"ছিন্নমস্তিকা দেবীদুর্গা"
নমস্কার
ছিন্নমস্তিকা দেবীদুর্গা
বর্ধমান একটি ঐতিহাসিক শহর।কলকাতার পরেই তাই বর্ধমান শহরের নাম বলাই যায়।কারন এই বর্ধমান শহরের আলাদা একটা ঐতিহ্যও খ্যাতি যেমন রয়েছে তেমনি বেশ পরিচিতিও রয়েছে।তাই আমি নবমীর দিনে বেরিয়ে পড়েছিলাম বর্ধমান শহরের পূজা দেখতে।আর ঘুরে ঘুরে মোট ছয়টি প্যান্ডেলের সঙ্গে ছোট ছোট দেবী মায়ের দর্শন ও করেছিলাম।প্রত্যেকটি প্যান্ডেল আলাদা আলাদা থিম ও বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি।যাইহোক আজ একটি ছোট্ট দেবী মায়ের দর্শনের অনুভূতি শেয়ার করবো।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
তো সবুজ সংঘ ক্লাবের মায়ানমারের স্বর্ণমন্দির প্যান্ডেল ও
দুর্গামাকে দর্শন করে আমরা আবার জিডি রোড ধরে পথ চলা শুরু করলাম।যদিও বাড়ি থেকে ছাতা নিয়ে যাওয়া হয় নি তার উপর আবার সূর্যের বেশ তীব্র তাপ।আমার যেহেতু একটু এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাই রোদ্রের মধ্যে গরমে হাঁটতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল।যাইহোক কিছুটা চলার পর পথে একজায়গায় ছায়া মতন স্থানে দাঁড়িয়ে আরাম করে নিলাম।এরপর আবার ফের হাঁটা শুরু করলাম,কারন পূজার সময় টোটো কাকুরা ইচ্ছেমতো টাকা ঝেপে নেয়।প্রথম বছর আমরা বেশ ঠকেছিলাম কিন্তু এখন যেহেতু চেনা জায়গা তাই আর অসুবিধা হয় না।যাইহোক যেতে যেতেই ঠিক রোডের পাশে ছোট্ট একটি মন্দির দেখতে পেলাম।যেখানে বেশ কিছু হিন্দুস্থানী মহিলা দেবী মায়ের দর্শন করছিলো।তাই আমরাও এক নজর দর্শন করে নিলাম মাকে।মনে যেন সব ক্লান্তি দূর হয়ে এক অনাবিল আনন্দ উপভোগ করলাম।অন্যান্য দেবী মায়ের তুলনায় এই প্রতিমাটি একদম আলাদা ছিল।
এই প্রতিমাটি ছিল (ছিন্নমস্তিকা দেবীর)।আর ছিন্নমস্তিকা দেবী হচ্ছে ঈশ্বরের একটি ভয়ংকরী মূর্তিবিশেষ।যাকে গুপ্তদুর্গা বা প্রচণ্ডচণ্ডিকাও বলা হয়।এই দেবী মহাশক্তির আঁধার এক ভীষণ মাতৃকারূপী।এই ছিন্নমস্তা দেবী দিব্য যুগলের উপর দণ্ডায়মান অবস্থায় থাকেন। তাঁর ডানহাতে থাকে বাঁকা তরবারি।সেই তরবারি দিয়ে নিজেই নিজের মস্তক ছিন্ন করেন এবং অপর হাতে সেই ছিন্ন মস্তক ধরে থাকেন। তাঁর কাটা কণ্ঠনালি থেকে সবেগে নির্গত রক্তধারার তিনটির একটি স্বয়ং তিনি পান করেন এবং বাকি দুই সহচরী পান করে থাকে।তারা হলেন ডাকিনী ও বর্ণিনী।ছিন্নমস্তা হচ্ছে আত্মবলিদান এবং কুণ্ডলিনী জাগরণের দেবী।
আশা করি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে আমার আজকের পোষ্টটি।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | "ছিন্নমস্তিকা দেবীদুর্গা" |
ডিভাইস | poco m2 |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,বীরহাটা |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দিদি ছিন্নমস্তিকা দূর্গা দেবীর সম্পর্কে পড়ে ভালো লাগলো। আমাদের বাংলাদেশে অবশ্য এমন মূর্তি কোথাও দেখা যায় না। তবে আমাদের পাশের গ্রামে ছিন্নমস্তিকা দেবীর একটি মন্দির রয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ছিন্ন মস্তিষ্কা দেবি দূর্গা কোনদিন দেখিনি।বাংলাদেশে এরকম কোন দেবি মূর্তুি বানানো হয় না আমি যতোটুকু জানি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমি এই দেবি মায়ের দর্শন করতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। দেবীর খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং বর্ননা দিয়েছেন। খুব ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে।ধন্যবাদ।
দিদি ,এটা একটা ছোট প্যান্ডেলে তৈরি করেছিল।আর আমাদের দেশে বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।