"কাঁচা বরই ভর্তা/মাখা রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি ভিন্নধর্মী রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটা ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।
কাঁচা বরই ভর্তা/মাখা রেসিপি:
বন্ধুরা,কথায় বলে- মা সরস্বতী পূজার আগে নাকি বরই খেতে নেই।কিন্তু এখন পূজা এতটাই পিছিয়ে হয় যে,তখন বরই খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়।আমাদের বাড়ির গাছের বরই এক সপ্তাহ গেলেই পাক ধরবে।তাছাড়া যেগুলো বড় হয়েছে সব পাখিতে খেয়ে যাচ্ছে। তাই আজ আমি কিছু বরই ঘরের চালে উঠে নামিয়েছি।বেশ স্বাদের আমাদের বাড়ির বরইগুলি।সময়ের জিনিস সময়ে তো খেতেই হবে তাইনা!তাই আজ আমি কাঁচা বরই ভর্তা/মাখা করেছি।এটি খেতে বেশ টেস্টি হয়েছিল।আমি এতে ধনিয়া পাতার বদলে সরিষা পাতা যুক্ত করেছি ।কারন ধনিয়া পাতার গন্ধ আমার কাছে ভালো লাগে না।যাইহোক তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
■উপকরণসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বরই | |
সরিষা শাক | |
কাঁচা মরিচ | 3 টি |
লবণ | 1 টেবিল চামচ |
চিনি | 1 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1 চিমটি |
■প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কিছু বড় বরই নামিয়ে নিলাম গাছ থেকে।
ধাপঃ 2
এরপর জল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলাম বরইগুলি।
ধাপঃ 3
এবারে আমি কাঁচা মরিচ কুচি করে নিয়ে হালকা শীল পাটার সাহায্যে ছেঁচে নিলাম সঙ্গে কয়েকটি সরিষা শাকও।
ধাপঃ 4
একইভাবে আমি বরইগুলিও শীল পাটার সাহায্যে ছেঁচে নিলাম।
ধাপঃ 5
তো সবগুলো বরই আমার ছেঁচে নেওয়া হয়ে গেছে।
ধাপঃ 6
এবারে আমি সরিষা শাক ও কাঁচা মরিচ মিশিয়ে নেব বরইয়ের সঙ্গে।
ধাপঃ 7
এখন লবন, হলুদ ও চিনি মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এরপর হাত দিয়ে মেখে নিলাম সব উপকরণ।
সর্বশেষ ধাপঃ
তো তৈরি হয়ে গেল আমার ঝাল ঝাল মিষ্টি মিষ্টি কাঁচা বরই ভর্তা রেসিপি।
পরিবেশন
এখন এটি পরিবেশন করতে হবে।এটি খুবই মজার খেতে ।আমি তো দুপুরে রোদে বসে জমিয়ে খেয়েছি।আপনারা ও চাইলে ট্রাই করতে পারেন।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের বরই ভর্তা রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপু ছবি দেখেই তো লোভ লাগিয়ে দিলেন।আপনাদের গাছের বড়ই মজা তা কেন একা একা খাচ্ছেন আমাদের ও কিছু দিয়েন।এভাবে ভর্তা বানালে খেতে বেশ দারুন লাগে।কাঁচামরিচ দিলে তো তা অন্যরকম স্বাদ আর ফ্লেবার আসে।আপনারা সরিষা শাক দেন আর আমাদের এখানে ধনেপাতা দিয়ে থাকে খেতে বেশ ভালো লাগে।মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু,আমাদের এখানে ও সবাই ধনেপাতা দেয়।আমি একটু ব্যতিক্রম করেছি ধনেপাতা পছন্দ নয় তাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্! বড়ই ভর্তা রেসিপি। দেখেই জিহ্বে জল এসে পড়লো😋। কাল আমাদের বাসায় বড়ই আচার বানানো হয়েছিল।
কিন্তু বড়ই ভর্তা বানানো হয়নি😔।যাই হোক আপনার রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
বড়ই আচার বাহ,খুব ভালো।আপনার কাছে আমার রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এভাবে সরিষা শাক দিয়ে কখনও বড়ই মাখা খাওয়া হয়নি। ধনেপাতা দিয়ে খেয়েছি। দেখে মনে হচ্ছে ভালই লাগবে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
আপু ,খুবই ভালো লাগে খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার পোস্ট দেখে আবার শৈশবে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছা করতেছে। বিশেষ করে বিকেল বেলা বন্ধুদের সাথে অন্যের কাছের বড়ই মাখা এমন করে করে খেতাম। খেতে খুবই ইচ্ছে করতেছে। কাঁচামরিচ দেওয়াতে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কাঁচা মরিচ দিয়েই বেশি ভালো লাগে খেতে,ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি আপনার বরই ভর্তা দেখে জিভে জল চলে আসলো। সেই কবে এভাবে খেয়েছি আমার মনেও নেই। আমার কাছে ধনিয়া পাতা দিয়ে এই ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। সরিষা পাতা দিয়ে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ভর্তার রেসিপির ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ জিভে জল আসা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সরিষা পাতা দিয়ে একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন সময়ের জিনিস সময়ে সময় খাওয়ার মজাই আলাদা। কাঁচা বড়ই মাখা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে সরিষা পাতা এবং হলুদ দিয়ে মুখে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে। খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সরিষা পাতা দিয়ে একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে
আসলে মেয়েরা টক বেশি খায় এটা আর নতুন কিছু না ৷ তবে দিদি এটা ঠিক যে স্বরসতী পুজো না হওয়া পযন্ত খাওয়া যায় না ৷ তবে এখনকার সময়ে আর আগের কিছু মানে না ৷ কাচাঁ বড়ই ভর্তা মাখা দেখে আমারো জিভে জল এসে গেছে ৷ অনেক ভালো লাগলো দিদি ৷
দাদা,আগের কিছু মানতে গেলে এ বছরে আর বড়ই খাওয়া জুটবে না।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু আপনার কাঁচা বরই ভর্তা দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। কতদিন হয় এই কাঁচা বরই ভর্তা খাই না ।ইস যদি একটু খেতে পারতাম। সত্যিই চমৎকার লাগে এটি খেতে ।তবে সরিষা শাক দিয়ে কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি। ধনিয়া পাতা দিলে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমি ধনিয়া পাতার গন্ধ নিতে পারি না আপু।এভাবে খেয়ে দেখবেন দারুণ টেস্টি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু এখন বরই সিজন গাছে গাছে বরই দেখা যাচ্ছে। বাজারেও নতুন নতুন বরই দেখতে পাচ্চি। তবে এখনও বরই খাওয়া হয়নি। আপনাকে দেখলাম সরিষা শাক সহ কয়েক প্রকারের উপকরন দিয়ে কাঁচা বরই ভর্তা মাখা রেসিপি শেয়ার করলেন। দেখে মনে হয় অনেক টেষ্টি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।