"ব্যস্ততম একটি দিন"
নমস্কার
ব্যস্ততম একটি দিন
বন্ধুরা,আমি সপ্তাহের সাত দিনে চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় তুলে ধরার এবং সেটা নিয়ে মনের অনুভূতি প্রকাশ করার।যদিও দিনের কখন কী করা হয় সেটা নিয়ে খুব কমই পোষ্ট করা হয়।তাই আজ ভাবলাম সারাদিন যে ব্যস্ত সময় পার করেছি সেটা নিয়ে লিখবো।আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আপনাদের কাছে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক---
কথায় আছে-চতুর্দশীতে চৌদ্দ ঘুল্লি খেতে হয়।জানি না এর কতটা সত্যতা বা যথার্থতা রয়েছে।তবে আজ কিন্তু চতুর্দশী নয় তবুও আমি চৌদ্দ ঘুল্লি খেলাম।শুধু আমি নয় আমার সঙ্গে আমার কয়েকজন বান্ধবীরাও যুক্ত ছিল।আসলে চতুর্দশীর বার না থাকলেও কিন্তু প্রত্যেকের জীবনে এমন চৌদ্দ ঘুল্লি খাওয়ার দিন মাঝে মাঝে এসেই পড়ে।☺️☺️মানে মাঝে মাঝেই কোনো কাজে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যেতে হয় আরকি!
নিশ্চয়ই এতক্ষনে আপনাদের জানতে ইচ্ছে করছে কি এমন হলো?🤔আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ফাইনাল এক্সাম শুরু।যদিও ভালোভাবে প্রিপারেশন নেওয়া হয়নি আমার তার উপরে কলেজের নানান ফরমায়েশ।আর আমাদের পুরো বর্ধমান জেলা শহর জুড়ে যেহেতু একটি মহিলা কলেজ সেহেতু তুলনামূলক এডমিশন কিংবা এক্সাম, লাইব্রেরির জন্যও বিভিন্ন কাজে টাকার পরিমাণটা বেশি নিয়ে থাকে।আমি আবার সেই মহিলা কলেজেই পড়ি।
আজ আমাদের এক্সামের জন্য ফর্মফিলাপ,লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্স আর এক্সাম ফি জমা দেওয়ার ডেট ছিল।এখন বৃষ্টির দিন তাই সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম।তারপর টোটো,ট্রেন ধরে সোজা কলেজ পৌঁছে গেলাম।গিয়েই দেখলাম আমাদের ক্লাসের মাত্র একজন মেয়ে এসেছে।সবার প্রথমে সে কলেজের ক্যাশ কাউন্টারে লাইন দিল তারপর আমি।কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমরা জানলাম যে,আগে লাইব্রেরী ক্লিয়ারেন্সের কাজ করতে হবে।তা না হলে ফর্ম ফিলাপের কাজ করা যাবে না।কিন্তু লাইব্রেরিসহ সকল কাজই শুরু হবে 11 টার পর।তাই লাইব্রেরি রুমের সামনে লাইন দিলাম,তখন ও রুম বন্ধ।তবুও টানা 1 থেকে দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে লাইন দিলাম।যদিও লাইনের শুরুতে আমরাই ছিলাম।
দেড় ঘন্টার পর শুনলাম দ্বিতীয় তলায় ক্যাশ কাউন্টারে লাইন পড়ে গেছে সেখানে ফর্ম ফিলাপের কাজ শুরু হয়ে গেছে।কি আর করার!বাধ্য হয়ে অনেক মানুষের পিছনে লাইন দিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে এক্সাম ফি জমা দিলাম।তারপর অন্যরুমে গিয়ে আবার ও ফর্ম ফিলাপের জন্য লাইন দিলাম অনেকটা সময় ধরে।তারপর সোজা লাইব্রেরি রুমে তবে সেটাই লাইন দিতে হয়নি।তাই তাড়াতাড়ি লাইব্রেরির কাজ মিটিয়ে কলেজ থেকে বের হলাম টোটো ধরবো বলে কিন্তু আজ কোনো টোটোই স্টেশন যেতে রাজি হচ্ছিল না।কারন সবাই ভোলাবাবার মাথায় জল ঢালতে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত।শেষমেষ একটা টোটো পেয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে সোজা নামলাম আমাদের ট্রেন স্টেশন।সেখানেও বাসের জন্য দেরি করলাম 35 মিনিটের মতো।কিন্তু বাস আরো 5 মিনিট দেরি করে আসলো,ততক্ষনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার পা দুটো পুরো ব্যথা হয়ে গেছে।অবশেষে বাড়ি পৌঁছে গেলাম।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের পোষ্টটি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
💐💐ধন্যবাদ সকলকে💐💐
পোস্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
টুইটার লিংক
আসলে এই বিষয়টা আমার কাছে ভালো লাগে না, সবার প্রথমে গিয়েও যখন শেষে লাইনে দাঁড়াতে হয়। আর আপনার সাথেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। আপনার দিনটা একেবারে ব্যস্ততম কেটেছে যা দেখে বোঝা যাচ্ছে। এই ব্যস্তময় গল্পটার কথা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এমনিতে সম্পূর্ণটা পড়ে খুব সুন্দর ছিল সম্পূর্ণটা।
ভাইয়া, এটা মনে হয় সকলের ক্ষেত্রেই এমনটা হয় কখনো সখনো।যেটা আসলেই ঠিক নয়, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপু একটা মহিলা কলেজ তাই টাকাটা একটু বেশি নেবে, এটাই স্বাভাবিক। সত্যি সামনে লাইন দাঁড়িয়ে পরে আবার লাইব্রেরিতে গিয়ে পিঁছে পড়তে হলো।সাময়িক ক্ষেত্রে খারাপ লাগলেও। জমা দিতে পেরেছেন এটাই অনেক। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু ,পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার দিনটা দেখছি বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছিল দিদি। আসলে এভাবে এতক্ষণ পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে পা তো অবশ্যই ব্যথা করবে। আবার বাসের জন্য ও দাঁড়িয়ে ছিলেন বাড়িতে আসার জন্য। অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছিলেন তাহলে। যদিও সর্বপ্রথমে গিয়েছিলেন কিন্তু সবার পেছনে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল। যাইহোক আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে এটি ভাগ করে নিয়েছেন দেখা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু,সবার প্রথমে গিয়ে ও অনেকের পিছনে লাইন টানাটা কষ্টকর ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।