"কই ও শিং মাছ দিয়ে কচি ভেন্ডি আলুর তরকারি"
নমস্কার
কই ও শিং মাছ দিয়ে কচি ভেন্ডি আলুর তরকারি:
অনেকদিন হলো কোনো রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয়নি।তাই আজ ভাবলাম নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে খালে এক ব্যক্তি জাল পেতেছিল।ফলে সে বেশ কিছু টেংরা, কই ও শিং মাছ পেয়েছিলেন।তাই আমরা সেগুলো কিনে নিয়েছিলাম।এই ছোট মাছগুলো শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।তাছাড়া ছোট মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু।আমার কই মাছ খুবই প্রিয়।তাই আমি শিং ও কই মাছ দিয়ে বাড়ির গাছের কচি ভেন্ডি ও আলু দিয়ে রান্না করেছি।আমি এখানে একটু কচি বা নরম টাইপের ভেন্ডি ব্যবহার করেছি।কারন কচি ভেন্ডি ঝোল খেতে দারুণ লাগে।রেসিপিটি তৈরির পর খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রান্না শুরু করা যাক---
উপকরণসমূহ:
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| কই ও শিং মাছ | 350 গ্রাম |
| কচি ভেন্ডি | 200 গ্রাম |
| আলু | 2 টি |
| কাঁচা মরিচ | 7 টি |
| পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
| লবণ | 2 টেবিল চামচ |
| হলুদ | 1.5 টেবিল চামচ |
| জিরে বাটা | 2 টেবিল চামচ |
| রসুন বাটা | 1/2 টেবিল চামচ |
| আদা বাটা | 1 টেবিল চামচ |
| শুকনো মরিচ বাটা | 1.5 টেবিল চামচ |
| গরম মসলা গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
| পাঁচফোড়ন | 1/3 টেবিল চামচ |
| সরিষার তেল | 100 গ্রাম |
| জল |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি সবজিগুলো জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে একটি বটির সাহায্যে ভেন্ডি,আলু ও পেঁয়াজ কেটে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর জ্যান্ত কই ও শিং মাছগুলো কেটে নিলাম বটির সাহায্যে।
ধাপঃ 3
মাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এখন মাছের গায়ে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 5
এরপর চুলায় মিডিয়াম আঁচে পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 6
এবারে নেড়েচেড়ে মাছগুলো বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 7
তো আমার মাছগুলো ভেজে নেওয়া হয়ে গেছে।
ধাপঃ 8
এখন পুনরায় কড়াইতে তেল দিয়ে কেটে রাখা ভেন্ডি ও আলু দিয়ে দেব।
ধাপঃ 9
এবারে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে ভেজে নেব সবজিগুলো।
ধাপঃ 10
এরপর কেটে রাখা লংকাগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 11
এবারে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নেব সবজির মধ্যে।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 20 মিনিট মতো।
ধাপঃ 12
এরপর ঢাকনা খুলে আলুগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে তারমধ্যে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে নেব।
ধাপঃ 13
এখন কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ,পাঁচফোড়ন ও বেঁটে রাখা মসলাগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 14
এরপর মসলাগুলি নেড়েচেড়ে ভেজে নেব ভালোভাবে।
ধাপঃ 15
মসলা কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে তরকারীটি ঢেলে দিয়ে ফুটিয়ে নেব ছোট বলক আসা পর্যন্ত।
শেষ ধাপঃ
এখন আমি একটি পাত্রে তরকারীটি ঢেলে নিলাম।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কই ও শিং মাছ দিয়ে কচি ভেন্ডি আলুর তরকারি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটা খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
আশা করি আমার আজকের রেসিপি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ:
| শ্রেণী | রেসিপি |
|---|---|
| ডিভাইস | poco m2 |
| অভিবাদন্তে | @green015 |
| লোকেশন | বর্ধমান |
| আমার পরিচয় |
|---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভেন্ডি দিয়ে আমি চিংড়ি মাছ রান্না করেছি। কিন্তু এভাবে আপনার মত শিং মাছ কৈ মাছ দিয়ে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আজ আপনার মত করে রান্না করবো। শুভকামনা আপু আপনার জন্য।
এক কথায় অসাধারণ। ঢেঁড়স খেতে অনেক মজা। মাছ দিয়ে রান্না করলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার রান্নার পদ্ধতি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধাপে ধাপে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। রান্না গুলো আকর্ষণীয় ও লোভনীয় হয়েছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কই মাছ এবং ভেন্ডি আমার খুবই পছন্দের। যদিও শিং মাছ খাইনা। আপনার রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছিল। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কচি ভেন্ডি সবজিটা আমি রাহুল দিয়ে খাইতে অনেক বেশি পছন্দ করি দিদি। তবে আজকে আপনি শিং ও কৈ মাছের রেসিপিতে কচি ভেন্ডি ও আলু দিয়ে বেশ সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন। আপনার এই রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে দিদি। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খালের মাছ এমনিতে খেতে মজার লাগে খুব,, তর তাজা মাছ। আপনি কচি ভেন্ডি আর আলুর কম্বিনেশন এ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি। খেতে নিশ্চয় মজা হয়েছিল 🌼
ঢেঁড়স রান্না ভর্তা বা ভাজি সব ধরনের খেতেই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। রান্নার ধাপগুলো গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ট্যাংরা কৈ শিং এই মাছগুলো অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে ট্যাংরা মাছ টা আমার বেশি পছন্দ। এবং গ্রামের দিকে এগুলো বেশি পাওয়া যায়। ভেন্ডি বা ঢেঁড়স আমার সবচাইতে পছন্দের সবজি। আলু এবং ভেন্ডি দিয়ে মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন দিদি। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ছোট মাছ গুলি আসলেই শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং বেশ সুস্বাদু হয়। আপনি অনেক সুন্দর করে এটা রান্না করেছেন আপু।প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে বেশ ভালো ভাবে পরিবেশন করেছেন। শীতকালের সময় এই তরকারিটা অনেক প্রিয় আপু। প্রতিটি ধাপ খুব দক্ষতার সহিত উপস্থাপনা করেছেন শুভকামনা রইল। রান্না টি বেশ ভালো ছিল।
আপনি খুব লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।