"কয়েকটি ফুলের আলোকচিত্র"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম একটি ভিন্নধর্মী ফটোগ্রাফী ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে। এখন শীতকাল প্রায় শেষের পথে।তবুও চারিদিকে নানান ফুলের সমাহার।আমাদের কলেজও ছোট বড়ো অসংখ্য ফুল ও পাতাবাহারে সেজে উঠেছে নতুনরূপে।তাই কয়েকদিন আগে যখন আমি কলেজ গিয়েছিলাম তখনই মাত্র কয়েকটি ফুলের ছবি সংগ্রহ করেছিলাম।কারন অধিকাংশ ফুলের ছবি আমি গতবছর আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।তাই নতুন করে আর ছবি তুলিনি। তবে এই পরিচিত ফুলগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং একটু ভিন্নধর্মীও মনে হয়েছে।যাইহোক তো চলুন দেখে নেওয়া যাক----
কয়েকটি ফুলের আলোকচিত্র:
পপি ফুল
এটি একটি সাদাগোলাপি রঙের পপি ফুল।এই ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর কিছুটা কাগজের মতোই পাপড়িগুলো।তবে এই ফুলে কোনো মধু হয় না।তবুও বিভিন্ন মৌমাছি ছুটে আসে এই ফুলের আকর্ষণে।পপি ফুলের অনেক নাম রয়েছে।যেমন-পাপি ফুল,পোস্ত ফুল ।পপি ফুলের অনেক রং ও প্রজাতির রয়েছে।লাল, সাদা,গোলাপি ইত্যাদি রঙের পপি ফুল বেশি দেখা যায়।
জবা ফুল
আমাদের অতি পরিচিত একটি ফুল হলো জবা।যার বহু প্রজাতি ও রং রয়েছে।একেকটি জবা ফুলের এক একটি ভিন্নধর্মী রূপ।জবা ফুল তো সকলের বাড়িতে রয়েছে এবং বিভিন্ন রঙের জবা ফুল রয়েছে ।আর এই একটি ফুলের মধ্যে আমি চারটি রং খুঁজে পেয়েছি।এই ফুলের তেমন গন্ধ না থাকলেও সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে সকলকে।
জবা ফুল বরাবরই আমার খুবই প্রিয় একটি ফুল।ফুলের কুঁড়িগুলিও বেশ আকর্ষণীয় দেখতে।লাল,গোলাপি, খয়েরি ও গেরুয়া হলুদ রঙের সমন্বয়ে অসাধারণভাবে গঠিত ফুলটি।ফুলটি দেখেই আমার ছিড়তে মন চাইছিল কিন্তু গাছের ফুল গাছের বেশি শোভা পায়।
বড় গাঁদা ফুল
এটি একটি বড় গাঁদা ফুল।যা অসংখ্য থরে থরে সাজানো পাপড়ির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।অনেকটা গোলাপ ফুলের মতোই ।এই ফুলের বিভিন্ন প্রজাতি ও রঙের রয়েছে।যেমন-কৃষ্ণগাঁদা বা রক্তগাঁদা,তারাগাঁদা এবং লাল,হলুদ ,কাঁচা হলুদ রঙের ও বড় গাঁদা ফুল রয়েছে।গাঁদা ফুলের চাহিদা সারাবছরই থাকে এবং বাণিজ্যিকভাবেও এটি প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়।
তারা গাঁদা ফুল
এটি একটি তারা গাঁদা ফুল। এই ফুল অসংখ্য পাপড়ি দ্বারা স্তরে স্তরে সুসজ্জিত না হয়ে কেবলমাত্র একটি স্তরে সজ্জিত থাকে।গাঁদা ফুল গাছ অনেক উপকারী।যেকোনো কাঁটা বা ক্ষত স্থানে গাঁদা ফুলের পাতার রস লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।অনেকেই গাঁদা ফুলকে তার সঠিক নামে না সম্বোধন করে গাঁধা ফুল বলে থাকেন।যেটা আসলেই আমার কাছে মনে হয় সেই ফুলকে অসম্মান করা ছাড়া কিছু নয়।
লাল পপি ফুল
এই পপি ফুলকে আফিম বলে ও ডাকা হয়।কারণ পপি ফুল থেকে মাদক দ্রব্য তৈরি হয়,আবার সব পপি ফুল থেকে আফিম তৈরি হয় না।এই ফুলগুলো পার্বত্য অঞ্চলে ভালো জন্মে।কিছু সাধারণ প্রজাতির পপি ফুল রয়েছে যেটি দেখতে অনেক সুন্দর।তবে এই লাল রঙের পপি ফুলের মাঝের অংশ আমার কাছে কিছুটা রাখি ফুলের মতো দেখতে লেগেছে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফুলের ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।পরের দিন আবারো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।ততক্ষণ সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
কয়েকটি ফুলের আলোকচিত্র:
পপি ফুল
এটি একটি সাদাগোলাপি রঙের পপি ফুল।এই ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর কিছুটা কাগজের মতোই পাপড়িগুলো।তবে এই ফুলে কোনো মধু হয় না।তবুও বিভিন্ন মৌমাছি ছুটে আসে এই ফুলের আকর্ষণে।পপি ফুলের অনেক নাম রয়েছে।যেমন-পাপি ফুল,পোস্ত ফুল ।পপি ফুলের অনেক রং ও প্রজাতির রয়েছে।লাল, সাদা,গোলাপি ইত্যাদি রঙের পপি ফুল বেশি দেখা যায়।
জবা ফুল
আমাদের অতি পরিচিত একটি ফুল হলো জবা।যার বহু প্রজাতি ও রং রয়েছে।একেকটি জবা ফুলের এক একটি ভিন্নধর্মী রূপ।জবা ফুল তো সকলের বাড়িতে রয়েছে এবং বিভিন্ন রঙের জবা ফুল রয়েছে ।আর এই একটি ফুলের মধ্যে আমি চারটি রং খুঁজে পেয়েছি।এই ফুলের তেমন গন্ধ না থাকলেও সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে সকলকে।
জবা ফুল বরাবরই আমার খুবই প্রিয় একটি ফুল।ফুলের কুঁড়িগুলিও বেশ আকর্ষণীয় দেখতে।লাল,গোলাপি, খয়েরি ও গেরুয়া হলুদ রঙের সমন্বয়ে অসাধারণভাবে গঠিত ফুলটি।ফুলটি দেখেই আমার ছিড়তে মন চাইছিল কিন্তু গাছের ফুল গাছের বেশি শোভা পায়।
বড় গাঁদা ফুল
এটি একটি বড় গাঁদা ফুল।যা অসংখ্য থরে থরে সাজানো পাপড়ির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।অনেকটা গোলাপ ফুলের মতোই ।এই ফুলের বিভিন্ন প্রজাতি ও রঙের রয়েছে।যেমন-কৃষ্ণগাঁদা বা রক্তগাঁদা,তারাগাঁদা এবং লাল,হলুদ ,কাঁচা হলুদ রঙের ও বড় গাঁদা ফুল রয়েছে।গাঁদা ফুলের চাহিদা সারাবছরই থাকে এবং বাণিজ্যিকভাবেও এটি প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়।
তারা গাঁদা ফুল
এটি একটি তারা গাঁদা ফুল। এই ফুল অসংখ্য পাপড়ি দ্বারা স্তরে স্তরে সুসজ্জিত না হয়ে কেবলমাত্র একটি স্তরে সজ্জিত থাকে।গাঁদা ফুল গাছ অনেক উপকারী।যেকোনো কাঁটা বা ক্ষত স্থানে গাঁদা ফুলের পাতার রস লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।অনেকেই গাঁদা ফুলকে তার সঠিক নামে না সম্বোধন করে গাঁধা ফুল বলে থাকেন।যেটা আসলেই আমার কাছে মনে হয় সেই ফুলকে অসম্মান করা ছাড়া কিছু নয়।
লাল পপি ফুল
এই পপি ফুলকে আফিম বলে ও ডাকা হয়।কারণ পপি ফুল থেকে মাদক দ্রব্য তৈরি হয়,আবার সব পপি ফুল থেকে আফিম তৈরি হয় না।এই ফুলগুলো পার্বত্য অঞ্চলে ভালো জন্মে।কিছু সাধারণ প্রজাতির পপি ফুল রয়েছে যেটি দেখতে অনেক সুন্দর।তবে এই লাল রঙের পপি ফুলের মাঝের অংশ আমার কাছে কিছুটা রাখি ফুলের মতো দেখতে লেগেছে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফুলের ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।পরের দিন আবারো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।ততক্ষণ সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
দিদি আপনি বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ পপি জবা গাদাঁ প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল অনেক সুন্দর আর প্রনাবন্দর ৷ আসলে ফুল হলো সৌন্দর্যের প্রতীক ৷ তাই ফুল দেখতে ভালোই লাগে ৷ অনেক ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ৷
ফুল সকলের পছন্দের জিনিস, ধন্যবাদ দাদা।
শীতকালীন ফুলের দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ।শীতকালে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে যেগুলো দেখতে তার পাশাপাশি পরিবেশকে সুন্দর করে তোলে। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগলো যেটা করতে আমিও পছন্দ করি।
আপনার ফটোগ্রাফিও দারুণ হয় ভাইয়া।
সত্যি বলেছেন আপু শীত প্রায় শেষের দিকে, আর শীতেই দেখা যায় নানা ধরনের ফুলের সমারোহ। আপনার প্রত্যেটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। সত্যি আপু জবা ফুলের বিভিন্ন ধরনের হয়ে। আসলে জবাফুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আর লাল পপি ফুলগুলো আমি প্রথম দেখলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জবা ফুল আমার ও খুবই পছন্দের আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ফুলের আলোকচিত্র গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। পপি ফুলটা আমি এর আগে কখনো দেখেছি কিনা সেটা মনে নেই। বৃষ্টি না আসায় ফুল গাছ গুলোতে ময়লা জমে গেছে। বৃষ্টি আসলে ময়লা গুলো চলে গেলে অনেক সুন্দর লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, ফুলের পাতায় একটু ধুলো জমেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকাল প্রায় শেষের দিকে এলেও এখনো গাছে গাছে প্রচুর ফুল আছে। ফুলের বাগানে ঘুরতে গেলে বিভিন্ন রকমের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আর আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে ফুলে ভরে আছে। সেই সুন্দর ফুল গুলোর ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার শেয়ার করা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।
আপু,শীতকাল শেষ হলেও যেন ফুলের সমাহার বসন্তের শেষ না হওয়া অব্দি কিছুতেই হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আমি একেবারেই মুগ্ধ আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আসলে আমি ফটোগ্রাফি করতে যেমন পছন্দ করি দেখতেও তেমনি ভালো লাগে। আমার কাছে ফটোগ্রাফি পোস্ট ও ভীষণ ভালো লাগে। আর সেই ফটোগ্রাফি যদি হয় ফুলের তাহলে তো কোন কথাই নেই। বলতে গেলে এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার প্রত্যেকটি ফুলের ফটোগ্রাফি । কোনটা রেখে কোনটা দেখব ভেবে পাচ্ছিনা। বর্ণনা সহকারে দেওয়ার কারণে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
আমি সবসময় চেষ্টা করি ভাইয়া কিছু বর্ননাসহ দিতে,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
গতবছর আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেকগুলো ছবি দেখতে পেয়েছি।তবে এখন যে ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছে তার মধ্যে পপি ফুল বেশ আকর্ষণীয় হয়েছে।পপি ফুল এর আগে আমি দেখিনাই আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেছি অনেক ভালো লেগেছে।
এই ফুলটি আমার কাছে ও নতুন ছিল আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিতো অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। কলেজে গিয়ে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার প্রত্যেকটা ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। তবে আমি এই প্রথম পপি ফুল দেখলাম। হয়তো এই ফুল আমাদের এখানে অন্য নামে ডাকে। অনেক সুন্দর করে ফুলের বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফুলের ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ।
বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নাম থাকতে পারে আপু।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অসাধারণ হয়েছে দিদি ফটোগ্রাফ গুলো। দারুন দক্ষতার সাথে সাবজেক্ট গুলো কে ক্যামেরাবন্দি করেছেন।আর একটি নতুন বিষয় জানলাম যে সব পপি থেকে আফিম হয়না।আমি ভাবতাম সব পপি থেকেই আফিম হয়। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর ফটোগ্রাফ ও বর্ণনার জন্য।
হ্যাঁ দাদা,সব পপি থেকে আফিম হয়না কারন কিছু নিরীহ প্রজাতির পপি ফুল গাছ রয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।