প্রতিযোগিতা - ৫১: "চিংড়ির স্বাদে ওলকপির ঝাল ঝাল ভর্তা" এবং "সবুজ শিম ভর্তা"
নমস্কার
রেসিপি-1: "চিংড়ির স্বাদে ওলকপির ঝাল ঝাল ভর্তা"
শীতকাল মানেই আলাদা অনুভূতির মিশেল।আর এই গাড় অনুভূতির শীতকালকে আরো দৃঢ় ও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে যেকোনো ভর্তা রেসিপি।বিভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপিগুলো শীতকালকে কিন্তু জমজমাট বা রমরমা করে তুলতে বেশ স্মরণীয়।তাই আজ আমি একদম ইউনিক দুইটি ভর্তা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।শীতকাল আমার যেমন প্রিয় তেমনি যেকোনো ভর্তা রেসিপিও আমার খুবই প্রিয়।তাছাড়া শীতকাল মানেই অফুরন্ত সবজির সমারোহ।সত্যিই শীত এলে মন যেন কেমন ভর্তা ভর্তা করে!আর শীতের সকালের মিষ্টি রোদে উঠানে বসে ভর্তা খেতে কিংবা শীতের রাতে চাদর মুড়ি দিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা রেসিপি খেতে কিন্তু দারুণ মজার।
আজ আমি চিংড়ি দিয়ে ওলকপির ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছি।আসলে এই টাটকা ওলকপিগুলি আমাদের বাড়ির সবজি ক্ষেতের।ওলকপি হচ্ছে কপি গোত্রের মধ্যে এক অন্যতম সবজি।ওলকপি খুবই উপকারী একটি শীতকালীন সবজি।যেটা কাঁচা ও রান্না করে উভয়ভাবেই খাওয়া যায়।এর কয়েকটি উপকারিতার মধ্যে রয়েছে---
●হজমের সমস্যা ও ডায়াবেটিস জাতীয় সমস্যা দূর করে।
●কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
●রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ওলকপি দিয়ে চিংড়ির ভর্তা আমি এই প্রথম তৈরি করেছি।এটা তৈরির পর দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছিল তেমনি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
★★উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
গোটা ওলকপি | 2 টি |
চিংড়ি মাছ | 200 গ্রাম |
কাঁচা মরিচ | 4 টি |
শুকনো মরিচ | 4 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 3 টি |
রসুন কুচি | 4 কোয়া |
লবণ | 1 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1 চিমটি |
সরিষার তেল | 4 টেবিল চামচ |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি আমাদের সবজি ক্ষেত থেকে দুটি ওলকপি তুলে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর দুটি ওলকপির খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পিচ পিচ করে কেটে নিলাম বটির সাহায্যে।তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন একটি পরিষ্কার কড়াইতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে চুলার মিডিয়াম আঁচে ওলকপি দিয়ে বসিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 4
এবারে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ওলকপিগুলি সেদ্ধ করে নেব।
ধাপঃ 5
তো আমি ওলকপি সেদ্ধ করে নিয়ে একটি পাত্রে তুলে নিয়ে গরম গরম গলিয়ে নেব।
ধাপঃ 6
এখন আমি কিছু চিংড়ি মাছ নিয়ে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।এরপর খোসা ছাড়িয়ে নেব।
ধাপঃ 7
এবারে একটি শীল-পাটার সাহায্যে কাঁচা চিংড়িগুলি বেঁটে নিলাম মিহি করে।
ধাপঃ 8
তো চিংড়িগুলি বেঁটে নেওয়া হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে নিলাম।
ধাপঃ 9
এখন পুনরায় চুলায় কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে সরিষার তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 10
এরপর তেল হালকা গরম করে নিয়ে শুকনো গোটা মরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে মুচমুচে করে ভেজে নিলাম।তারপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ ও রসুন কোয়া তেলের মধ্যে দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম লাল করে।
ধাপঃ 11
এবারে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে চিংড়ি মাছের বাটা দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 12
চিংড়ির বাটাটিতে সামান্য হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে কালার করে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 13
এখন সেদ্ধ করে নেওয়া ও ভেজে নেওয়া সবগুলো উপকরণ একত্রে পাত্রে তুলে নিলাম আলাদা আলাদা।
ধাপঃ 14
এবারে গলিয়ে নেওয়া ওলকপির পাশে শুকনো ভাজা শুকনো মরিচ মেখে তার মধ্যে ভাজা পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ ও রসুন কোয়া দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 15
তো পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে আমার সবগুলো উপকরণ একত্রে মেখে নেওয়া হয়ে গেল।আমি যেহেতু এগুলো তেল দিয়ে ভেজেছি তাই আলাদা করে সরিষার তেল ব্যবহার করিনি।
ধাপঃ 16
সবশেষে ভেজে নেওয়া চিংড়ি বাটা দিয়ে দিলাম ওলকপির উপর।
ধাপঃ 17
এখন হাত দিয়ে সবগুলো উপকরণ একত্রে ভালোভাবে পুনরায় মেখে নিলাম ওলকপি।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "চিংড়ির স্বাদে ওলকপির ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি"।সত্যি বলতে মনটা এতটাই খারাপ ছিল যে ডেকোরেশন করতে পারিনি।
পরিবেশন:
এখন ভর্তা রেসিপিটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
রেসিপি- 2: "সবুজ শিম ভর্তা"
শীতকালের আরো একটি জনপ্রিয় সবজি হচ্ছে শিম।এই সবুজ টাটকা শিমগুলো আমাদের বাড়িতে লাগানো হয়েছে।শিম অনেক প্রকার হলেও এই সবুজ শিমে শাস বেশি থাকে।তাই এটা খেতে খুবই স্বাদের, সবে ধরা শুরু করেছে।আর শিম ভর্তা আমার বেশ পছন্দের।শিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি শীতকালীন সবজি।শিমে রয়েছে ভিটামিন বি৬,খনিজ উপাদান ইত্যাদি।এছাড়া শিমের দানাও খেতে বেশ টেস্টি।এর কয়েকটি উপকারিতার মধ্যে রয়েছে---
◆শিম খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
◆ শিম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
◆গর্ভবতী নারী ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে শিম অত্যন্ত উপকারী।
◆শিম চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
তাই আমি তৈরি করেছি শিম ভর্তা।অন্যান্য সময়ে আমরা শিম কিংবা যেকোনো সবজি ভাতের মধ্যে দিয়ে সেদ্ধ করে তারপর মেখে খেয়ে থাকি।কিন্তু এটা যেহেতু প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত তাই সেদ্ধ করে নিয়েছি জল দিয়ে।এটা তৈরির পর দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছিল তেমনি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
★★উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সবুজ শিম | 300 গ্রাম |
শুকনো মরিচ | 5 টি |
বড় পেঁয়াজ কুচি | 1 টি |
লবণ | 1/2 টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | 3 টেবিল চামচ |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি একটি বটির সাহায্যে শিমের ডাটগুলি কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এবারে কড়াইতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে শিমগুলি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 3
এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে শিমগুলি সেদ্ধ করে নিলাম।
ধাপঃ 4
শিমগুলি সেদ্ধ করে নেওয়া হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 5
এবারে পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম মিহি করে বটির সাহায্যে।
ধাপঃ 6
এরপর কড়াইতে অল্প সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।
ধাপঃ 7
এবারে শুকনো মরিচগুলি মুচমুচে করে ভেজে নিলাম নেড়েচেড়ে।
ধাপঃ 8
এখন শিমগুলি হাত দিয়ে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 9
এবারে লবণ ও পেঁয়াজ কুচি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 10
তারপর ভাজা শুকনো মরিচ,পেঁয়াজ ও লবন একত্রে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 11
এবারে 1 টেবিল চামচ সরিষার তেল নিয়ে নেব।
ধাপঃ 12
সবগুলো উপকরণ একত্রে মেখে নিলাম হাত দিয়ে পুনরায়।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "সবুজ শিম ভর্তা রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন ভর্তা রেসিপিটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
বিষয় | প্রতিযোগিতা - ৫১: "চিংড়ির স্বাদে ওলকপির ঝাল ঝাল ভর্তা" এবং "সবুজ শিম ভর্তা" |
---|---|
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | poco m2 এবং redmi note 10 pro max |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
চিংড়ি মাছ দিয়ে ওল কপির ঝাল ভর্তা রেসিপি এবং সবুজ সিমের ভর্তা রেসিপি দুটোই আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং রেসিপিটি অনেক লোভনীয় লাগছে।প্রতিটি ধাপ খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।অনেক ধন্যবাদ দিদি বেশ দারুন দুটো রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুধু লোভনীয় নয় আপু,খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে ওলকপির ভর্তা অসাধারণ হয়েছে। আসলে আপু চিংড়ি মাছ যেভাবে খাওয়া হোক না কেন অনেক মজা লাগে। আর ভর্তা হলে তো কথায় নেই। আপনার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে যদি একটু খেয়ে দেখতে পারতাম হা হা হা। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু,এভাবে ট্রাই করে দেখবেন।আশা করি ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপনাকে।
চিংড়ির সাথে ওল কপির ঝাল ঝাল ভর্তা এবং সবুজ শিম ভর্তা এটা তো দারুন লাগলো। আপনি দারুন ভাবে সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি। সুন্দরভাবে আপনি শীতকালীন সবজির রেসিপি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপি প্রস্তুত করার ধরনটা ছিল বেশ চমৎকার।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া, নিজের মতো করে।ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ওলকপি দিয়ে চিংড়ি মাছের অসাধারণ ভর্তা ও সবুজ শিম ভর্তা করেছে চমৎকার ভাবে দিদি।ভীষণ লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে খুব চমৎকার ভাবে দুটো রেসিপি শেয়ার করেছে। প্রতিয়োগিতার জন্য শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
দেখতেই শুধু লোভনীয় নয় দিদি,খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল কিন্তু।ধন্যবাদ আপনাকে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে ওলকপির ঝাল ভর্তা দারুন লেগেছে আমার। সত্যি আপু আপনার তৈরি করা ভর্তাগুলো বেশ ভালো লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। দারুণ সব রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আসলেই খেতে দারুণ হয়েছিল আপু,সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওলকপি দিয়ে কখনো কোনো রেসিপি তৈরি করা হয়নি আর এর এত উপকারিতা জানা ছিল না। আপনাদের জমির ওলকপি দিয়ে খুবই মজাদার ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। চিংড়ি মাছের ভর্তা খেয়েছি কিন্তু ওলকপির ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। তবে শিমের ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু,এভাবে ওলকপি ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন।দারুণ মজার খেতে,ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এবারে অনেকেই ভালো কিছু করার চেষ্টা করল। আসলে প্রথম দিকে আমি প্রতিযোগিতায় একটু ব্যস্ততার কারণে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও ভাবতেছি এবার চেষ্টা করব অংশগ্রহণ করার জন্য। কিন্তু আমার কাছে আপনার রেসিপি দুটি অনেক ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। ভালোভাবে উপস্থাপনাও করলেন। বেশিই অনেক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু,আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ভাইকে দেখেছি বিড়াল হারিয়ে গেলে কেমন অস্থির হতে । আর এই হিসাবে আপনার দুঃখ কিছুটা বুঝতে পেরেছি। তারপরে বিড়ালটি শেষে খুঁজে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দুঃখ মনে নিয়েও কিন্তু খুবই সুন্দর দুটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন।এরকম ভর্তা হলে গরম ভাতের সঙ্গে আর কিছুই লাগেনা। বেশ লোভনীয় লাগছে ভর্তা দুটি।
সত্যি আপু,অনেক মন খারাপ হয়েছিল।আর দেখতেই শুধু লোভনীয় নয়,খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল কিন্তু।