রেসিপি পোস্ট: জনপ্রিয় কাঁঠাল বীজের ভর্তা তৈরি।
আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কাঁঠালের বীজের ভর্তা রেসিপির নিয়ম কানুন শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।
আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এই কাঁঠাল ফলটি খেতেও অনেক সুস্বাদু। বর্তমানে কাঁঠালপাকার সৃজন চলতেছে। কাঁঠাল ফলটি আমরা নানানভাবে খেয়ে থাকি। সবজি হিসাবে, কাঁঠাল সিদ্ধ করে, আবার কাঁঠাল বীজের ভর্তা করে আমরা খেয়ে থাকি। আজকে আমি কাঁঠাল বীজ দিয়া কিভাবে ভর্তা করতে হয় তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। কাঁঠাল বীজের ভর্তা আমার কাছে জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এই কাঁঠাল বীজের ভর্তার পাশাপাশি ভেজেও খাওয়া যায়। আমরা যারা গ্রামে বাস করি তারা এই কাঁঠাল বীজের ভর্তার সাথে পরিচিত। আর যারা শহরে বাস করি তারা হয়তো সেভাবে এই রেসিপির সাথে পরিচিত নন। এখন থেকে আপনারাও এমন সুন্দর রেসিপি করে খেতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. পরিমাণ মতো কাঁঠালের বীজ
২. কাঁচা মরিচ
৩. পিয়াজ
৪.রসুন
৫.পরিমাণ মতো লবন
৬. সরিষার তেল সব পরিমাণ মতো।
কার্যপ্রণালী:
ধাপ:১
প্রথমে আমরা একটি কড়াইয়ে পরিমাণমতো কাঁঠাল বীজ নিয়ে নেব। এরপর তাপ দেওয়া শুরু করব। দীর্ঘক্ষণ তাপ দেওয়ার পর। সেগুলোকে আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নেব এবং বীজের খোসা গুলো আলাদা করে ফেলব।
ধাপ: ২
এরপর আমরা কাঁচা মরিচ ও রসুন ভেজে নেব। পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কেটে নেব।
ধাপ:৩
কাঁঠালের বীজগুলোকে এবার হামুতে /ব্যালেন্ডার এ ভালোভাবে মাড়াই করে নিবেন। এরপর কাঁচা মরিচ রসুন পেঁয়াজ গুলো ও মাড়াই করে নিবেন।
ধাপ: ৪
সবগুলো মাড়াই করার পর। সরিষার তেল দিয়া মেখে নিতে হবে। তাহলেই আমাদের জনপ্রিয় একটি কাঁঠাল বীজের ভর্তা তৈরি হয়ে যাবে।
এভাবে আপনারা কাঁঠাল বীজের ভর্তা তৈরি করতে পারবেন। আপনারা হয়তো হামু কি তা আজ হঠাৎ দেখতেছেন। আসলে এটা আমাদের গ্রামের একটি প্রাচীন কোন কিছু মাড়াই করার বস্তু। আপনারা যারা শহরে আছেন তারা ব্যালেন্ডার এ করে ভর্তা করে নিতে পারেন।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাঁঠাল বীজের ভর্তা তৈরি । আসলে এ রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি মনে হচ্ছে একদম ইউনিক। তবে খেতে হয়তো বেশ সুস্বাদু লাগবে। বাড়িতে এমন ভাবে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি, চেষ্টা করব খুব দ্রুত আপনার তৈরি রেসিপি দেখে তৈরি করে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হুম ভাইয়া খেতে অনেক ভালো লাগে। তৈরি করে খেয়ে দেখিয়েন।
কাঁঠালের বিজ ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দের একটি খাবার।আপনি চমৎকার সুন্দর করে কাঁঠালের বিজ ভর্তা করেছেন।ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে ভর্তা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে কাঁঠালের বিজ ভর্তা রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই কাঁঠাল বীজ দিয়ে যে, ভর্তা রান্না করা যায় সেটা আজকে আপনার পোস্ট না দেখলে অজানা থেকে যেতো। আপনি আজকে কাঁঠালের বীজদের চমৎকার ভর্তা রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এমন সুন্দর রেসিপি দিয়ে ঝরঝরে সাদা ভাত খাওয়ার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া কাঁঠাল বীজের ভর্তা হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই বাসায় তৈরি করে খেতে পারবেন। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁঠাল বীজের ভর্তা বেশ মজার একটা খাবার। এই ভর্তাটা আমাদের বাসায়ও তৈরি করা হয়। তবে আমরা শিলপাটায় বেটে তৈরি করি। ভর্তাটা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। গরম ভাতের সাথে দারুন লাগবে খেতে। তবে রেসিপি পোষ্টের ক্ষেত্রে রেসিপির সর্বশেষ একটা ছবি প্রথমে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে পোষ্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপু আমি নতুন ইউজার। তাই এখনও মাঝে মাঝে একটু ভুল হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আমি আমার ভুলগুলো শুধরে নেব। আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যে কোনো ধরনের ভর্তা আমার খুব পছন্দের। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে কাঁঠাল বীজের ভর্তা তৈরি তৈরি করেছেন । কাঁঠাল বীজের ভর্তা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার ভর্তা তৈরি প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
শুরুতে যে ছবি দিয়েছেন সেটা রেসিপির ফটো মনে হলো না। রেসিপি পোস্টের প্রথম ছবিটা ফাইনাল আউটপুটের ছবি দেবেন।
পাকা কাঠাল তো রেসিপি নয়। হিহি 😁।