"ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম"
নমস্কার
ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম:
বন্ধুরা, শীতকাল আসলে মন কেমন পিঠা পিঠা করে! আর রাস্তার অলিতে গলিতে ছোট্ট এক কোণে পিঠার দোকান দিতেও দেখা যায়।তেমনি আমি কাঁকভোর কুয়াশায় কখনো শুক্রবার কিংবা কখনো মঙ্গলবার পড়তে যাই।আগে পিঠার দোকান না থাকলেও শীতের সকালে গরম গরম ভাপা পিঠার দোকান স্যারের বাড়ির সামনেই মেলে।
বলছি কয়েক দিন আগের কথা।বাড়ি থেকে বের হয়ে বাস ধরে আমাদের স্টেশনে চলে যাই।স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কেটে সোজা বর্ধমান শহরে নেমে পড়ি।বর্ধমান স্টেশন থেকে স্যারের বাড়ি 10 টাকার পথ টোটোতে।কিন্তু পথ বেশি না হওয়ায় আমি হেঁটেই চলে যাই, আমি গ্রামের মেয়ে।তার উপরে সকাল সকাল হাঁটতে বেশ মজাই লাগে আমার।যদিও আমি সকালবেলায় একটি মুসলিম গলির ভিতর দিয়ে সর্টকাট রাস্তা দিয়ে যাই।আর সেদিন স্যারের বাড়ির সামনে গিয়েই দেখলাম একজন মুসলিম মহিলা ভাপা পিঠার দোকান দিয়েছেন।তিনি গরম গরম সবাইকে বানিয়ে দিচ্ছেন,সম্ভবত 5 টাকা ও 10 টাকা করে পিচ নিচ্ছেন।দাম অনুপাতে পিঠার সাইজ।দূর থেকে দেখলাম অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছে সেখানে।মনে মনে খাওয়ার ইচ্ছে হলো কিন্তু পড়ার সময় চলে আসলো তাই আর খাওয়া হলো না।তার উপরে মহিলাটি একা হাতে তৈরি করে দিচ্ছেন তাই সময়টাও বেশ লাগছে সঙ্গে মানুষের জমায়েত লেগে রয়েছে।যদিও তার মেয়ে অনেক সাহায্য করছে পাশে বসে।কেউ আবার প্যাক করে বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছে।
তবে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি,ভাপা পিঠাগুলি মুসলিম মহিলারাই সুন্দরভাবে বেশি তৈরি করে থাকেন।কারন আমাদের গ্রামে এই পিঠা কখনো কারো তৈরি করতে দেখতাম না ছোটবেলায়।যাইহোক ভাবলাম পরে যেদিন পড়তে আসবো সেদিন খাবো এই দোকান থেকে।পরদিন গিয়েই আমি হকচকিয়ে গেলাম দেখলাম সেখানে পিঠার দোকান নেই।আর থাকবেই বা কি করে? পাশেই যেখানে মাটি খনন করে রাখা ছিল সেখানে আরো খনন করা হয়েছে।ড্রেনের না কিসের যেন কাজ চলছে সেখানে! মন খারাপ হয়ে গেল একটু।ভাবলাম সময় পেলে আমি নিজেই কখনো বানিয়ে খাবো,কারন আগে কখনো এই পিঠা আমার খেয়ে দেখা হয়নি।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
হ্যাঁ দিদি শীত এলেই কেমন জানি পিঠা পিঠা করে মন ৷ আর শীত এলেই লেগে যায় পিঠা খাওয়ার ধুম ৷ তবে হাঁট বাজারে পিঠার দোকার আগেভাগেই বসে ৷ দেখতে দেখতেই শীত আর পিঠা খাওয়ার দিন গুলো চলে যাচ্ছে ৷ যাই হোক, সময় থাকলে নিশ্চয়ই সেদিন পিঠা খেতেন ৷ তবে সময়ের অভাবে প্রথম দিন খেতে পরেনি আর পরের দিন দোকানটাই নিখোঁজ ৷ আপসোস সেই দোকান থেকে আর পিঠা খাওয়া হলো না আপনার
কিছুটা হতাশ আমিও হয়েছি ভাইয়া।তবে নিজের হাতে বানিয়ে আপনাদেরকে ভার্চুয়ালী খাওয়াবো একদিন, হি হি।
ভাপা পিঠা হলো শীতকালের সেরা পিঠা।এটি বানাতে একটু কষ্টসাধ্য তবে খেতে ভীষণ মজার। আমাদের এদিকেও বাজারে পাওয়া যায় ৫টাকা বা ১০টাকা করে।কিছুদিন আগে আমরা বাজার থেকে নিয়ে এসেছিলাম।তবে খারাপ লাগলো আপনি খেতে পারেননি শুনে। বাসায় তৈরি করলে ইচ্ছে মত খেতে পারবেন।
আপু,সময় নিয়ে আপনি পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করেছেন।এইজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতকাল মানে চারিদিকে পিঠা উৎসব।
বাহারি রকমের নাম আর মজার মজার পিঠা খাওয়ার ধুম করেছে চারিপাশে।
আমাদের দিকেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাজারে এরকম ভাবে পিঠা প্রস্তুত করে বিক্রি করা হয়।
মাঝে মাঝে আমিও এরকম ভাবে খেয়ে থাকি খুব সুস্বাদু লাগে এগুলো খেতে।
ভাইয়া, আপনি তাও খেতে পারেন আর আমি খাওয়ার আগেই দোকান গায়েব।হি হি☺️☺️
জী আপু বাংলাদেশ ভারতে ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে। শীতের সময় এই ভাপা পিঠা খুব ভালো চলে। এখন আর পিঠার ভিতরে ডিম দিয়ে খাওয়া শুরু হয়েছে। আমাদের দিকে আগে পাঁচ টাকা ছিল। এখন সব দশ টাকা হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।
কি বলেন ভাইয়া, পিঠার ভিতরে ডিম দিলে সেটা কেমন লাগবে খেতে সেটাই ভাবছি!যাইহোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকাল আসলেই শহরে রাস্তার পাশে এইভাবে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। আমাদের এখানেও শহরে গেলে এরকম পিঠাপুলির উৎসব ধুমধাম পড়ে যায় শহরের মধ্যে। আপনি ভাপা পিঠা খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও কিন্তু পরবর্তী দিনে সেটা ভাগ্যে জুটলো না সত্যিই আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো পোস্ট পড়ে ।গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে দারুন মজা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আসলে রাস্তা কিংবা ড্রেনের কাজ হওয়ার জন্য দোকানটি বসে নি মনে হয়।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আসলে আপু শীতকালে ভাপা পিঠার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।আর যেহেতু আপনি হেঁটে পড়তে যান সে হিসেবে সেদিন খেতে না পারলেও অন্যদিন একটু আগে গেলে খেতে পারবেন।তবে এটা ঠিক সাইজ অনুসারে ভাপা পিঠার রেট করা হয়। ১০ টাকা সাইজের টা একটু বড় ৫ টাকার সাইজ একটু ছোট তবে গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই শীতের সকালে গরম গরম ভাপা পিঠা খাবার যেন ধুম পরে যায়। তাও তো ভালো যে ৫ টাকা ১০ টাকা করে পিস হিসেবে বিক্রি করছে। ঢাকায় তো ১০ টাকা এবং কোথাও কোথাও ২০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করে।
কি বলেন আপু,এত দাম।যদিও আমাদের টাকার অনুপাতে দাম একটু বেশি হওয়া ঠিক আছে।
আপু শীতকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমাদের এখানেও ভাপা পিঠা বিক্রি করা হয়। তবে প্রতি পিস ১০/১৫ টাকা করে। যাইহোক ড্রেনের কাজ চলছিল বিধায়, পরের দিন তাহলে ভাপা পিঠা খেতে পারেননি। যেহেতু কখনো ভাপা পিঠা খাওয়া হয়নি আপনার, তাহলে অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু। আশা করি দারুণ লাগবে খেতে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অবশ্যই চেষ্টা করবো ভাইয়া, বাসার তৈরি করার জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
শীতের মাঝে ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি সত্যি বেশ দারুন। ভাপা পিঠা সবার খুব পছন্দের। শীতকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় সবখানে। দোকান না বসার জন্য আপনি পিঠা আনতে পারেন নাই। সত্যি বিষয়টা শুনে খুব খারাপ লাগছে। আপনি ঠিক বলেছেন, বাসায় তৈরি করলে ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মতামত জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।