আমাদের নির্বুদ্ধিতাই সবকিছুর জন্য দায়ী
হ্যালো বন্ধুরা,
আজকের বিষয়টি একটু জটিল হতে পারে তোমাদের নিকট তবে এতোটা কঠিন না যদি একটু পরিস্কারভাবে বিষয়টি বুঝতে পারি। আসলে একটা কমন ডায়লগ নিয়মিত শুনে থাকি আর সেটা হলো কথায় কথায় প্রশ্নবোধকভাবে বলে দেয়া, মানুষ এতো নির্বুব্ধি কেন, অবশ্য অনেকেই শব্দটাকে ঘুরিয়েও বলে থাকে মানুষ এতো মূর্খ কেন?
আচ্ছা আপনি কি কখনো এই রকম ডায়লগ বা কথার কথা শুনেছেন, কোন কারনে কেউ কি কখনো আপনাকে সম্বোধন করে এই কথাগুলো বলেছে? না এর উত্তর জানার কোন আগ্রহ আমার নেই, কারন হয়তো আপনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে, আগ পিছ অনেক কিছুই ভাবা শুরু করবেন, হি হি হি। থাক বাদ দিলাম, আপনার ক্ষেত্রে হয়তো না, অন্যের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে আর আপনি তার স্বাক্ষী হতে পারেন, এটা মানা যায় তাই না, হা হা হা।
আসলে আমরা যথেষ্ট শিক্ষিত হওয়ার পরও এই রকম কিছু কাজ করে থাকি, যেটা আমাদের সাথে যায় না, যায় না মানে একদমই মানানসই হয় না। যার কারনে এই রকম প্রশ্ন উত্থাপন হতে পারে আমাদের কার্যাবলী দেখার পর। যেমন মনে করুন, এক শিক্ষিত ভদ্রলোক, কোথায় যাবেন তাই বাসের টিকিট কাটলেন এবং বাসে উঠার পূর্বে অভ্যেসগত কারনে এক খিলি পান কিনে মুখে পুরলেন তারপর বাসে উঠে নিজের আসনে গিয়ে বসলেন। হঠাৎ করেই জানালা দিয়ে পানের পিক ফেলতে গিয়ে মূর্খের মতো আরেকজন ভদ্রলোকের পোষাক নষ্ট করে দিলেন।
এখন এই ক্ষেত্রে আপনি তাকে কি বলবেন? তার শরীরিক গঠন কিংবা পোষাক আসাকের অবস্থা দেখে আপনার মনে কি হবে উনি নিখাত ভদ্রলোক নাকি মূর্খ? আমাদের সমাজে এই রকম বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে, শিক্ষিত এবং ভদ্রলোকের পোষাকে এই রকম কিছু কাজ করা হয়, যা সেই সকল লোকদের ক্ষেত্রে বেমানান। সহজভাবে তাদের সাথে যায় না কিন্তু তবুও তারা হর হামেশা সেই কাজগুলো করে থাকেন।
বিষয়টি এখন নিশ্চয় পরিস্কার হয়েগেছে আপনার কাছে, আমিও আশা করছি শুরুটা বুঝতে যতটা কষ্ট হয়েছিলো মানে প্রশ্নটা শুনার পর, এখন ততোটা কষ্ট হচ্ছে না। তবে একটা অনুরোধ অবশ্যই থাকবে আমার পক্ষ হতে বরাবরের মতো, দয়া করে এই রকম কোন কাজ করবেন না যাতে অন্যরা আপনাকে মূর্খ বলতে বাধ্য হয়। অথবা অন্যদের বাধ্য করবেন না এই রকম কোন কাজ দ্বারা যাতে তারা আপনাকে মূর্খ বলে কিছু উচ্চারণ সুযোগ পায়। শিক্ষিত কিংবা মূর্খ সেটা আমাদের গায়ে লেখা থাকে না, বরং আমাদের কাজ কর্মে প্রকাশ পায়।
তাই আসুন অন্তত একটা বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করি, ভালো কিছু করবো এবং নিজের সম্পর্কে ভালো দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবো। দুষ্টমির ছলে হোক কিংবা অন্যকোনভাবে হোক, কখনো এই রকম কাজ করবো না যাতে অন্যরা আমাকে/আপনাকে মূর্খ বলে গালি দেয়ার কিংবা ডায়লগ ছোড়ার সুযোগ পায়। সামান্য একটু অসতর্ক কার্যাবলী আমাদের অবস্থানকে খাটো করে দিতে পারে।
আজকের কথাগুলোর সাথে প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুলের কিছু দৃশ্য শেয়ার করলাম। ফুল যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে দারুণভাবে বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে, আমাদের সুন্দর কার্যাবলীসমূহ ঠিক তেমনি ফুলের মতো আমাদের অবস্থানকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে। আপনার সঠিক কার্যাবলীর মাধ্যমে আপনার সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত হোক, এই প্রত্যাশা করছি।
W3W Code: https://what3words.com/moon.loaning.gossiping
Device: Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আপনি সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন ভাই। তবে যেকোনো অবস্থাতেই নিজের ব্যক্তিত্ব টা কে ধরে রাখতে চেষ্টা করতে হবে তা না হলে বিভিন্ন ধরনের অবমাননা এবং অপমানের শিকার হতে হবে। তাই ভুল করার আগেই সেই ভুলটা সম্পর্কে একটু ধারনা থাকা দরকার যে এই ধারণাটি আপনার লেখার মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন।
এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাই, সত্যি দারুন কথা বলেছেন আপনি। ধন্যবাদ
সামান্য একটু অসতর্ক কার্যাবলী আমাদের অবস্থানকে খাটো করে দিতে পারে।
এইটা কথাটা সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করি ভাইয়া।
আসলে মানুষের চোখে নিচু হতে বা নিজের অবস্থান নিচু করতে সামান্য উল্টাপাল্টা কাজ ই যথেষ্ট।
আপনি তো বুদ্ধিমান না দুঃখিত বুদ্ধিমতি, হি হি হি
আসলে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের পূর্বে ভালোভাবে বিবেচনা করে নেয়া উচিত, যাতে সেটা আমাদের জন্য উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে। ধন্যবাদ
সত্যিই আমরা এমন কিছু কাজ করে ফেলি যা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বহন করে। তাই আমাদের আচরনে সংযত এবং মার্জিত হওয়া উচিত।
ধন্যবাদ এরকম চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
ঠিক তাই ভাই মানুষ হিসেবে অন্তত আমাদের সকল ক্ষেত্রে সংযত আচরণ বেশী জরুরী। ধন্যবাদ
পাহাড় সমান সার্টিফিকেট থাকলেই কেউ শিক্ষিত হতে পারে না। আসলে শিক্ষিত হতে হলে নিজের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে হবে। মানুষের মধ্যে মনুষত্ব বোধটাই যদি না থাকে তাহলে সেই মানুষকে শিক্ষিত বলাটা বোকামি । আমাদের সমাজ শিক্ষিতের সংজ্ঞা টাই পরিবর্তন করে দিয়েছে।
সহমত পোষণ করছি আপনার কথার সাথে। ধন্যবাদ ভাই
আসলেই মানুষকে চেনা বড্ড কষ্ট আরো অনেক মানুষ মুখোশধারী ভালো চরিত্রের ভিতরে অনেক খারাপ চরিত্র দেখা যায়। আসলে এদের কিছু বলার নাই আপনি অনেক সুন্দর আলোচনা করছেন অনেক কিছু শিখতে পারলাম আরেকটি বিষয় অনেক ভালো লাগলো যে অনেক বাস্তবধর্মী একটি উদাহরণ দিয়েছেন যে একটি লোক বাসে উঠল পান নিয়ে। আসলে সে কিন্তু ভাবেনা আশপাশের মানুষ আছে কিনা সে কিন্তু হুট করেই পানের পিক ফেলে জানালা দিয়ে। সে যদি সচেতন হতো তাহলে এমন কাজটা করতো না। আমাদের সচেতন হতে হবে।
সেটাই আমরা হয়তো শিক্ষিত, আমরা হয়তো ভদ্র কিন্তু একদমই সচেতন না, যার কারনে আমাদের দ্বারা অনাকাংখিত অনেক কিছুই ঘটে যায়। ধন্যবাদ
একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় তার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে। নিজেকে ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই সতর্কতার সাথে চলাচল করা উচিত। নিজের সম্মান নিজেকেই ধরে রাখতে হবে। অন্য কেউ যেন আমাকে ছোট করতে না পারে সেজন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। একজন ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ কখনোই কারো কাছে হাসির পাত্র হয় না। ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক শিক্ষনীয় একটি পোস্ট। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
এই বিষয়টি যদি আমরা সব সময় মনে রাখতে পারি, তাহলে অনেক অনাকাংখিত ঘটনা আমরা এড়াতে পারবো। ধন্যবাদ
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি একটু ব্যতিক্রম ধর্মের মানুষ সেটা আপনার পোস্টগুলো পড়লেই বুঝা যায় কিন্তু আপনার আচরণে না। আমার জানামতে আপনি একজন মিষ্টিভাষী মানুষ। আপনার কথাগুলো অনেক সুন্দর আর আপনি যে কোন কিছু অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে পারেন। যেটা সবার ক্ষেত্রে হয় না। আপনি একটা প্রশ্ন করেছেন এবং কি নিচে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। যে ফিটফাট পোশাক থাকলে বড়লোক হওয়া যায় না শিক্ষিত হওয়া যায়না। আর শিক্ষিত হলেও তার কাজে-কর্মে তাকে মূর্খ হতে হয় বা মানুষের গালি দেয় উপহাস করে। এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের সমাজে সুশিক্ষিত এবং শিক্ষিত দুইটা ধরণ আমরা দেখতে পাই। কিছু শিক্ষিত মানুষ আছে তারা সর্বদা এই মূর্খের পরিচয় দিয়ে থাকে। আমাদের আঞ্চলিক একটা ভাষা আছে শিক্ষিত বেয়াদব। তার মানে সে শিক্ষিত হয়েও মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে পারেনা এবং কি তার কাজ কর্মকাণ্ডে মানুষ তাকে গালি দিতে বাধ্য। তবে আরও একটা কথা ভাইয়া বেশিরভাগ অশিক্ষিত মানুষ এই ভুল কাজকর্ম করে তাদের মধ্যে আমিও একজন। এর ব্যতিক্রম নয় যেহেতু মানুষ ভুল করতেই পারে মূর্খতা থাকতেই পারে। তাই আমাদের সবার উচিত মানুষের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করা। এবং কি সবাইকে মর্যাদার চোখে দেখা এবং কি কারো ভুল দেখলে তাকে বুঝিয়ে বলা। কারণ আছে ছাড়ো ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা যাতে সব সময় সর্তকতা অবলম্বন করে চলে। ভাইয়া আপনার এই শিক্ষনীয় পোষ্ট থেকে আরও একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া
মানুষ মাত্রই ভুল, এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি এটাও সত্য যে শিষ্ঠাচারে মানুষ অনন্য। সুতরাং আমাদের প্রতিটি কাজের শুরুতে তার ভালো মন্দ বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনার প্রত্যেকটি কথা খুবই মূল্যবান ভাইয়া।আসলেই আমাদের প্রত্যেকটি কাজ মনোযোগ সহকারে ও সাবধানে করা উচিত।আমরা নিজেরাই নিজেদের ভালো- মন্দের উপর নির্ভরশীল।তাই নিজের অবস্থান নিজের ভালো কাজ দ্বারা প্রকাশ করা উচিত।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি কথাগুলো খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।শিক্ষিত অথবা মূর্খ সেটা আমাদের গায়ে লেখা থাকে না, সেটা প্রকাশ পায় আমাদের কাজে কর্মে। ভাই এটা একটি শিক্ষামূলক পোস্ট। পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু হতে সতর্ক হতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার পোস্ট গুলো পড়লে বোঝা যায় আপনার মধ্যে সৃজনশীল জ্ঞান বিদ্যামান। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করা, বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে চলার অন্যতম সহায়ক আপনার পোস্টগুলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।