"মেলায় ঘোরাঘুরি ও সুন্দর মুহূর্ত কাটানো"
নমস্কার
মেলায় ঘোরাঘুরি ও সুন্দর মুহূর্ত কাটানো:
এই মেলার ছবিগুলো তোলা হয়েছিল পদ্মশ্রী ক্লাবের মাঠ থেকে।কারন পদ্মশ্রী পূজা প্যান্ডেল দেখার পর বের হয়ে দেখলাম মাঠে অনেকগুলি দোকান বসেছে।প্রতিবছর বেশ মেলার সমাহার বসে এখানে।প্রথমেই দেখলাম এই দোকানটি।যেখানে বাচ্চাদের হিয়ার ব্যান্ড থেকে শুরু করে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস ছিল।
এবারে একটি চশমার দোকান দেখতে পেলাম।যেখানে অসংখ্য রং-বেরঙের চশমা রয়েছে সারি সারিভাবে সাজানো।দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।কেউ কেউ আবার কিনেও ফেলছিল তাদের বাচ্চাদের আবদারে।
এবারে দেখলাম আমাদের সকলের পছন্দের অনেকগুলো ফুচকার দোকান রয়েছে সারি সারি ভাবে।কিন্তু তাতে কোন লোক নেই।ইয়া বড় বড় বাক্সে ফুচকার পাহাড় জমে আছে কিন্তু এগুলো দিনে কেউ বিক্রি করে না রাত্রে বিক্রি করে।মজার বিষয় হচ্ছে, এখানে আমাদের এক কাকুও ফুচকা বিক্রি করে কিন্তু দিনের বেলা সে বাড়িতে চলে যায়।রাত্রে ফুচকা সেল করে তারা।
এটা একটা কলকাতার মোগলাই রেস্টুরেন্ট।যারা মেলায় গিয়ে গিয়ে বিভিন্ন মজার মজার খাবার তৈরি করে থাকে।এখানেও সবাই মিলে খাবার প্রস্তুত করছিলেন রাতে বিক্রি করার জন্য।এখানে বিভিন্ন মাংসের চাউমিন,রোল ,মোগলাই ইত্যাদি খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছিল।
পুরো মেলার মধ্যে একটি মাত্র আইসক্রিমের দোকান ছিল।যেখানে বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছিল।চকলেট ফ্লেবার ,আমূল দুধের বিভিন্ন আইসক্রিম ছিল এখানে।গরমে সবাই আইসক্রিমের দোকানে ভিড় জমাচ্ছিল।তাই আইসক্রিম কাকুও ইচ্ছেমতো দাম রাখছিল একেক জনের কাছ থেকে।
এখানে একটি দোকানে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম 70 টাকা রাখা হচ্ছিল।সব জিনিস-ই প্রায় মেয়েদের,কারন-মেয়েদের কানের দুল, গলার হার,মঙ্গলসূত্র,সাইড ব্যাগ ইত্যাদি রকমারি জিনিস বিক্রি হচ্ছিল।আর প্রত্যেকটির দাম 70 টাকা লিখে দোকানের উপরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
এখানে রং-বেরঙের ফলের জুস বিক্রি করা হচ্ছিল।লাল,নীল,হলুদ, কমলা ইত্যাদি রঙের হওয়াতে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।লিচু,কমলা,আম, স্ট্রবেরি ফলের জুস বিক্রি করা হচ্ছিল এখানে।কিন্তু আমার মনে হয়,কালার পানীয় পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এটি একটি বাচ্চাদের খেলনার দোকান।বিভিন্ন খেলনার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছিল এখানে।আসলে ওই দিন খুবই গরম আবহাওয়া ছিল তাই সবাই আইসক্রিম দোকানের দিকে ছুটছিল।অধিকাংশ মানুষ 10 থেকে15 টাকার আইসক্রিম কিনছিল।
সবশেষে আমরাও আইসক্রিম কিনেছিলাম 50 টাকা দামের আমূল দুধের।কিন্তু যেটা আমি আপনাদের সঙ্গে আগেই শেয়ার করেছি, খাওয়ার শেষে দেখলাম আইসক্রিমের কৌটোর গায়ে 35 টাকা লেখা আছে।দিনদুপুরে দোকানদারটি সবার কাছ থেকে এভাবেই ডাকাতি ব্যবসা করছে।
পোষ্ট বিবরণ:
বিষয় | "মেলায় ঘোরাঘুরি ও সুন্দর মুহূর্ত কাটানো" |
---|---|
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,বিরহাটা |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
মেলায় ঘুরাঘুরি করলে মনটা ভালো হয়ে যায়। আমার কাছে খুব ভালো লাগে, মেলায় ঘুরাঘুরি করাটা। আপনি অনেক সুন্দর এবং ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখছি। আইসক্রিম দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। আইসক্রিমের গায়ে লেখা রয়েছে একদম এবং বিক্রি করেছে তার থেকে আরো বেশি দাম। এটা কিন্তু সত্যি অবাক করার বিষয় ছিল।
আইসক্রিম সত্যিই অনেক সুস্বাদু ছিল কিন্তু দামটা বেশি নিয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলায় ঘোরাঘুরি করা আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি তো দেখছি মেলায় গিয়ে খুবই ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। দোকান পাটগুলোতে দেখছি অনেক কিছুই রয়েছে। তবে আইসক্রিম টা দেখে আমার আইসক্রিম খেতে খুব ইচ্ছে করছে। এরকম কিছু দোকানদার রয়েছে যারা অনেক বেশি দামের জিনিসপত্র বিক্রি করতেছে। তেমনি এই আইসক্রিম গুলোর গায়ে ৩৫ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি করছে ৫০ টাকায়। পুরোটা পড়ে ভালো লেগেছে দিদি।
দোকানদারগুলি সুযোগ বুঝে ঠকিয়ে দেয় মানুষকে,ধন্যবাদ আপু।
দিদি মেলার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম অনেক বড় মেলা বসেছে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস থেকে শুরু করে বাচ্চাদের জিনিস সহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান পাট রয়েছে। মেলায় ঘুরতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। এতক্ষণ ঘুরে ৫০ টাকা দিয়ে আইসক্রিম খেয়েছেন আর খাওয়া শেষ হলে আইসক্রিমের গায়ে ৩৫ টাকা লেখা দেখে সত্যিই অবাক হওয়ারই কথা। সত্যিই দোকানদারা দিনে দুপুরে ডাকাতি শুরু করলো। দিদি আপনারা পরে কিছু বলেননি।
না আপু,দেখেও কিছু বলতে পারিনি কারন মেলার মধ্যে একটিই আইসক্রিমের দোকান ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনি মেলায় ঘুরাঘুরি করে সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করলেন।আপনি পদ্মশ্রী পুজা প্যান্ডেল দেখে বাইরে মেলায় গেলেন। বেশকিছু দোকান দিয়ে বসে এই মেলায়।প্রতি বছরই এমনটা বসে।আপনি বেশকিছু দোকানের ফটোগ্রাফি ও সুন্দর বর্ননা শেয়ার করলেন।মেয়েদের বিভিন্ন জিনিসের সমাহারের দোকানটি তো বেশ ভালোই। সবকিছু ৭০ টাকা করে।আর মেলায় ফুচকা, আইসক্রিম থাকবে না, তাই কি হয়।তবে আইসক্রিমের দোকান ছিল একটা।আর সেই আইসক্রিমের দাম ৩৫ লেখা থাকলেও দোকানদার ৫০ টাকা করে রাখছেন।আসলে এতোটা দামের পার্থক্য করা ঠিক নয়।আশাকরি বাকি সময়টা চমৎকার কাটিয়েছেন।খুব ভালো লাগলো দিদি আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু,প্রতিবছর-ই এই ক্লাবে পূজা প্যান্ডেলের মাঠে মেলা বসে।ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলার ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা গুলো খুব ভালো লাগলো। মেলায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে সব দেখতে ও পছন্দসই জিনিস কিনতে খুব ভালো লাগে।আমিও মনে করি কালার পানীয় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।যদিও বা দেখতে ভীষণ লোভনীয়। আইসক্রিমের দাম মেলায় সুযোগ বুঝে বেশি নিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মেলার পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন, কালার পানীয় আসলেই দেখতে বেশ লোভনীয় লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি মেলায় অনেক আনন্দ করেছেন অনেক ঘোরাঘুরি করেছেন এটি শুনে অনেক ভালো লাগলো। তবে আইসক্রিমের এরকম উন্মুক্ত ছবি দেওয়া ঠিক না দিদি কারন দেখে তো লোভ লেগে গেছে হা হা হা
হি হি,লোভ লাগলেও কিছু করার নেই আপু।আর এখন না খেয়ে শুধু লোভ লাগলেই হবে শীত চলে এসেছে যে।ধন্যবাদ আপনাকে।
কতদিন হয়ে গেল দিদি মেলায় যাওয়া হয় না । আপনি মেলায় ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন । তবে মেলায় দেখছি আইসক্রিমের ভালোই দোকান উঠেছে । নরমালি আইসক্রিমের দোকান তেমন দেখা যায় না । মেলায় উঠে ছোটদের খেলনা এবং কাঠের জিনিসই বেশি উঠে ।
ভাইয়া, একটি মাত্র দোকান উঠেছে আইসক্রিমের।আর এখানে কাঠের জিনিস উঠেনি অন্য মেলাতে উঠেছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।