"কিছু প্রয়োজন মেটাতে"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।দিন দিন গরমের মাত্রা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে সকলের জীবন বেশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে।যাইহোক আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।তো চলুন শুরু করা যাক---

কিছু প্রয়োজন মেটাতে:

(পর্ব-1)

IMG_20230614_211301.jpg
বন্ধুরা,অনেকেই জানেন আমার পরিবারসহ আমি আগে কলকাতার বারাসাত শহরে থাকতাম।তবে ভালোবাসার টানে গ্রামে চলে এসেছি।কিন্তু মাঝে করোনাকালীন সময়ে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় আমাদের কিছু কাগজ এখনো ওখানেই রইয়ে গেছে।সেই সূত্রে আমাকে মাঝে মাঝেই যেতে হয় কলকাতায় কিছু প্রয়োজন মেটাতে।তাই হঠাৎ করেই পরশুদিন আমাকে জরুরী ব্যাংকের একটি কাজ মেটানোর জন্য যেতে হয়েছিল বারাসাত।

আমার ব্যাংকে যেহেতু স্টুডেন্ট একাউন্ট ছিল তাই সেটাকে নরমাল একাউন্ট করবো বলে, এছাড়া কিছু টাকা তোলারও প্রয়োজন ছিল এবং অন্যান্য কিছু কাজে মেটাতেও আমাকে যেতে হয়েছিল।এখন যেহেতু রোদের তীব্রতা খুবই বেশি তাই সকালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

প্রথমে ভেবেছিলাম ,সকাল 7 টার বাস ধরে স্টেশন পৌঁছাবো।কিন্তু সেটা মিস হয়ে গেল বাড়ি থেকে বের হতে হতে।তাই আমার সাথে যেহেতু আমার দাদাও গিয়েছিল সেইজন্য দাদার সাইকেল করেই দুইজনে চলে গেলাম স্টেশনে।সেখানে দাদা গ্যারেজে সাইকেল রাখতে রাখতেই আমি ট্রেনের টিকিট কেটে নিলাম হাওড়া লোকাল মেন লাইনের।যদিও আমরা মাঝপথে শেওরাফুলি স্টেশন নেমে যাবো।

IMG_20230614_211404.jpg

IMG_20230614_211347.jpg

IMG_20230614_211330.jpg

প্রত্যেকবারই কোনো না কোনো নির্দিষ্ট কাজের উদ্দেশ্যে যেতে হয় আমাদের।কারন আমাদের বর্ধমান থেকে বারাসাত শহরের দূরত্ব প্রায় 80 কিলোমিটারের মতো।আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় 3-4 ঘন্টা সময় লেগে যায় বারাসাত যেতে।যেহেতু দূরের পথ তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করি হাতে বেশ কয়েকটি কাজ নিয়ে যাওয়ার।এইবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আমরা সবসময় চেষ্টা করি কাজ মিটিয়ে দিনের দিন বাড়ি ফিরে আসার ,এইজন্য একটু সকাল সকাল বের হলাম দুইজনে 7.20 এর ট্রেন ধরবো বলে।যথারীতি ট্রেন ধরলাম সঠিক সময়ে।

প্রত্যেকবারই দাদার সঙ্গে যাই কিন্তু সকালের ট্রেনগুলো অফিস টাইমের জন্য বেশ ভিড় জমায় হাওড়া মেন লাইনে।তাই আমি উঠে পড়লাম লেডিস কামড়ায় বেশ ফাঁকাই ছিল।দূরের গ্রামগুলোতে তখনো ঝাপসা কুয়াশার চাদরে ঢাকা।তাই যেতে যেতেই ছুটন্ত ট্রেন থেকে হুগলির কয়েকটি ছবি তুললাম বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্যের।যেটা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিল এবং সঙ্গে ট্রেনের হাওয়া ও খটখট শব্দ শুনতেও।

IMG_20230614_211431.jpg

IMG_20230614_211449.jpg
শেওরাফুলি স্টেশনে গিয়েই ট্রেন থেকে নেমে পড়লাম।এরপর শেওরাফুলি স্টেশনের বড় মার্কেটের মধ্য দিয়ে হেঁটে গেলাম ঘাটে।বোটের টিকিট কেটে গঙ্গা নদী পার হলাম।তারপর মনিরামপুর ঘাটে পৌঁছে সোজা চলে গেলাম বাস স্ট্যান্ড।তারপর বারাসাতের বাস ধরে সোজা নেমে পড়লাম বারাসাত কলনী মোড়ে।বারাসাতে গিয়ে কি করলাম সেটা বলবো পরের পোষ্টে।

আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের পোষ্ট ও ছবিগুলো ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।

💐💐ধন্যবাদ সকলকে💐💐

পোস্ট বিবরণ:

শ্রেণীভ্রমন
ডিভাইসpoco m2
ফটোগ্রাফার@green015
লোকেশনহুগলি
Sort:  
 last year 

আসলে প্রয়োজন মিটাতে হলে তো যেতেই হবে।বারাসাত থেকে আপনি ভালোবাসার টানে গ্রামে এসেছে। আসলে আপু যেখানে ভালোবাসা আছে সেখানেই যেতে হয়। যাইহোক আপু আপনার দাদার সাথে ভালো মতো বারাসাত পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপু,বিষয়টি বোঝার জন্য।

 last year 

প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ ছুটে বেড়ায়, তেমনি করে আপনিও আপনার কাজ সারতে দাদাকে নিয়ে বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আর ভালোবাসার টানে গ্রামে বসবাস করছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। যাক বারাসাত পৌঁছে কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

অবশ্যই ভাইয়া,চেষ্টা করবো পরের পোষ্টে শেয়ার করার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।😊

 last year 

আসলে আপু, এরকম দূরের পথে বেশ কয়েকটি কাজ হাতে নিয়ে যাওয়াটাই উত্তম। আর বারাসাতে পৌঁছানোর জন্য প্রথমে ট্রেনে তারপরে বাসে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে আপনাদের জন্য ক্লান্তিকর। যাহোক, আপনার পোস্টের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বাসে বেশ অস্বস্তিকর লাগে আমার কাছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.17
JST 0.031
SBD 3.04