আমার লেখা কবিতা "হাতেখড়ি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।দিন দিন গরমের মাত্রা বেড়েই চলেছে।একটু বেলা বাড়লেই অসহ্য গরম,যাইহোক আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আমার লেখা একটি কবিতা শেয়ার করবো।কবিতাটির নাম হলো -"হাতেখড়ি"।
অল্প কথায় মনের ভাব সবথেকে ভালোভাবে মন খুলে প্রকাশ করা যায় একটি কবিতার মাধ্যমে।যেখানে সম্পূর্ণ একটি ঘটনা বা বাস্তবতার কাহিনীর প্রতিফলন ঘটে।এছাড়া চরিত্রের বা ঘটনার বিষয়বস্তু ,ভাবের আদান-প্রদান হয় গোছালো বাক্য দিয়ে।এক একটি কবিতার ব্যাখ্যা ও গভীরতা অনেক থাকে, যারা কবিতা লেখেন তারাই জানেন।যাইহোক আমি আজ সমাজের একটি বিষয়ের উপর কবিতা লিখেছি।যেটি প্রতিনিয়ত আমরা বাস্তবে দেখি পথ চলতে চলতে।ক্ষুধার্ত শিশুরা খালি গায়ে বার বার জনসমুদ্রের মাঝে ঘুরেফিরে বেড়াই।তবুও তাদের পেটভরা খাবার জোটে না কোনোদিন।যখন তাদের পড়ালেখা করার সময় তখন তাদের হাতেখড়ি পর্যন্ত হয় না।এটি দেখলে সত্যিই মন বিষণ্নতায় ভরে যায়।
হাতেখড়ি
রোজ জনস্রোতের মধ্যে ভিড় ট্রেনে
এগিয়ে কিছু খুদেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে
বড্ড অগোছালো হয়ে পড়ে আছে ঘরখানা----
খোলা জানলা
আলোর রশ্মিরা আসতে ভুলে গেছে
আমাকেও নিয়ে নিতে পারে অরণ্য
আরো কিছুটা নিঃসঙ্গ হলে
কষ্ট বলতে ঐ বাচ্চাগুলো এখনো খালি পরনে,
পেটে একমুঠি দানা পরে না রোজ
আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় বিষণ্ণতা ওদের
কেমন করে খাই
এখনও যে ওদের হাতেখড়ি হয় নি----।
আশা করি আমার আজকের লেখা কবিতাটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
পথ শিশুদের বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট নিয়ে খুবই হৃদয়বিদারক একটি কবিতা লিখেছেন আপনি।
কবিতাটা খুব সুন্দর লিখেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আজকের কবিতার বিষয়টি বেশ মর্মান্তিক এবং হৃদয় বিদারক ছিল😞। আমি যখন পথ চলি তখন এইধরনের শিশুদের দেখতে পাই। কিন্তু আমার আর সামর্থ্য কতটুকু। যাইহোক এদের নিয়ে অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন। প্রতিটা লাইন হৃদয়ে গেথে গেছে। আপনার জন্য শুভকামনা। কবিতার মধ্যে আপনার মনের ভাব দারুণভাবে প্রকাশ করেছেন।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ,আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
অনেকে তাদের অনুভূতিগুলিকে কোনো না কোনোভাবে প্রকাশ করে এবং আমরা যা অনুভব করি তা প্রকাশ করার সর্বোত্তম উপায় হল এটিকে লেখায় অনুবাদ করা যেমন আমরা সাধারণত এটিকে কবিতা বলি।
যদিও গুগল অনুবাদক কখনই কবিতাগুলি পুরোপুরি অনুবাদ করে না কারণ এটি আমরা যা প্রকাশ করতে চাই তা খুব ভালভাবে ব্যাকরণ করে না, আমি আপনার কবিতাগুলি বুঝতে পেরেছি।
আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে বাবারা তাদের সন্তানদের খুব বেশি গুরুত্ব দেন না যেহেতু তারা তাদের নিজের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন এবং কখনও কখনও তারা জানেন না তাদের সন্তানরা রাস্তায় কী করছে।
বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য প্রতিদিন আরও স্পষ্ট হচ্ছে এবং নিম্ন-আয়ের দেশগুলির জন্য আরও বেশি, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহে শীঘ্রই একটি আমূল পরিবর্তন আসবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।স্বাগতম আপু💐
কবিতা আমি না লিখলেও সবার কবিতা পড়ার চেষ্টা করি। আপনার কবিতার মাঝে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। অনেক গুছিয়ে কবিতা লিখেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ দিদি।
শুনে খুশি হলাম ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।😊💐