হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছো সবাই? বেশ ভালো থাকার কথা সকলের, যদিও হঠাৎ করে গরমটা একটু বেড়ে গেছে এবং যার কারনে আমার সমস্যাও বেড়ে গেছে। যাইহোক জীবন সব সময় একই রকম যাবে না, মাঝে মাঝে গরম বেশী হয়ে যাবে আবার মাঝে মাঝে শীত পড়বে, তবে সব ক্ষেত্রেই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে কিংবা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। অবশ্য শীতটা মানিয়ে নিতে পারলেও আজও গরমকে মানিয়ে নিতে পারি নাই। সত্যি বলছি গরম বেশী হলে কেন জানি আমার ঘুম উধাও হয়ে যায়, তারপর এর প্রভাবটা দারুণভাবে পতিত হয় মানসিকতার উপর। আচ্ছা থাক বাদ দিলাম এই সকল আলোচনা। গরম শীত যাইহোক না কেন ভালোবাসায় কিন্তু ঘাটতি হয় না কখনো কিংবা হৃদয়ের অনুভূতি কখনো হ্রাস পায় না, এটা কেন জানি সর্বদা চিল চিল অবস্থায় থাকে, হা হা হা হা না না সত্যি বলছি আমি মোটেও জানি না এর কারন।
তবে হ্যা, একটা কারণ ইদানিং বেশ ভালো বুঝতে পারছি, মেয়েরা কবি এবং কবির কবিতা খুব বেশী বেশী পছন্দ করে, গত কয়েক দিন যাবত এটা আমি বেশ বেশ ভালোভাবে টের পাচ্ছি। কিভাবে টের পাচ্ছি? না না না সেটা একদমই বলা যাবে না, পরে নিউজটা লিকআউট হয়ে আমার বাড়ী অবদি পৌঁছে যেতে পারে, এই রিস্কটা একদমই নেয়া যাবে না, হি হি হি । সত্যি বলছি বিষয়টি আমি নিজেও আগে খুব একটা জানতাম না, যদি জানতাম তাহলে কি করতাম? অবশ্যই আরো আগে দাদার শিষ্য হয়ে যেতাম এবং কবির খেতাপটা আরো আগেই নিয়ে নিতাম। আহা, ভালোবাসা মোরে করিল কবি, কবিতা মোরে বানাইলো ভালোবাসার কবি, হা হা হা দারুণ ছন্দ হইছে না। এখন কিছু লিখতে গেলেই কেমন জান একটা ছন্দ চলে আসে।
আজকে একটা কবিতা লিখবো না লিখবো না শেয়ার করবো। কয়েক দিন পূর্বেই লিখেছিলাম সেটা। প্রথমে আমার বাংলা ব্লগের ফেসবুক পেজ এ সেটার প্রথম অংশ শেয়ার করেছিলাম। পরে সেখানে দাদার সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে পরের দিন বাকি অংশটুকুও লিখে ফেললাম। লিখে ফেললাম কি, লেখার একটা আগ্রহ ফিরে পেলাম। তারপর পুরো কবিতাটি সাজিয়ে ফেললাম মনের আনন্দে। আসলে কবিতা মানেই হৃদয়ের একটা অন্য রকম ভাব, যা চাইলেও আসে না আবার যা না চাইলেও চলে আসে বার বার, তবে তার জন্য একটা নিশ্চিত উপলক্ষ্য চাই। সত্যি বলছি এই উপলক্ষ্য ছাড়া একদমই ভাব আসে না বা আসতে চায় না। আমিতো দুটো উপলক্ষ্য পেয়ে গেছি, একটা হলো দাদা আর দ্বিতীয়টা হলো আমার বাংলা ব্লগ, তো কবিতার ছন্দগুলো এখন নেচে নেচে আমার কাছে চলে আসে, আমার কি দোষ বলেন? আমি জানি এই ক্ষেত্রে আপনারাও আমার কোন দোষ খুঁজে পাবেন না, কারন আপনারাওতো আমার কাছের লোক, কি ভুল কিছু বললাম?
উত্তর দেন আর নাইবা দেন, আগে কবিতাটি পড়ে নিন, তবে কবিতা পড়ার পূর্বে একটা বিষয়ে পরিস্কার থাকুক, এখানে নন্দিনী শুধুই একটা কাল্পনিক নাম। তাকে আমি চিনি না, বা আদৌ এই রকম কেউ আছে কিনা সেটাও আমি জানি না। মনে রাখবে কবিরা যা প্রকাশ করেন, তার ৮৫ ভাগই কল্পনাপ্রসূত বিষয় বা অনুভূতি। সুতরাং কবিতা পড়ে আগডুম বাগডুম কোন কিছু কল্পনা করতে যাবেন না, তাতে কিন্তু আপনি নিজেই প্যাঁচ খেয়ে যাবেন, হা হা হা।
নন্দিনী এখনো কি জাগ্রত হয়
পুরনো সেই অনুভূতি?
নন্দিনী এখনো কি জানতে চাও
কেমন আছি সেই আমি?
শর্তের বেড়াজালে বন্ধিত্ব মেনে
অদৃশ্য হায়েছিলাম আমি,
তুমিতো স্বার্থের মায়ায় আকৃষ্ট
ছুড়ে ফেলেছিলো আমায় শূন্যে।
আমি অদৃশ্য হয়েছিলাম সত্য
কিন্তু অদৃশ্য হতে দেইনি অনুভূতিগুলো
আমি পরাজিত হয়েছিলাম সত্য
কিন্তু পরাজিত হতে দেইনি আবেগগুলো।
নন্দিনী এখনো কি রাত জাগো
নির্জনে ছাদে বসে একা?
নন্দিনী এখনো কি তারা গুনো
নির্লিপ্ত হয়ে উদাসী মনে?
আমায়তো স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তুমি
রাত জাগা পাখি হবে,
নির্জন রাতে খোলা আকাশের নীচে
ভালোবাসার গল্প শুনাবে।
এখনো সেই স্বপ্নটা আগলে রেখেছি
অনুভূতিগুলোকে সযত্নে রেখেছি,
ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে অন্ধকার আসতে দেইনি
তোমার নামের পাশে কাউকে ঘেঁসতে দেইনি।
নন্দিনী এখনো কি ভালোবাসো আমায়
এখনো কি ব্যথিত হয় হৃদয়?
নন্দিনী এখনো কি মুখোশের আড়ালে
ভালোবাসার অভিনয় করো?
আমিতো অভিনয় বিশ্বাস করি না
হৃদয়ের কথা শুনি সর্বদা,
ভালোবাসার আবেগে খুঁজি তোমায়
শঠতায় হারায়নি আকাংখা।
বাউন্ডেলে জীবনে বেশ আছি এখন
সুখের অভিনয়ে তুমি কেমন?
স্বার্থের কাছে মিথ্যে ভালোবাসা
নির্মম আঘাতে আমি এখনো ছন্নছাড়া।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন কবিতা মানেই হৃদয়ের একটা অন্য রকম ভাব। আপনার কবিতা গুলো অনেক ভীষণ ভালো লাগে। এই লাইন গুলো আমার ভালো লাগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা সবাই আপনার কাছের লোক।
ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আসসালামু আলাইকুম
ভাই আপনার লেখা কবিতাগুলো প্রতিদিন আমার পড়া হয়। আমি একটি বিষয় খেয়াল করেছি আপনার শেয়ার করা কবিতাগুলোর মধ্যে নিত্য নতুন ছন্দ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। প্রতিটি কবিতায় যেন ভিন্নভাবে পরিপূর্ণতা পাচ্ছে এবং দিনকে দিন আপনার কবিতাগুলো আরো স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও শব্দময় একটি নিজস্ব পৃথিবী গড়ছছে। দোয়া করছি আপনি ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
সর্বশেষ এই লাইনগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
মাঝে মাঝে কিছু কথা অবাক করে দেয় আর পাড়ে থাকা স্মৃতির পাতা থেকে ভালোবাসার কড়া এমনিতেই নাড়ে। ভাইয়া আপনার কবিতার কিছু লাইন এর মন্তব্য করেছিল দাদা। অসম্পূর্ণ কবিতাটি তার মন্তব্যে আপনি নিমিষেই পরিপূর্ণতা করে ফেললেন। তবে হয়তো নন্দিনী নামটা দিয়েছিলেন সেটা কাল্পনিক হতে পারে। এর সাথে জড়িয়ে আছে আপনার বাস্তব জীবনের কোনো স্মৃতি। আর শেষ স্মৃতি থেকে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন কল্পনার নন্দিনী। ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন আমার বাংলা ব্লগে সকলেই কবিতার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। দারুন দারুন কবিতা লিখেছেন। সবার মাঝে আপনি একজন সেরা কবিতা লেখক। আজ নন্দিনী কবিতাটি পড়ে আমার নিজের বাস্তব জীবনের অনেক কিছুই মনে পড়ে গেছে, যদিও আমি আপনাকে বলব না। তবে আপনার এই কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে।
কবি কবি ভাব নিয়ে নন্দিনীকে নিয়ে আমাদেরকে এত সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
তাহলে কি কবি সত্যিই নন্দিনীকে পায়নি? তবে তার জন্য বেশ তীব্র ভালোবাসা হৃদয়ে জমিয়ে রেখেছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তবে হয়ত আর কখনো কাউকে তার হৃদয়ে জায়গা করে দিতে পারেনি সেই তীব্র ভালোবাসার যাতনায়।
সবমিলিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া একটি অসাধারণ কবিতা।
না ভুল বলেননি কারন আমরা এক পরিবারের লোক। সুতরাং দোষ ধরার কোন অবকাশ নেই 🤗
হা হা হা হা এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেয়া যাবে না এখানে, তাহলে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে ভাই। ঠিক ঠিক ঠিক এই জন্যইতো আপনাদের উপর ভরসা করি।
ভাইয়া, আপনি তো রোমান্টিক থেকে ছন্দের কবি হয়ে গিয়েছেন।মেয়েরা কবিতা পড়তে বেশি পছন্দ করে একটু।আর কবিতাটি নিশ্চয়ই ভাবীকে নিয়ে লিখেছেন প্রথম দিকে এইরকম মনে হলেও শেষ দিকে মনে হচ্ছে না☺️☺️।পুরো কবিতা জুড়ে ভালোবাসার এক অফুরন্ত ছোঁয়া তবে শেষ দিকে এক নির্মম একাকিত্বের ভাবাবেগ খুঁজে পেলাম।যাইহোক বেশ লিখেছেন কবিতাটি,ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই রে সারছে এইবার, সন্দেহ বড় হতে শুরু করলে বিপদও বড় হয়ে যাবে, তার আগে আগে কেটে পরি, হি হি হি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শুধুমাত্র মেয়েরাই আপনার কবিতা পছন্দ করে তা কিন্তু নয় ভাইয়া। ছেলেরাও আপনার কবিতা পছন্দ করে। কারণ ছেলেরা আপনার কবিতা পড়ে পড়ে নিজের মাঝে ভালোবাসার আবেগ খুঁজে পায়। নতুন করে ভালোবাসতে শেখে। কবিতা যেমন ভালোবাসি তেমনি কবিকেউ কিন্তু ভালোবাসি ভাইয়া। তবে যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতার নন্দিনী চিরকাল বেঁচে থাকুক সবার অন্তরে। তবে সেটা স্বার্থপর নন্দিনী নয় ভালোবাসার নন্দিনীকে চাই আমরা। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️❤️❤️
আচ্ছা, তাইলে আমার জানাটা একটু কারেকশন করতে হয়, হি হি হি। ভাই স্বার্থপররা আছে বলেই আমরা তাদের চিনতে পারি আর না থাকরে তো বার বার ভুল করতাম।
ভাইয়া আসলে কবিতা সবাই পারে না,সবার ভিতর থেকে কবিতা আসে না, সবাই কবি হতে পারে না। কিন্তুু আপনি নন্দিনী নিয়ে অনেক সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আমি এটা জানি যে কবিরা কোন একটা উপলক্ষ নিয়ে কবিতা লিখে আপনি লিখেছেন নন্দিনী কে নিয়ে। আমার নিঃপাপ মন জানতে চাই কে সেই নন্দিনী..? তাকে নিয়ে কি পরবর্তি পোষ্টে বিস্তারিত কিছু পাবো...
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
প্রথমেই বলবো সেই ভালবাসার মানুষগুলো ভালো থাকুক, যে ভালোবাসার মানুষগুলো স্বার্থের কাছে হেরে গিয়েছে। আর অবশ্যই আমরা আপনার আপন মানুষ। তবে কি উপকার হলো তা আমি বুঝতে পারছি না তা কিন্তু নয়। 😜