"কম উপকরণে মজাদার বাদাম চাক/কটকটি রেসিপি"
নমস্কার
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
বন্ধুরা, আজ একদম ভিন্ন ধরনের রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে।আজ তৈরি করেছি বাদাম চাক বা বাদাম কটকটি।বাদাম খেতে সবাই পছন্দ করেন কমবেশি।আমি তো এটি ভীষণ পছন্দ করি।ছোটবেলায় বাদাম চাক বাজার থেকে প্রায় কিনে খেতাম।এক এক জায়গায় এটি আবার ভিন্ন নামে পরিচিত।যাইহোক খুবই কম উপকরণে এই বাদাম চাক তৈরি করা যায়।এছাড়া দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করেও এটা খাওয়া যায়।সত্যি বলতে বাদাম চাকটি আমি এই প্রথম তৈরি করেছি এবং ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছি।আসলে এটি আমি ঠিকঠাক তৈরি করলেও শেষে গিয়ে ঠিকভাবে কেটে তুলতে পারিনি।এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছিল যে এটা কেটে তুলতে আমার খুবই কষ্ট হয়ে গিয়েছিল।তবে এটা দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছিল তেমনি খেতে অনেক মজার হয়েছিল।আশা করি রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক---
◆চিনি
◆সামান্য তেলধাপঃ 1
প্রথমে আমি একটি শুকনো পরিষ্কার কড়াই চুলার মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে দেব।এরপর কড়াইয়ের মধ্যে বাদামগুলি দিয়ে দেব।ধাপঃ 2
এরপর বাদামগুলি নেড়েচেড়ে ভালোভাবে ভেঁজে নেব।ধাপঃ 3
তো আমি ভাজা বাদামগুলি একটি পাত্রে তুলে নিলাম।ধাপঃ 4
এরপর আমি সব বাদামের খোসা ছাড়িয়ে নিলাম ভালোভাবে।এটা একটু সময় নিয়ে করতে হবে।ধাপঃ 5
এবারে পুনরায় কড়াই বসিয়ে দেব চুলায়।তারপর তার মধ্যে পরিমান মতো চিনি দিয়ে দেব।ধাপঃ 6
চুলা লো আঁচে রেখে চিনিগুলি নেড়েচেড়ে নেব অনবরত।ধাপঃ 7
এরপর চিনি আস্তে আস্তে গলতে শুরু করবে এবং লাল কালার চলে আসবে।ধাপঃ 8
এখন গলে যাওয়া চিনির মধ্যে বাদামগুলি দিয়ে দিলাম।ধাপঃ 9
এবারে বাদামগুলি নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম চিনির সঙ্গে।ধাপঃ 10
এরপর একটি স্টিলের থালার গায়ে সামান্য তেল মেখে নিলাম হাত দিয়ে।ধাপঃ 11
এখন বাদামের গরম পাটালি ঢেলে দিলাম থালার উপর।ধাপঃ 12
এবারে বাদামের পাটালি কিছুটা ঠান্ডা হয়ে আসলে একটি চাকুর সাহায্যে দাগ কেটে রেখে দিলাম এভাবে।শেষ ধাপঃ
এরপর কেটে নেওয়া দাগের উপর থেকে বাদাম চাকগুলি ভেঙে নিলাম। তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কম উপকরণে মজাদার বাদাম চাক/কটকটি রেসিপি"।
এবারে এটি ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে ।এটি খুবই সুস্বাদু ও মজার খেতে হয়েছিল।চাইলে এটি কৌটোতে ভরে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রেখেও খাওয়া যায়।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸🌸🌸
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
টুইটার লিংক
বাদাম দিয়ে এরকম কটকটি আগে অনেক খেতাম। তবে অনেক দিনই হল বাদামের কটকটি খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি বাদাম দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। সত্যি এই রেসিপি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে কখনো নিজে তৈরি করিনি।সব সময় সামনে পেলেই কিনে এনে খায়।যাইহোক আপু কিভাবে তৈরি করতে হয় তার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু ,আমিও প্রথম তৈরি করলাম এটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের দেশে পিনাটবার পাওয়া যায় কিছুটা এরকম দেখতে। হয়তো দেশের ভিন্নতায় নাম ভিন্ন রকম হয়েছে তবে দুটোই তো বাদাম দিয়েই তৈরি হয়। এই রেসিপি টা আমি অনেক খেয়েছি তবে সেটা দোকান থেকে কিনে যাই হোক অনেক সুস্বাদু হয়। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এগুলো আমরা বাজার থেকে কিনে খাই খুব ভাল লাগে আমার এটা খেতে। বাসাই বানানোর রেসিপি জানতাম না।খুব কম এবং অল্প সময়ের মধ্যে সহজে এটা বানানো যায় জানতাম ই না অনেক ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন জেনে গেলেন, ট্রাই করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাদাম আমার খুবই পছন্দের। গরম গরম বাদাম ভাজা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে বাদাম দিয়ে এভাবে চাক নিজে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই খুব সুস্বাদু হয়েছিল আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
এই কটকটি ছোটবেলা অনেক খেয়েছি।ভীষন পছন্দ আমার।এই পিনাট বার এখন দোকানে পাওয়া যায়। আমার ছেলের ও খুব পছন্দ। আমি করেছিলাম অনেক আগে বেশ কয়েকবার।আপনার রেসিপি দেখে ভীষন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দিদি রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি ও আপনার ছেলে এই রেসিপিটি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
বাদাম ভেজে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে বাদাম দিয়ে এতো চমৎকার রেসিপি তৈরি করা যায় জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাদাম ভাজি আমারও খুবই পছন্দের, ধন্যবাদ আপু।
এগুলো কে আমাদের এখানে বাদামের চপ বলে।ছোটবেলায় অনেক খাওয়া হতো বাদামের চপ।আমি খেতে খুবই পছন্দ করি।এত্তো অল্প উপকরণ দিয়ে এতো সহজেই মজাদার বাদামের চপ তৈরি করা যায় জানা ছিলো না।আজকে তোমার পোস্টের মাধ্যমে পছন্দের রেসিপি টি শিখে নিতে পারলাম তার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাই মামনি।❤️
বাদামের চপ নতুন একটি নাম জানতে পেরে ভালো লাগলো আন্টি।আমার রেসিপি দেখে আপনি একটুখানি হলেও উপকৃত হয়েছেন এতেই আমার সার্থকতা।ধন্যবাদ আপনাকে💝।
দিদি আপনি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মজাদার বাদাম চাক/কটকটি রেসিপি। কটকটি নামটি শুনলেই ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে যায়। কত যে কটকটি খেয়েছি হিসেব ছাড়া। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার অনুভূতি জানতে পেরেও ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।