হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন, না ভালো না চিন্তায় আছেন এবং পটলের ইউনিক রেসিপি খুঁজার চেষ্টা করছেন। তবে হ্যা, আর যাইহোক পটলের রেসিপি খুঁজতে খুঁজতে কেউ যেন আবার পটল না তুলে ফেলেন। স্কুল জীবনে অনেক মজা করতাম এই পটলতোলা বা পটল যাওয়াকে কেন্দ্র করে। কারন আমাদের স্কুলে একজন শিক্ষক ছিলেন একটু মোটা এবং শর্ট করে, যাকে আমরা সবাই পটল স্যার নামে ডাকতাম। ধুর স্যারের সামনে নাকি, জানের একটা ভয় আছে না হি হি হি। স্যারের আড়ালে বলতাম এসব, যাতে ধরা না খেতে হয়। পটলের রেসিপিটি সেই স্যারের নাম সামনে এনে দিলেন। তবে হ্যা, স্যার অনেক মজার ছিলেন, বিশেষ করে মেয়েদের স্কুল ছুটির সময় স্কুলের বাহিরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। মুখে তো বলতেন আমাদের মতিগতি দেখার জন্য, কিন্তু মনে মনে আর কিছু ছিল কিনা সেটা জানতে পারি নাই।
না সেসব নিয়ে এখন আর চিন্তা করি না। কিছু থাকলে থাকলো তাতে তো আমাদের কিছু আসে যেত না বরং একটু লস হয়েছে আমাদের, সুন্দর আপুদের দেখা হতে বঞ্চিত থাকতাম, হি হি হি শুধুমাত্র পটল স্যারের কারনে। পটল স্যারকে ভালো না বাসলেও এখন কিন্তু আমি পটলকে বেশ ভালোবাসি, কারন পটলের দারুণ একটা স্বাদ আছে, অনন্য একটা বৈশিষ্ট্য আছে সকল সবজিদের মাঝ হতে, যার কারনে পটলের প্রতি একটা অন্য রকম দরদ কাজ করে। তবে সেটা কিন্তু মুলোর চেয়ে বেশী না। অবশ্য পটল যদি মেয়েদের নাম হতো, তাহলে হয়তো আমি কিন্তু হয়তো বলেছি, তাহলে একটু বেশী দরদ থাকলেও থাকতে পারতো হি হি হি।
সে যাইহোক, পুরনো জিনিষ নাকি ভাতে বাড়ে কিন্তু পুরনো কথা একদমই বাড়ে না বরং মন খারাপ করে দেয়, সুদূর অতীতে নিয়ে যায়। তখন আর ফিরে আসতে মন চায় না, তাই আজ বাদ দিলাম সেসব কথা। কিন্তু কথা বাদ দিলেও রেসিপি কিন্তু বাদ যাবে না, পটলের কিছু একটা তো আজকের রেসিপিতে থাকবে। একদম ঠিক ধরেছেন মুচমুচে পটলের বড়া হবে আজ, আহ হালকা বৃষ্টির দিন, একটু ঠান্ডা ঠান্ডা পরবেশ, তার মাঝে যদি গরম গরম পটলের স্বাদের বড়া থাকে, তাহলে কেমন হবে পরিবেশটা একটু চিন্তা করে দেখুন তো, ধুর মুখে লুল আনতে বলি না শুধু চিন্তা করতে বলেছি, হি হি হি। আচ্ছা চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পটল
- পেঁয়াজ
- মসুর ডাল
- ধনিয়া পাতা
- কাঁচা মরিচ
- চালের গুড়া
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- জিরা গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে পটলের ছোকলা ফেলে ভালোভাবে কুরিয়ে নিয়েছি, এটা যতটা পাতলা করা যায় তবে একটু সাবধানে করতে হবে।
তারপর মসুর ডালকে ভিজিয়ে সাথে দুটো কাঁচা মরিচ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি, চাইলে আপনারা বেটেও নিতে পারেন।
এরপর একটা প্লেটে পটল কুরানো, মসুর ডাল পেষ্ট, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ, মরিচ ও জিরা গুড়া নিয়েছি।
তারপর সেগুলোর সাথে কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি অনেকটা ভর্তা তৈরীর মতো করে।
এরপর অল্প অল্প করে হাতে নিয়ে পেঁয়াজুর মতো করে চ্যাপ্টা করে নিয়েছি।
তারপর একটা প্যান চুলায় দিয়ে তেল গরম করে করেছি এবং সেগুলোকে তেলে ছেড়েছি।
এরপর উল্টে পাল্টে দিয়ে উভয় পিঠ ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি এবং বাদামী রং এর হওয়ার সাথে সাথে নামিয়ে নিয়েছি।
তারপর আর কিছুই নেই, কারন এগুলো এখন প্রস্তুত হয়ে গেছে। সময় এখন মুচমুচে পটলের বড়া চেক করার। আপনারা রেসিপিটি দেখুন এবং তার স্বাদটা একটু কল্পনা করুন, আহ কি স্বাদ। সত্যি দারুণ স্বাদের হয়েছিলো বড়াগুলো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাই ঠিকই বলেছেন আসলে পটলের ইউনিক রেসেপি দেখে মনে হয় সবাই খুছছে। কে কি দিবে তবে আপনার রেসিপিটাও কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে এরকম ভাবে কখনোই পটলের বড়া খাওয়া হয়নি। তবে বড়া খেতে সবসময় সুস্বাদু হয়। আপনার বড়া যে খেতে অনেক ভালো লাগবে বোঝাই যাচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ।
পটলের মুচমুচে বড়া রেসিপি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ছবিতে দেখেই বোঝা যাচ্ছে পটলের বড়া আপনি নিজের হাতে তৈরি করেছেন ভাইয়া । আসলেই আপনার দক্ষতা আছে বলতে হয় এত সুন্দর ভাবে প্রস্তুত প্রণালী করেছেন। বাড়ির পাশে হলে বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসতাম ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল পটলের বড়ার গন্ধটা নাকে এসে ধাক্কা খাচ্ছে।এত সুন্দর সুন্দর পটলের রেসিপি করা যায় এটা যদি সকলেই জানেন তাহলে তো বাজারে পটলের দর আরো বেড়ে যাবে।আপনার পটলের রেসিপি ইউনিক হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার ও পটলের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া অতীতটা শুধুই দুঃখ টাই বাড়িয়ে দেয় বিশেষ করে স্কুল জীবনের কথা মনে হলে ইচ্ছে করে ফিরে যেতে সেই সময়টা।। আমরা একবার তিন বন্ধু মিলে স্যারের নাস্তা খেয়েছিলাম রুটি আর পটল ভাজা সাথে ছিল ডিম ভাজি।।😋😋
যদিও খাবারটা চুরি করেই খেয়েছিলাম। একদিন পরে প্রাইভেটে গিয়ে স্যার কে আবার বলে দিয়েছিলাম সর্বোচ্চ কিছু বলেছিল না আমাদেরকে।
আপনার রেসিপি টি নামেও ইউনিক প্রস্তুতেও ইউনি ক খেতেও সবার থেকে ইউনিকি হবে মানে সুস্বাদুটা।।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি স্কুল জীবনে আসলেই সবাই অনেক মজা করে। আপনার স্যারকে যে আপনারা পটল সার বলে ডাকতেন এটা খুবই মজার একটি ব্যাপার। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে ভাইয়া । এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
মুচমুচে পটলের বড়া রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো ভাইয়া। আপনি অনেক সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷পটলের মুচমুচে বড়া তৈরি করে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ৷ এভাবে পটল বড়া আমি কখনো খাইনি ৷ আপনার রেসিপি দেখতে কিন্তু অনেক লোভনীয় হযেছে ৷ আশা করি খেতেও অনেক মজার এবং সুস্বাদু হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে পটলের সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
পটোলের বড়া আমার কখনো খাওয়া হয় নি।তবে বড়া ভাজার উপকরণ গুলো পড়ে এবং ফাইনালি যে বড়াটা তৈরি হয়েছে তা দেখতে অসাধারণ ছিল।না জানি খেতে কত মজার।তবে আমিও বাড়িতে ভেজা পরিবারের সবাই মিলে পটোলের বড়া ভাজা খাবো।অনেক ধন্যবাদ ভাই নতুন একটা রেসিপি তৈরি শিখলাম।
পটলের মুচমুচে বরা, দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এ ধরনের রেসিপি আগে কখনোই দেখিনি খাওয়া তো দূরের কথা। কালারটি দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা নিঃসন্দে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছিল। এভাবে একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।