আমার জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি || আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২০
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং ঈদের ছুটি দারুণভাবে উপভোগ করেছেন। আমি যেহেতু একটু ব্যতিক্রম তাই সত্যি সত্যি এবার ভিন্নভাবেই ঈদ উপভোগ করেছি, হা হা হা নিজের সাথেই নিজে মজা করলাম আজ। তবে বেশ ভালো আছি এখন, যদিও অসুস্থ্যতার কিছুটা রেশ শরীরে রয়ে গেছে। আজ আমি জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এবং আমার বাংলা ব্লগের ২০তম প্রতিযোগিতায় নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে ভূমিকা রেখে অনুভূতি পড়ি-
ইতিপূর্বে অন্য একটা ব্লগের মাধ্যমে মেয়েদের প্রতি নিজের ভীতি দূর করার কাহিনীটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, বৃষ্টির অনুভূতির সাথে নিজের অনুভূতিটাও উপস্থাপন করেছিলাম। সত্যি বলতে সেদিনের পর মেয়েদের প্রতি কিছুটা বেশী আকর্ষণবোধ করতাম, অন্যরকম একটা উষ্ণতা কাজ করতো হৃদয়ে। যার কারনে ঠিক তার কিছু দিন পরই কারো প্রেমে পড়ার স্বাদটা পাই, তবে সেটাও ছিলো ভিন্ন রকম। আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের বাড়ীতে অনেকগুলো রুম ছিলো, সেখান হতে তিনটি রুম ভাড়াও দিতাম আমরা। বাবার সাথে একসাথে চাকুরী করে তার এক বন্ধু আসলেন আমাদের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে, উনার ছিলো দুই ছেলে দুই মেয়ে। মেয়েটি বয়সে আমার বোনের সমান হলেও পড়াশুনায় খুব বেশী ভালো ছিলো না, অধিকাংশ সময়ই ফেল মারতো, তাই সে তখন সিক্সে পড়ে যেখানে আমার বোন পড়তেছিলো ক্লাস নাইন এ।
আচ্ছা মেয়েটির নাম এখনো বলা হয় নাই, তার নাম ছিলো সুমি। ভালই উঁচা-লম্বা ছিলো, স্লিম এবং ফর্সা ছিলো। কিভাবে প্রেমে পড়লাম? দেখুন প্রেম শুধু মাত্র সৌন্দর্য দেখে হয় না, শারীরিক গঠন দেখে হয় না, কিংবা টাকা পয়সা দেখে হয় না, প্রেম অনুভূতির একটা বিষয়, ভালো লাগার কিছু হতেই হুট করে হয়ে যায়। কখনো কারো হাতের লেখা দেখে ভালো লেগে যায়, কখনো কারো সুন্দর হাসি দেখে ভালো লেগে যায়, কখনো কারো সুন্দর চুল দেখে ভালো লেগে যায়, কখনো কারো সুন্দর কণ্ঠস্বর দেখে ভালো লেগে যায়, কখনো কারো নাচ/গান/আবৃত্তি দেখে ভালো লেগে যায়, কখনো কারো দুষ্টুমি দেখে ভালো লেগে যায়, এটাই কিন্তু বাস্তবতা। তবে আমার প্রেমে পড়ার পেছনের কারনটি কি ছিলো? সেটাই এখন বলার চেষ্টা করবো।
সুমি'দের বাসা ছিলো আমার এক ক্লাসমেটের বাড়ীর কাছে মানে তারা পূর্বে যেখানে থাকতো। আমার সেই ক্লাসমেটের নাম মিন্টু, খুব বেশী খাতির ছিলো না আমার সাথে, তবে নিয়মিত কথা হতো আমাদের মাঝে। একদিন সে জানতে পাড়লো সুমিরা আমাদের বাড়ীতে এসেছেন ভাড়াটিয়া হিসেবে। তখন মিন্টু আমার সাথে একটু বেশী খাতির করে, তারপর তার মনের কথা প্রকাশ করে। মিন্টু সুমিকে পছন্দ করে, মনে মনে ভালোবাসে কিন্তু তাকে কখনো প্রপোজ করার সুযোগ পায় নাই। কিন্তু এখন সে প্রপোজ করতে চায় আর এই ক্ষেত্রে আমার সহযোগিতা কামনা করে। আমি বেশ সাহসিকতা নিয়ে তাতে রাজি হয়ে যাই এবং বলে দেই এটা কোন ব্যাপারই না, তুড়ি মেরে করে দিবো। কারন তখন সে আমার বেশ খাতির যত্ন করতো, মানে খরচা পাতি একটু বেশী করতো আমার পেছনে। তার সাথে সাথে নিয়মিত পড়ার কথা বলে আমাদের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো।
কিন্তু সমস্যা তৈরী হয়ে গেলো অন্য জায়গায়, যেটা কিছু দিন পর আমি টের পেলাম। মিন্টুর আসা যাওয়া দেখে সুমি আমাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে, আমাদের বাড়ীর সকলের সাথে কথা বলে কিন্তু আমাকে দেখলেই পালায়, বিষয়টি বেশ খটকা তৈরী করে আমার মনে। বেশ চিন্তা ভাবনা করে বুঝতে পারলাম যে সুমি মিন্টুকে পছন্দ করে না, আর আমি যেন মিন্টুর পক্ষে কোন উকালতি করার সুযোগ না পাই সেই জন্য আমাকে শুরু হতেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে থাকে। এটা আমাকে একটু হলেও কষ্ট দেয় কারন বাবার বন্ধুর মেয়ে, তারপর আমাদের বাড়ীর বাড়াটিয়া, সকলের সাথে বেশ আন্তরিক শুধুমাত্র আমি ছাড়া। আমার মনে এটা নিয়ে একটা জেদও কাজ করা শুরু করে দেয়, কোনভাবে মিন্টুকে বুঝিয়ে না করে দেই, ভাই এটা আমার পক্ষে সম্ভব না, মেয়ে খুবই চালাক, পরে না আবার আমার বারোটা বাজায় দেয়, তাই আমি উকালতি ছেড়ে দিলাম।
আমাদের অন্য আরো একটা যে ভাড়াটিয়া ছিলো, উনি ছিলেন আবার বেকার কিন্তু তার বউ চাকুরি করতো তার সাথে আমার আবার বেশ খাতির ছিলো, প্রচুর দুষ্টুমি করতাম তার সাথে আমি। এক ধরনের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিলো আমাদের মাঝে। যার কারনে আমি তাদের রুমে গিয়ে টিভি দেখতাম। এর মাঝে হুট করে সুমিদের টিভি নষ্ট হয়ে যায়, সুমিও তাদের রুমে টিভি দেখতে আসতো, ব্যস একটা সুযোগ তৈরী হয়ে গেলো। শুরু করে দিলাম সুমিকে ডিস্টার্ব করার মিশন, টিভি দেখার জন্য সে যেখানে গিয়ে বসতো, আমি আগে দিয়েই সেখানে বসে যেতাম। সে যে সিরিয়ালটি পছন্দ করতো, সেটা আসলেই আমি চ্যানেল পরিবর্তন করে দিতাম, এভাবে তাকে কিছুটা উত্যক্ত করার চেষ্টা করি। ওমা একি, সেই মেয়েও দেখি টিভির সিরিয়াল বাদ দিয়ে আমার সাথে ফাইজলামি করা শুরু করে কয়েক দিন পর হতেই, মানে আমার থেকে এক ডিগ্রী এগিয়ে। একটা কথা বলে না দুষ্টুদের সাথে দুষ্টুদের দ্রুত খাতির হয়ে যায়, চোরের সাথে চোরের দ্রুত বন্ধুত্ব তৈরী হয়ে যায়। এখানেও সেই সূত্রটা দারুণভাবে কাজ করলো। আরো একটা কারণ ছিলো, যখন সে বুঝতে পারলো আমি মিন্টুকে আসতে নিষেধ করে দিয়েছি।
এই বিষয়টি তার প্রতি আমাকে দারুণভাবে দুর্বল করে তোলে, আমি তাকে যতটা ডিস্টার্ব মানে উত্যক্ত করার চেষ্টা করতাম, সে ঠিক ততোটা মজা নিয়ে আমার সাথে আরো বেশী দুষ্টুমি করতো। যেমন টিভি দেখার সময় চ্যানেল পরিবর্তন করলে সে গিয়ে মেইন সুইচ অফ করে দিতো। আমি একটু চিমটি কাটলে সে একটু পর পেছন হতে এসে এক গ্লাস পানি আমার মাথায় ঢেলে দিতো তারপর আমার সিচুয়েশন নিয়ে আরো বেশী মজা করতো, দৃশ্যগুলো সত্যি দারুণ লাগতো আমার কাছে। তার মজা করার দৃশ্যগুলো আস্তে আস্তে তার প্রতি ভালো লাগার একটা অনুভূতি তৈরী করতে থাকে আমার হৃদয়ে। প্রথম দিকে দুইজন লোক বুঝতে পারে যে আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি, এক সেই বাড়াটিয়া আর দ্বিতীয় আমার বড় ভাই। তবে বেঁচে যাই এই কারনে যে দুইজনই আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করে এবং সাহস যোগায় তখন। বড়ভাইতো শুরুতেই বলে দেয় খবরদার নিজে আগ বাড়িয়ে ভুলেও কখনো ভালোবাসি বলবি না কিংবা চিঠি দিবি না, যতক্ষন পর্যন্ত না তুই নিশ্চিত হতে পারিস যে মেয়েটিও তোকে শুধু পছন্দ না বরং ভালোবাসে।
দিন যত যায়, তার প্রতি আমার আকর্ষনটা ততো বাড়তে থাকে। সারাদিন উন্মুখ হয়ে থাকতাম কখন সে আসবে, দুষ্টুমি করার সুযোগ পাবো, তার মজা করার দৃশ্যগুলো উপভোগ করবো। সুযোগ পেলে আমি শুধুমাত্র একটু খোঁচা দিতাম তারপর তার দুষ্টুমির জন্য অপেক্ষা করতে থাকতাম, এমন ভাব ধরতাম যেন আমি কিছুই বুঝি নাই। প্রেম কিভাবে হয়, হৃদয়ে কিভাবে দোলা দেয়, সেটা আমি বেশ গভীরভাবে উপলব্ধি করি তখন। রাতে ঘুম আসতো না, পড়াশুনা ভালো লাগতো না, স্কুলের ক্লাসে মন বসতো না। মাঝে মাঝে স্কুলও গ্যাপ দিতাম নানা ছুতোয়, কারন তার স্কুলের টাইম ছিলো আমাদের থেকে অনেক পরে, তাই বাড়ীতে থাকলে তার স্কুলে যাওয়ার সময়টা তাকে এবং তার মিষ্টি হাসি দেখার সুযোগ পেতাম। কারন আমাদের বাড়ীর মূল দরজার পাশেই ছিলো আমাদের দুই ভাইয়ের রুম, আমি দরজা খোলেই সামনে বসে থাকতাম তার জন্য।
এভাবে চলতে থাকলো আমাদের দিন, আর আস্তে আস্তে আমি আরো বেশী দুর্বল হতে থাকলাম তার প্রতি। একদিন ছুতো দিয়ে স্কুল গ্যাপ দিলাম এবং দরজা খোলে তার অপেক্ষায় সেখানে বসে রইলাম। সেদিন সে খুব হাসি মুখে বের হলো কিন্তু না আবার ভেতরে প্রবেশ করে আমার সম্মুখে আসলো তারপর আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি কণ্ঠে বললো, এতো চিন্তা করলে কাজ হবে না, মনের কথা প্রকাশ করতে হবে, যার কথা চিন্তা করেন সেও কিন্তু আপনার কথা সারাদিন চিন্তা করে। এইটুকু বলেই চলে গেলো, মনে হলো আমার হৃদয়ে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চমকানোর মতো কিছু একটা হলো, অন্য রকম একটা অনুভূতির বাতাস হৃদয়ে উপর দিয়ে গেলো। তার পরের দিনই আমি লেবুর রস দিয়ে তাকে ভালোবাসি কথাটি লিখে জানাই যাতে সেটা কেউ বুঝতে না পারে, তারপর সেও দারুণভাবে তার রেসপন্সটা জানায়। দারুণভাবে কাটতে থাকে আমাদের মুহুর্তগুলো, বোনের সুবাধে একদিন তার সাথে ফটো তোলারও সুযোগ পেয়ে যাই, অবশ্য মাঝখানে ছোটবোন ছিলো দেয়ালের মতো। যদিও সে তখনও ভালোভাবে বুঝতে পারে নাই যে আমি তাকে ভালোবাসি।
তবে দুঃখের বিষয় হলো প্রথম প্রেমটাই আমার জীবনের শেষ প্রেম হয়ে যায়, সেটা খুব বেশী দিন স্থায়ীত্ব পায় নাই কারন আমার ছোট বোন। সে সবার আগে এটার প্রতিবাদ করে এবং ডাইরেক্ট আমায় প্রশ্ন করে ভাই তুই কি দেখে এই মেয়ের প্রেমে পড়লি ভাই? সেদিন আমি নিরুত্তাপ ছিলাম, আসলে বাড়ীর সকলের সামনে এর কোন উত্তর দেয়ার সাহস আমার মাঝে ছিলো না কারন সেটা হয়তো প্রেমের বয়স ছিলো কিন্তু প্রতিবাদ করার না। বড়ভাই ছাড়া যেহেতু পরিবারের আর কারোর সাপোর্ট ছিলো না আমার পক্ষে, তাও বড়ভাই সকলের সামনে সর্বদা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতো। বোন আম্মুকে প্রথমে বুঝায় এবং আম্মু আমাকে শাসন করা শুরু করে, বাড়ীতে খুব বেশী সময় থাকতে দিতো না। তারপর তাদেরকে বাড়ী ছাড়ার নোটিশ দিয়ে দেয়। আমার জীবনের প্রেমের পর্বের সপাপ্তি ঘটে।
সত্যি এর পর স্কুল/কলেজ জীবনে আর কোন মেয়ের প্রেমে পড়ি নাই, সেই রকম অনুভূতিও হৃদয়ে জাগ্রত হয় নাই। কি আজব একটা বিষয়, অনেক দিক হতেই আমি স্মার্ট ছিলাম, একটা ভাব থাকতো আমার মাঝে, অনেক মেয়েও কলেজ জীবনে তাদের ফোন নাম্বার দিয়েছিলো এবং কথা বলতে চাইতো। কিন্তু সত্যি বলছি আমি এরপর হতে প্রেম নামক যন্ত্রণা হতে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু চাকুরী করার সময় যখন সোস্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাই, তখন অজানা অচেনা এক মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে, তারপর প্রেমও হয়, তার নাম ছিলো প্রথমাজাহান, মেয়েটি হিন্দু ছিলো। তার ফটো দেখেছিলাম কিন্তু কোনদিনও সরাসরি দেখার সুযোগ হয় নাই। প্রেম সত্যি আজব একটা বিষয়, কখন কিভাবে কাকে জড়িয়ে ফেলে কেউ বলতে পারে না ............... পরের কাহিনীটি অজানাই থাক আপনাদের।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
ভালোবাসায় অপূর্ণতা বলে কিছু নেই।যা পাওয়া যায় তাকেই পূর্ণতা বলে।কিন্তু সেটা আমরা মানতে চাইনা।প্রথম প্রেম আসলেই কি আপনার ব্যর্থ ?না ,আমি অন্তত মনে করি ব্যর্থ না।
জ্বী দাদা, পূর্ণতা বলতে যা পাওয়া যায় তাই, তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ার দরুন একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মাঝে নিজেকে আটকে রাখতে হয়েছিলো, যার কারনে অনুভূতিগুলোকে চাপা দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সেটা চাপা থাকে নাই ঠিক সুযোগ বুঝে আবার বেড়িয়ে গিয়েছিলো। আপনার মন্তব্য সত্যি অনুপ্রেরণা দিলো হৃদয়ে। ভালোবাসায় ব্যর্থ বলে কিছুই নেই, আপনার সাথে আমিও সেটা মনে করি।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
বাপরে বাপ এক নিঃশ্বাস ে পুরো দুটো ঘটনা পড়লাম আপনি তো ভাই ভারী মজার মানুষ। লেখাটা অনেক বেশ ছিল শেষ পর্যন্ত এত দ্রুত পড়েছি কখন যে পড়ে শেষ করলাম বুঝতে পারলাম না।
ভাই সুমি এখন কোথায়? সেকি এখনো আপনাকে ভালোবাসে?
ভাই এই লেখার দ্বিতীয় পর্বটি চাই কল্পনা করে হলেও আমাদের জন্য আরেকটি পর্ব লিখুন।
সে কোথায় সেটা জানি না ভাই, আমার পড়াশুনা শেষ হওয়ার পূর্বেই শুনেছিলাম তার ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে। ব্রেক আপ হওয়ার পর আর কোন যোগাযোগ ছিলো না, তাই আর কিছু জানা নেই।
আসলে এই লেখাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে অনেকগুলি শব্দ শিখেছি এখান থেকে। যেমন তুরি মেরে উড়িয়ে দেওয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি ভাইয়া প্রেম কখনো সৌন্দর্য দেখে হয় না। প্রেম যে কখন হয়ে যায় তা এই মনও জানে না। তবে লেবু দিয়ে ভালোবাসার কথা লিখে জানানোর বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের কাহিনী পড়তে পড়তে কখন যে শেষ লাইনে চলে এসেছি বুঝতেই পারিনি। তবে শেষের দিকে এসে মন ভেঙে গেল। প্রথম প্রেমের অনুভূতি সত্যি আলাদা। হয়তো আমাদের জীবনে অনেক মানুষ আসে হয়তো সেটা ক্ষণিকের ভালোলাগা। কিন্তু প্রথম প্রেমের অনুভূতির মাঝে যে সত্যিকারের ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে তা সারা জীবনেও কখনো ফিরে আসে না। দ্বিতীয় গল্পটি অজানা রয়ে গেল ভাইয়া। আশা করছি কোন একদিন শেয়ার করবেন। দারুন ভাবে প্রথম প্রেমের অনুভূতি লিখে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️❤️
সত্যিই ভাই, প্রথম প্রেমে পড়ার পর সে বিষয়টি খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম আমি। কিছু বিষয় অজানা থাকাই ভালো, থাকনা কিছু স্মৃতি ধুলোয় ঢেকে।
কি প্রেমিক মানুষ ছিলেন।আমার একটা বিষয় অনেক জানার ইচ্ছে লেবুর রস দিয়ে কেমনে ভালোবাসি জানালন?😜।আহারে ব্যর্থ প্রেমিক বলে। যাক ভালো লাগলো।প্রথম প্রেম কাহিনী।ধন্যবাদ
এটা ছিলো সে সময়ের সিক্রেট উপায়, সাদা কাগজে লেবুর রস দিয়ে কিছু লেখা হলে সেটা দেখা যেতো না কিন্তু পানিতে ভেজানো হলে লেখাগুলো ভেসে উঠতো।
আপনি আসলেই বেশ ভালো প্রেমিক ছিলেন।কত টেকনিক জানতেন।যাক আপনার কাছে নতুন একটা টেকনিক শিখতে পারলাম।😜
ধরা খাইলে ভুলেও আমার নাম নিয়েন না কিন্তু হি হি হি
শিখলাম আপনার কাছে,আর আপনার নাম বলবো না এতটা স্বার্থপর কি করে হই😜
নাহ আর কিছু শেখানো যাবে না, এ দেখছি গুরু মারার বিদ্যা শিখে।
আপনি কি ভেবেছেন মেয়েরা পিছিয়ে থাকবে? মেয়েরাও ছেলেদের চেয়ে এক কাঠি উপরে। সেটা দুষ্টুমির দিক দেয়া হোক বা অন্য কিছু। যখন আমি আপনার এই প্রথম প্রেমের অনুভূতি লেখাটি পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনে সব ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু শেষের কয়েকটি লাইনে গিয়ে মনটা ভেঙে গেল। হয়তো এভাবেই সত্যিকারের ভালোবাসাগুলো জীবন থেকে হারিয়ে যায়। হয়তো সেই ভালোবাসার অনুভূতিগুলো সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। একটি সময়ে গিয়ে জীবনের সবকিছুই পাওয়া যায়। কিন্তু ভালোবাসার সেই প্রিয় মানুষটিকে আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায় না। আপনার অনুভূতি তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
হুম, সেটা আমি বেশ ভালো ভাবেই টের পেয়েছিলাম, তা আর বলতে হা হা হা। আসলেই এটাই বাস্তবতা, এটাই ভালোবাসা।
ব্যাপারটা কিন্তু খারাপ হলো! যার সাথে প্রেম করেছেন তাকে আবার ফেলটুস ডাকতে একটুও বাঁধল না! ভারি অন্যায় কিন্তু।
যাইহোক ভাবির নাম্বারটা দিলে ভাবির গল্প পড়ে কেমন অনুভূতি হলো। তা একটু জানতে চাইতাম আর কি।
খুব অন্যায় হয়েছে, তা আপনি যাবেন নাকি ফেলটুসের কাছে নালিশ করতে হা হা হা।
আপনার আর আমার বাস্তব জীবনের প্রথম প্রেম কাহিনীর মাঝে কিছুটা মিল আছে।২ জনের প্রথম প্রেমের মানুষটির নামের সাথে মিল আছে। আমার সেই মানুষটির নাম ও ছিল সুমি।
আয় ভাই বুকে আয়, নিজেদের নিজেরা একটু শান্তনা দেই হি হি হি।
হা হা হা ।
আমিও আমার গল্পটা শেয়ার করব অবশ্যই পড়বেন ভাইয়া।
লেখাটা পড়ছিলাম আর মুচকি মুচকি হাসছিলাম। এত মিষ্টি সব মুহূর্ত কেটেছে ভাবতেই ভালো লাগছে। একই বাড়িতে থাকার জন্য হয়তো মজার মুহূর্ত গুলো বেশি গাঢ় হয়েছে আরো। একটা শুভ পরিণয় হলে হয়তো জীবনের গল্পটা অন্য মোর নিয়ে নিত। তবে দিন শেষে যা হয় ভালোর জন্যই হয় । ভালোবাসা গুলো যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।
জ্বী ভাই এটা সত্য যে একই বাড়ীতে থাকার কারনে আনন্দটা একটু বেশী করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ভালোবাসাগুলো ভালো থাক, পূর্ণতা পাক কিংবা না পাক।