"বাবুই পাখির বাসার আলোকচিত্র"

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

নমস্কার

বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম একটি ভিন্নধর্মী ফটোগ্রাফী ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে। অনেকদিন হলো কোনো ফটোগ্রাফি পোষ্ট করা হয় নি।আজ আমি শেয়ার করবো বাবুই পাখির বাসার চিত্র।যাইহোক তো চলুন দেখে নেওয়া যাক----

বাবুই পাখির বাসার আলোকচিত্র:

IMG-20230423-WA0002.jpg

IMG-20230423-WA0001.jpg

বাবুই পাখির নাম শুনলেই ছোটবেলার কবিতাখানি মনে পড়ে যায়।বাবুই পাখি নীরহংকারী,পরিশ্রমী।তাই এই ছোট্ট প্রাণীর কাছ থেকে ও আমরা শিক্ষা নিতে পারি।প্রকৃতির এই অপরূপ মায়াবী দৃশ্য উপভোগ করতে বেশ লাগে।নিজ ঘর বুনে ঝড় বাতাসের দিনে তাতে থাকার যে কত সুখ সেটাও এই ছোট্ট প্রানীটি জানে।প্রকৃতির লালিত্বে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা এই পাখিদের দেখলে আমার ও ডানা মেলে ইচ্ছে করে আকাশের বুকে উড়তে।

IMG-20230423-WA0003.jpg

IMG_20230423_224521.jpg

প্রকৃতি দেখতে আমি বরাবরই পছন্দ করি।আজ সকালে আমাদের বাড়ির পাশে মুড়ি কারখানা থেকে গরম গরম মুড়ি আনতে গিয়েছিলাম ।তখনই এই তালগাছে অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা দেখলাম।এক একটি বাসা একেক রকম।মনের মাধুরী দিয়ে তৈরি যেন,হাওয়ায় বাসাগুলো মৃদু দুলছিল।তাই ছবি না তুলে পারলাম না।

IMG_20230410_220822.jpg

IMG_20230410_130853.jpg

এই ফুল গাছটি আমি যখন বর্ধমানে আমার স্যারের বাড়ি পড়তে গিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম।যদিও ফুলের নাম জানি না আমি ।তবে ফুলের পাতা দেখে আমার মনে হয়েছে কিছুটা পাথরকুচির পাতার মতো।

IMG_20230410_221039.jpg

এই ছবিটি যখন আমি কলকাতায় গরিয়াতে গিয়েছিলাম তখন তুলেছিলাম।জায়গাটি বেশ নিরিবিলি।ওখানে আমার এক পিসীমার বাড়ির গেটের বাইরের দৃশ্য এটি।পাশেই একটি লোকনাথ ঠাকুরের মন্দির রয়েছে।তাছাড়া এই বাড়ির ভিতরে মাত্র কয়েকটি পরিবারের বসবাস রয়েছে।সামনে রয়েছে ছোটদের পার্ক ও শুটিং স্পট।যেখানে দুই বছর আগে ও কলকাতার ক্রাইম পর্বগুলোর শুটিং হতো এখানে ,এখন অবশ্য অন্য জায়গায় হয়।

IMG_20230423_231405.jpg

IMG_20230423_231438.jpg

এই লোকনাথ মন্দিরটি বেশ পুরোনো সেটা বোঝা যায়।তবে এই মন্দির সারাদিন তালাবন্ধ থাকে।হয়তো দিনে এক থেকে দুইবার ঠাকুর এসে পূজা করে যান।সারাদিন এর মধ্যে কাক ও শালিক পাখির লড়াই চলতেই থাকে।একটি শিব লিঙ্গ ও স্থাপন করা রয়েছে।মন্দিরটি বেশ সুন্দর কিন্তু সবাই অযত্নে ফেলে রাখে যেন।

আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের প্রকৃতির ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।

ধন্যবাদ সকলকে

ক্যামেরা: poco m2 ও redmi note 10 pro max

অভিবাদন্তে: @green015

Sort:  
 3 years ago 

বাবুই পাখির বাসার আলোক চিত্র দেখে ভালো লেগেছে।এই বাবুই পাখি আর চড়ুই পাখি নিয়ে অনেক আগে কবিতা পড়েছিলাম। বাবুই পাখিগুলো নিজের কষ্টে বানানো বাড়িতে থাকে।আর তাদের বাসা গুলো দেখতে অনেক কিউট হয়।আপনার স্যার এর বাড়িতে পড়তে যাওয়ার সময় তোলা ফুলের ফটোগ্রাফি ও ভালোই লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ফুলটি বেশ আলাদা ধরনের ছিল আপু,ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

আমার মনের কথাটি আপনি বলেছেন এই বাবুই পাখির বাসা দেখলেই ছোটবেলার কবিতার কথা মনে পড়ে যায়। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই বাবুই পাখির বাসা এখন আর তেমন দেখা যায় না বলতে গেলে এই পাখিটাই যেন আমাদের মাঝে থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

 3 years ago 

আমাদের এদিকে খুবই দেখা যায় ভাইয়া, কারন প্রচুর তাল গাছ।ধন্যবাদ আপনাকে

 3 years ago 

হুম দিদি বাবুই পাখি সত্যি অনেক পরিশ্রমী ৷ আর ছোট বেলার কথা গুলো বেশ মনে পড়ে যখন ঝড়ে বাতাসে পাখির বুনা বাসা গুলো পড়ে যেত ৷ যা দিয়ে আমরা খেলা করতাম ৷ লোকনাথ বাবার মন্দির দেখে ভালো লাগলো দিদি ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর একটি টপিক তুলে ধরার জন্য৷

 3 years ago 

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

এজন্যই তো বাবুই পাখিকে বলা হয় খুব পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান।।
ছোটবেলায় দেখতাম বাড়ির আঙিনায় বড় তাল গাছে ছিল এই বাবুই পাখির বাসা।।
বেশ কিছু বছর হলেও গাছটি কাটার পরে এখন আর বাবুই পাখি এবং তার বাসা চোখেই পড়ে না।
বেশ কিছুদিন পরে আপনার এমন ফটোগ্রাফি গুলা দেখে খুবই ভালো লাগলো।।

 3 years ago 

আশা করি আপনার পুরোনো স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন, ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

বাবুই পাখির বাসা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। যখন বাতাস হতো তখন তালগাছের নিচে বসে থাকতাম। বাতাসে বাবুই পাখির বাসা নিচে পড়লে আমরা সেটা নিয়ে খেলাধুলা করতাম। যাই হোক বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও খুব সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ছোটবেলার দিনগুলো আসলেই মজার হয়, ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

আপনার পাখির বাসার আলোকচিত্র অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কারণ পাখির বাসা এখন অনেক দুর্লভ একটি বস্তু হয়ে গেছে।আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত ব্যতিক্রম একটি ফটোগ্রাফি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।

 3 years ago 

আপু আপনাকে দুর্লভ বস্তু দেখাতে পেরে খুশি হলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।

বাবুই পাখিরা যে কতটা পরিশ্রমী সেটা তাদের তৈরি করা বাসা দেখলেই বোঝা যায়। বাসা গুলো এতটা মজবুত এবং সুন্দর দেখতে হয় যে হঠাৎ করে কেউ দেখলে অনেক সময় ধরে তাকিয়ে থাকবে।

আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা তালগাছে এরকম বাবুই পাখি বাসা বাধতো, তবে এখন সে তাল গাছটা মরে গেছে।

তোমার আজকে শেয়ার করা কিছু কিছু ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

 3 years ago 

ইস তাল গাছটি মরে গেছে জেনে খারাপ লাগলো দাদা,ধন্যবাদ তোমাকে।

 3 years ago 

সেই ছেলেবেলায় পড়েছিলাম বাবুই আর চড়ূই এর কবিতা। সেই কবিতাটি এখনও মনে গেঁথে আছে। আর আজ আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই বাবুই পাখির বাসাটি দেখতে পেলাম। সেই সাথে দেখতে পেলাম স্যারের বাসায় পড়তে যাওয়ার সময় ফুল আর প্রকৃতির কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি। বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি মন ছুঁয়ে গেল গো।

 3 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.30
JST 0.035
BTC 111084.08
ETH 3892.27
USDT 1.00
SBD 0.59