আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ সেবা-অসেবা ]
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন? আমি মন্দের মাঝেও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আসলে অক্টোবর মাসটা সব সময়ই আমার জন্য একটু চাপের হয়ে থাকে আর নভেম্বর মাসটা সেই বুঝের পর হতেই অসুস্থ্যতার জন্য নির্ধারিত থাকে। আমি জানি না এর অন্তর্নিহিত কোন কারন আছে কিনা? নভেম্বর মাসটা আমার জন্মমাস, হয়তো এই কারনে অসুস্থ্য থাকি, হয়তো অন্য কোন কারণ থাকতে পারে। যাইহোক সেটা নিয়ে খুব বেশী চিন্তিত থাকি না এখন আর বরং অসুস্থ্যতার মাঝেও কতটা সুস্থ্য থাকা যায় সেটা নিয়ে বেশী চিন্তা করি। ঐ যে বলে না মন্দের ভালো, সেটাকে চিন্তা করেই সব মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আচ্ছা বাদ দেন এসব, আজ আবোল তাবোল নিয়ে কিছু লিখি বরং, তিক্ত কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেই, তাতে আপনাদের অভিজ্ঞতাও কিছুটা বাড়তে পারে হি হি হি।
সেবা, আমি জানি না আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আপনার জীবনে কতটা সুন্দর অভিজ্ঞতা রয়েছে এই সেবা নিয়ে। সেটা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হতে পারে অথবা অপ্রাপ্তি নিয়েও হতে পারে। দেখুন নাগরিক সমাজে ছোট হতে বড় প্রতিটি বিষয়ে আমরা নানা ধরনের সেবা নামক প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকতাদের উপর নির্ভর থাকি না থুক্কু শুধু নির্ভর বললে ভুল হবে বরং সেটাকে বলতে পারি জিম্মি। কারন সেবার অন্তরালের বিষয়টি ভোক্ত ভোগিরাই কেবল বুঝতে পারেন। এই বিষয়টি সঠিক উপলব্ধি শুরু হয়েছিলো সেই স্কুল জীবন হতেই, না না আমাকে নিয়ে না বরং শিক্ষকদের নিয়ে। মাঝে মাঝে আমরা প্রিয় শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধণা দিতাম এবং তাদের হাসি মুখে বিদায় দেয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু যখন জানতে পারতাম দিনের পর দিনের পর মানুষ তৈরীর সেই শিক্ষকদের পেনশনের টাকা নিয়ে নানা অজুহাত তৈরী করা হতো এবং সেখানে ঘুষ লেনদেনে বাধ্য করা হতো, তখন সত্যি নিজেদের অনেক ছোট মনে হতো এবং সেবা নামক প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুবই খারাপ জায়গা হিসেবে মনে হতো।
বাস্তবতা আস্তে আস্তে সেই বিষয়গুলোকে আরো নিদারুণভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়, আস্তে আস্তে পরিনত হই এবং নানাভাবে সেই সকল সেবা নামধারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াত বাড়তে থাকে। ঐ বললাম নাগরিক জীবনের নানা প্রয়োজন কিংবা নানা বিষয়ে আমাদেরকে তাদের দারস্ত হতে হয়, শুধু হতে হয় বললে ভুল হবে বরং বাধ্য করা হয়। সাভারে বাড়ি করার পর তিন তিনবার অভিযোগ দেয়ার পর প্রায় তিন মাস পর বিদ্যুৎ এর বিল হাতে পাই কিন্তু ততোদিনে যা হওয়ার তা হয়েগিয়েছে, অর্থাৎ একত্রে বিল হওয়ার কারনে রিডিং এর পরিমান বেড়ে যায় এবং যার প্রভাবে বিলের রেটও বৃদ্ধি পায়। এইতো ছিলো দারুণ একটা প্রতিষ্ঠানের চমৎকার সেবার উদাহরণ। না না হতাশ হবেন না, এটা না হয় সরকারি অফিস হিসেবে বাধ্য হয়ে মেনে নিলাম কিন্তু এটা যদি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শীর্ষে অবস্থান করা কোন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হতো, তাহলে কতটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়া সম্ভব হতো?
প্রশ্নটা এই জন্যই করলাম, কারন ঐ যে বললাম আস্তে আস্তে পরিনত হয়েছি আর সরকারী নামধারী সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবহার কিংবা তাদের সেবার মানের সাথে সুন্দরভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, তাই ভিতরে ভিতরে আপেক্ষ থাকলেও সেটা নিয়ে কিছু বলার সুযোগ থাকে না, সরকারী কাজ বলে কথা, মামলা কে খেতে চায় বলেন? কারন আমাদের মতো দেশগুলোতে গণতন্ত্রের অন্তরালে কি যে চলে সেটা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না, সরকারী কাজ শুনলেই অনেকেই চোখ বন্ধ করে হাঁটা শুরু করেন, কারন জানেন এখানে প্রত্যাশা নামক বস্তুর অনুপস্থিতি সর্বদা বিড়াজমান থাকবে, তাই বাড়তি কিছু প্রত্যাশা করে লাভ নেই বরং ভোগান্তিকে মেনে নিয়ে শান্তভাবে এড়িয়ে যাওয়াটাই হয়তো বুদ্ধিমানের কাজ। আর সেটা আমরা খুবই নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করি আর প্রতিবছর ভোটের পূর্বে সেটা ভুলে যাই, তারা যেমনটা অতীতের কিছুই মনে রাখে না আমরাও শান্তশিষ্ট সাধারণ জনগন হিসেবে সব কিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি, অবশ্য সেটা উপর দিয়ে কিন্তু ভিতরের ক্ষতটা ঠিক রয়ে যায়।
সেটা বলছিলাম শীর্ষে থাকা কোন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তাও আবার সেটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। জ্বী মোবাইল অপারেটর হিসেবে বাংলাদেশে গ্রামীনফোন এবং রবির মাঝে প্রতিযোগিতা সেই শুরু হতে না থাকলেও রবি এবং এয়ারটেল একত্রিভূত হওয়ার পর হতে সেটা দারুণভাবে বেড়ে গিয়েছে। আমি একটা রবি এবং একটা এয়ালটেল সিম ব্যবহার করি। তবে গ্রামীনফোন সিম ব্যবহার করতাম সেই ২০০৪ সাল হতে, এখনও অবশ্য সেই সিমটা আছে কিন্তু আমি ব্যবহার করি না অন্য একটা কারনে। সেটা এখন পর্যন্ত একবারের জন্যও ডিস্টার্ব করে নাই। তারপর ২০১২ সাল হতে রবি সিম ব্যবহার করা শুরু করি, সেটাও এখন পর্যন্ত একবারের জন্যও ডিস্টার্ব করে নাই তবে ৪জি করার জন্য নতুন সিম তুলতে হয়েছিলো একবার। কিন্তু ভিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায় এয়ারটেল এর সেবা নিয়ে।
এখন পর্যন্ত প্রায় তিনবার তাদের সেবা কেন্দ্রে যেতে হয়েছে এবং তিনবারই সুখকর কোন অনুভূতি নিয়ে ফিরে আসতে পারি নাই। এইতো কয়েক দিন পূর্বে হঠাৎ করেই সিমটি বন্ধ হয়ে যায়, তাও কথা বলাকালীন সময়ে। তারপর তাদের সেবা মানে যন্ত্রণার কেন্দ্রে আসি, যথারীতি আমার মতো আরো কয়েকজন ব্যক্তির উপস্থিতি দেখি, তাদেরও সেম সমস্যা হটাৎ করে সিম বন্ধ হয়ে গেছে। সিরিয়াল অনুযায়ী আমার ডাক পরে, যথারীতি বিস্তারিত ঘটনা শুনে সেবা দানকারী ব্যক্তিটি খুবই ভদ্রভাবে বললেন স্যার আপনার সিমটি নষ্ট হয়ে গেছে নতুন সিম নিতে হবে তার জন্য ১৫০ টাকা দিতে হবে। এটা নিয়ে আমার আপত্তি ছিলো, কারন কোন কারণ ছাড়াই কেন সিম নষ্ট হয়ে যাবে, অবশ্য সেটার কোন ব্যাখ্যা উনি মানে সেই ভদ্র লোক দিতে পারেন নাই। তারপর সমস্যা হলো ১৫০ টাকার জন্য আমাকে কোন প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দিবেন না। সেখানে কিছু বলতে পারলাম না, কিন্তু রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারলাম না যখন বললেন আপনার পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি লাগবে।
আমরা ডিজিটাল হচ্ছি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটালের ধোকার ভিতর দিয়ে, দুঃখিত আমি শুরু হতেই এটাকে ডিজিটাল ধোঁকা বলি। কারন এই দেশে ডিজিটাল বলে কিছুই হবে না কোনদিনও কারন আমলাতান্ত্রিক পরিস্থিতি সেটা কোনদিনও করতে দিবে না। আমি বললাম সেটাও বহু আগেই পরিবর্তন হয়েছে সরকার কর্তৃক। তাহলে আপনি সেটা কেন খুঁজছেন, সেটা আমি কোথা হতে নিয়ে আসবো? তাছাড়া সেটাতো সরকার কর্তৃকই বাতিল করা হয়েছে। এবার বুঝেন প্রযুক্তিতে আমরা কতটা এগিয়ে, ডিজিটাল ডিজিটাল বলে আমরা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছি কিন্তু আমাদের ভেতরের প্রকৃত অবস্থাটা এই রকমই অন্ধকার। তারপর বাধ্য হয়ে আমার মোবাইলের ফটো গ্রালারী খুঁজে খুঁজে তাকে ফটো দেখালে তারপর নতুন সিমটি হাতে পাওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার। এখন বলেন এটাকে কি নামে অভিহিত করবো সেবা না অসেবা? বিষয়টি আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অক্টোবর মাসের শেষের দিকটায় আবহাওয়া টা পরিবর্তন হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ঠান্ডার একটা আমেজ চলে আসে। আমার মনে হয় সেই জন্য নভেম্বর মাসে মোটামুটি আমরা সবাই একটু না একটু অসুস্থ হয়ে যাই। সত্যি বলতে মোবাইল সিম কোম্পানিগুলোর এরকম সার্ভিস আমরা কখনো ভাবতেই পারি না। আমার এয়ারটেল সিমটাও ঠিক একই ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে দিক থেকে আবার জিপি বেশ ভালো আছে। আর ভাই ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আপনার সাথে যেমনটা করলো, আমি রীতিমতো অবাক। অন্তত এই ধরনের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এইরকম আচরণ একদমই কাম্য নয়।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আমাদেরকে যেহেতু আপনি বলতে বলেছেন তাহলে আমি এটাকে অসেবা বলব। আমিও রবি সিম ব্যবহার করি। কিছুদিন আগে আমার ফোনে টাকা থাকার সত্বেও তারা আমাকে বলছিল টাকা নাই আবার রিচার্জ করুন। সেটা আমি ভুলে গিয়ে আবার কিছু টাকা রিচার্জ করে এমবি টা কিনলাম। সেই এমবি সাথে মিনিট ছিল আমার ফোনে আমার ফোনে ৫০ টাকা রিচার্জ করে দিয়েছে। দুইদিন পর দেখি ফোনে আর ৩০ টাকা আছে আমার ফোনে এমবি ও মিনিট থাকা সত্ত্বেও টাকা কেটেছে কেমনডা লাগে। যাইহোক আপনার আবোল তাবোল জীবনের গল্পটি পড়লাম আর পড়ে বুঝতে পারলাম এই সব অসেবার জন্য আপনাকে খুব বেগ পেতে হয়েছে।
ভাইয়া আমাদের বাসার ও একই অবস্থা হয়েছিলো।কয়েকমাস অনেক অনেক বিল আসতো।প্রতিমাসেই তখন দশ হাজার টাকার উপরে বিল আসতো শুধু বাসার।এরপর বাবা এসে ঠিক করে সব,তবে তাও ঘুষ দিয়ে তবেই ঠিক করতে হয়েছে।কোথায় আছি আমরা আসলে ভাবতেও অবাক লাগে।সরকারি মানেই বিরক্তি এখন আমার কাছে।আর বেসরকারি মানেই টাকা ঢালো।
ভাইয়া অসুস্থতার মাঝেও আপনার হাসিটা সেই লাগছে,
আপনার পোস্টি পরে খুবই খারাপ লাগলো আসলে আমরা যেমন টা ভাবি তেমন টা হচ্ছে না, যদিও গ্রামে কারেন্টর ঝামেলায় এখনো পরিনি তবে কয়েকদিন আগে আমারও একটা সিম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, সেটি আর ঠিক করা হয়নি, কি আর করার ভাইয়া ডিজিটাল দেশ মামক হতাশা নিয়েই আমাদের বসবাস,
সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনি খুব শীঘ্রই সমস্ত অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেন।
আসলেই ভাই এটাকে অসেবা বলা ছাড়া উপায় নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর কথা না হয় বাদই দিলাম কারন সেখান থেকে এ ধরনের সেবা পেয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি কিন্তু একটা মোবাইল অপারেটর কোম্পানীর এ ধরনের অযোক্তিক ভোগান্তী কোনভাবেই মেনা নেয়া যায়না। সত্যি বলতে কি আমরা শুধু নামেই ডিজিটাল হয়েছি কাজে নয়।