"বেড়ে চলেছে বজ্রপাতের সংখ্যা"
নমস্কার
বেড়ে চলেছে বজ্রপাতের সংখ্যা:
বজ্রপাত হচ্ছে আকাশের তীব্র আলোর ঝলকানিকে বোঝায়। এই সময় ওই এলাকার বাতাসের প্রসারন এবং সংকোচনের ফলে বিকট শব্দ শোনা যায়।তো আজ সেই বজ্রপাত নিয়েই কিছু অনুভূতি প্রকাশ করবো।তো চলুন শুরু করা যাক---
এখন আষাঢ় মাস অর্থাৎ বর্ষাকাল।তাই ঘন ঘন আকাশ কালো হয়ে হঠাৎ করেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আপনাদের দেশে কেমন বৃষ্টি হচ্ছে সেটা আমি জানি না!তবে আমাদের এখানে কিন্তু বেশ বৃষ্টি হচ্ছে।আষাঢ় মাসের প্রথম দিন থেকেই ঝিরিঝিরি, টিপটিপ, ঝপঝপ সুরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে।এই বৃষ্টি থামছে তো ওই আবার শুরু হচ্ছে।
বৃষ্টি আমরা সকলেই পছন্দ করি।বৃষ্টি দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বৃষ্টির জলে ভিজতে খুবই মজা।ছোটবেলায় এই বৃষ্টিতে ভেজার কাজটি আমি প্রায় করতাম।বৃষ্টিতে শৈশবে ছুটে চলা ,কখনো আবার ফুটবলে পা বাড়িয়ে লাথি মারা,আবার পুকুরে নেমে সাঁতার কাটা।সময়ের স্রোতে সবকিছু এখন চোখে ভাসে কিন্তু মন থেকে মুছে যায় না। বৃষ্টি নিয়ে কতই না কবিতা ,গান লেখে মানুষ ভালোবেসে।বৃষ্টির অনুভূতিগুলিই আলাদা।
ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম বৃষ্টিতে ভিজে তখন দুই একটি বাজ পড়ার শব্দ শুনে থমকে যেতাম না,কখনো আঁতকে উঠতাম না।কিন্তু এখন সেই আমি বৃষ্টির জলে ভিজতে ভয় পাই,উঠানে নামতে ভয় পাই।কারন দিন যতই এগিয়েছে আপনারা লক্ষ্য করবেন যে,ততই বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।আগেও বজ্রপাত হতো কিন্তু সংখ্যায় অনেক কম,আবার কোনো কোনো দিন নিঝরে বৃষ্টি হতো।কিন্তু কোনো বজ্রপাতই হতো না,এখন বৃষ্টি হলেই ঘন ঘন বজ্রপাত শুরু হয়ে যায়।একেকটি কান ফাটানো শব্দে আওয়াজ করে।এমনকি বৃষ্টি না হলেও বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটে চলেছে অহরহ।একেকটি বছরে কতজন মানুষের তাজা প্রাণ যে এই বজ্রপাতের কারনে চলে যায় তা খবর দেখলেই বোঝা যায়।
বাড়ির বয়স্কদের অর্থাৎ দাদু-দিদার মুখে শোনা যায়, পূর্বে বজ্রপাত কম হওয়ার পিছনে একটি প্রধান কারণ রয়েছে।আর সেই কারণটি হলো ম্যাগনেট অর্থাৎ চুম্বক। চুম্বক হলো এমন একটি বস্তু যা বিশেষ আকর্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন।চুম্বকের এই ক্ষমতাকে চুম্বকত্ব বলা হয়।এই চুম্বক প্রত্যেকটি এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো থাকতো।ফলে চুম্বক শক্তির আকর্ষণে বজ্রপাত কম ঘটতো।কিন্তু দুঃখের বিষয়,একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা টাকার লোভে রাস্তার মোড় থেকে রাতের অন্ধকারে ম্যাগনেট চুরি করতো। তারপর বেশি দাম দিয়ে ম্যাগনেটগুলি বিক্রি করে দিতো।তাই এখন আর এলাকায় কোনো ম্যাগনেট বসাতে দেখা যায় না।ফলে বজ্রপাতের সংখ্যাও অনেকখানি বেড়ে গেছে সঙ্গে ক্ষতির আশঙ্কাও।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের পোষ্টটি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
💐💐ধন্যবাদ সকলকে💐💐
পোস্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
টুইটার লিংক
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you💝.
আমাদের এখানেও কিছুদিন আগে একটি নারিকেল গাছে বজ্রপাত হয়েছে আপু আমরা এমনিতেই জানি নারিকেল গাছে ডাক পড়লে পারে সে গাছ আর বাঁচে না। তবে এই মুহূর্তে আমাদের অনেক সাবধানতা গ্রহণ করতে হবে এই হালকা গরম অবস্থায় আকাশে মেঘ হলে বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে।
আমাদের অবশ্যই সাবধানে থাকতে হবে, ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।