেয়াল করেছেন, আমাদের এখানে মানে আমার বাংলা ব্লগে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পোষ্ট করা নিষেধ। কিন্তু ধর্মীয় পোষ্ট কি আর রাজনৈতিক পোষ্ট কি সেই সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারনা নেই। ধর্মীয় পোষ্ট মানে কি? আমি আমার ধর্মটিকে প্রমোট করছি। আমরা ধর্মটি মহান, ধর্মের সাথে তুলনা, আমি এই এই করছি, তুলনামূলক বিশ্লেষণ, এগুলো হলো ধর্মীয় পোষ্ট। কিন্তু আমি আমার যে ধর্মীয় উৎসবগুলো যেমন আপনাদের ঈদ, আপনি ঈদ পালন করেছেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেটা উপভোগ করেছেন, এটা একটা উৎসব, সেটা শেয়ার করতে পারবেন আপনি। একজন হিন্দু, ধরুন সে দূর্গা পূজোতে ঘুরতে গেছে, এখানে সেখানে পূজোর মন্ডব দেখেছে, সেটা বর্ণনা করতে পারবে, সেটা কখনো ধর্মীয় পোষ্ট না। উৎসব এবং ধর্ম সম্পূর্ণ আলাদা।
এ বিষয়ে দাদা খেয়াল করেছেন, টুকিটাকি এই জাতীয় ধর্মীয় সংক্রান্ত যে উৎসবগুলো, সে উৎসবগুলো নিয়ে পোষ্ট সমূহে কোন কমেন্টই পরে না। মানে আপনারা কি মনে করেন এটা ধর্মীয় পোষ্ট? দরুন সামনে আমাদের দূর্গা পূজো আছে সে সম্পর্কে আমি একটা পোষ্ট করলাম। দেখা যাবে দুটো তিনটে কমেন্ট আসবে। আমি আজকে দূর্গো পূজো দেখতে বের হলাম, দুই চারটে পূজো দেখলাম সাথে তার ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম, সেখানে কমেন্ট আসবে হাতে গুনা দু’চারটে মাত্র। কিন্তু পরের দিনে আমি একটা সাধারণ ফটোগ্রাফি পোষ্ট করলাম মিনিমাম আমার ১৭-১৮টা কমেন্ট আসবে। এর কারণ কি? সেটা বুঝলাম না। নাকি আপনার সংস্কৃতির সাথে মিল নেই তার জন্য আপনি কমেন্ট করছেন না? নাকি আপনি সেটাকে ধর্মীয় ব্যাপার হিসেবে দেখছেন? এখানে এই প্রশ্নটা এসে যাচ্ছে। কেন কমেন্ট করছেন না কিন্তু তার অন্য পোষ্টে পরের দিন ঠিকই কমেন্ট করছেন। এটা খুবই দৃষ্টিকটু দেখায়। এখানে ধর্মীয় পোষ্ট হচ্ছে না বরং উৎসব নিয়ে পোষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এখানে ধর্মকে প্রমোট করা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে দাদার মতামত তুলে ধরেন। কমেন্টের ব্যাপারে একটা টীম গঠন করা হয়েছে, তারা ধারাবাহিকভাবে চেক করবেন সবাই কমেন্ট কেমন করছেন ।
এরপর কমিউনিটির এ্যাডমিন @moh.arif আরিফ ভাই কথা বলেন, শুরুতে সকলের নিক ক্ষমা চেয়ে নেন পারিবারিক প্রেগ্রাম থাকার করনে সঠিক সময়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন নাই। শুরুতেই কমিউনিটি নিয়ে কথা বলেন, এ্যকাটিভ তালিকা প্রসঙ্গে বলেন, আগে আমরা প্রতি সপ্তাহে এ্যাকটিভ তালিকা পরিবর্তন করতাম এ্যাডমিনদের সাথে। কিন্তু এখন হতে এটা দুই সপ্তাহ পর পর পরিবর্তন করা হবে। কিছু ইউজার আছেন যাদের আমরা কিছু বিষয়ে বার বার সতর্ক করার পরও তারা সেটা শুনছেন না। তাই কেউ আমার অধীনে থাকা অবস্থায় তাকে সতর্ক করা হলেও যদি না শুনেন, তাহলে পরবর্তী সপ্তাহে তাকে আমরা চেক করতে পারবো কোন উন্নতি হলো কিনা? এই সপ্তাহে একজন ইউজারকে এ্যাকটিভ তালিকা হতে ইনএ্যাকটিভ তালিকায় পাঠানো হয়েছে। তারপর তার অধীনে যারা ছিলেন তাদের সবাই কমবেশী ভালো ছিলেন। দুইজন ছাড়া, তাদের কিছু ঘাটতি ছিলো যার কারনে তারা সুপার এ্যকাটভি তালিকায় আসতে পারেন নাই।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং আমার বাংলা ব্লগের নতুন প্রতিযোগিতা নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়টি হলো শেয়ার করো তোমার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি। মোবাইল নিয়ে আমাদের সকলের অতীতে দারুণ ও চমৎকার স্মৃতি রয়েছে। তাই এবারের প্রতিযোগিতাটি প্রথম মোবাইল ফোন নিয়ে রাখা হয়েছে। তারপর নতুন ইউজারদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন বিশেষ করে যারা নতুন ইউজারদের রেফার করবেন। তারপর কথা বলেন এবিবি স্কুলে যারা আছেন তাদের ঠিক ঠাক বেনিফিশিয়ারি দিতে হবে। এরপর কথা বলেন হিরোইজম নিয়ে, হিরোইজম আমাদের প্রজেক্ট, তাই সবাইকে ডেলিগেশন করার আহবান জানান। এবিবি চ্যারিটি নিয়ে কথা বলেন এরপর। প্রতি বুধবার সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন এবিবি চ্যারিটিতে অংশগ্রহণ করার জন্য। তারপর ডোনেশন এর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। তারপর কথা বলেন এবিবি ফান নিয়ে। আমাদের নতুন আয়োজন কবিতার বিষয়েও কথা বলেন।
এরপর শুরু করা হয় কুইজ পর্ব। আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন আরিফ ভাই পর্বটি পরিচালনা করেন যথারীতি। আর এই পর্বে আরিফ ভাইকে সহযোগিতা করেন সুমন ভাই এবং আমি। তারপর আরিফ ভাই কুইজের নিয়মগুলো উপস্থাপন করেন এবং তারপর একে একে চারটি কুইজ শেয়ার করেন। বিজেয়ীদের তার পক্ষ হতে পুরস্কার দেয়া হবে পরবর্তীতে, প্রসঙ্গক্রমে বলে দেন বিগতটি তিনটি কুইজ পর্বের বিজয়ীদের পুরস্কার এখনো প্রেরণ করা হয় নাই, খুব দ্রুত সেটা পাঠানো হবে। এরপর কমিউনিটির মডারেট @rupok ভাইয়ের পক্ষ হতে একটি কুইজ করা হয়, তারপর উপস্থিত সকলের মাঝে রিওয়ার্ডস বন্টন করে দেয়া হয় যেহেতু কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারেন নাই। তারপর কমিউনিটির মডারেটর তানজিরা ম্যাডামের পক্ষ হতে কুইজ ধরা হয় এবং বিজয়ীকে তার পক্ষ হতে স্টিম দেয়া হয়। তারপর দাদার পক্ষ হতে কুইজ ধরা হয় এবং এ পর্বটি সকলের নিকট দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠে, কারন দাদার কুইজ মানেই নতুন কিছু শেখা এবং জানার সুযোগ। যদিও এবার দাদার কুইজের সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারেন নাই, তাই দাদা সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে পোষ্ট শেয়ার করবেন। দাদা দুটি কুইজ শেয়ার করেন এবং বিজয়ীকে পুরস্কার দেয়া হয় দাদার পক্ষ হতে। এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং সুপার এ্যাকটিভ তালিকা প্রকাশ করেন।
এরপর শুরু করা হয় সর্ব শেষ সেগমেন্ট অর্থাৎ গানের পর্ব। এই আসরে শুভ ভাইকে দারুনভাবে সহযোগিতা করেন @selinasathi1 আপু, তিনি একটু ভিন্নভাবে ছন্দে ছন্দে ইউজারদের নাম ঘোষণা করেন এবং তারা নিজেদের মতো করে পারর্ফম করেন। একে একে @shyamshundor কৌতুক, @bristychaki গান, @jahidulislam01 কবিতা, @mahbubul.lemon গান, @Saymaakter কবিতা, @miratek গান এবং @selinasathi1 কবিতা আবৃত্তি করেন। অবশ্য শেষে শুভ ভাইয়ের মিষ্টি কণ্ঠে সবাই দারুণ একটা গান উপভোগ করেন।
এরপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভ ভাই হ্যাংআউটের সপ্তাপি ঘোষণা করেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Community TEAM
@rme ADMIN ✠ Founder 🔯
@blacks ADMIN Executive Admin ♛
@winkles ADMIN Admin India Region 🇮🇳 ✨
@rex-sumon ADMIN Admin Quality Controller ✨
@hafizullah ADMIN Admin Bangladesh Region 🇧🇩 ✨
@shuvo35 ADMIN Admin Bangladesh Region 🇧🇩 ✨
@moh.arif ADMIN Admin Bangladesh Region 🇧🇩 ✨
@rupok MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@alsarzilsiam MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@kingporos MOD Community Moderator 🇮🇳 ✨
@nusuranur MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@tangera MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@ayrinbd MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@swagata21 MOD Apprentice Mod 🇮🇳
@shy-fox MOD Extreme Curator 🐺
@abb-school MOD Steem School ✍
@endplagiarism04 MOD Steemit Watcher 🔍
@amarbanglablog MOD Primary Curator ♛♝
@royalmacro MOD Secondary Curator ♝
@curators MOD Secondary Curator ♝
@photoman MOD Secondary Curator ♝
| আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
|---|
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power and get Amazing Support
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন ভাইয়া। আমরা যদি মনোযোগ দিয়ে আপনাদের কথাগুলো না শুনি তাহলে নিজের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবো না। কারণ প্রত্যেক এডমিন এবং মডারেটর সকলের প্রতি নজর রেখেই আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তাই সবার উচিত সবকিছু মনোযোগ সহকারে শুনা। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দেখতে দেখতে সাপ্তাহিক হ্যাংআউট-৬২ টা হয়ে গেল।তবে এই হ্যাংআউটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।তাছাড়া বড়ো দাদার আর এখানে সময় দেওয়া সম্ভব হবে না জেনে খুবই খারাপ লাগছিল এবং ব্ল্যাক্স দাদা অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বুঝিয়ে বলেন।যেটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে, সবমিলিয়ে দারুণ সময় কেটেছে।অনেক সুন্দর রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
সত্যি ভাই দাদার কথাটা শুনে কেমন জানি লাগছিল। আমার বাংলা ব্লগে দাদা নেই। নেই দাদার কবিতা, গল্প জ্ঞানমূলক পোস্ট গুলো। পুরোপুরি বেমানান হয়ে যাবে।। তবে ব্ল্যাকস দাদার কথাটা বেশ ভালো লেগেছে। আশাকরি খুব দ্রুতই সবাই কমেন্ট বেশি করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে দেবে।
গত দুই সপ্তাহে হ্যাং আউট এ পার্টিসিপেট করেছিলাম বাস এ বসে। সেমিস্টার ফাইনাল চলার কারণে। শুরুর দিকে কিছু মিস করে গিয়েছিলাম। এখন এই রিপর্ট এর মাধ্যমে সব ক্লিয়ার হয়ে নিলাম।
সাপ্তাহিক হ্যাং আউট মানে বাড়তি একটি উত্তেজনা এবং আনন্দময় একটি দিন।। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অপেক্ষা করি কখন শুরু হবে আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত হ্যাংআউট।। সবার কাছ থেকেই শুনতে পারব জ্ঞানমূলক অনেক কথা।। গান হবে মজা হবে মাস্তি হবে।। ঠিক তেমনি দিনশেষে অনেক আনন্দ উপভোগ করি হ্যাংআউটের সময়।।
আমি সবসময়ই বৃহস্পতিবারে হ্যাংআউটের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু এবারের হ্যাংআউট কিছুটা কষ্টদায়ক ছিল। তার একমাত্র কারণ দাদার চলে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে। যদিও তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তবুও তাকে থাকার অনুরোধ করছি। যাইহোক ভাইয়া প্রতি বারের ন্যায় আপনি এবারের হ্যাংআউট রিপোর্ট একদম হুবহু তুলে ধরেছেন।
৬২ তম হ্যাংআউটের রিপোর্ট হাফিজ ভাই অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছে। পোস্ট পড়ে দেখলাম আমাকে একটু কমেন্টে যত্নশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছে আশা করি এই সপ্তাহে থেকে কমেন্ট একটু ভালোভাবে করার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি সেই অভাগা যে অল্পের জন্য সুপার একটিভ লিস্টে যেতে পারি নাই। অনেক কষ্ট পেলাম। যায়হোক চেষ্টা করে যাবো । @blacks দাদার কথা গুলো আমার অনেক ভাল লেগেছে।
সাপ্তাহিক হ্যাংআউট -৬২ প্রথম থেকে শুনছিলাম বেশ ভালই লাগছিল কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের প্রিয় দাদা তার কাজ ছেড়ে দেয়ার কথাগুলো বলেছিল। যেটা আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না আমরা চাই আমাদের প্রিয় দাদা সব সময় আমাদের থাকে থাকুক। কেননা তিনি আমাদের প্রধান অভিভাবক। তিনার মতো কর্তব্যপরায়ণ অভিভাবক আমরা কেউ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি থেকে হারাতে চায় না। তাই আবারও আমাদের প্রিয় দাদাকে আমরা সব সময় আমাদের পাশে পেতে চাই।