হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন, আমিও মোটামোটি ভালো আছি। আসলে ভালো থাকাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য, আমি প্রায় এই কথাটা বলে থাকি। তবে আমি এই কথাও বলে থাকি যে, যতটা সম্ভব আমাদের চেষ্টা করা উচিত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ভালো থাকার। যদিও আমরা সর্বদা সেটা পারি না, এরও একটা কারণ রয়েছে। সেই কারনটা হলো বাস্তবতা, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে যদি বাস্তবতাকে অস্বীকার করেন, তাহলে সেটা কখনো কার্যকর হবে না। বরং মনের মাঝে ভিন্ন রকম একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হবে। আর এই কারনেই আমরা চেষ্টা করি কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকতে পারি না, আমাদের চেষ্টাগুলো সফলতার মুখ দেখতে পায় না।
দেখুন আমি প্রায় বলে থাকি, আমরা যা কিছুই করি না কেন, আমাদের সকল চেষ্টাই বৃথা যাবে যদি আমরা বাস্তবতাকে মেনে সে অনুযায়ী প্রচেষ্টগুলোকে অব্যাহত না রাখি। সত্যি বলতে কি জানেন? আমরা বাস্তবতা বাস্তবতা বলে চিৎকার কিন্তু কিন্তু আদতে বাস্তবতার কিছুই বুঝি না। কারণ সেই বোধশক্তি আমাদের নেই। ছোট বেলায় একটা কথা শুনেছিলাম, যে চোখের ইশারায় বুঝে না তার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হলেও সে বুঝতে পারবে না। আসলে এটাই এখন বেশ ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছি। বাস্তবতা নিয়ে আমরা বহু কথা বলি এবং শুনি কিন্তু বাস্তবতার কিছুই বুঝি না। যার কারনে যে লাউ সে কদুই আমাদের জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকে, আমরা আমাদের সীমানার মাঝেই আটকে থাকি।
যাক সেসব কথা, কারন এগুলো আমি প্রায় বলে থাকি। আর আপনারা সেগুলো পড়েন, পড়তে ভালো লাগে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। তা যাইহোক আমার কাছে ভালো লাগে তাই আমি বকবক করেই চলি। না আজ আর বলবো না, এখন আমের এবং স্বাদের একটা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে প্রথমবার এটা ট্রাই করলাম আমি, যার কারনে খুব একটা ভালো হয় নাই, চিনির পরিমান বেশী হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু খেতে মন্দ হয় নাই, আর ভাই চিনির পরিমান বেশী হইছে তো কি হয়েছে, আমারতো আর ডায়বেটিস নাই, তাই মজা করেই খেয়েছি হি হি হি। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- আম
- পাঁচফোড়ন
- শুকনা মরিচ
- বিট লবন
- সাদা লবন
- চিনি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে গরম করেছি তারপর সেটায় শুকনা মরিচ এবং পাঁচফোড়ন দিয়ে ফোড়ন দিয়েছি।
তারপর সেগুলোকে নামিয়ে গুড়া করেছি।
এরপর আমের স্লাইসগুলো ব্লেন্ডার মেশিনে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিয়েছি।
তারপর পুনরায় কড়াইটি চুলায় বসিয়ে গরম করেছি এবং ব্লেন্ডার করা আমের রসগুলো তাতে ঢেলে দিয়েছি।
তারপর তাতে চিনি দিয়েছি এবং ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি।
এরপর ফোড়ন দিয়ে গুড়া করে রাখা শুকনা মরিচ ও পাঁচফোড়নের গুড়াগুলো দিয়েছি তার সাথে লবন ও বিট লবন দিয়েছি। তারপর বেশ কিছুটা সময় এভাবে জ্বাল দিয়েছি।
এরপর একটা প্লেটে তেল নিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি এবং জ্বাল দেয়া পেষ্টগুলো সেটায় ঢেলে দিয়েছি।
তারপর এগুলোকে রোদের তাপে শুকিয়ে নিয়েছি, রোদে দিয়ে একটু ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হয় তাহলে বেশ কিছু দিন এগুলো সংরক্ষন করা যায়।
তৈরী হয়ে গেলো আমাদের স্বাদের পাকা আমের আমসত্ত্ব, আমসত্ত্ব কিন্তু পাকা আজ ও কাঁচা আম উভয়টা দিয়েই তৈরী করা যায়। তবে আমার কাছে পাকা আমের তৈরী আমসত্ত্ব খেতে বেশী ভালো লাগে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আমার মনে হয় ,আপনি ঠিক শুনেছিলেন ভাইয়া।আমি এইরকম খেয়াল করেছি।খুব সুন্দর হয়েছে আমসত্ত্ব রেসিপিটি।তবে আমরা একটু পাতলা করে বানায় এর থেকে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমসত্ত্ব খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। কিন্তু পাকা আম দিয়ে এভাবে কখনো আমসত্ত্ব বানিয়ে খাওয়া হয়নি। আমরা সাধারণত কাঁচা আম দিয়ে আমসত্ত্ব বানিয়ে থাকি। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে বাসায় একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ই মজার আমসত্ত্ব । রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই এই খাবারটি আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আমাদের বাসায় এবছর প্রচুর আমসত্ত্ব বানানো হয়েছিল। ভেবেছিলাম এক বছর পার করে দিতে পারব কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই সব শেষ। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। পার্থক্য শুধু আপনি বানিয়েছেন পাক আম দিয়ে আমি বানিয়েছিলাম কাঁচা আম দিয়ে।
পাকা আমের আমসত্ত্বা কয়েক বার খেয়েছি খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার পাকা আমের আমসত্ত্বা রেসিপি দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
পাকা আমের আমসত্ত্ব দেখতেই অসাধারণ লাগছে। খেতেও অনেক মজার হবে আশা করি। আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার আমসত্ত্ব। আশা করি এখন নিজেই তৈরি করতে পারব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমরা বাস্তবতা বুঝিনা তা নয়, তবে বুঝেও না বোঝার ভান করে নিজের গতিতে চলার চেষ্টা করি। বিষয়টি হলো তবুও ভালো থাকার নিরন্তন চেষ্টা সবাই করেই যায়।
আমি কাঁচা আমের আমসত্ত্ব খেয়েছি তবে পাকা আমের খাওয়া হয়নি। বলছিলেন চিনি বেশি হয়েছে তবুও স্বাদের হয়েছে 👌
যাক আমরাও একবার না হয় চেষ্টা করে দেখতে পারি 🤗 কি বলেন ☺️
বাস্তবতার অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত হয়ে থাকে তাই মানুষ বাস্তবতাকে এড়িয়ে চলতে চায় কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া উচিত। ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন যে চোখের ইশারা বুঝতে পারেনা তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেও বুঝতে পারবে না, ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগানো সম্ভব কিন্তু যে জেগে জেগে ঘুমায় তাকে জাগানো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি আমসত্ত্ব রেসিপি শেয়ার করেছেন এটা খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি কম বেশি সকলেরই পছন্দ তালিকায় রয়েছে আমসত্ত্ব। ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙏
একদম ঠিক বলেছেন বাতাস যে দিকে যাবে পাল সেই দিকেই উড়াতে হবে।
আমসত্ত্ব বরাবরই আমার অনেক ফেভারিট যদিও এবার বাড়ির বাইরে থাকায় খাওয়া হয়নি তবে আপনার প্রস্তুত করা খাবারটি দেখেই লোভ হচ্ছে একটু খেতে পারলে মনে হয় খুব ভালো হতো। 😋😋