"ক্যাকটাস সাকুলেন্ট গাছের কয়েকটি আলোকচিত্র"
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম একটি ভিন্নধর্মী ফটোগ্রাফী ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে।এখন শীতকাল তাই চারিদিকে নানান ফুলের সমাহার।চারিদিকে তেমন সৌন্দর্য্যময় গাছ লাগানোর ধুম পড়েছে।ইতিপূর্বেই আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু পাতাবাহার গাছের ছবি শেয়ার করে ফেলেছি।সব পাতাবাহার গাছগুলোই নতুন ধরনের বা নতুন আঙ্গিকের।আর এই সব গাছগুলির ছবিই আমি সংগ্রহ করেছিলাম আমাদের কলেজ থেকে।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক----
ক্যাকটাস সাকুলেন্ট গাছের কয়েকটি আলোকচিত্র:
সাকুলেন্ট গাছ
এটা একটা হাওয়ার্থিয়া প্রজাতির উদ্ভিদ বলা যায়।এটির নাম হলো সাকুলেন্ট।সাকুলেন্ট এর আবার অনেক প্রজাতি রয়েছে।এরা সাধারণ মাটিতে জন্মাতে পারে না।এছাড়া অতিরিক্ত জল দেওয়ার ফলে এই গাছ মারাও যায়।তাই সবসময় হালকা রোদ্দুর ও হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে এগুলো রাখতে হয়।এটা দেখতে অনেক সুন্দর ,অনেকটা গোলাপের আকৃতি।
এলোভেরা গাছ
এটি একটি এলোভেরা গাছ।আর আমরা সবাই জানি, নানা ধরনের রকমারি এলোভেরা গাছ রয়েছে।এটি একটি ভিন্ন প্রজাতির এলোভেরা গাছ।যেটা অনেকটাই গোলাকৃতি।এই গাছগুলো সবই ছায়াযুক্ত স্থানে রাখা ছিল।এলোভেরা গাছটির পাশ থেকে অনেকগুলো বেবি গাছও রয়েছে।যেগুলো নতুন পাত্রে বসিয়ে দিলে নতুনভাবে বেড়ে উঠবে।
এলোভেরা গাছ
এটিও একটি এলোভেরা গাছ। এই গাছটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয় ও সুন্দর ।ডরা ডরাভাবে অদ্ভুত দেখতে পাতার গঠনটি।আসলে এই ধরনের গাছগুলো শিকড় থেকে জল আহরন করে পাতায় জমিয়ে রাখতে পারে।তাই পাতাগুলোর ভিতরে অনেক বেশি রস থাকে।
সাকুলেন্ট গাছ
এটাও একটি সাকুলেন্ট জাতীয় গাছ।এই গাছগুলোতে খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না।খুবই কম যত্নে এরা সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে।তবে এই গাছগুলো পাথরের টুকরো,লাল বালি ও ফাঙ্গাটাইসযুক্ত মাটিতেই ভালো হয়।একটি সাকুলেন্ট গাছের গোড়া থেকে অনেকগুলো বেবি গাছ ও জন্মে।এগুলো টবে খুব সহজেই লাগানো সম্ভব।
ম্যামন ক্যাকটাস
এটি একটি ম্যামন ক্যাকটাস গাছ।ক্যাকটাসের অসংখ্য প্রজাতি রয়েছে।যেগুলো দেখতে অদ্ভুত সুন্দর ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে অতুলনীয়।মরু অঞ্চলে এই ধরনের গাছ বেশি ভালোভাবে জন্মাতে পারে।ক্যাকটাস গাছে অসংখ্য কাটা থাকে তাই সাবধানে হাত দিতে হয়।এই ক্যাকটাস গাছে ও কিছুদিন পর ফুল ফুটবে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ক্যাকটাসের ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।পরের দিন আবারো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।ততক্ষণ সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
থাম্বনেইল দেখে ভেবেছিলাম আলু দিয়ে কোনো রেসিপি বানিয়েছেন।পরে ক্যাপশন পড়ার পর আর ভালোভাবে খেয়াল করে দেখি ব্যাপারটা তা না।
৩ নাম্বার ছবির এলোভেরাটা দেখিনি এখনো।ভালো ছিল ছবিগুলো।শুভ কামনা রইলো
ফটোগ্রাফি পোষ্টে আপনি আলুর রেসিপি দেখেছেন,😲🤭হাস্যকর ব্যাপারটি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথম ছবিটাতে গাছের নিচে থাকা পাথরগুলোকে প্রথমে আলু ভেবেছিলাম।
বুঝতে পারছি ভাইয়া, সত্যিই আলুর মতো লাগছিল পাথরগুলো।
এ ধরনের ক্যাকটাস গাছগুলো বাড়ির পাশে ছোট ছোট টবে লাগিয়ে রাখলে দারুন লাগে দেখতে। তবে যখন এই ক্যাকটাসের ফুল ফোটে তখন দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ক্যাকটাস ফুলসহ অ্যালোভেরা গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। তবে সাকুলেন্ট গাছটা আমি এই প্রথম দেখলাম। সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সাকুলেন্ট গাছগুলির অনেক প্রজাতি আছে এবং সুন্দর দেখতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ক্যাকটাস গাছ আমি কখনো বাস্তবে দেখিনি। আর হ্যাঁ ক্যাকটাস গাছ আমি সর্বপ্রথম কার্টুনে দেখেছিলাম। আজকে আপনার ফটো গুলোর মাধ্যমে অনেকগুলো ক্যাকটাস গাছ একসাথে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর সুন্দর ক্যাকটাস গাছের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আজ দেখে নিলেন ছবিতে,অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি আপনার পোস্টে এত সুন্দর সুন্দর ক্যাকটাস সাকুলেন্ট গাছের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এখানে কিছু অনেক গাছ আছে যা আগে কখনো দেখা হয়নি। আমার কাছে প্রথম গাছ অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর সুন্দর ক্যাকটাস সাকুলেন্ট গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু, ধন্যবাদ আপনাকে।
এত ধরনের ক্যাকটাস আগে একসাথে দেখি নি। অনেক নতুন জিনিস জানলাম ক্যাকটাস সম্পর্কে।তাছাড়া অ্যালোভেরা গাছ যে অনেক প্রকার হয় তাও জানা ছিল না।ফটোগ্রাফ গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফ গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার ও জানা ছিল না দাদা,কলেজ গিয়ে দেখেই বুঝতে পারলাম।ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার এই পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার। এই জাতীয় গাছ গুলো আমারও লাগাতে ইচ্ছে করে কিন্তু বিভিন্ন কারণে লাগাতে পারে না। সময় স্বল্পতা আর পাশাপাশি নিরাপদ স্থানের অভাব। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে ফটোগ্রাফি করেছি। আপনি এই কাজগুলোর বিস্তারিত পরিচয় তুলে ধরে। আশা করি এই থেকে অজানা গাছ সম্পর্কে অনেকে ধারণা পাবে।
সত্যিই ভাইয়া, এ ধরনের গাছে সময় বেশি না লাগলেও নিরাপদ স্থান নির্বাচন খুবই জরুরি।ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্যাকটাস জাতীয় গাছ কাটা যুক্ত হলেও দেখতে কিন্তু খুব সুন্দর লাগে। আপনি অনেক প্রজাতির ক্যাকটাসের ছবি তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ম্যামন ক্যাকটাস খুবই কমন কিন্তু দেখতে বেশি ভাল লাগে আমার কাছে। সাকুলেন্ট ক্যাকটাস এর ছবিও ভাল লাগছে। ধন্যবাদ দিদি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ,তবে এই একটি ক্যাকটাস ছিল কলেজের বারান্দায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ক্যাকটাস গাছের আলোকচিত্র গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। বাসার বারান্দায় ক্যাকটাস ও অ্যালোভেরা গাছ সাজিয়ে রাখলে ভালই লাগে। আমার বারান্দাতেও আমি কিছু গাছ রেখেছি। আমি আমি গাছ লাগাতে ও গাছের যত্ন করতে অনেক ভালোবাসি। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কিছু গাছের আলোক চিত্র আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি ও গাছ লাগাতে ভালোবাসেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আপনার আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে অনেক ধরনের গাছ দেখতে পারলাম। তিন নাম্বারে থাকা এলোভেরা গাছটি আমার একটু নতুন মনে হলো। আমি যে এলোভেরা গাছ দেখেছিলাম তার থেকে এগুলো একেবারেই অন্যরকম। উপস্থাপনা দেওয়ার কারণে প্রত্যেকটি গাছ সম্পর্কে ধারণা পেলাম। পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করলেন আমাদের মাঝে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।