"পার্শে মাছের ঝাল রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
পার্শে মাছের ঝাল রেসিপি:
পার্শে মাছগুলি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও সুন্দর।তবে যদি হয় নদী কিংবা ঘেরবেড়ীর টাটকা মাছ ।ছোটবেলায় গ্রামে বাবার সঙ্গে নদী কিংবা জোয়ার ভাটার ক্যানেলে যখন খাপ জালে মাছ ধরতে যেতাম।তখন অনেক জ্যান্ত পার্শে মাছ পেতাম।তার স্বাদ ছিল দুর্দান্ত খেয়েও তৃপ্তি পাওয়া যেত।কিন্তু এখন সত্যি বলতে বাজার থেকে কেনা মাছ খেয়ে সেই তৃপ্তি পাওয়া তো দূরের কথা, ইচ্ছেও করে না দ্বিতীয়বার খেতে।।এমনিতেই আমাদের এদিকে খুব কমই পাওয়া যায় পার্শে মাছ।যাইহোক অনেক দিন পর বাজার থেকে কিছু পার্শে মাছ কিনে আনলাম।পার্শে মাছের গিলে খেতে আমার খুব ভালো লাগে ,তাছাড়া ভাজি করে খেতে ও ভালো লাগে।যাইহোক আমি এটি দিয়ে ঝাল রেসিপি তৈরি করেছি।তাই এতে ঝালের পরিমাণ বেশি দিয়েছি,ফলে এটি খেতেও বেশ স্বাদের হয়েছিল।তো চলুন রেসিপিটা শুরু করা যাক---
উপকরণসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পার্শে মাছ | 350 গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
রসুন কুচি | 1 টি |
কাঁচা মরিচ | 11 টা |
লবন | 2 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1.5 টেবিল চামচ |
জিরে,আদা,গোটা সরিষা ও শুকনো মরিচ একত্রে বাটা | 6 টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | 80 গ্রাম |
জল পরিমাণ মতো |
প্রস্তুতপ্রণালি:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কিছু পার্শে মাছ নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর বটির সাহায্যে মাছগুলি পরিষ্কার করে কেটে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম ভালোভাবে ।
ধাপঃ 3
এবারে মাছের গায়ে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ নিয়ে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 4
একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে দিলাম চুলায় মিডিয়াম আঁচে।তারপর কড়াইটি ভালোভাবে গরম করে নিয়ে তেল দিলাম।
ধাপঃ 5
তেল গরম হয়ে গেলে হলুদ ও লবণ মেশানো মাছগুলি আস্তে করে দিয়ে দিলাম কড়াইতে।
ধাপঃ 6
এবারে মাছটি উল্টেপাল্টে লাল রঙের করে ভেঁজে নিলাম।তো একইভাবে সব মাছগুলি আমি ভেঁজে নিলাম এবং একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর ভাজা মাছের মধ্যে কেটে রাখা কাঁচা ঝাল দিয়ে নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিলাম মাছের মধ্যে।
ধাপঃ 9
এরপর স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও হলুদ দিয়ে দিলাম মাছের ঝোলে।এবারে 10 মিনিট মতো মাছের ঝোল ফুটিয়ে নিয়ে একটি পাত্রে নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 10
এখন কড়াইতে পুনরায় তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি ভেঁজে নিলাম নেড়েচেড়ে।এরপর বেঁটে রাখা মসলা দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ ভাজির মধ্যে।
ধাপঃ 11
তো আমি মসলাটি ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 12
এরপর মাছের ঝোল পুনরায় কড়াইতে ঢেলে দিয়ে 5 থেকে 7 মিনিট ফুটিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 13
তো ঝোলে ছোট ছোট বলক চলে আসলে নামিয়ে নেব রেসিপিটা একটি পাত্রে।
ধাপঃ 14
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার পার্শে মাছের ঝাল রেসিপি।
পরিবেশন:
এবারে এটি পরিবেশন করতে হবে গরম গরম ভাতের সঙ্গে।এটি খুবই স্বাদের ও মজার খেতে।আপনারা চাইলে এভাবে এটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
পার্শে মাছের ঝাল রেসিপি
দেখে লাগল ভাল,,
একটুখানি দাওনা আমায়
দেখি কেমন হলো।
কালার টা বেশ হয়েছে
হবে মজাদার,
একটুখানি পাঠিয়ে দিও
করলাম আবদার।
♥♥
আপু,আমার ও ইচ্ছা করে আপনাদেরকে খাওয়ানোর।তবে সেটা সম্ভব নয় তাই দেখেই মন ভরাতে হবে।ধন্যবাদ আপু।
মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার আর আপনার মাছের রেসিপির প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছে যা আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে।
ধন্যবাদ আপু।
পার্শে মাছের ঝোল রেসিপি সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন দিদি ৷ যদিও মাছের নামটি একটু অচেনা লাগছে ৷ তবে মাছ তো খেতে ভালোই লাগে ৷ অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপ গুলোও শেয়ার করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
হ্যাঁ ভাইয়া, অঞ্চলভেদে আলাদা নাম হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
খুব সুস্বাদু একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। প্রথম তো মনে করেছিলাম পার্শে মাছের বাজারে চলে এসেছি,হা হা হা। অনেক গুলো মাছ দিয়ে ধারুন একটি রেসিপি তৈরী করেছেন। সাজানোটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার প্রশংসাভরা মন্তব্যের জন্য।
অতি চমৎকার একটি রেসিপি আপনার পোস্টের মধ্যে দেখার সৌভাগ্য হলো আজ। মাছের নামটা আমার কাছে অপরিচিত। তবে রেসিপিটা কিন্তু দারুণভাবে উপস্থাপন করছেন। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করছেন কিভাবে রান্না করা সম্পন্ন করেছেন। যা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পার্শে মাছের ঝাল রেসিপির কালারটা অসাধারণ হয়েছে আপু। মাছগুলো দেখতেও খুব সুন্দর লাগছে। যদিও এই মাছ আজকেই আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখলাম। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। এককথায় আপনার পোস্টটি দুর্দান্ত হয়েছে আপু। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর প্রশংসামূলক মন্তব্যের জন্য।