শোল মাছ ভুনা রেসিপি || Bengali Food Recipe by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
মাছের প্রতি আমার ঝোঁকটা ছোট বেলা হতেই নাকি একটু বেশী ছিলো, না এই কথা আমি বলছি না বরং আমাদের পরিবারের বড়রা আমাকে বলেছে। যদিও এখনও মাছের প্রতি আমার আকর্ষণটা বরাবরের মতো বেশীই আছে। যেহেতু আমি মাংস জাতীয় খাবার একটু কম পছন্দ করি। যেগুলোকে আপনারা রিচ ফুড নামে অবিহিত করেন, সেগুলো আমি চেষ্টা করি এড়িয়ে যাওয়ার। কারন এগুলোতে আমি তেমন একটা স্বাদ খুঁজে পাই না, হয়তো আপনারা ঠিকই স্বাদ পান।
আমি সত্যি বলতে ভাতে-মাছে বাঙালি, তাই মাছ ছাড়া আমার একদমই চলে না। যেহেতু দুপুরের খাবার বাড়ী হতে নিয়ে যাই, তাই ছয়দিনের মাঝে ছয়দিনই আমার দুপুরের খাবারের মেন্যুতে মাছ থাকে। এটাকে মাছের প্রতি ভালোবাসা কিংবা অবিচার যাই বলুন আপনি, আমি কিন্তু থামছি না, এইডা নিশ্চিত করে দিচ্ছি, হি হি হি হি। কারন এটা ছাড়া আমার একদমই চলে না। আর যদি সেটা ভুনা কিংবা ভাজা মাছ হয়, তবে আমার অন্য কোন তরকারির প্রয়োজন নেই, থাকলেও আমি ঐদিকে তাকাবো না। কারন মাছের মজাটা নষ্ট করতে রাজি না আমি।
বুঝতেই পারছেন, মাছের প্রতি আকর্ষণ কিংবা ছুছুমিটা একটু বেশীই প্রকাশ করে থাকি আমি। এই জন্য মাছদের খুশি কিংবা কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত আমার প্রতি। কারন একজন সত্যিকারের ভালোবাসার লোককে তো তারা চিনে গেলো। মজা করলাম আরকি, একটু মজা না করলে লেখাগুলো পড়ে কেউ মজা পাবে না। যাইহোক, বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই যে আমি আজ আপনাদের সাথে মাছের রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। হ্যাঁ, আজ আমি শোল মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করবো। অনেকেই বলে থাকেন, শোল মাছের ভুনার কাছে মাংসের যে কোন জনপ্রিয় ডিস ফেইল করতে বাধ্য। চলুন তাহলে দেখি আজকের শোল মাছের রেসিপি-
উপরকরণঃ
- শোল মাছ
- টমেটো
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- আদা পেষ্ট
- ধনিয়া পাতা
- লবন এবং
- তৈল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মাছগুলোকে ভালোভাবে কেটে পরিস্কার করে নেব এবং তারপর গুড়া মসলাগুলো দিয়ে সেগুলোকে সুন্দর করে মাখাবো।
তারপর একটি প্যানে কিছু তেল দিয়ে গরম করবো এবং মসলা মাখানো মাছগুলোকে কিছুটা ভেজে নিবো। ভাজা শেষে মাছগুলোকে নামিয়ে অন্য একটি পাত্রে রাখবো।
এরপর একটি কড়াই দিবো চুলায়, তারপর পুনরায় কিছু তেল দিয়ে গরম করবো।
তেল গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি, হলুদ, মরিচ, আদা, জিরা এবং ধনিয়া গুড়া দিয়ে সুন্দর করে কষা করবো।
এরপর এগুলো সাথে টমেটো স্লাইসগুলো দিয়ে আরো কিছুটা সময় কষা করবো এবং পানিগুলো একদম টানিয়ে ফেলবো।
এখন আমরা এগুলোর সাথে মানে কষানো উপাদানগুলো সাথে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিবো এবং এগুলোর সাথে মিক্স করবো।
তারপর অল্প কিছু পরিমানে পানি দিয়ে এগুলোকে ভালোভাবে রান্না করবো কিছুটা সময়, যাদে মসলার ফ্লেভারগুলো মাছের সাথে মিশতে পারে, সাথে ধনিয়া পাতা দিবো। পানি কিছুটা কমে আসলে নামিয়ে ফেলতে পারেন। আপ যদি ঝোল পছন্দ না করেন তবে ঝোল টানিয়ে নামাতে পারেন। আমি কিছুটা ঝোল রাখার পক্ষে।
এবার দেখুন রান্নাটা কেমন হয়েছে, যদিও আমি কিছুটা ঝোল রেখেছি। হয়ে গেলো আমাদের আজকের শোল মাছের ভুনা রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে রেসিপিটি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
এই মাছটা আমার খুব পছন্দের একটা মাছ। আপনি যে ভাবে রান্না করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে খেতে। শোল মাছ একটু বড় সাইজের হলে সেটার টেস্ট হয় আরো বেশি। ধন্যবাদ ভাই।
মাছ জিনিসটা ছোট থেকেই আমার একটু অপছন্দ। এই অসময়ে পাকা টমেটো বাহ। শোল মাছের রেসিপি টা দেখে ভালোই মনে হলো। স্বাদ কী রকম ছিল ভাই??
ভাই সেটা আর বলতে, ঐ যে বললাম মাংস ফেইল এটার কাছে। দারুন স্বাদ হয়েছিলো।
🙂🙂
শোল মাছ এর তরকারি আমি সবসময় পাতলা ঝোল মতো রান্না করেছি তবে টমেটো দিয়ে করিনি কখনো, আলু দিয়ে করে থাকি। আলু না হলে আমার কাছে তরকারি যেন জমে না ঠিক মতো। যাইহোক আপনার রেসিপিটা দারুন হয়েছে।
হ্যা, আমরাও মাঝে মাঝে ঝোল খাই তবে একটু কম, বেশীর ভাগ সময় আমরা ভুনা খেতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ
শোল মাছকে আমাদের দিকে বনালু মাছ বলে এই মাছ খেতে ভারি সুস্বাদু তাই এটার দাম ও বেশি। ভাই সুন্দর ভাবে রান্না টা উপস্থাপন করেছেন। কোন এক দিন সময় হলে আমাদেরকে ও খাওয়ার সুযোগ দিয়েন রান্না করে।
ধন্যবাদ ভাই।
হ্যা, তুলনামূলক ভাবে এই মাছটার দাম বেশী থাকে, তবে স্বাদও েএকটু বেশী।
শোল মাছ অনেক মজার একটি মাছ। তবে সবসমই এই মাছ খাওয়া হয়না। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই শোল মাছ রান্না করার প্রসেস গুলো শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম তাই, ধন্যবাদ।
ভাইয়া, সত্যি বলতে আজ আপনার রেসিপির সাথে আমাদের বাড়ির রেসিপিটি মিলে গেছে।আমাদের বাড়িতে ও ক্যানেল থেকে ধরা নারিকেলের দুধ দিয়ে শোল মাছ রান্না হয়েছিল।যদিও আমি মাছটি খাইনি তবে তরকারির স্বাদটি ভালো লেগেছিল।আপনার রেসিপিটি ও অনেক সুন্দর ।ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুনে খুশি হলাম, তাহলে তো আমাদের স্বাদটাও সেম হবে। ধন্যবাদ
হ্যাঁ, ভাইয়া।
শোল মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ। আপনার রেসিপিটি দেখে গরম ভাত দিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে।ভাইয়া চলে আসব নাকি? ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার একটি মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শোল মাছ আমার পছন্দের খাবার। রেসিপির বর্ণনা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও ভাই, খেতে বেশ লাগে আমার কাছে।
এখনও সকালের নাস্তা শেষ হয়নি। তবে আপনার শোল মাছ এবং টমেটো রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব দ্রুতই আমাকে বাজারে যেতে হবে। তবে বাজারে গিয়ে যদি শোল মাছ আর টমেটো না মেলে তবে অবশ্যই
আপনার বাসায় আমার দাওয়াত রইলো
অন্ততপক্ষে যে এই রেসিপিটি দেখেছে তার অবশ্যই খেতে মন চাইবে।।
জিভে জল আসার মত রেসিপি টা অনেক মজাদার অবশ্যই
খুবই স্বাদের একটি মাছ,মজার ব্যাপার হলো গতকালই বাবা একটি বড় শোল মাছ কিনে এনেছে।
আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর ছিল আর আশা করি রান্নাটিও চমৎকার করেছেন🥰