শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - শেষ পর্ব

আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.

যার দ্বারা উৎপাদিত ফসল কৃষকদের বিস্মিত করে, তারপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে আপনি এটিকে হলুদ দেখতে পান, অবশেষে এটি চূর্ণ (খড়) হয়ে যায় এবং পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন প্রতারণার ভোগ ছাড়া আর কিছুই নয়।'
তাই যারা প্রশ্ন করেন, জীবন কি শুধুই খেলা? আমি তাদের বলব, হ্যাঁ, জীবনটা একটা খেলা মাত্র। কিন্তু যারা ভালো কাজ করে তাদের জন্য নয়; পরকাল সুন্দর হোক। বরং অবিশ্বাসী ও অবাধ্যদের জন্য যারা পার্থিব খেলাধুলায় মগ্ন এবং মনে করে এটাই জীবনের আসল লক্ষ্য। কারণ, যদি তারা এটা জানত, তাহলে তারা আখেরাতের জীবন থেকে গাফেল হয়ে দুনিয়ার জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকত না।
জীবন তাদের জন্য শুধু খেলা নয় যারা দুনিয়াকে সবকিছু মনে করে না, বরং এটাকে সাময়িক, ধ্বংসাত্মক ও পরীক্ষাগার মনে করে এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করে। জীবন তো একটা খেলা, যে তার ছলনায় পড়ে এবং পরকালের জন্য কিছুই রাখে না।

For Photos I use:

---

Camera	Iphone 12 Mini
Lens	Wide 26 mm-Equivalent
Photographer	@fxsajol
Location	Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos	Outdoor

---

উৎপল মনকে শান্ত করল। জীবন এত সস্তা নয়। তাকে বাঁচতে হবে। তার ভালো থাকা উচিত। অমিত ঠিক বলেছেন। যদি সে এখানে বসে কষ্ট পায়, সহস্রাব্দ সেখানে বসে সুস্থ হবে না। ভাগ্যে যা লেখা আছে তাই হবে। কেউ তা খণ্ডন করতে পারবে না। উৎপল ফোন তুলে দেখল প্রায় একশো মেসেজ ইতিমধ্যেই সহস্রাব্দকে পাঠানো হয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে উৎপল খালি হাসি দিয়ে বলল, হাজার বছর তোমায় আর বিরক্ত করব না। আমি আর কখনো তোমার সামনে যাবো না। কারণ আপনি নিজে এটি চান না। আমি তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করব না। আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাসো, কখনোই এটা জোরে বলনি। হাজার বছর ধরে আমি আর কখনো তোমার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য জোর করব না। উৎপলের চোখ থেকে ফোনে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। উৎপল সেদিকে তাকিয়ে বলল, আমি তোমাকে দূর থেকে হাজার বছর ভালোবাসবো।

সহস্রাব্দের শরীর দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে। বাড়ির সবাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চাইলেও সে কিছুতেই রাজি হয়নি। সহস্রাব্দ কাউকে জানায়নি কিন্তু মনে মনে সে চেয়েছিল তার শেষ নিঃশ্বাস ঘরেই থাকুক। তিনি এখন সেই শেষ নিঃশ্বাসের অপেক্ষায়। সবাই জানে একদিন সকালে সে আর জাগবে না কিন্তু সেই সকাল কখন হবে কেউ জানে না। একদিনে একদিন বেঁচে থাকা খুব কঠিন। এবং প্রতিটি দিন ঈশ্বরের উপহার। তাই যতদিন তিনি বেঁচে আছেন তিনি সত্যিকার অর্থেই বেঁচে আছেন। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার মতো। সহস্রাব্দ তাই আগের তুলনায় অনেক দুর্বল, কিন্তু পড়াশোনা, কলেজ, পরীক্ষা থেকে এক কদমও পিছু হটেনি। তার পরীক্ষার আর বেশি সময় বাকি নেই। তিনি পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আল্লাহ তাকে আরও কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখলে এইচএসসিটিও দেওয়া হবে। এক সময়ে একদিন বেঁচে থাকা, তিনি একটি দিন হারাবেন না।

একটি বিবৃতি একটি বিবৃতি. রক্ত নেই। প্রেমিক নয়। আপনি তাকে শুধু বলেছিলেন যে আপনি তাকে ভালবাসেন। তিনি কখনো বলেননি। অমুক মেয়ের রোগে এত কষ্ট পাচ্ছেন? উৎপল তখন অসহায় হয়ে বলল, আচ্ছা অমিত তুমি তারেক ভাইয়ের বিয়েতে গিয়ে সামনে থেকে মেয়েটাকে দেখেছ। মেয়েটা এত অসুস্থ, তুমি তার জন্য কাঁদবে না? শোন, আমি জীবনে কম বিয়ে করিনি। এখন আমি যদি প্রতিটি বিয়েতে গিয়ে একজন রোগীর সাথে দেখা করি এবং আমাকে তাদের নিয়ে চিন্তা করতে হয়, এটা কি কঠিন নয়? উৎপল কিছু না বলে মাথায় হাত দিয়ে বিছানায় বসে পড়ল। অমিত রুমে জড়ো হওয়া সব ছেলেদের দিকে তাকিয়ে বললো, তুমি অন্তত ওকে বুঝো! ছেলেরা একে অপরের দিকে মুখ করতে থাকে।

অনেকক্ষণ ধরেই দুই বন্ধুর কথা শুনছে। কিন্তু তারা একটা কথাও বলেনি। তাই হঠাৎ করে এখন কি বলবে বুঝতে পারছিলেন না। অমিত বিস্ময়ে উৎপলের কাছে গিয়ে বসল। তারপর মৃদু স্বরে বললেন, দেখ উৎপল, আমি কি তোমাকে আগে কোনো কাজে বাধা দিয়েছি? আমি যখন রাজি হয়েছি তুমি কি করেছ। কিন্তু আজ আমার কথা শোন, আমার ভালো ভাই। তুমি মেয়েটিকে ভুলে যাও। তাই রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে গেল। আস্তে আস্তে অন্য ঘরের ছেলেরাও যে যার ঘরে চলে গেল। অমিত বারান্দার রেলিং ধরে রাতের আকাশের দিকে তাকালো। একবার মনে মনে বলল, তোমার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি উৎপল। আমাকে ভুল বুঝো না বন্ধু হিসেবে, আমি বন্ধুর কষ্ট দেখতে পারি না। উৎপল ঘরে একা বসে আছে। পাশের দুই বিছানার ছেলেরা এখন ঘরে নেই। উৎপল মাথায় হাত দিয়ে বসে অনেক কিছু ভাবতে লাগলো। হঠাৎ তার চোখ উপরের ছাদে পড়ে এবং সে ফ্যানের দিকে লক্ষ্য করে। তখন সে ভাবল, সে যদি সহস্রাব্দের পথ বেছে নিতে পারে!

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊

সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ