"একটি ব্যস্ত দিনের গল্প"
নমস্কার
একটি ব্যস্ত দিনের গল্প:
জীবন মানেই ব্যস্ততা।আর এই ব্যস্ত জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত নেওয়া পদক্ষেপ, ভালো-খারাপের বিচার করা ,কখনো বা ভালো-মন্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া।তেমনি সকলের জীবনের মতো আমার জীবনেও কিছু ব্যস্ততা কাজ করছে।
এইতো কয়েকদিন আগেই একটি সেমিস্টারের ফাইনাল এক্সাম দিলাম।কিন্তু সময় খুবই স্বল্প,যতই একেকটি সেমিস্টার পার করছি ততই সিলেবাস বাড়ছে।ফলে পড়ার চাপও বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু সময় কমছে।যখন ফার্স্ট সেমিস্টারে কলেজে যেতাম,স্যার-ম্যামরা পইপই করে বলতেন--- "প্রথম সেমিস্টারটা হেসে-খেলে,আনন্দ করে নাও।পরের সেমিস্টারগুলিতে সময় পাবে না।"
সেইসময় টিচার্সদের কথায় তেমন গুরুত্ব দেয়নি আমরা কেউ।কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একেকটি সেমিস্টার যেন চোখের নিমিষেই চলে যাচ্ছে।তখন কত বন্ধু হয়েছিল কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব বন্ধু কোথায় জানি উধাও,সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।মূলত একেকটি সেমিস্টার ছয় মাসের করে থাকে কিন্তু চার মাসের মধ্যেই যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে।পূজার পরেই আবার আরেকটি সেমিস্টারের ফাইনাল এক্সাম হবে তাই চিন্তার শেষ নেই।
বৃহস্পতিবার সারারাতের পেটে যন্ত্রণা নিয়ে সকালে উঠেই প্রস্তুত হলাম টিউশনি পড়তে যাওয়ার জন্য।কারন সামনে পূজার ছুটি তাই এখন স্যার অনেক করে নোট দিচ্ছেন।তাই পড়া মিস না দিয়ে সকাল 7 টার বাস ধরে আমাদের স্টেশন নামলাম।তারপর ট্রেনের টিকিট কেটে 7.22 এর ট্রেন ধরে বর্ধমান স্টেশনে নামলাম।এরপর দেড় কিলোমিটার হেঁটে স্যারের বাড়ি গেলাম।আমাদের বাড়ি থেকে স্যারের বাড়ি 17 -18 কিলোমিটার দূরে।এক্সামের পর থেকে অনেক দিন কলেজ যাওয়া হয় না।তাই পড়া শেষ করে টোটো ধরে কলেজ চলে গেলাম ক্লাসের খবরাখবর জানতে আর বই কিনতে।
কলেজ গিয়েই ক্যান্টিন থেকে টিফিন করে নিলাম।তারপর 12 টার সময় আমাদের ম্যাম একটি ক্লাসে কিছু নোট লেখালেন।আমরা সবাই কলেজ থেকে বেরিয়ে পড়লাম,এখন কলেজে তেমন ক্লাস হয় না।আমি কিশলয় বইয়ের দোকান থেকে চারটি পেপারের একটি সর্ট প্রশ্নের বই ও একটি খাতা কিনে নিলাম 278 টাকা দিয়ে।তারপর আবার টোটো ধরে সোজা বর্ধমান স্টেশনে নেমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম ট্রেনের জন্য।তারপর কিছু টিফিন কিনে 1.40 এর ট্রেন ধরলাম।সবশেষে আমাদের স্টেশনে নেমে আবারো টোটো ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।কিন্তু মাঝপথে আমাকে আবারো টোটো চেঞ্জ করতে হয়।তো এটাই ছিল আমার একটি ব্যস্ত দিনের গল্প।
আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
আসলে আমাদের জীবনে কিছু কিছু দিন ব্যস্ততম কাটবে এটাই স্বাভাবিক। আর আপনার বাড়ি থেকে স্যারের বাড়ি আবার কলেজ তো দেখছি অনেক দূরে। আসলে প্রতিদিন এত দূরে যাওয়া আসা করাই মুশকিল। যাই হোক আশা করি খুব শীঘ্রই সবকিছু সামনে নিয়ে ব্যস্ততা কমিয়ে আনতে পারবেন ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া, অনেকটা দূরে।ট্রেনের সুবিধার জন্য সমস্যা হয় না, ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে তো আপু আপনি পড়ালেখা নিয়ে অনেক ব্যস্ত আছেন। আপনাদের বাড়ি থেকে ১৭-১৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে স্যারের বাড়িতে পড়তেছেন। তবে আপু শিক্ষকগণ কখনো শিক্ষার্থীর খারাপ চায় না। হেসে খেলে টাইম নষ্ট না করে পড়ালেখা করার জন্য শিক্ষকেরা বলে। আপু দোয়া করি যেন আপনি পড়ালেখা করে ভালো রেজাল্ট করেন।
আসলেই শিক্ষকরা সবসময় স্টুডেন্টদের কাছ থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
একজন শিক্ষার্থী তার পড়ালেখার সময় অনেক ব্যস্ত থাকে। বিশেষ করে কলেজ এবং প্রাইভেট সব নিয়ে তাকে সময় মেনটেন করতে হয়। আসলে শিক্ষার্থীরা চাই ভালোভাবে পড়ালেখা করে তাদের জীবন সুন্দর করতে। আপনি বাসা থেকে অনেক দূর গিয়ে গাড়ি এবং হেঁটে শিক্ষকের কাছে পড়ালেখা করতেছেন। যেন ভালো রেজাল্ট করে আপনার এই কষ্ট দূর করতে পারেন। আপু আপনার জন্য দোয়া রইলো।
আপনাদের আশীর্বাদ ও সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমাকে উৎসাহ দেবে,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই পড়ালেখা যদি প্রথম থেকে পড়া হয় তাহলে একটু চাপ কমে। কিন্তু সেমিস্টার যত উপরে ওঠা যায় তত বেশি কঠিন হয়ে যায়। তাই আগে ভাগে যদি সিলেবাস গুলো শেষ করা যায়। তাহলে পরবর্তীতে গিয়ে খুব আরামে পড়াগুলো পড়া যায়। আপনার ব্যস্ততম সময়টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে বুঝতে পারলাম আপনি খুব ব্যস্ততার মধ্যে আছেন।
ঠিকই বলেছেন আপু, আগে থেকে পড়া থাকলে চাপ কমে অনেকটা।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
টিচাররা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে আমাদেরকে, কিন্তু আমরা উনাদের কথার গুরুত্ব দেই না অনেক সময়। পরবর্তীতে নিজেদের উপর অনেক চাপ পড়ে যায়। যাইহোক আপনার বাড়ি থেকে তো টিউশন স্যারের বাড়ি অনেক দূর। অনেক সকালে টিউশন পড়তে যেতে হয় আপনাকে। আপনার বাড়ির আশেপাশে টিউশন পড়ার ব্যবস্থা থাকলে বেশ সুবিধা হতো। যাইহোক আশা করি পড়াশোনা খুব মনোযোগ সহকারে করবেন এবং প্রতিটি সেমিস্টারে ভালো রেজাল্ট করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু। যাইহোক প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে আপনার দিনটি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া, আসলে আমি যে স্যারের কাছে পড়ি উনি আমাদের কলেজের আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর স্যার ছিলেন।যদিও কিছুদিন আগে অবসর নিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।