"সুস্বাদু ল্যাটা মাছের ভর্তা রেসিপি"
নমস্কার
সুস্বাদু ল্যাটা মাছের ভর্তা রেসিপি:
অনেকদিন হলো কোনো রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয়নি।তাই আজ ভাবলাম সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করবো সুস্বাদু ল্যাটা মাছের ভর্তা রেসিপি।আমি এখানে বড় সাইজের ল্যাটা মাছ নিয়েছিলাম,যেগুলো একেবারেই টাটকা ছিল।অঞ্চল বিশেষে এই মাছের অনেক নাম রয়েছে।যেমন-টাকি মাছ,চাং মাছ,ল্যাঠা মাছ ইত্যাদি।তো এই রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন ছিল।কারণ জীবনের প্রথম মাছ ভর্তা রেসিপি তৈরি করলাম।এটা ছিল আমাদের কাছে আজগুবি গল্পের মতো।মাছ ভর্তা যে খাওয়া যায় এটা প্রথম জেনেছি এই কমিউনিটির দৌলতে।রেসিপিটি তৈরির পর আসলেই বেশ সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ল্যাটা মাছ | 8 পিচ |
কাঁচা মরিচ | 3 টি |
শুকনো মরিচ | 4 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 3 টি |
রসুন কুচি | 6 কোয়া |
লবণ | 1.5 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1 টেবিল চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | 1.5 টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | 60 গ্রাম |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি মাছগুলো আশ ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো শুকনো মরিচ গুঁড়া,লবণ ও হলুদ মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন হাতের সাহায্যে প্রতিটি মাছের গায়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম লবণ ও হলুদ।
ধাপঃ 4
তো আমার মাছগুলোর গাঁয়ে মসলা মেশানো হয়ে গেছে।
ধাপঃ 5
এখন মিডিয়াম আঁচে চুলায় একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 6
তেল হালকা গরম করে নিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর মাছগুলো উল্টাপাল্টা করে বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 8
এখন ভাজা মাছগুলো আমি একটি পাত্রে তুলে নিলাম।
ধাপঃ 9
এবারে ভাজা মাছ থেকে আমি কাটা বেছে আলাদা করে নিলাম।
ধাপঃ 10
তো আমার মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে নেওয়া হয়ে গেছে।
ধাপঃ 11
এখন মাছগুলো শীল-পাটার সাহায্যে বেঁটে নেব।
ধাপঃ 12
আমি মাছগুলো মিহি করে বেঁটে নিয়েছি।
ধাপঃ 13
এখন একটা পাত্রে তুলে নিলাম বেঁটে নেওয়া মাছগুলো।
ধাপঃ 14
এরপর আমি তেলের মধ্যে কড়াইতে শুকনো মরিচ ভেজে নিলাম ।
ধাপঃ 15
এবারে মরিচগুলি তুলে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি ও রসুন দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 16
পেঁয়াজ ও রসুন হালকা ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ দিয়ে আবারো হালকা ভেজে নেব।
ধাপঃ 17
এখন ভাজা ঝাল ও পেঁয়াজ-রসুন পাত্রে তুলে নিলাম।
ধাপঃ 18
এখন শীল-পাটায় ভাজা মরিচ নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 19
এরপর ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন নিয়ে নিলাম শীল-পাটায়।
ধাপঃ 20
সবগুলো উপকরণ একত্রে মিহি করে বেঁটে নিলাম।
ধাপঃ 21
এবারে একটি পাত্রে তুলে নিলাম বেঁটে নেওয়া উপকরণগুলি।
ধাপঃ 22
এখন বেঁটে রাখা মাছের মধ্যে সামান্য পরিমাণ লবণ ও বেঁটে নেওয়া মসলা দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 23
এরপর হাত দিয়ে একত্রে সমস্ত কিছু মাছের সঙ্গে মেখে নিলাম।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার সুস্বাদু ল্যাটা মাছের ভর্তা রেসিপি।
পরিবেশন:
এখন ভর্তা রেসিপিটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
ল্যাটা মাছের নাম আমি কখনো শুনিনি৷ পরে দেখে বুঝতে পারলাম এই মাছকে আমরা টাকি মাছ বলে থাকি।আজকে যেভাবে আপনি এই মাছ দিয়ে ভর্তা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন তা দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে৷ এই রেসিপিটি দেখে আমি অনেক অনুপ্রাণিত হলাম৷ অবশ্যই এরকম একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করব৷
আমাদের অঞ্চলে এই মাছ টাকি মাছ নামে পরিচিত। অঞ্চল ভেদে মাছের নামের পার্থক্য রয়েছে। ল্যাটা মাছের ভর্তা আমার ভীষণ প্রিয়। গরম ভাতের সাথে ল্যাটা মাছের ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
বাহ খুব দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন তো। এই ল্যাটা মাছগুলোকে আমরা টাকি মাছ বলে থাকি। তবে এই টাকি মাছ দিয়ে যে কোন রকম ভর্তা গুলো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। বেশিরভাগ সময় টাকি মাছ দিয়ে শিম অথবা আলুর ভর্তা খাওয়া হয়েছে। কিন্তু আলাদাভাবে টাকি মাছের ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল। যদিও এখন দেশীয় মাছগুলো পাওয়া খুবই কষ্টকর। ধন্যবাদ আপু,লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
টাকি মাছের ভর্তা আমার ভীষণ প্রিয় দিদি। আপনাদের ওখানে ল্যাটা মাছ বলে জেনে ভালো লাগলো। এই মাছটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ভর্তা খেতে ও ভীষণ মজাদার। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ল্যাটা মাছের ভর্তা রেসিপি কখনো খায়নি দিদি আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটির রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের সাথে আপনি শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ল্যাটা মাছের ভর্তা এর আগে কোনদিন খাইনি তাই এটা আমার কাছে নতুন ধরনের একটা রেসিপি বলে মনে হয়েছে। এটা সত্য কথা সাথে যদি একটু বেশি পরিমাণে মরিচ দেওয়া যায় তাহলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে।
অনেকগুলো ধাপের সমন্বয়ে আজকের মাছের রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো সুন্দরভাবে আপনার উপস্থাপনা দেখে। যেখানে আপনি রান্নার কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আর প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো পাশাপাশি একটি টেবিলের ছক করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আর এরই মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে সুন্দর একটি রেসিপি ব্লগ।
ল্যাটা মাছের ভর্তা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। কারণ এই মাছের রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। তাই আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধাপগুলো দেখেই যেন খুব সহজে এই ভর্তা রেসিপি তৈরি করা শিখলাম।
ল্যাটা মাছকে আমাদের এলাকায় টাকি মাছ বলে থাকে।আর চ্যাং টাকি মাছের মতোই তবে অন্য প্রজাতির মাছ।দেখতেও একটু ভিন্নতা দুই মাছের মধ্যে।জেনে ভালো লাগলো যে বাংলাব্লগের দৌলতে এই মজাদার ভর্তা রেসিপিটি শিখেছেন এবং খেয়ে ভালো লেগেছে। ভর্তা গুলো তৈরি করার পদ্ধতি খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের গ্ৰামে একে টাকি মাছ আবার ল্যাটা মাছও বলে। এই মাছের ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু। আমাদের বাসায় যেকোনো অনুষ্ঠানে এই রেসিপি তৈরি করা হয়। কারণ মাছ মাংসের পাশাপাশি ভর্তা খেতে দারুণ লাগে। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে খুব মজা হয়। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।