হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। তবে ভালো থাকাটাও এখন যন্ত্রণাদায়ক হয়ে যাচ্ছে, পাশের মানুষগুলো ভালো থাকার সুযোগ নিতে চায় এবং নানাভাবে ভালো মানুষগুলোকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে। সত্যি বলতে মানুষগুলো এহেন আচরণ দারুণভাবে ব্যথিত করে আমায়, আমি মাঝে মাঝে সহ্য করতে পারি না সত্য কিন্তু তবুও মুখ বুজে থাকি, নিজেকে নিজের সীমার মাঝে আবব্ধ রাখার চেষ্টা চালাই। মানুষগুলো কেমনে পারে এতোটা নীচে নামতে? কিভাবে পারে তারা অন্যের ঘুম নষ্ট করে নিজে ভালো থাকতে। নিজের ভালোটা তারা ঠিকই বুঝে কিন্তু সেটা অন্যের বেলায় বুঝে না, এটা কেমন বিবেক? এটা কেমন মনুষ্যত্ব?
আমি সর্বদা যে বিষয়টি চিন্তা করি সেটা হলো, নিজের অবস্থান। সে যতটা সহজে এটা করতে পারছে, আমি কি ততোটা সহজে সেটা করতে পারবো? যদি করি তাহলে তার অবস্থান এবং আমার অবস্থান একই হয়ে গেলো না? নিজেকে ভালো বলার স্বার্থকতা তাহলে কোথায় থাকলো? তাই নিজের অবস্থান হতে চিন্তা করি, নিজের বিবেকের সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা করি, হ্যা এটা সত্য যে আমার রাগটা অতিরিক্ত গরম, খুব সহজে সেটা ঠান্ডা হয় না। কিন্তু তবুও আমি নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি এবং নিজের অবস্থানে নিজের মতো থাকার চেষ্টা করি। এই ক্ষেত্রে আমি একটা জিনিষ খুব কঠিনভাবে বিশ্বাস করি, আমি সঠিক থাকলে তার সঠিক ফল অবশ্যই পাবো, আর সে বেঠিক থাকলে তার প্রায়শ্চিত্য অবশ্যই করবে, প্রকৃতি তার নিয়মে কাউকে ক্ষমা করে না।
যাইহোক, আজ হাসি বা মজা বাদ দিয়ে অনেকগুলো কঠিন কথা বলে ফেলেছি, মাঝে মাঝে কঠিন না হলে আপনারা বুঝবেন কিভাবে আমি কঠিন হতে পারি? হা হা হা। সত্যিটা কি জানেন কঠিন মানুষগুলো কখনো তার কঠিনত্ব ভাবটা প্রকাশ করতে পারে না। আবার অন্যদিকে কঠিন মনের মানুষগুলো কখনো তার ভিতরে থাকা নরম দিকটা প্রকাশ করতে পারে না, কি অদ্ভুত একটা সমীকরণ এই ক্ষেত্রে কাজ করে। যাক সেসব তত্ত্ব, আজ বরং স্বাদের একটা নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। নতুন মানে আমার কাছে নতুন, আমি এই প্রথম রেসিপিটি তৈরী করেছি। আর একটা বিষয় আপনাদের বলে দেই, যে রেসিপিটির পরিমান দেখবেন কম, তখনই বুঝে নিবেন আমি প্রথমবার করছি তাই কম পরিমান দিয়ে চেক করছি, হি হি হি। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- কাঁঠাল বিচির পেষ্ট
- পেঁয়াজ
- রসুন
- কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ
- তেজ পাতা, দারুচিনি, জিরা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- গরম মসলা গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে কাঁঠাল বিচিগুলো পরিস্কার করে ছোকলা ছাড়িয়ে নিয়েছি। তারপর একটা পাতিলে পানি দিয়ে চুলায় বসিয়েছি এবং হলুদ ও লবন দিয়ে কাঁঠাল বিচিগুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি।
তারপর সিদ্ধ করা কাঁঠালের বিচিগুলোর সাথে আদা এবং রসুন দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিয়েছি, শীল পাটায় বাটার ঝামেলা কে করে?
তারপর পুনরায় একটা পাতিল চুলায় বসিয়ে কিছু পানি গরম করেছি এবং তারপর সেগুলোর সাথে পেষ্ট করা কাঁঠালের বিচিগুলো মিক্স করে নিয়েছি।
এরপর এগুলোর সাথে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, গরম মসলার গুড়া, লবন ও কাঁচা মরিচ এবং তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে কিছু সময় ডালের মতো রান্না করেছি।
তারপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করেছি, তারপর সেখানে শুকনা মরিচ, রসুন ও জিরা দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
তারপর এগুলো পাতিলে ঢেলে দিয়েছি বাগারের মতো করে, আরো কিছু সময় রান্না করেছি তারপর নামিয়ে নিয়েছি।
তৈরী করে গেলো আমাদের ভিন্ন ধরনের স্বাদের কাঁঠালের বিচির ডাল, এটা সত্যি স্বাদের ছিলো। প্রথম বারের অভিজ্ঞতাটা বেশ দারুন হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো করার ইচ্ছা প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডাল রান্নার রেসিপিটা এই প্রথম দেখলাম। এরকম খাবার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি যেহেতু বলেছেন খেতে অনেক মজা। তাহলে একদিন বাসায় অবশ্যই তৈরি করে দেখব। ধন্যবাদ নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডাল রেসিপি দারুণ হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।আসলে কাঁঠালের বিচি আমার অনেক প্রিয় তাই কাঁঠালের বিচির যেকোন রেসিপি ভালো লাগে।আপনি সত্যি বলছেন ভাইয়া যে যতটা সহজে এটা করতে পারছে, আমি কি ততোটা সহজে সেটা করতে পারবো? যদি করি তাহলে তার অবস্থান এবং আমার অবস্থান একই হয়ে গেলো না? আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শুধু দারুণ না খেতেও অনেক স্বাদের হয়েছিলো, আমি প্রথমবার খেয়েছি তাই হয়তো একটু বেশী ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আজকে আপনার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন এবং ভিন্ন ধর্মী একটি রেসিপি দেখলাম।। কাঁঠালের বিচি দিয়ে অন্যান্যভাবে রেসিপি প্রস্তুত করে খেয়েছি তবে কখনো কাঁঠালের বিচির ডাউল প্রস্তুত করা হয়নি।। তবে আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হবে।।
সত্যি বলতে যতটা সম্ভব নিজেকে কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করি। চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই রেসিপটি ভালো লাগবে।
আজকে বিকেলে বাজার থেকে কাঠালের বিচি কিনে রাতে কাঁঠালের বিচির ডাল রান্না করব অলরেডি পরিকল্পনা করে ফেলেছি কেমন হয় খেতে সেটা তো দেখতেই হবে।।
ভাইয়া আপনার এই নতুন রেসিপির কালার টা দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। কাঁঠালের বেশি পরিষ্কার করে তারপরে সিদ্ধ করে নিয়ে যে এত সুন্দর একটি রেসিপি করা যায় সেটা আজ আপনার এই পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। নতুন একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য রোমান্টিক ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে সত্যি অনেক ধরনের রেসিপি করা যায়, এর আগে কে যেন হালুয়া তৈরী করেছিলো কাঁঠালের বিচি দিয়ে।
জি ভাইয়া কাঁঠালের বিচির নতুন নতুন রেসিপি গুলো পড়তেছি আর ভাবতেছি আবার কবে যে কাঁঠালের বিচি পাবো।
একটা কথা দারুণ বলেছেন ভাই কঠিন মানুষ গুলো তাদের নরম দিকটা খুব একটা প্রকাশ করতে পারে না আর নরম মনের মানুষ গুলো তাদের কঠিন দিকটা। কাঁঠালের বিঁচির পেস্ট দিয়ে তৈরি ডাল কখনো খাওয়া হয়নি। তবে এটা অনেক সুস্বাদু হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা।
এটাই কঠিন বাস্তবতা, সবাই তার উল্টো দিকটাই বেশী প্রকাশ করতে পছন্দ করে, যার কারনে প্রকৃত সত্যটা অজানাই থেকে যায়।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে আপনি অনেক সুস্বাদু ডাল এর রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। কাঁঠালের বিচি দিয়ে আমার আম্মু বাসায় এভাবে ডাল তৈরি করেছিল। খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে অনেক বার খেয়েছি। আপনার তৈরি রেসিপি গুলো বরাবর আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কার এত বড় সাহস,আপনার ঘুম নষ্ট করে দেয়,😉😉।নিশ্চয়ই মশারী টাঙানো নিয়ে ঝামেলা।।আসলে আমরা মানুষরাই এমন, অনেক স্বার্থপর। যাই হোক রেসিপি টা বেশ ইউনিক।যেহেতু মজার ছিলো, তাহলে একদিন বাসায় তৈরি করতে হবে।ধন্যবাদ
কি সন্ত্রাসীদের মতো কথা রে বাবা, নাম জানলে কি করবেন?
কি আর করবো,ধরে মেকাপ করে দিব😜😜
এটা আসলে কিছু মানুষের অভ্যাস ভাই অন্যের ঘুম নষ্ট করে তারা ভালো থাকে। আপনি আসলে কথাগুলো বলেছেন আমার কাছে কেমন যেন লাগল। তবে আসলে আপনি যে অনেক সহজ মানুষ আর অনেক কঠিন হতে পারেন সেটা আসলে বোঝাই যায়। দারুন রেসিপি শেয়ার করেছেন এই কাঁঠালের বিচির ডাল আমি মনে করেছিলাম হয়তো ডাল দিয়ে কাঁঠালের বিচি রান্না করেছেন। কিন্তু পরে দেখলাম যে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডাল তৈরি করে রান্না করেছেন তো ভালো লাগলো রেসিপি।
আমাদের এই সমাজের মানুষগুলো বড়ই স্বার্থপর। সবাই নিজের ভালো চিন্তা করে। তবে যাই বলুন না কেন ভাইয়া অনেকে আছে নিজের কঠিন রূপ প্রকাশ করতে পারে না। আবার অনেকে আছে নিজের সহজ রূপ মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারে না। এটা সত্যি অনেক জটিল সমীকরণ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের রাগ দেখানো উচিত। নাহলে আমাদের চারপাশের মনুষ্যত্বহীন মানুষগুলো কখনোই বদলাবে না। কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডাল রান্নার রেসিপি দারুন ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।