বর্ধমানের দুর্গাপূজা প্যান্ডেল: "পদ্মশ্রী সংঘ ক্লাবের কিছু ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বর্ধমানের দুর্গাপূজা প্যান্ডেল: "পদ্মশ্রী সংঘ ক্লাবের কিছু ফটোগ্রাফি"
বর্ধমান একটি ঐতিহাসিক শহর।কলকাতার পরেই তাই বর্ধমান শহরের নাম বলাই যায়।কারন এই বর্ধমান শহরের আলাদা একটা ঐতিহ্যও খ্যাতি যেমন রয়েছে তেমনি বেশ পরিচিতিও রয়েছে।বর্ধমান শহরে আগেকার দিনে অনেক জমিদার ও রাজ -রাজাদের বসবাস ছিল।বর্তমানে সেই জমিদারীত্ত্ব না থাকলেও তাদের কিছু বংশধর রয়েছে,আবার কোনো কোনো রাজা তার সম্পত্তি কলেজ কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে দান করে গিয়েছেন।কোনো কোনো জমিদার বাড়ি আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাখি কিংবা ছোট ছোট প্রাণীর বসবাসের স্থান হয়ে রইয়ে গেছে। যাইহোক আমি নবমীর দিনে বর্ধমান শহরের পূজা দেখতে বের হয়েছিলাম।আর ঘুরে ঘুরে মোট ছয়টি প্যান্ডেলের পূজা দেখেছি।প্রত্যেকটি প্যান্ডেল আলাদা আলাদা থিম ও বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি।তাই সবগুলো প্যান্ডেলের বর্ননা বা ছবি একটি পোষ্টে শেয়ার করা সম্ভব নয়।সেগুলো আমি আপনাদের সঙ্গে আলাদাভাবে শেয়ার করবো।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
সবুজ সংঘ ক্লাবের পূজা দেখেই জিডি রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে একটি ছোট্ট মন্দিরের প্রতিমা দর্শন করে আবার চলা শুরু করলাম।পথ যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না।তারপর 30-40 মিনিট হাঁটার পর অবশেষে আমরা পদ্মশ্রী সংঘ ক্লাবের পূজা প্যান্ডেলে এসে পৌঁছালাম।
পদ্মশ্রী সংঘ ক্লাবের দুর্গামা দর্শন
◆থিমের নাম:(আলোক স্পর্শে দশভূজা)
এটি হচ্ছে বর্ধমানের আরেকটি আকর্ষণীয় পূজা প্যান্ডেল পদ্মশ্রী সংঘ।এই পদ্মশ্রী সংঘের পূজা প্যান্ডেলে বর্তমানের অনেক বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়।এখানে এ বছরের থিম ছিল আলোক স্পর্শে দশভূজা।
এই থিমের বিষয়বস্তু ছিল- মা দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসছেন এবং দেবীর আলোতে আলোকিত করতে সকলকে।বর্তমানে চারিদিকে যে ঘৃণা,অহংকার,মারামারি তার মধ্যে থেকেও যে দেবী এসে নিজের আলোয় আলোকিত করে সবাইকে একটা পথ দেখাবে সেই ভাবনাতেই এই প্যান্ডেলটি মূলত তৈরি করা হয়েছিলো।
আলোক স্পর্শে দশভূজা থিমের পাশাপাশি আরেকটি থিমের ভাবনাকে এই প্যান্ডেলে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।সেটা হচ্ছে-- গৃহকর্ত্রীদের রান্নাঘরে যে সকল সামগ্রী ব্যবহার করা হয় সেই সকল সামগ্রী দিয়ে কাজটি করা।মূলত পূজার সময়ে বিভিন্ন রান্নার কাজকর্মের পাশাপাশি যেটুকু সময় গৃহকর্ত্রীরা পূজা দেখতে বের হয়ে থাকেন তাদেরকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে।
এখানে বিভিন্ন ধরনের কাপ,পিচ,আলু বা সবজি রাখার ঝুড়ি,চালনী দিয়ে গোটা প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছিলো।এছাড়া চা ছেকা ছাঁকনির নেট দিয়ে মডেল তৈরি করা হয়েছিল। যেটা দেখতে অসাধারণ লাগছিলো।এরপর দেবী মায়ের প্রতিমা দর্শন করলাম।প্রতিমাটি অসম্ভব সুন্দর ছিল।
প্যান্ডেলের মধ্যে ঢুকেই দেখলাম প্যান্ডেলের দেওয়ালে,উপরে চারিদিকে শুধুই ঝুড়ি আর রান্নাঘরের সামগ্রী দিয়ে পুরো প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে।অনেক বড় বড় ঝুড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল এতে।প্যান্ডেলের ভিতরের দৃশ্য সত্যিই চোখ ধাঁধানোর মতো ছিল।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে পদ্মশ্রী সংঘ ক্লাবের এই প্যান্ডেলটি।তাছাড়া রাত্রেবেলা গেলে আলোকসজ্জায় আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে প্যান্ডেলগুলি।
দেবী মায়ের প্রতিমার নীচে ছোট্ট আরো প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই দেবী মায়ের মূর্তিগুলোকেই ফুলে শোভিত করে পূজা করা হচ্ছিল।সবশেষে আমরা চলে গেলাম পদ্মশ্রীর মাঠে বসা দোকানগুলোতে।দিনের বেলা থাকায় অনেক দোকান বন্ধ ছিল, খুব গরম লাগছিল তাই আমরা 50 টাকা দামের আমূল দুধের আইসক্রিম খেলাম।কিন্তু দুঃখের বিষয় খাওয়ার শেষে দেখলাম আইসক্রিমের কৌটোর গায়ে 35 টাকা😢😢 লেখা আছে।দিনদুপুরে দোকানদারটি সবার কাছ থেকেই ডাকাতি ব্যবসা করছে বুঝতে পারলাম।কিন্তু যেহেতু একটিই আইসক্রিমের দোকান ছিল তাই কিছুই বলার ছিল না।
আশা করি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে আমার আজকের প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি পোষ্টটি।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি পোষ্ট |
---|---|
বিষয় | বর্ধমানের দুর্গাপূজা প্যান্ডেল:"পদ্মশ্রী সংঘ ক্লাবের কিছু ফটোগ্রাফি" |
ডিভাইস | poco m2 এবং redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশনবর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much💝.