"রঙিন লাচ্ছা সেমাই রেসিপি"
নমস্কার
রঙিন লাচ্ছা সেমাই রেসিপি:
বন্ধুরা,বর্ষাকাল চললেও আমাদের এখানে বৃষ্টির দেখা নেই,যেটা খুবই অস্বস্তিকর।চাষীরা ভাবনায় অস্থির, অথচ দেখুন শহর এলাকাগুলোতে কিন্তু বৃষ্টি হয়েই চলেছে।চাষীরা শেষমেষ জল সেচ দেওয়া মেশিনের সাহায্যে জল নিয়ে তবেই বর্ষাকালে জমি চাষাবাদ করছে।কেমন একটা অদ্ভুত বিষয় তাইনা!দিন যতই বদলে যাচ্ছে তেমনি আবহাওয়া কতটা পরিবর্তন হচ্ছে তা কল্পনার বাইরে।যাইহোক এইরকম খাপছাড়া আবহাওয়াতে মন চাইছিলো কিছু একটা তৈরি করার।তাছাড়া অনেক দিন থেকে বাবা আবার সেমাই খাওয়ার আবদার করছিলো।সেজন্য সেমাই বানিয়ে ফেললাম ঝটপট।আমি এখানে সাদা ও লাল রঙের দুই প্রকার সেমাই নিয়েছিলাম।আর এটা খুবই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যায়, ভেজে নেওয়ার ঝামেলা থাকে না।যাইহোক এটা খেতেও কিন্তু দারুণ লাগে।তাছাড়া যেকোনো ধরনের সেমাই আমার খুবই প্রিয়।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.চিনি- 1/2 কাপ
3.কাজু-কিসমিস -2 টেবিল চামচ
4.গুঁড়া দুধ-2 প্যাকেট
5.জল-2.5 কাপ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি গুঁড়া দুধে পরিমাণ মতো জল দিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর চুলার মিডিয়াম আঁচে একটি হাড়িতে করে দুধ বসিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 3
এখন দুধ হালকা গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর কুঁচিয়ে রাখা কাজু-কিসমিস দিয়ে দিলাম দুধের মধ্যে।
ধাপঃ 5
এবারে সব উপকরণ ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 6
এবারে চিনি গলে গিয়ে দুধ টগবগ করে ফুটে উঠলে তার মধ্যে দুই রঙের লাচ্ছা সেমাই দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 7
এখন একটা চামচের সাহায্যে সবকিছু একত্রে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এরপর সেমাইটি ভালোভাবে সেদ্ধ করে নেব কয়েক মিনিট ফুটিয়ে।
ধাপঃ 9
এবারে দুধের কালার লালচে ও সেমাই গাড় হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হবে চুলা থেকে।
শেষ ধাপঃ
এখন সেমাইটি নামিয়ে নিলাম একটি পাত্রে।
পরিবেশন:
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "মজাদার রঙিন লাচ্ছা সেমাই রেসিপি"।এটি এখন গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
এই লাল রঙের লাচ্ছা সেমাই তো আমার ভীষণ পছন্দের অপর। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটা সম্পূর্ণ করেছেন। আমার তো ইচ্ছে করছে এক্ষুনি খেতে। দারুন হয়েছে আপু আপনার রেসিপিটা। ধন্যবাদ আপু এরকম লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সেমাই আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু সেমাই খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে আপু রঙিন লাচ্ছা সেমাই আমার খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যদি এক চামচ খেতে পারতাম হা হা হা।কালার দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু,খুবই মজার হয়েছিল খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ও দুই রকমের সেমাই নিয়েছেন দেখে রঙিন লাচ্ছা সেমাই নাম দিয়েছেন । তাই তো বলি লাচ্চা সেমাই আবার রঙিন হয় কিভাবে । আর এটা ঠিকই বলেছেন ইদানিং বৃষ্টি খুব কমই হয়ে থাকে। যেখানে দরকার সেখানে হয় না অন্য জায়গায় বেশি হচ্ছে । ভালোই লাগলো আপু আপনার সেমাই দেখে । লাচ্ছা সেমাই রান্না করা তো খুবই সোজা খুব বেশি জালের প্রয়োজন হয় চুলায় দিলেই হয়ে যায় ।
আসলে আপু,এই ধরনের সেমাইগুলি কম খাওয়া হয়।মোটা জাতীয় প্যাকেটের সেমাইগুলি বেশি খাওয়া হয় তাই কি নাম দেব বুঝতে পারছিলাম না, তাই সাদা ও লাল রঙের দেখে রঙিন দিলাম আরকি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পছন্দের একটা রেসিপি আপনি আজকে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে সেমাই রান্নাটা খুব সহজে হয়ে যায় বলে যখনই মিষ্টি খেতে মন চাই তখনই সেমাই রান্না করি। আপনার এই রঙিন লাচ্চা সেমাই রেসিপি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। রেসিপি তৈরি করার ক্ষেত্রে কিসমিসের ব্যবহারটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ,অনেক ভালো লাগলো এমন মজাদার একটা রেসিপি দেখে।
হ্যাঁ আপু,কিসমিস দিলে খুবই ভালো লাগে খেতে।আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে ও।
ঠিক বলেছেন আপু দিন যত যাচ্ছে আবহাওয়া ততই পরিবর্তন হচ্ছে। এখনকার বাংলা ঋতুর সাথে সময়ের তেমন একটা মিল পাওয়া যায় না। বৃষ্টি না হলে কৃষকদের জন্য খুবই কষ্ট হয়ে যায়। যাই হোক আপু আপনার লাচ্ছা সেমাই দেখে মনে হচ্ছে খুব মজাদার হয়েছে। লাচ্ছা সেমাই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। দেখতেও লোভনীয় লাগছে।
শুধু দেখতে লোভনীয় নয় আপু,খেতেও অনেক মজাদার হয়েছিল ।ধন্যবাদ আপু।
বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। দুই রঙের লাচ্ছা সেমাই তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।বেশ চমৎকার ভাবে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
বৃষ্টি না হলে তো কৃষকদের ভোগান্তির শেষ নেই। যাইহোক বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সেমাই আমার খুব পছন্দ। খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর ডেজার্ট হিসেবে সেমাই খাওয়ার মজাই আলাদা। রঙিন লাচ্ছা সেমাই রেসিপিটা দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, খাওয়ার শেষে সেমাই খেলে মনে হয় পরিপূর্ণতা এসেছে খাবারে।ধন্যবাদ আপনাকে ও।