প্রকৃতির সজীবতার সাথে অনুভূতি যত কথা || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং জীবনের সময়গুলোকে উপভোগ্য রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আসলে আমরা যদি আমাদের অবস্থান হতে যে কোন বিষয়ে সঠিকভাবে চেষ্টা করতে পারি তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা জীবনের সময়গুলোকে উপভোগ্য রাখতে পারবো, হোক সেটা সফলময় সময় অথবা ব্যর্থতায় মোড়ানো কিছু। কারন আমরা যদি সময়কে উপভোগ্য রাখতে পারি তাহলে সফলতা কিংবা ব্যর্থতাতে আমাদের কিছুই আসবে যাবে না বরং সময়গুলো ঠিকই উপভোগ্য থাকবে, একটু চিন্তা করে দেখুন তাহলে ঠিক বিষয়টি বুঝতে পারবেন। আর এই কারনে অভিজ্ঞরা সর্বদা বলেন জয়-পরাজয় না বরং কাজকে ভালোবাসতে শিখুন এবং আনন্দকে প্রাধান্য দিতে শিখুন, সত্যি তারা যথার্থই বলেছেন। আমিও তাদের সাথে সহমত পোষণ করছি।
আজকের টাইটেলেই বলে দিয়েছি যে আজ পুনরায় কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো এবং তার সাথে সাথে যথারীতি নিজের অনুভূতি শেয়ার করবো। একটা বিষয় শুরুতে বলে নিচ্ছি, আমরা কিন্তু ধীরে ধীরে প্রকৃতি হতে বেশ দূরে সরে যাচ্ছি, কারন আমাদের চোখে মুখে শুধু একটাই স্বপ্ন আর সেটা হলো ইট পাথড়ের দালার, উন্নয়নের জোয়ারে নিজেকে সংযুক্ত করা। সত্যি বলতে আমরা দিন দিন যত বেশী প্রকৃতির নিকট হতে দূরে সরে যাচ্ছি, ঠিক ততো দ্রুত নিজেদের মানসিক রোগী হিসেবে হাজির করছি। এটা আধুনিক বিজ্ঞান বহু আগে প্রমাণ করেছে যে, প্রকৃতি এবং প্রকৃতির সজীবতা আমাদের শুধু মানসিকভাবে সতেজ ও কর্মচঞ্চলই রাখে না বরং আমাদের মানসিক অস্থিরতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য যে, আমরা এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের বাণীকেও প্রাধান্য দিচ্ছি না, কারণ ঐ যে আমাদের চোখে মুখে ভিন্ন স্বপ্নে লেভেল।
যার কারনে আমরা জাগ্রত থেকেও ঘুমের মাঝে আচ্ছন্ন রয়েছি, আমরা দেখেও না দেখার অবস্থানে রয়েছি, আমরা বুঝেও অবুঝের মতো আচরণ করছি। দেখুন এই ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষিত সমাজ কিন্তু সবার আগে অবস্থান করছি। গ্রামের অশিক্ষিত কিংবা কৃষি কাজের সাথে জড়িত সেই তথাকথিত নিচু শ্রেনীর মানুষগুলো কিন্তু এই কাজটা করছে না বরং তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকৃতি ধ্বংসের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কি জানেন তো, তারা অশিক্ষিত কিংবা নিচুর কাজের সাথে জড়িত তাই তাদের প্রতিবাদ কোন কাজেই আসে না, তাদের আওয়াজ খুব দূর পর্যন্ত পৌঁছায় না। যার কারনে প্রকৃতি ধ্বংসের জোয়ার থামানো যাচ্ছে না, থামানো যাচ্ছে না আমাদের ধ্বংসের জোয়ার আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনিরাপদ আবাসভূমি। কারণ আমরা যা করছি তার পুরো ফলাফলটা ভোগ করবে আমাদের আগামী প্রজন্ম।
না এই ক্ষেত্রে আমি এটা বলবো না যে, আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। কারন আমরা তো বুঝে শুনে এই কাজগুলো করছি। যদি না বুঝে করতাম তাহলে হয়তো শুভ বুদ্ধি উদয় হোক কথাটা ঠিক ব্যবহার করতাম। এখন আর এটা ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, কারন জেনে বুঝে নিজের ক্ষতি নিজে করে, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হলেও কোন কাজে আসবে না কারন ততোক্ষনে অনেক বেশী দেরী হয়ে যাবে এবং যা ক্ষতি হওয়ার সেটা হয়ে যাবে। কারন প্রকৃতি একবার ধ্বংসের মুখে গেলে, প্রকৃতি একবার তার আগ্রাসী রূপে ফিরে আসলে সেখান হতে ফিরিয়ে আনার পথটা খুব একটা সহজসাধ্য নাও হতে পারে। তাই সেই সুযোগটা খুব বেশী আমরা পাচ্ছি না বা পাবো না, এটাই বাস্তবতা।
থাক সেসব কথা, যা আমি প্রায় বলে থাকি প্রকৃতির ফটোগ্রাফির সাথে সাথে। কারন আমার উপলব্ধি আমাকে বার বার তাড়া করে এবং অনুভূতিগুলোকে সামনে আনতে সহযোগিতা করে, তাই আমি আমার মতো করে ধারাবাহিকভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করি, হয়তো কেউ শুনবে না, হয়তো কারো কাছে এগুলো বোধগম্য হবে না, কিন্তু তাতে কি? আমি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছি, নিজেকে সতেজ সজীবতায় চঞ্চল রাখতে চেষ্টা করছি এবং ভালো লাগা অনুভূতিগুলোকে শেয়ার করে নিচ্ছি। ঐ যে একটা কথা আছে না, আমার পথে না দাঁড়ালে আপনি বুঝবেন কিভাবে প্রকৃতির সজীবতা কতটা আনন্দ দেয়, প্রকৃতির সজীবতা কতটা সতেজ রাখে। দূর হতে সব অনুভূতি কিভাবে বুঝবেন? সেটা কোন দিনও সম্ভব না। তাই আমার পথে আমি দাঁড়িয়ে নিজের উপলব্ধি শেয়ার করে যাই।
আশা করছি প্রকৃতির চিন চেনা গ্রামীন পরিবেশের এই দৃশ্যগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে এবং সতেজতার সজীবতা অনুভূতিকে নাড়া দিবে, যাতে দূর হতে না বুঝার চেষ্টা করে বরং প্রকৃতির মাঝে-প্রকৃতির সজীবতা উপভোগ করে বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। মাঝে মাঝে একটু আসুন না প্রকৃতির মাঝে, প্রকৃতির নিরর পরিবেশের মাঝে, কিছু অনুভূতি চঞ্চল করুন না প্রকৃতির সজীবতায়, দেখুন না কতটা সুন্দর অনুভূতি জাগ্রত হয় হৃদয়ের মাঝে।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে চারপাশে এত ইট পাথর সিমেন্টের দালান তৈরি হচ্ছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হচ্ছে,আমাদের মনটাও যেন তেমনই পাথরে পরিণত হচ্ছে।
আসলে ছোটবেলায় গল্প পড়েছিলাম। বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, কিন্তু এখন দেখছি বাঁশ বাগানের মাথার উপর সূর্য্যি মামা উঁকি দিচ্ছে।
আপনি অসম্ভব সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।যেগুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জানা খুব প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এতদিন আমি জানতাম বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ ওঠে। কিন্তু এক্ষণ দেখছি বাঁশ বাগানের মাথার উপর সূর্য ও দেখা যায়। আর আমরা যদি আমাদের এই ব্যর্থতাকে নিয়েই থাকি তাহলে আমরা কোনো দিনও সফল হতে পারবো না। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
একদমই বাস্তবধর্মী কিছু কথা বলেছেন ভাই। আসলে ইট পাথরের জন্জালের মাঝে নিজদের মনটাও পাথরের মতো হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ভেতরের আবেগ অনুভূতি অনেকটাই চাপা পরে যাচ্ছে আভিজাত্যের চাদরে মুড়িয়ে। আর যারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে যারা থাকে কিংবা আগলে রাখতে চায় তাদের আমরা আনস্মার্ট বলে ব্যাঙ্গ করি।
সফলতা পেছনে ছুঁটলে সফলতা না পেলে অনেক বেসবি হতাশা ভর করে মনে।আর কাজকে ভালোবাসলে সে কাজ না পারলে দ্বিগুণ উদ্দীপনায় আবার কাজ করা হয়।অনেকটা তফাৎ আছে আসলে।আর প্রকৃতি আমাদের জন্যে আসলে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই বুঝা যায়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সফলতা সবাই পছন্দ করে। সফলহীন জীবন কারোই কাম্য নয়।সফল না হলে মানুষ হতাশ হয়েও আবার নতুন করে শুরু করে সফলতাকে ছিনিয়ে আনতে, যাদের ভেতর আত্মবিশ্বাস আছে।আর যারা দুর্বল তারাই হতাশায় বসে পরে।প্রকৃতির মাঝে অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। খুব ভাল লাগলো। আসলে প্রকৃতির পাশে গিয়ে না দেখা হলেও ফটোগ্রাফিতে ও সবুজ দেখতে বেশ ভাল লাগে।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
জগতে সকলে চাইলে সফল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে। তবে সবাই সফল ব্যক্তি হতে পারে না। না হওয়ার পিছনে বিশেষ অনেক কারণ থেকে থাকে। যারা অনেক প্রচেষ্টার পরেও সফল হতে পারেনা তাদের মনের মধ্যে ডিপ্রেশন সৃষ্টি হয়ে যায়। যাই হোক অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে আপনি বেশ সচেতন মূলক কথা উপস্থাপন করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।
সত্যি ভাইয়া আমরা দিন দিন প্রকৃতি থেকে সরে যাচ্ছি। সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পরিবেশ থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে ইট পাথরের তৈরি মরুভূমির মধ্যে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করছি। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। তবে কয়েকটি ফটোগ্রাফি কিছুটা ঝাপসা দেখাচ্ছে। একই সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আপনার অজান্তে কয়েকটি বানান ভুল হয়ে গেছে আপনার পোস্টে।