"অসহায় চাষী সম্প্রদায়"
নমস্কার
অসহায় চাষী সম্প্রদায়:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি ব্লগ নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে অসহায় চাষী শ্রেণীর সম্পর্কে আমার নিজস্ব অনুভূতি শেয়ার করবো।আসলে সমাজে চাষীরা প্রতিনিয়ত নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আর এই জন্য ঘটে যাচ্ছে বড় ধরনের ঘটনা।আর কতটা অবহেলিত চাষী সম্প্রদায় সেটা নিয়েই লিখবো আজ।এক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতে পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সহজ ভাষায় চাষী বলতে বোঝায়-যারা কৃষক বা কৃষি কাজের সঙ্গে নিয়োজিত থেকে ফসল উৎপাদন করে থাকেন।এছাড়া কৃষক তার পরিশ্রমের মাধ্যমে ফসলকে খাবার উপযোগী করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেন।কৃষক মানুষের জন্যে খাদ্য সরবরাহ করে জীবনকে সবসময় গতিশীল রেখেছেন।
কৃষক সমাজ অনেক পরিশ্রমী ও কর্মমুখী হওয়া সত্ত্বেও দিন দিন তারা অবহেলিত হচ্ছে।এমনকি বর্তমানে কৃষকরা তাদের ফসল উৎপাদনের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।আর এই ক্ষতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে যে, কৃষক সম্প্রদায় আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি দ্রব্যমূল্য এর দাম উর্ধমুখী।যেমন-বীজ,সার-বিষ,জল সেচ,চাষ ও মজুরি খরচ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় হচ্ছে।সেই অনুযায়ী ফসল উৎপাদনের পর তাদের খুবই সীমিত পরিমাণ লাভ থাকে যেটা দিয়ে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।অন্যদিকে তাদের উৎপাদিত ফসল কম দামে ক্রয় করে আরেক শ্রেণী বিক্রি করে বহুল পরিমাণে লাভ করছে।
এইতো কয়েক দিন আগের কথা।টানা দুই থেকে তিন দিন প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হয়ে ফসলের মাঠ জলে একেবারে টই-টুম্বুর।অনেকের পাকা ধান জলে ভাসছে তো কারো আবার আলু ক্ষেত জলের নীচে একাকার।এক্ষেত্রে এক শ্রেণীর বড় ক্ষতি হয়েছে যারা কিনা ঋণ নিয়ে ফসল চাষ করেছিল।সেই সমস্ত চাষীর রোপন করা আলুর বীজ সবই পচে নষ্ট হয়ে গেছে।চাষীদের একমাত্র ভরসা থাকে তাদের চাষ করা ওইটুকু ফসল।যদিও তারা সরকারিভাবে কিছুটা আর্থিক সাহায্য পায় তবুও অনেকেই অনেক ঋণের জালে জড়িয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।যেটা আসলেই খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা কৃষক সম্প্রদায়ের জন্য কিংবা আমাদের জন্য ও দেশের জন্যও।প্রতিবছর বিভিন্ন পত্রিকা বা সংবাদ মাধ্যমে চোখ রাখলে দেখা যায় কি পরিমাণ চাষী তাদের ফসল উৎপাদনে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে,ফসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন।এই বছরেও ঘটেছে এমন মর্মস্পর্শী ঘটনা।সুতরাং বর্তমান সময়ে এসেও চাষী সম্প্রদায় কিন্তু ঠিক নির্যাতিত হচ্ছে এবং তারা অসহায়।তাই আমাদের সকলের উচিত এই চাষী সম্প্রদায়ের প্রতি সদয় মনোভাব পোষণ করা।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
হ্যাঁ দিদি, কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে। তবে দুঃখের বিষয় ফসল উৎপাদনের পরে কৃষকেরা আসলে ন্যায্য মূল্য পায়না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার ফলে কৃষকেরা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে সবশেষে আত্মহত্যা করে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি দিদি কৃষকেরা অনেক পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করে। অথচ তাদের ন্যায্যমূল্য তারা পায় না।তবে সার থেকে শুরু করে কৃষি কাজের প্রতিটি জিনিস এর দাম অনেক বেশি। আবার সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো আছে। ধন্যবাদ আপু বাস্তবতা একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি আমার লেখাটি পড়ে বিষয়টি অনুধাবন করেছেন, এইজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খুব দুঃখজনক ঘটনা।আসলে কৃষকেরা ঋণ করে ফসল ফলান যখন ফসল সফল ভাবে ঘরে তুলতে পারেন মুখে হাসি ফোঁটে।যদিও বা পরিশ্রম ও খরচ অনুযায়ী তারা দাম পান না কিন্তুু তবুও মুখে হাসি ফোটে।কিন্তুু যদি প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে পুরা ফসল নষ্ট হয়ে যায় তখন আর তাদের আত্মহত্যা ছারা কিবা পথ থাকে।ধন্যবাদ আপনার বাস্তব কথা গুলো পোস্টে তুলে ধরার জন্য।
সত্যিই এটা মর্মান্তিক ঘটনা দিদি।প্রতিবছর অনেক কৃষক এভাবে অকালে প্রাণ হারায়, এটা আসলেই দুঃখজনক।