আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় না ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। আসলে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে যেমন সুস্থ্যতা নিশ্চিত করা যায় ঠিক তেমনি আবার চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে কিছুই করার থাকে না আমাদের হাতে। সত্যি বলতে এখানে অনেকটাই দোদল্যমান সেই প্রচলিত শব্দটা, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। এখানে আমার দৃষ্টিতে এটা হওয়া উচিত ছিলো, ইচ্ছে থাকলে মাঝে মাঝে উপায় হয় অথবা ইচ্ছে থাকলে সর্বদা উপায় হয় না। কারন মাঝে মাঝে ইচ্ছে থাকলেও আমাদের বিপদে পড়তে হয়, প্যাঁচে আটকে যেতে হয় এবং তারপর বাড়তি খরচ গুনতে হয় অনাকাংখিতভাবে। অনাকাংখিতভাবে এই জন্য বললাম, এখানে ইচ্ছে না থাকলেও আপনাকে বাধ্য হয়ে সেটা করতে হবে।
আসলে আমরা অনেক দিক হতে অনেকভাবে পরিস্থিতির কাছে অসহায়, মাঝে মাঝে অবশ্য বন্দি হয়ে যাই। কারন তখন আর আমাদের কোন উপায় থাকে না। একটা সময় আমি ভাবতাম মানুষ জেনেও কেন অন্যায় করে? অন্যায় করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে তবুও কেন সে চোখ বন্ধ করে অন্যায় করে? সত্যি এসব নিয়ে আমি খুব চিন্তা করতাম। আপনি চাইলে আমাকে চিন্তাশীল ব্যক্তিও বলতে পারেন। মাঝে মাঝে তো বউ বলেই ফেলে এতো বেশী চিন্তাবীদ হওয়া লাগবে না, চিন্তার জগৎ বাদ দিয়ে বাস্তব জগতে থাকো তাহলে বেশী ভালো হবে। বউকে যে কিভাবে বুঝাই চিন্তার জগতে আমার ভিসা ফ্রি, যেখানে কোন ধরনের চার্জ দিতে হয় না, নেই কোন ধরনের ট্রাফিক জ্যাম, চাইলেও সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা বিশ্রাম করা যায় নিশ্চিন্তে, হা হা হা।
হ্যা, যেটা বলতে ছিলাম, চিন্তাশীল ব্যক্তিদের মতো না হলেও জাগতিক অনেক বিষয় নিয়ে আমি মাঝে মাঝে চিন্তায় ডুবে যেতাম, আসলে ভালো সাঁতার জানিতো তাই ডুবে যাওয়ার ভয়টা সব সময়ই কম ছিলো। আর এই জন্যই সুযোগ পেলে যে কোন ইস্যু নিয়ে ডুব দেয়ার চেষ্টা করতাম। সেই প্রশ্নটা নিয়ে কিন্তু এখন আর ভাবি না কারন এখন সব কিছু আমার নিকট পানির মতো পরিস্কার, মানুষ ইচ্ছে করেই অন্যায় করে কিন্তু তার পিছনে একটা মানসিক চাপ থাকে এবং বাস্তবতার নির্মম আঘাত থাকে, যখন আর কোন বিকল্প উপায় থাকে না তখন সে ইচ্ছে করে অন্যায় করে এবং চোখ বন্ধ করে সেটা করতে বাধ্য হয়। শাস্তির বিষয়টি তখন তার কাছে খুবই নগন্য কিছু মনে হয়, আপাদত তার প্রয়োজনটাকে বেশী প্রাধান্য দেয়ার দরকার হয়।
এটা বাস্তব সত্য এবং চাইলেও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। যদিও আমি নিজেও অন্যায়কারীকে পছন্দ করি না কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে আমি নিজেও সেটা করে ফেলি, না না না অন্য কিছু ভাবার প্রয়োজন নেই আমি বিষয়টি পরিস্কার করে দিচ্ছি নিজ হতে। দেখুন প্রতিদিন প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে আমার অফিসে আসতে, যে পরিমান দুরত্বে যাতায়াত করি তাতে সর্বোচ্চ ৩০ হতে ৩৫ মিনিট লাগার কথা কিন্তু ঢাকা শহর বলে কথা স্বপ্নের শহরে স্বপ্নে মতো ট্রাফিক সিগন্যাল থাকবে না তা কি করে হয়? এখন চিন্তা করে দেখুন, একটা বাস মিস করা মানেই কমপক্ষে ৩০ মিনিট দেরী করা, তাই মাঝে মাঝে বাস ধরতে ওভারব্রিজ বাদ দিয়ে সোজা রাস্তা ক্রস করে ফেলি। এখানে অনিচ্ছা সত্বেও আমাকে আইন ভঙ্গ করতে হচ্ছে ট্রাফিক জ্যামের কথা বিবেচনায় রেখে।
তাহলে এই নির্মম বাস্তবতা এবং অতিরিক্ত ট্রাফিক সিগন্যালে বা জ্যামের ভয়ে আমি বাধ্য হয়ে সামনের বাসটি ধরার জন্য আইন ভঙ্গ করলাম, অন্যায়কারী হয়ে গেলাম, কিন্তু এখানে মোটেও আমি খুশি হয়ে আইন ভঙ্গকারী সাজি নাই বরং পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে এটা আমার কাছে বেশী প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। না না না আমি মোটেও এমনটা কখনোই করি না, বরং আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে উদাহরণটি দিলাম। কারন প্রতিনিয়ত এই রকম দৃশ্য আমি দেখি নিরব স্বাক্ষী হয়ে, অনেক স্মার্ট এবং শিক্ষিত ভদ্রলোক এভাবে রাস্তা সোজা ক্রস করছেন প্রতিদিন, যদিও পাশে পাড়াপারের জন্য ওভারব্রিজ অবাক দৃষ্টিতে সকলের দিকে তাকিয়ে থাকেন আর ভাবেন এতো টাকা খরচা করে তাকে কেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, হি হি হি।
বাস্তবতা সত্যি খুবই কঠিন, কাউকে যেমন অনাকাংখিতভাবে আইনভঙ্গকারী বানায় আবার কাউকে সুক্ষ্ণভাবে ভদ্র মানুষও সাজায়। ঐ যে কথায় আছে না প্রতিটি বিষয়ে দুটো দিক রয়েছে, একটা যদি তার নেগেটিভ হয় তাহলে অন্যটি হয়ে যায় পজিটিভ। তাই টোকাই নামক ছেলেগুলো এখানে ভদ্র সেজে যায় ওভারব্রিজ ব্যবহার করে, যদিও তারা রাস্তা পাড়াপারের জন্য সেটা করেন না বরং খালি বা মানুষ শূণ্য হওয়ায় সুযোগে সেটার সদ ব্যবহার করেন। যাইহোক, চাইলেও আমরা সর্বদা সঠিক কাজটি করতে পারি না এবং নিজের মানসিকতাকে ঠিক রাখতে পারি না, এটাই প্রকৃত সত্য এবং নির্মম বাস্তবতা। ভালো থাকবেন সবাই, অন্য কোন দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আবার কিছু বলার চেষ্টা করবো এই সিরিজের মাধ্যমে।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আসলে সব ব্যাপারে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয় না। কিছু কিছু অন্যায় আমরা ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও, পরিস্থিতির শিকার হয়ে করে ফেলি। যদিও আমরা পরবর্তীতে সেটা নিয়ে ভাবি যে, এটা করা ঠিক হয়নি। কিন্তু তবুও আমাদের কিছু করার থাকে না। সেই অন্যায়টা না করলে আমরা আরো চাপে পড়ে যাই। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় প্রায়ই চোখে পড়ে লোকজন রাস্তা দিয়ে পারাপার হচ্ছে ওভারব্রীজ ব্যবহার না করে। অনেকে হয়তো পরিস্থিতির শিকার, আবার ওভারব্রীজে উঠতে অনেক মানুষের মধ্যে অলসতা কাজ করে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক তাই ভাই পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে আমরা অনেক কিছু যেমন মেনে নিতে বাধ্য হই ঠিক তেমনি বাধ্য হই অনেক কিছু করতে যদিও সেটা অন্যায় বা আইন বিরোধী। ধন্যবাদ
ইচ্ছা থাকলে যেমন উপায় হয়,তেমনি অনেক সময় পরিস্থিতির কারনে ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয়না।আমরা অন্যায়কে যেমন পছন্দ করিনা।আবার অনেক সময় নিজেরাও সেই অন্যায়টাই করে বসি।আসলে সময়মতো না যেতে পারলে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে,এ কারনে আমাদের অনেক সময় অন্যায় করতে হয়।কিছুই করার থাকে না আসলে।খুব সুন্দর ভাবে আবোল তাবোল কিছু বিষয় উপস্থাপন করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে কম বেশী আমরা সবাই অন্যায়কে অপছন্দ করি, কিন্তু আমাদের চারপাশের অবস্থা এবং বাস্তবতা মাঝে মাঝে সেটাকে করতে বাধ্য করে। অনেক ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
হাহা চিন্তার জগতে যে সব ফ্রি,এগুলো ভাবি বুঝতেই চায়না।আপনি আর একটু বুঝাবেন নইলে তাকে নিয়ে একসাথে চিন্তা করতে বসে যাবেন।তাহলে সেও চিন্তার জগতে ফ্রিতে ভ্রমণ করতে পারবে।অনিচ্ছাকৃত ভাবে আইন ভঙ্গ করেন মানুষ।এর তো যথার্থ কারণ রয়েছে জ্যামে পড়লে অফিসে দেরিতে পৌঁছাতে হবে আর সেখানেও ঝামেলা।দুই এক সময় এগুলো আইন ভঙ্গ করলে কিছু হয়না তবে নিজের জীবনের একটা ঝুঁকি থেকে যায় যদিও আপনি এগুলো করেন না অন্যরা করে।টোকাই ভদ্র সেজে ওভারব্রীজ পার হওয়ার কারণ আছে তাদের জীবিকা নির্বাহ ওইভাবেই করতে হয়।নিজেদের প্রয়োজনেই মানুষ কাজগুলো করে থাকে।ঠিকই বলেছেন বাস্তবতা অনেক কঠিন আমরা চাইলেই সবকিছু ঠিক করতে পারিনা।ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
না একদমই বুঝতে চায় না, কি করি বলুন তো একটু, হা হা হা। হ্যা, এটা সত্য যে একজনের দেখা দেখি অন্যরাও সেই অন্যায়টি করার সাহস পায়, আবার অনিচ্ছা থাকা সত্বেও অনেক সময় সেটা করতে বাধ্য হয়। ধন্যবাদ আপু কমেন্ট করার জন্য।
আমার কাছেও ব্যাপারটা আপনার মতো লাগলো! মাঝে মাঝে ইচ্ছা থাকলেও কিছু করার থাকে না আমাদের! আমি তো ভেবেছিলাম আপনি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভার ব্রিজ পার হয়ে গেছেন, হাহা! তবে এমন ছোট ছোট ঘটনাগুলো অন্যায় হলেও কিছু করার নেই। ঐ যে অফিস টাইম মিস হয়ে যাবে!
আরে না আমি মোটেও অতো চালাক মানুষ না, পরিস্থিতির কারনে যদিও মাঝে মাঝে একটু চালাক সাজার চেষ্টা করি, হা হা হা । ধন্যবাদ ভাই
এখানে ব্যাপারটি হচ্ছে ইচ্ছা থাকার সত্বেও অনিচ্ছার কারণ হয়ে গেছে। কারণ ইচ্ছে করছে যে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাটবো। কিন্তু একদিকে গাড়ি এসে জ্যাম লেগে গেল। বাধ্য হয়ে রাস্তার ওইপাশ দিয়ে আমাকে যেতে হল। তো ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছেটা হলো না। ইচ্ছে করতেছে টাকা খরচ করব না। কিন্তু বউয়ের যন্ত্রণায় আর পারলাম না। মার্কেটে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করতে হলো হা হা হা। তো আসলেই আপনার লেখাগুলো খুবই মজা পেয়েছি ভাইয়া। এতক্ষন মজা করলাম এবার আসল কথায় আসি। কথা হচ্ছে ইচ্ছে করে থাকলে আসলেই উপায় হয়। ইচ্ছে থাকা হচ্ছে বড় কথা চেষ্টা ও করতে হবে তাহলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
আসলে বাস্তবতা আমাদের মাঝে মাঝে এক জটিল অবস্থানে দাঁড় করি দেয়, তখন অন্যায়গুলোকেও খুব সহজ কিছু মনে হয় এবং সেটা আর মানতে চায় না হৃদয়। ধন্যবাদ
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন সবসময় ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় না। কারন অনেক সময় আমাদের বিভিন্ন চাপে পড়েও ভুল কাজ করতে হয়। আবার মাঝে মাঝে নিজের ইচ্ছে মত কিছু করতে চাইলেও সেটা হয়তো কোন কারনে সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আর হ্যাঁ আপনার উদাহরণটা দেখে তো প্রথমে ভেবেই নিয়েছিলাম যে আপনি হয়তো বা অফিস টাইমে লেট হয়ে যাবেন বলেই ওভারব্রিজ দিয়ে না পার হয়ে সরাসরি রাস্তা দিয়ে রাস্তা পার হন। হাহা যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হা হা হা, আরে না আমি অতোটা চালাক নই ভাই, তবে বাস্তবতাটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। ধন্যবাদ