হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি আছি আমার মতো, যেমনটা থাকি সর্বদা। তবে হ্যা, আর যাইহোক নিজের অবস্থান নিয়ে খুব বেশী হতাশ হই না কিংবা হলেও কাউকে সেটা বুঝতে দেই না। ঐ যে একটা অভ্যেস আছে আমার, কিছু হলেই সব কিছুর হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই, নিজের সমস্যার আঁচড় কারো উপর পতিত হতে দেই না, হ্যা এই ব্যাপারে আমার চেষ্টা থাকে প্রবল। দেখুন সবাই যার যার অবস্থান নিয়ে ব্যস্ত আছে, সবার নিজস্ব একটা পৃথিবী আছে এং সেই পৃথিবীর মাঝে সবাই যার যার অবস্থান নিয়ে ব্যস্ত আছেন। সুতরাং কে কার জন্য নিজের জগৎ ছেড়ে বাহিরে আসবে এবং তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করবে? কেউ নেই, কেউ আসবে না, কারন সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত, খুব বেশী ব্যস্ত। এটাই বাস্তবতা এবং আমাদের সেটা বুঝতে হবে।
কিন্তু আমরা কি করি? বরং এই বিষয়টি নিয়ে আরো বেশী পরিমানে হতাশা প্রকাশ করি, কারণ ঐ যে আমরা বাস্তবতা বুঝতে চাই না বা পারি না। আমরা বুঝতে চাইনা তারও একটা নিজস্ব জগৎ আছে এবং সেটা নিয়ে সে ব্যস্ত রয়েছে। বরং আমরা কি চিন্তা করি? সে কেন আমার পাশে এসে দাঁড়ালো না, সে কেন আমাকে এসে সহযোগিতা করলো না। শুধু এতোটুকু বরং আরো এক ডিগ্রী এগিয়ে যাই এবং অন্যদের নিকট তাকে বা তাদেরকে পঁচানোর চেষ্টা করি, আর বলতে থাকি আমার সমস্যায় অমুক দূরে দাঁড়িয়ে শুধু মজা দেখেছে কোন সহযোগিতা করে নাই। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে সে কি অবস্থায় ছিলো বা কতটুকু স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলো সেটা নিয়ে আমরা কখনো চিন্তা করি না বরং ভুল বুঝে তাকে আরো দূরে ঠেলে দেই। বুঝতে পারছেন তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমরা শুধুমাত্র একমুখী চিন্তা করি, এর বাহিরেও যে কিছু থাকতে পারে সেটা আমাদের বোধগম্য হয় না।
যাইহোক, বাস্তবতা থেকে বেড়িয়ে এখন স্বাদের রাজ্যে প্রবেশ করি, এটাই আমাদের জন্য অধিক মঙ্গলজনক, কারন এখানে কেউ কাছে না আসলে আদতে আমাদের আরো বেশী লাভ হয়, স্বাদের খাবারগুলো একা একা খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় হি হি হি। সত্যি এই বিষয়ে আমরা আরো বেশী স্বার্থপর, দেখবেন স্বাদের কিংবা পছন্দের খাবারগুলোর মাঝে কেউ কাউকে ভাগ বসাতে দিতে চায় না, চাই সে ছোট হোক কিংবা বড় হোক, কি একটা অবস্থা! যাক বাদ দেই এসব, আজকের রেসিপিটি বরং দেখি। আজ আপনাদের সাথে ভিন্ন স্বাদের কাঁকরোল ভর্তা শেয়ার করবো, চালুন তাহলে দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- কাঁকরোল
- পেঁয়াজ
- রসুন
- শুকনা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা প্যান চুলায় বসিয়ে গরম করেছি তারপর কিছু তেল ঢেলেছি তাতে এবং কাঁকরোলগুলো স্লাইস করে তাতে দিয়েছি।
এরপর সেগুলোর সাথে হলুদ ও মরিচ গুড়া এবং লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি এবং এরপর ঢাকনা সরিয়ে কাঁকরোলগুলোকে উল্টেপাল্টে দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
কাঁকরোলগুলো নামিয়ে প্যানে আরো কিছু তেল দিয়েছি এবং তারপর শুকনা মরিচ ও রসুন দিয়েছি।
তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি এবং সবগুলো উপকরণসমূহকে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
তারপর একটা প্লেট নিয়ে তাতে ভাজা পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ ও রসুনের সাথে হালকা লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর অন্য একটা পাত্রে ভেজে রাখা কাঁকরোলগুলোকে নিয়ে ভালোভাবে ভর্তা বানিয়ে নিয়েছি।
তারপর পূর্বে মাখিয়ে রাখা পেঁয়াজ, রসুন ও শুকনা মরিচের মিক্স এগুলোর উপর এবং তার সাথে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে মিক্স করে নিয়েছি, হালকা সরিষা তেল দিয়েছি যাতে ঘ্রানটা ভালো আসে।
ব্যস তৈরী হয়ে গেলো ভিন্ন ধরনের ভর্তা, স্বাদের কাঁকরোল ভর্তা। ভর্তাটি সত্যি বেশ স্বাদের ছিলো, যদিও এর আগে আমি কখনো এভাবে ভর্তা বানিয়ে খাই নাই, তবে এবার দারুণভাবে স্বাদটা উপভোগ করেছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
বাস্তবতা বড়োই কঠিন, সকলেই ব্যস্ত এবং প্রত্যেকের নিজস্ব জগৎ আছে।তারপর ও আমরা অন্য জগতে সময় দিই এটি অনেকেই বুঝে ও বুঝতে চান না।
সত্যিই এটি ভিন্ন স্বাদের কাঁকরোল ভর্তা রেসিপি এবং এটি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।আসলে আমরা সব সময় কাকরোল ভাতের মধ্যে দিয়ে ভর্তা রেসিপি বানিয়ে খাই কিন্তু এভাবে মনে হয় বেশ স্বাদ হবে খেতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
জীবনের বাস্তবতা অনেক বেশি কঠিন। বাস্তব জীবনের চিত্রগুলো যখন সামনে আসে তখন আমরা সত্যি অনেক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। হয়তো তখন ভাবি আমাদের চারপাশের মানুষগুলো কেন আমাকে সাহায্য করছে না। কিন্তু তারাও যে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত এটা ভাবতে চাই না। যাইহোক আমরা যে যার জায়গা থেকে নিজের মতো করে ভালো থাকার চেষ্টা করছি এই আরকি। কাঁকরোল ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। তবে এভাবে কখনো ভর্তা করা হয়নি। আমি সাধারণত কাঁকরোল সিদ্ধ করে এরপর ভর্তা করি। আজকে নতুন রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লাগলো ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ অনেক সুন্দর ভাবে কাঁকরোল ভাজি করে ভর্তা বানানোর রেসিপি দেখিয়েছেন। এর আগে কখনো এভাবে ভর্তা খাওয়া হয়নি। অনেক সুন্দর একটি নতুন রেসিপি দেখালেন। দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া আমরা বাস্তবতাকে সহজে মেনে নিতে পারিনা। বাস্তবতাকে মেনে না নিয়ে আমরা আর হতাশ হয়ে যায়। হতাশ হয়ে পরি, তার সম্পর্কে নানান কথা বলি। আসলে এগুলো না করে আমাদের তারও বিষয়টি বুঝতে হবে এবং জানতে হবে। যাইহোক ভাইয়া আজকের কথাগুলো খুবই ভালো লেগেছে, তবে আজকে আপনি ভিন্ন স্বাদের কাঁকরোল ভর্তা রেসিপি খুবই সুন্দরভাবে পরিবেশন করেছেন। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
এভাবে কাকরোল ভেজে ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি, দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে আশাকরি খেতেও অনেক সুস্বাদু হবে। অনেক সুন্দর একটি কাকরোল ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুণ কিছু কথা বলেছেন ভাই। আসলেই আমাদের সবারই নিজিস্ব পৃথিবী আছে। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। এটা নিয়ে অভিযোগ না করে মানিয়ে নিতে হতে হবে। তবেই হয়তো অন্য কারো উপর আর আশা করা লাগবে না। শিখে যেতে হবে একা বাঁচতে।।
কাঁকরোল টা অন্যভাবে ভাজি করেছেন। দেখে বেশ ভালো লাগছে। বেশ লোভনীয় লাগছে। যদিও কাঁকরোল আমার খুব একটা পছন্দের না। ভালো ছিল।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভিন্ন স্বাদের কাককরোলের ভর্তার রেসিপিটি এত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কাকরোল এর জনপ্রিয়তা সবসময়য়ের জন্য সব মানুষের কাছে। তাই আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের বাসায় গতকালকেও কাকরোলের ভর্তা তৈরি করেছে। আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে কাকরালের ভর্তা। আপনি অনেক সুন্দর একটি সুস্বাদু রেসিপি আজকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটাই চরম বাস্তবতা যে সবাই নিজের অবস্থান থেকে লড়াই করে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি ব্যক্তি সে ছোট হোক বড় সবাই কোন না কোনভাবে যুদ্ধে লিপ্ত । সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক । আর যারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত একটু বেশি থাকে তাদের আমরা স্বার্থপর বলে অভিহিত করে থাকি । আমরা আসলেই বুঝতে চাই না প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব জগত আছে, সে জগতে সে কি পরিমান নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে ।
ধন্যবাদ ভাই আজকে সুন্দর একটি সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। কাকরোল এর এত সুন্দর ভর্তা হয় আগে কখনো খাইনি । আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে এ সম্পর্কে ধারণা হলো । সময় সুযোগ হলে আমিও চেষ্টা করে দেখব।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।