সবুজের সাথে সতেজ হৃদয়ের অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও দোয়া করি অস্বস্থিকর পরিবেশ উপেক্ষা করে সবাই ভালো এবং সুস্থ্য থাকেন। কারন এই মুহুর্তে ভালো থাকতে পারাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ, চারপাশে শুধু অসুস্থ্য আর অসুস্থ্য হওয়ার খবর। সত্যি বলতে কিছু দিন পূর্বে আমি নিজেও অসুস্থ্য ছিলাম, কিন্তু এখন পরিচিতজন এবং আত্মীয় স্বজনদের জন্য ভয় হচ্ছে। যেভাবে গরমের তীব্রতা বাড়ছে তাতে ভয় না করে উপায় নেই। সত্যি বলতে এই সময়টা হলো বর্ষাকাল কিন্তু গরমের তীব্রতা দেখে মনে হচ্ছে হলে এখনও গ্রীষ্মকাল চলছে।
যাইহোক, পরিবেশ আমাদের কারনে পরিবর্তন হয়ে গেছে, এই কথা নতুন করে আর বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারন আমরা প্রতিনিয়ত, নানা কারন, নানা বাহনা কিংবা নানা লাভের কথা চিন্তা করে সবুজ প্রকৃতি নষ্ট করছি না নষ্ট করছি না বরং ধ্বংস করছি। কারন নষ্ট করলে তো কিছু অংশ ভালো থাকার সুযোগ থাকে কিন্তু ধ্বংস করলে সেখানে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। যার কারনে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে এবং দিন দিন আরো বেশী আগ্রাসী হয়ে উঠছে। যেমন এখন শ্রাবণ মাস বৃষ্টির সাথে যেখানে শখ্যতা করার কথা ছিলো সেখানে গরমের সাথে দোস্তি করে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সংযুক্ত আছে সবাই। কিন্তু অনাকাংখিত হলেও সত্য যে, তবুও আমরা প্রকৃতির এবং সবুজের গুরুত্ব বুঝতে পারছি না, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য বলা চলে।
কিন্তু আমরা কখনো এই দুর্ভাগ্যকে পরিবর্তনের চেষ্টা করি না, বরং নকল ও কৃত্রিম কিছুর দ্বারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি, এটা অনেকটাই হাস্যকর বিষয়ের মতো। স্বচ্ছ পানি দ্বারা মুখ ধৌত না করে অস্বচ্ছ পানি দ্বারা মুখ ধৌত করি এবং কল্পনা করি সুন্দর ও পরিস্কার চেহারা। কতটা নির্বোধের মতো আমরা কল্পনা করছি এবং বাস্তব চিত্রটিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করছি। এই জন্যই বললাম এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য, কারন আমরা প্রকৃত বিষয়টি বুঝতে পারছি না এবং বুঝার চেষ্টা করছি না। আর এটাতো সর্বজন স্বীকৃত যে বাস্তবতা উপেক্ষা করে ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করে, দিন শেষে সে নিজের সাথে নিজেই ধোঁকা খায়।
যাইহোক, আজকে গ্রামীন প্রকৃতির কিছু স্বাভাবিক দৃশ্য আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো। যদিও অনেক দিন হয়ে গেছে সবুজ দৃশ্য কিংবা প্রকৃতির দৃশ্যাবলী শেয়ার করি না। সত্যি বলতে আগের মতো খুব একটা সময় পাচ্ছি না গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার। এবার ঈদে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো কিন্তু বাঁধ সাদলো অসুস্থ্যতা, যার কারনে আর যাওয়া হয় নাই। তবে অনেক আগের কিছু ফটোগ্রাফি এখনো আর্কাইভসে রয়েছে, সেখান হতে আজ কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো। কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করার দৃশ্য, কৃষকের শেষ হাসির দৃশ্য।
একটা বিষয় আমি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করি, আর সেটা হলো যখনই আমি গ্রামের বাড়ীতে যাই এবং প্রকৃতি ও চারপাশের দৃশ্যাবলী ক্যাপচার করার চেষ্টা করি, তখন চারপাশের মানুষগুলো বেশ আগ্রহ নিয়ে সাড়া দেয়। সেদিনও একই অবস্থা হয়েছিলো, তারা ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো ভাতিজা কি করছো? আমি উত্তর দিলাম ফটো তুলছি আপনাদের। তারা হাসি দিয়ে বললো কাছে আসো আরো সুন্দর করে ফটো তুলো। ভালো লাগে আমার কাছে এই জন্য, কারন তাদের কথার মাঝেও সজীবতা থাকে, আনন্দের একটা ভাব থাকে, যা সত্যি ভালো লাগার অনুভূতি তৈরী করে।
কিন্তু আপনি যদি এই কাজটা শহরের মাঝে করতে চান বা করার চেষ্টা করেন? তাহলে আর কি মাইর তো খাবেনই ফ্রিতে তার সাথে মানহানির মামলাও খেতে পারেন। ঐ কথায় বলে না, মাইরও খাবেন সাথে জরিমানাও দিবেন। কারন কারো অনুমতি ছাড়া ফটোগ্রাফি করতে গেছেন, এটা একদমই করা যাবে না। এই জন্যই আমি গ্রামীন পরিবেশে বেশী ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। গোপন কথাটা আজকে বলে দিলাম হি হি হি। বুঝেনই মানহানির মামলা, লও ঠেলা।
তারিখঃ মার্চ ২৫, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
শুধু যে মানহানির মামলা আর মাইর তা না।সাথে ভাইরাল একেবারে ফ্রি।গ্রাম সত্যিই সজীবতায় ভরপুর।
আরে সত্যিই তো আমি ভাইরালের কথা একদমই ভুলে গেছিলাম, হা হা হা
আমাদের চাহিদার কারণেই প্রকৃতির রূপের পরিবর্তন ঘটেছে । বর্তমান বর্ষাকালীন সময়ে প্রচণ্ড গরম পড়ছে যেটা অনেকের জন্য মানিয়ে নিতে খুবই কষ্টদায়ক হচ্ছে। যাইহোক, প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় পরিবর্তন যেটা আমাদের জন্য খারাপ দিক নিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির মাঝে গেলে মন ভালো হয়ে যায় সত্যিই মনকে ফ্রেশ করে তোলে। যেটা আমি প্রায় উপভোগ করে থাকি। অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো ভাইয়া।
চাহিদা, লোভে ঢেকে গেছে আমাদের বর্তমান সময়ের চাহিদা, যার স্বীকার হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ।
লীলা খেলা কখন যে কি অবস্থা হয় কেউ বলতে পারেনা। আকাশের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে যেন এখন ফাল্গুন মাস এসেছে। যেমন রোদ ঠিক তেমন বাতাস বয়ে চলছে কয়টা দিন ধরে। আমরা বাঙালি জাতি এমনই, সময়ের মূল্যায়ন করতেও জানিনা সুন্দর এই সবুজের ঘেরা জন্মভূমিকে পেয়েও আমরা শুকরিয়া আদায় করতে জানিনা। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সচেতন মূলক পোস্ট পড়তে পেরে।
সত্যি ভাই, কি দিন যে আইলো, বর্ষায় চলে খরা আর গ্রীস্মে চলে বর্ষা।
বুঝলাম এখন পার্ক ছেড়ে গ্রামে যেয়ে বিনা পয়সায় ছবি তোলার ধান্দা😉😉।আহো ভাতিজা আহো🤪🤪।কথা গুলো বেশ সুন্দর ছিলো।বাস্তাবাদী কথা।ছবিগুলো বেশ সুন্দর। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
সব কথা কি খুলে বলতে হবে, পয়সা অনেক দামী তাই বাচিয়ে রাখছি হি হি হি
আপনার পোস্ট পড়ে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম যে আপনি শহরের ফটোগ্রাফি করেন না শুধুমাত্র মান হানিয়া ও জরিয়ানার ভয়ে, সাথে তো ফ্রি মাইর রয়েছে, হাহাহাহা। আসলে গ্রামের মানুষরা সহজ সরল এবং সুন্দর মনের অধিকারী যার কারণে সবসময় সবকিছু স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে। আপনার আজকের ব্লগটিতে প্রকৃতি নিয়ে খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। আসলে তুলে ধরে লাভ কি হবে ক্ষমতাশালী তার ক্ষমতার অপব্যবহার করবেই, লোভী সব সময় চিন্তা করবে তার কিভাবে লাভ হবে বর্তমানে এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
আসলেই ভাই, আপনি বলুন শহরের কি ফটোগ্রাফি করবো? সবই তো ইট পাথরে মোড়ানো। কিন্তু প্রকৃতি যতই দেখি ততোই সজীবতা অনুভব করি।
আসলে ভাইয়া আমরা প্রকৃতি-পরিবেশ নিজেরাই ধ্বংস করছি, যদি নষ্ট করতাম তাহলে অবশিষ্ট কিছু থাকতো। যাই হোক তার পরেও প্রকৃতির সৌন্দর্য দৃশ্য গুলো আমাদের এই ধরে রাখতে হবে এবং তার যত্ন করতে হবে। আজকে আপনার ফটোগ্রাফিক গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য গুলো আমাদের সবারই অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রামের এই সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে আমার।
সেটাই, কেউ বুঝে ধ্বংস করছি আর কেউ না বুঝে। ধন্যবাদ
শহরের মানুষ সব সময় নিজের বিভিন্ন ঢঙের ছবি ফেসবুকে আপলোড করে তাতে কিছু যায় আসে না। তবে ভুলবশত যদি কেউ ছবি তুলে ফেলে তাহলে খবর আছে। আর গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো কতটাই সহজ সরল যে আপনার লেখাগুলো পড়েই বুঝতে পারছি। তারা সরল মনে নিজের হাসি মাখা মুখ উপস্থাপন করে ছবি তোলার জন্য। গ্রামীণ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
এখানে আসলে সবাই সন্দেহ প্রবন, কারো ভালো কেউ চিন্তাই করতে পারে না, যার কারনে শহরের মানুষদের এই রকম অবস্থা। তাই আমি গ্রাম এবং গ্রামীন পরিবেশ ভালোবাসি।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আকাশটা দেখে মনে হয় না যে এখন চলছে বর্ষাকাল 🌥️🌥️যেমনিভাবে নীল আকাশ এবং সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায় আমার কাছে তো মনে হয় শরৎকাল চলছে🌥️ এখন পরিবেশ দেখে।
এ কথা ঠিক যে পরিবেশটা আমাদের কারণেই নষ্ট হয়েছে 🙆♂️আমরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখি বিশেষ করে শহরে। বৃক্ষ কেটে উজার করেছি বিভিন্ন কাজের জন্য। অথচ কথা ছিল একটা গাছ কাটলে চারটা লাগানোর। কমে গেছে অক্সিজেনের পরিমাণ। বেড়ে গেছে কার্বন ডাই অক্সাইড যার কারণে আজ এত রুক্ষতা। আগে আষাঢ় মাসে দেখতাম পদ্মা পানিতে ফুলে থাকতো। এবার বাড়িতে গিয়ে দেখি পদ্মাতে এখনো পানি পড়েনি ঠিকমত। এদিকে আবাদি জমির অবস্থা খুবই খারাপ। ধন্যবাদ আপনাকে সচেতনামূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
মাঝে মাঝে সত্যি নিজেকে বিদ্রোহী করে তুলতে মন চায়, শহরের ময়লা আবর্জনা দেখে। আমরা কবে শিক্ষিত হবো, নিজের শহরটাকে নিজে পরিস্কার রাখবো? প্রকৃতির কথা কি বললো, রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে সাবার করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.