Diy- "রঙিন কাগজ দিয়ে বাঁশি তৈরি"
নমস্কার
রঙিন কাগজ দিয়ে বাঁশি তৈরি:
অনেকদিন হলো রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু তৈরি করা হয়নি।তাই ভাবলাম রঙিন কাগজ দিয়ে একটা diy তৈরি করবো।কয়েকদিন আগেই যেহেতু কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী চলে গেল।তাই ভাবলাম একটি বাঁশি তৈরি করা যাক।তাছাড়া গ্রামের বাড়িতে যখন থাকতাম,তখন মনে পড়তো একজন দাদার কথা।যে ভোর চারটার সময় প্রতিদিন বাঁশি বাজাতো।অনেক দূর পর্যন্ত সেই বাঁশির সুর শোনা যেত,সেই সুরে ঘুমও ভেঙে যেত আমাদের।খুবই ভালো লাগতো ভোরে বাঁশির সুরে ঘুম ভাঙা,সেই দাদা মূলত তখন প্র্যাকটিস করতো বাঁশি বাজানো।কারন সে এখন একটি কীর্তন দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন।যাইহোক এমনিতেই যেকোনো diy তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।যদিও সময়ের অভাবে তৈরি করা হয় না।রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরির পর বাঁশীটি দেখতে কিন্তু বেশ আকর্ষণীয় লাগছিল।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো চলুন diy টি তৈরি করা যাক---
উপকরণ:
◆পেন
◆কেচি
◆আঠা
প্রস্তুত-প্রণালি:
ধাপঃ 1
প্রথমে চারকোনা করে একটি হলুদ রঙের কাগজ কেটে নিলাম কেচি দিয়ে।
ধাপঃ 2
এবারে হলুদ রঙের কাগজটি রোল করে নিয়ে আঠা দিয়ে আটকে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন সরু করে ব্লু রঙের কাগজ কেটে নিলাম কেচির সাহায্যে।তারপর রোল করা কাগজের দুইপাশ কেচি দিয়ে কেটে সমান করে নিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর হলুদ কাগজের গায়ে ব্লু রঙের কাগজটি পেঁচিয়ে নিয়ে আঠা দিয়ে আটকে নেব।
ধাপঃ 5
এবারে হলুদ রঙের কাগজে পেন দিয়ে পাতার মতো দাগ টেনে নিলাম।
ধাপঃ 6
এরপর কেচি দিয়ে পাতার মতো আকৃতিতে কেটে নিলাম।
ধাপঃ 7
একইভাবে আকাশি রং ,ব্লু রঙের কাগজ পাতার মতো ছোট ও বড় করে কেটে নিলাম।
ধাপঃ 8
এখন ব্লু রঙের কাগজ কেটে লাভ চিহ্ন তৈরি করে নিয়ে নিলাম।আর আকাশি রঙের কাগজ বাঁকা করে কেটে নিলাম।
ধাপঃ 9
এরপর ব্লু ,হলুদ আকাশি রঙের তৈরি পাতাগুলি আঠা দিয়ে আটকে নিলাম একটির নীচে একটি দিয়ে।ব্লু রঙের লাভ চিহ্নটি আকাশি পাতার মাঝে দিয়ে ,পেন দিয়ে একে নিলাম।
ধাপঃ 10
এবারে রোল করা বাঁশীর মাথায় আঠা দিয়ে আটকে নিলাম পাতার মতো অংশটি।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে পাতার নিচে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বাঁকা করে কেটে নেওয়া আকাশি রঙের কাগজটি আটকে নিলাম।
ছবি উপস্থাপন:
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার রঙিন কাগজ দিয়ে বাঁশি। এটি দেখতে খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়েছিল।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছেও ভালো লাগবে আমার আজকের পোস্টটি।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ:
শ্রেণী | diy |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি বাঁশি তৈরি করেছেন আপু। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে আউটপুট টা অনেক সুন্দর আসে। বাঁশি তৈরির প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন, আপনার সুন্দর মন্তব্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি বাঁশি তৈরি করেছেন ভাইয়া। বাঁশি তৈরি করার জন্য অনেক সুন্দর রঙিন কাগজ বেছে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা আপনার
@bobitabobi কমেন্ট করার আগে অবশ্যই দেখে করা উচিত সে ছেলে নাকি মেয়ে।যাইহোক পরবর্তীতে অবশ্যই দেখে মন্তব্য করবেন।ধন্যবাদ
রঙিন কাগজ দিয়ে সুন্দর একটা বাঁশি তৈরি করছেন। আপনার তৈরি করা বাঁশি দেখে খুব ভালো লাগলো। রঙিন কাগজের প্রতিটা জিনিস আমাকে ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে বাঁশি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার কাছে বাঁশিটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা এই বাঁশি। আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছে আপনার তৈরি করা এই বাঁশিটা। সকালবেলায় বাঁশির সুর শুনে ঘুম ভাঙা কিন্তু একেবারে অন্যরকম। বাঁশিটা অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। এত সুন্দর করে এটা তৈরি করে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার প্রশংসাভরা মতামত জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি আমাদের মাঝে রঙিন কাগজ দিয়ে বাঁশি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে কোন জিনিস বানালে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এবং আপনার বাঁশি তৈরি করাটা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি বাঁশি তৈরি করে দেখানোর জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার বাঁশির শব্দে ঘুম ভাঙার কথা পড়ে আমারও মনে পড়লো দীর্ঘদিন আগে এরকম বাঁশির শব্দ শুনতাম । কে যেন প্র্যাকটিস করত রাতের বেলা কারেন্ট চলে গেলে।কিন্তু এখন অনেক দিন হয়েছে সেই সুর আর কানে আসে না ।যাই হোক আপনার আজকের রঙিন কাগজের বাঁশিটি কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে। দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই কিছু স্মৃতি থেকেই যায় জীবনের গভীরে।আর বাঁশির সুর শুনতে ভালই লাগে।আপনার ও এমন স্মৃতি রয়েছে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি যেকোনো ধরনের ডাই দেখতে ভালো লাগে আমার। আপনার আজকের বাঁশির ডাইটি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে।ডাই তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনা চমৎকার ছিল।ধাপগুলো দেখে যে কেউ সহজেই ডাইটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Diy তৈরি করার মাঝে আলাদা একটা মজা আছে কিন্তু বেশ সময় লাগে।ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে খুবই চমৎকার একটি বাঁশি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ছোটবেলার সেই দাদার বাঁশি বাজানো শুনেই আপনার সকলের ঘুম ভাঙতো এটা জেনে ভালো লাগলো। রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি যেই বাঁশিটি বানিয়েছেন সেই বাঁশিটি কি বাজিয়ে দেখেছেন সেটা কি বেঁজেছে...? বাঁশি টি যদি বাজে তাহলে আমিও আপনার মত করে একটা বাঁশি তৈরি করব। তবে দেখতে অনেকটাই সুন্দর দেখাচ্ছে আপনি দারুন ভাবে এটা তৈরি করেছেন। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া, শুধু আমার নয়।পুরো গ্রামের মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যেত।তাছাড়া আমার তৈরি এই বাঁশি তো বাজে না তবুও আপনি তৈরি করতে পারেন।আশা করি ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপনাকে।
কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর বাঁশি তৈরি করেছি। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। রঙিন কাগজের জিনিসগুলো তৈরি করতে একটু কষ্ট হলেও দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আপনার তৈরি করা বাঁশিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সুন্দর একটি বাঁশি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর বাঁশি বানিয়েছেন। তবে সুরঙ্গ গুলো দেখতে পাচ্ছি না। কারণ বাঁশিতে তো চার থেকে পাঁচটা সুরঙ্গ থাকে। চমৎকার ছিল আপু ধন্যবাদ।
ভাইয়া, কাগজের বাঁশিতে সুড়ঙ্গ থাকে না।সত্যিকারের বাঁশিতে থাকে, হি হি☺️☺️।ধন্যবাদ আপনাকে।