"পুঁইশাকের ডিমের নিরামিষ চচ্চড়ি রেসিপি"
নমস্কার
পুঁইশাকের ডিমের নিরামিষ চচ্চড়ি রেসিপি:
শীতকাল মানেই রকমারি সবজির বাহার।টাইটেলে পড়তে ডিম হলেও এটা কিন্তু সম্পূর্ণ নিরামিষ।তাই আজ ভাবলাম
নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো বাড়ির পুঁইশাকের ডিম দিয়ে আপনাদের সঙ্গে।বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করবো পুঁইশাকের ডিমের নিরামিষ চচ্চড়ি রেসিপি।আমি অনেকদিন আগে চিংড়ির সঙ্গে এটির ভিন্ন রেসিপি শেয়ার করেছিলাম।অঞ্চল বিশেষে এই পুঁইশাকের ডিমের অনেক নাম রয়েছে।রেসিপিটি তৈরির পর আসলেই বেশ সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.কাঁচা মরিচ- 7 টি
3.পেঁয়াজ কুচি- 2টি
4.লবণ- 1 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
6.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
7.সাদা তেল-4 টেবিল চামচ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি একটি বটির সাহায্যে পুঁইশাকের ডিমগুলো ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এবারে একটি পরিষ্কার কড়াই চুলায় মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে গরম করে নিলাম।তারপর পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 3
এখন তেল হালকা গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর পেয়াজগুলি হালকা নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 5
এখন ছোট ছোট কেটে নেওয়া পুঁইশাকের ডিমগুলো দিয়ে দিলাম ভেজে নেওয়া পেঁয়াজের মধ্যে।
ধাপঃ 6
এবারে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আধা সেদ্ধ করে তারমধ্যে কাঁচা মরিচ দিয়ে দিলাম।তারপর পুনরায় ঢেকে দিয়ে সেদ্ধ করে নেব ভালোভাবে।
ধাপঃ 8
সবশেষে ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে পুঁইশাক ডিমের চচ্চড়িটি একটি পাত্রে তুলে নেব।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "পুঁইশাকের ডিমের নিরামিষ চচ্চড়ি রেসিপি"।এখন চচ্চড়ি রেসিপিটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
পুই ফল আমারও খুব প্রিয় বেশ কয়েকদিন আগেও রেসিপি প্রস্তুত করে খেয়েছি।
এই খাবারটি যেমন সুস্বাদু তেমন লোভনীয়।
বিশেষ করে গরম ভাত রুটি অথবা পরোটা দিয়ে খেতে সবথেকে বেশি মজা হয়।
রেসিপি প্রস্তুতদের ফটোগ্রাফি দেখে লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল খেতে।
হ্যাঁ ভাইয়া, খুবই মজার হয়েছিল খেতে।আর এটি আপনার প্রিয় জেনে ভালো লাগলো।
পুঁইশাকের খুব সুন্দর নিরামিষ চচ্চড়ি বানিয়েছেন দিদি ভীষণ লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। আমরা নিরামিষ তরকারি তে পেয়াজ রসুন ও ডিম,মাছ এসব ব্যাবহার করি না।লোভনীয় রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেলো।ধাপে ধাপে দারুণ সুন্দর করে রন্ধন প্রনালী তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
দিদি,আমিষ জাতীয় বলতে মাছ ,মাংস ও ডিম আমরাও ব্যবহার করি না নিরামিষ রেসিপিতে।তবে পেঁয়াজ ও রসুন আমরা যতই আমিষ বলিনা কেন এটা কিন্তু সবজি-ই এবং সম্পূর্ণ নিরামিষ এর মধ্যে পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।
পুঁইশাকের বিচি আমার বেশ পছন্দে যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে ভালো লাগে। তবে পুঁইশাকের বিচি এভাবে নিরামিষ চচ্চড়ি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই ট্রাই করবেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
পুঁইশাক আর ডিম দিয়ে দারুন একটি সশরী রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এই রেসিপিটি রন্ধন প্রক্রিয়া প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
শুধু দেখতে নয়,খেতেও অনেক সুস্বাদু।ধন্যবাদ দাদা।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। পুঁইশাকের ডিমের নিরামিষ চচ্চড়ি রেসিপি খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে গরম ভাত দিয়ে খেতে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রত্যেকটি স্টেপ পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আসলেই ভাইয়া, গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বেশি মজার হয়।ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার শেয়ার করা এই রেসিপিটি আমার খুবই পছন্দের আপু। কিন্তু এটাকে আমরা পুঁইশাকের ডিম বলি না, পুঁইশাকের ফল বলে থাকি। পুঁইশাকের ফল দিয়ে করা যেকোনো রেসিপি আমার কাছে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমরা এটিকে অনেক নামে ডাকি আপু,তবে পুঁইশাকের ডিম বেশি বলি।ধন্যবাদ আপনাকে।
পুঁইশাকের ডিমের নিরামিষ চচ্চড়ি করার লোভনীয় একটা পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। পুইশাকের এই ফল খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এবছর বেশ কয়েকবার এই রেসিপিটা খাবার সৌভাগ্য হয়েছে ।
এটা আপনার কয়েকবার খাওয়া রয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
পুইশাকের ডিমের নিরামিষ চচ্চড়ি রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো যদিও এভাবে রেসিপি বানিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে পুঁইশাকের এই ফলে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে এটা জানি। বেশ দারুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু,এভাবে ট্রাই করে দেখতে পারেন।আশা করি ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা পুঁইশাকের ডিম বলেন আর আমরা একে পুঁইশাকের বিচি বলি। পুঁইশাকের এই বিচি ভাজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। দুদিন আগেও আমি পাকা বিচিগুলো গাছ থেকে তুলে খুব সুন্দর ভাবে ভাজি করেছিলাম। এভাবে পুঁইশাকের বিচি দিয়ে ভাজি করলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু,অঞ্চল বিশেষে বিভিন্ন নাম হয়ে থাকে।আমরাও বিভিন্ন নামে ডেকে থাকি,ধন্যবাদ আপনাকে।