অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২৪)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। যদিও এই ক্ষেত্রে আমাদের এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত, পরিবেশ এবং পরিস্থিতি কোনটাই এখন আর আমাদের হাতে নেই। অনেকটাই আল্লাহর দয়ার উপর নির্ভর করছে। আমাদের চারপাশের পরিবেশ দেখে অনেক বিদেশীই অবাক হয়ে যায়, এতোটা নাজুক অবস্থার মাঝেও আমরা কিভাবে টিকে আছি। কারন এতোটা বিষাক্ত পরিবেশ এবং নোংরা চারপাশ, যা মাঝে মাঝে আমাদের নিজেদেরকেই হতাশ করে। কোন কিছুতেই সঠিক নিয়মের বালাই নেই, মনে হয় কেউ কোন কিছুর জন্য দায়বদ্ধ নয়, তাই এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যথাও নেই।
যাইহোক, আমরা লাচ্ছি খেয়ে কিছুটা এনার্জি ফিরে পেলাম এবং দ্বিগুন শক্তি নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। যদিও তখন আকাশ মেঘলা হয়ে আসে এবং হালকা বৃষ্টিপাতও শুরু হয়। আমরা দ্রুত হাঁটতে শুরু করি এবং চারপাশের দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে থাকি। যেহেতু হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছিলো তাই ফটোগ্রাফি করার সুযোগ পাই নাই। মাঝে মাঝে অবশ্য কিংপ্রস ভাইকে জিজ্ঞেস করতেছিলাম আর কত দূর এবং তারপর কোন দিকে যাবো। অবশ্য তখন পেটে বেশ ক্ষুদা ছিলো। তাই নিজামস যেতে আর কত সময় লাগবে সেটা জানার চেষ্টা করছিলাম, হি হি হি। আর সবার মাঝে আমার হাঁটার স্পিড ছিলো বেশী।
আমরা যেহেতু সবার আগে ছিলাম, তার কলকাতা পৌরসভা সংস্থার কাছে আমি আগেই পৌছে যাই। তখন অবশ্য বৃষ্টি থেমে গিয়েছিলো। অনেক পুরনো বিল্ডিং কিন্তু বেশ সুন্দর লাগছিলো দেখতে। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম এবং অপেক্ষা করতে লাগলাম সুমন ভাই আর আরিফ ভাইয়ের জন্য। অবশ্য সেই ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে হি হি হি। পুরনো ধাঁচের ডিজাইন হলেও দেখতে দারুণ লাগছিলো। কিন্তু অনেকটা আমাদের নগর ভবনের মতোই। কারণ সেটার সামনের ফুটপাত এবং বিল্ডিং ঘেষেই বেশ হকারের উপস্থিতি ছিলো। দুই পাশের ফুটপাতগুলোই ছিলো হকারদের দখলে, যেমনটা দেখা যায় আমাদের শহরে।
তারপর আবার হাঁটতে শুরু করলাম, অবশ্য তখন দূর হতেই নিজামস এর দোকানের লাইটিং দেখা যাচ্ছিলো। আমরা সামনের দিক দিয়ে না ঢুকে আরো কিছুটা এগিয়ে যাই সামনে তারপর অপর পাশের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি। তারপর চারপাশের পরিবেশটা দেখার চেষ্টা করি। এরপর ভেতরের দিকে একটা টেবিলে গিয়ে বসি এবং আলোচনা করি খাবার গিয়ে বসে খাবো নাকি পার্সেল নিয়ে খেতে খেতে পরবর্তী ভিজিটে যেতে থাকবো। খাবারের মেন্যুও দেখে নিচ্ছিলাম সেই ফাঁকে ফাঁকে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে খাবার পার্সেল করে নিয়ে যাবো এবং ট্যাক্সিতে বসেই সেটার স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করবো।
খাবার অর্ডার করে আমরা বিল পেইড করে দিলাম এবং যেখানে অর্ডার সার্ব করা হয় সেদিকে চলে গেলাম। উদ্দেশ্য ভেতরটা দেখা এবং আরো কিছু ফটোগ্রাফি করা। সেদিকটা ছিলো কাঁচের গ্লাসে ঢাকা। আমরা অবশ্য তাদের সাথে কথা বলে ফটোগ্রাফি করার পারমিশন নিয়ে নেই এবং সবাই ভেতরের দৃশ্য ক্যাপচার করার চেষ্টা করি। তারপর খাবার নিয়ে ট্যাক্সি ক্যাবে উঠার আগেই স্বাদটা চেক করে নিই। সত্যি দারুণ স্বাদ ছিলো। খেতে খেতে আফসুস করতেছিলাম আরো বেশী কেন অর্ডার করলাম না হি হি হি। সত্যি দারুণ স্বাদটা আমাদের মুগ্ধ করলো, কিংপ্রস ভাই খাবারের যে প্রশংসা করেছিলো সেটা আমাদের কাছে অনেক কম মনে হচ্ছিল, স্বাদটা তার চেয়ে বেশী ভালো ছিলো। ট্যাক্সি ক্যাব চলতেছিলো হাওড়া ব্রিজের উদ্দেশ্যে, পরের পর্বে হাওড়া ব্রিজের অনুভূতি শেয়ার করবো।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
এই কাঠি কাবাব যা স্বাদের ছিলো 🤤👌👌
আবার কখনো কলকাতা যাওয়ার সুযোগ হলে এই নিজামির কাঠি কাবাব রোল খেতেই হবে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দেখেই তো মনে হচ্ছে খাবারটি অসাধারণ ছিল। কলকাতায় হৃদয়ের টানে যাওয়া ঘোরাঘুরির পর্বগুলো দারুন ছিল। সেই সাথে অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল আপনাদের। অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
হাঁটার স্পিড বেশি হলে তাকে দৌড় বলে ভাইয়া😅😅। তার মানে দৌড়ে দৌড়ে চলে গিয়েছেন। যাইহোক খাবারের স্বাদ অনেক বেশি ছিল জেনে ভালো লাগলো। আমরা বাঙালিরা খাবার খেতে সব সময় পছন্দ করি। যাই হোক ভাইয়া হাওড়া ব্রিজে যাওয়ার অনুভূতি জানার অপেক্ষায় রইলাম।
খুব তো ঘুরাঘুরি করলেন আর খাবারটা এক কামড় খেয়ে টেস্ট বুঝেই ফটোগ্রাফিটি করলেন।খাবারটা মজার ছিল খুব জানলাম।সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।আপনারা আবার কলকাতা গেলে এই খাবারটা আবার ট্রাই করবেন সম্ভবত আরিফ ভাইয়ার পোস্টে অনেক দিন আগেই পড়েছিলাম।হাওড়া ব্রিজের কথা অনেক শুনেছি।আশাকরি পরবর্তী পোস্টে জানবো সেই বিষয়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।