বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আজ - ৪ই, চৈত্র ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি নিজের ব্লগে ভিন্নতা আনার আর ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়তই নিত্য নতুন ব্লগ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি ৷ আজকের ব্লগে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে ৷ আপনারা সবাই হয়তো বা জানেন যে গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিক উপলক্ষে আমাদের এলাকারই টাইগার যুব সংঘ কর্তৃক আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ৷ আর তাইতো সেখানে গিয়ে কাটানো অনুভূতি গুলো নিয়েই আপনাদের মাঝে আজকে উপস্থাপন করছি ৷ আশা করি আপনাদের সবারই অনেক ভালো লাগবে ৷ এমনটাই প্রত্যাশা রেখে শুরু করছি আমার আজকে ব্লগ ৷
আজকে বিকেল বেলায় হঠাৎ করেই বক্সের আওয়াজ৷ যদিও জানতাম না যে আজকে অনুষ্ঠান হবে তবে সন্ধ্যার পর থেকেই বেশ জাকজমক ভাবেই আয়োজন চলছিল ৷ যদিও যাওয়ার ইচ্ছেটা ছিল না কারণ প্রচন্ড মেঘ না জানি কখন বৃষ্টি এসে হানা দেবে
৷ আর এমনিতেই মন-মানসিকতা অনেকটা খারাপ ছিল ৷ তাই ভাবলাম যে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে এলে হয়তো বা মনটা অনেকটাই ফ্রেশ বা ভালো হবে ৷ এই মনোভাব নিয়েই সন্ধ্যার দিকেই বের হলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য৷
গিয়েই দেখি যে বেশ বড় প্যান্ডেল অর্থাৎ ডেকোরেশন আয়োজন চারদিকে আলোকসজ্জা এবং কি অনেক দর্শক উপস্থিত হয়েছে ৷ তবে আমি গিয়ে দেখলাম যে সমস্ত নেতাগণ যাদের বক্তব্য দিচ্ছে ৷ যদিও আমি এসব শুনতে কোনমতেই অভ্যস্ত নই বা শুনতে ভাল লাগে না ৷ কিন্তু কি করার যেহেতু আগে ভাগেই চলে গিয়েছে তাই বাধ্য করতে হয় শুনতেই হলো ৷ ওই যে কথা বলে না যে নেতা আসলে সবাই হতে পারে ৷ কিন্তু নেতা শুধু বললেই নয় নেতার পিছনে যে ব্যাকগ্রাউন্ডটা সেটা যদি না থাকে ৷ তাহলে তাকে প্রকৃতপক্ষে নেতা বলা যায় না ৷কিন্তু আমরা তো এমন দেশে বা শহরে বাস করছি সেখানে আসলে কোন কথার প্রতি উত্তর করতে পারি না করলেই বিপদ এটাই হল বাস্তব ৷ তাই যাই কিছু বলুক না কেন এক কান দিয়ে শুনি আরেক কান দিয়ে বের করাই প্রধান বলে আমি মনে করি৷ যা হোক বেশ কিছুক্ষণ ধরেই নেতাগণ বক্তব্য প্রচার করছিল৷ আসলে কিছু কিছু নেতা মাইক্রোফোনটা পেলেই যেন কথার ফুলঝুরি চলে অর্থাৎ কথা যেন শেষ না হয় এমনই হয় ৷
সমস্ত বক্তব্য শেষ হওয়ার পরেই অনুষ্ঠান আরম্ভ হবে ৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় যে গতকাল যে জনপ্রিয় দিন সেটার বিষয়ে কোনো কথা নেই বললেই চলে৷ শুধু কোন দল ভালো কোন দলকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে সামনে কাকে নির্বাচনে জয়লাভ করার এসবই যেন বেশি ছিল ৷
সমস্ত কিছুর অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়ে গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব ৷ বেশ কয়েকটি নৃত্য পরিবেশনা গান সব কিছুই দেখলাম বেশ ভালই লাগছিল ৷ আর এদিকে আকাশের মেঘের গর্জন মোবাইল ঘড়িতে দেখি প্রায় ৮:৩০ ৷ এদিকে কোন কিছু কাজ করাই হয়নি ব্লগের ৷ তাই বৃষ্টি আসার আগেই আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা ৷
ঠিক আসার আগ মুহূর্তে ভাবলাম কিছু হালকা-পাতলা খাওয়াই যাক ৷ যদিও খুব বেশি টাকা নিয়ে যাই নি পকেটে মাত্র একশো টাকা ছিল ৷ দেখলাম যে বেশ কিছু দোকান বসেছে ৷ তবে আমি সরাসরি গেলাম ঝাল মুড়িওয়ালার দোকানে ৷ আসলে ওই মুহূর্তে একটু ঝাল ঝাল খাওয়ার ইচ্ছে ছিল বেশি৷
আর তাইতো ঝাল মুড়িওয়ালা চাচাকে বললাম যে চানাচুর, ছোলা, বুট সাথে আরো কিছু যাবতীয় মসলা পিঁয়াজ এবং কি কাঁচামরিচ এর পরিমাণ টা একটু বেশি দিতে বললাম৷ ব্যস ঝালমুড়িওলা চাচা ঠিক তাই করলো৷
২০ টাকার ঝালমুড়ি নিয়েই ঢঙ্গা করে খেতে খেতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা৷
সত্যি বলতে ঝালমুড়ি খেতে যে এত সুস্বাদু ছিল ৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1637113160196030465?t=dt_hTzSyu6wMT-ekcNq2yw&s=19
বাহ্ বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি।ঠিক বলেছেন এই নেতাদের কথা শুনতে আর ভালো লাগে না। সেদিন বাহিরে গেছিলাম টুকটাক কেনাকাটা করতে তখন দেখলাম অনুষ্ঠান হচ্ছে। কেনাকাটা করে বাসায় আসি।বাসা থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত শুধু বক্তব্য হয়েছে। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাইহোক শেষে ঝালমুড়ি খেতে খেতে বাসায়। ঝালমুড়ি খেতে আমার বেশ ভালো লাগে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে যে কোন দিবস খুব সুন্দর করে উদযাপন করেন। তবে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী টা বেশ সুন্দর করে পালন করা হয় দেখতে অনেক ভালো লাগে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে যে কোন দিবস খুব সুন্দর করে উদযাপন করেন। তবে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী টা বেশ সুন্দর করে পালন করা হয় দেখতো অনেক ভালো লাগে।