"এক্সামের ব্যস্ততা ও অসুস্থতায় মোড়া একটি সপ্তাহ"
নমস্কার
এক্সামের ব্যস্ততা ও অসুস্থতায় মোড়া একটি সপ্তাহ:
স্টুডেন্ট লাইফে ব্যস্ততা আর ঝামেলার কাজ যদি হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটা এক্সামের।আমার ক্ষেত্রে ও ঠিক এমনই সব ব্যস্ততা এক্সামকে ঘিরেই।কিন্তু তার মাঝে অসুস্থতা শব্দটি এসে সবকিছু গুলিয়ে দিল।
বন্ধুরা, আমাদের এক্সামের সম্ভাব্য ডেট দিয়েছিলো 22- ই আগষ্ট থেকে।কিন্তু চারিদিকের ইউনিভার্সিটির একটি সমস্যাজনিত কারণে সেই এক্সাম পিছিয়ে চলে আসছে সেপ্টেম্বর মাসের 7 তারিখ থেকে।সেটাও আবার টানা এক্সাম, অনার্স পেপারের মাঝে কোনো ছুটি নেই। sec পেপারের আগে একদিন ছুটির দিন পড়ে গিয়েছে বাকি একদিন ছুটি পাওয়া গেছে ইলেকটিভ সাবজেক্ট এর আগে।
এমনিতেই অনার্সের সেমিস্টারগুলি ছয় মাসের হয়ে থাকে।কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেন সময় পাওয়া যায় চার মাসের, যেটা বড্ড কম সময়।তার উপরে আবার এক গাদা সিলেবাস শেষ করাটাই মুশকিল হয়ে যায়।দেখতে দেখতেই যেন এক একটি সেমিস্টার পার করে ফেলছি।থার্ড সেমিস্টারের মতো এইবারও আমাদের এক্সাম ফেলেছিল বিবেকানন্দ কলেজে।
আগেরবার তো আমি বাড়ির সামনে টাইমের বাস ধরে সোজা বীরহাটা বাসস্ট্যান্ড নেমে টোটো ধরে বিবেকানন্দ কলেজ চলে গিয়েছিলাম।কিন্তু এইবার মুশকিল হলো বাস আলিশা বাসস্ট্যান্ড অব্দি যাচ্ছে তারপর আবার বাস পাল্টানোর চিন্তা।প্রথম দিন অনেকটা পথ এসেই এটা জানতে পেরেছিলাম তাই অপরিচিত জায়গায় নেমে টোটো ধরতেই টোটোওয়ালা ডাবল টাকা হাতিয়ে😧নিল আমার কাছ থেকে। কি আর করার সময়ের আগে কলেজ তো পৌঁছাতেই হবে তাইনা!তাই পরের দিন থেকে কিছু পথ বাস,কিছু পথ ট্রেন আর কিছু পথ টোটো ধরে আর বাকি পথ হেঁটেই গিয়েছি বিবেকানন্দ কলেজ।যদিও পথের দূরত্বটা আমার জন্য অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল।
এক্সাম শুরু হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার থেকে।তিনটি অনার্স পেপারের টানা এক্সাম হওয়ার পর শনিবার বিকেলে জ্বর 🤒 চলে আসলো অতিরিক্ত গরমে।গলা খুসখুসে ভাব আর নাক দিয়ে জল ঝরতে থাকলো।😤খুবই বিরক্তিকর একটি অবস্থা ,যদিও রবিবার ছুটির দিন ছিল বলে কিছুটা রেহাই পেলুম।তারপর ঔষুধ খেলাম একটু কমলো, সোমবার আবার নিজেদের কলেজ এক্সাম হলো sec পেপার বলে।তাই জ্বর শরীর নিয়ে এক্সাম দিলাম কোনোরকমে।এক্সাম দিয়ে বাড়ি ফিরে বিকেলে আবার জ্বর বাড়লো মঙ্গলবার ছুটি ছিল বলে কিছুটা রক্ষা।কিন্তু বুধবার সকালে কোনো অসুবিধা হচ্ছিল না।কিন্তু এক্সাম দেওয়ার মাঝে গলা এত খুসখুস ভাব লাগলো যে শুধুই কাশি হচ্ছিল।চোখ জলে টইটুম্বুর হয়ে উঠছিল,বুঝতে পারলাম ফ্যানের হাওয়ায় কাশি বেড়ে😮💨 আবার জ্বর আসছে।তবুও কোনরকমে এক্সাম শেষ করলাম,এক্সামের ব্যস্ততাও পিছু ছাড়লো।
সত্যি বলতে আমার যতই অনার্স সেমিস্টারের ফাইনাল এক্সাম থাকুক না কেন আমি চেষ্টা করি কমিউনিটিতে পোষ্ট করার এবং কিছু এনগেজমেন্ট ধরে রাখার।কিন্তু এই টানা এক্সাম হওয়ার জন্য ও অতটা দূর জার্নি করে তার উপরে জ্বর শরীর নিয়ে আমার সব শক্তি যেন ফুরিয়ে গিয়েছিল।বারবার মন চাইলেও আমি কমিউনিটিতে সময় দিতে পারিনি,কোনরকমে পোষ্ট করেই পড়তে বসা।শরীর যেন কিছুতেই সায় দিচ্ছিল না ,শেষমেশ আমি দুইদিন পোষ্ট করতেও পারিনি।রাত আসলেই জ্বর চলে আসতো তাই মন চাইলেও বা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কমেন্ট করতে পারিনি কাউকে সেভাবে।জানি না কি হবে!সবমিলিয়ে এক্সামের ব্যস্ততা ও অসুস্থতায় কেটে গেল একটি সপ্তাহ।প্রচন্ড গরমে জীবন নাজেহাল অবস্থা একদম।তো এটাই ছিল আমার ব্যস্ততা ও অসুস্থতায় মোড়া একটি সপ্তাহ।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছেও ভালো লাগবে আমার আজকের পোস্টটি।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
এ তো দেখছি রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন আপনি। একে তো অসুস্থতা এর মাঝে আবার পরীক্ষা সব মিলিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে আপনাকে। অনেক খারাপ লাগলো আপনার পরিস্থিতি পড়ে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
একপ্রকার ছোট খাটো যুদ্ধই বলা চলে ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
উপর ওয়ালা আপনাকে সুস্থতা দান করুন। আসলে উপর ওয়ালা সবসময়ই তার নিজের মতো করে আমাদের ভাগ্যের চক্র ঘুরিয়ে থাকেন, তবে সবশেষে তিনি সবকিছু ভালোভাবেই পার করেন। ধৈর্য ধরে এগিয়ে যাবেন এই কামনা করছি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
পরীক্ষার মধ্যে যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে নিজের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে যায়। আপনি তো দেখছি অনেক চাপের মধ্যে ছিলেন এই কয়টা দিন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে দেন সেই প্রার্থনাই করি।
সত্যিই ভীষণ চাপের মধ্যে কেটেছে দিনগুলো।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।