শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৪৫
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
নতুন সম্পর্কের মায়া মিশিয়ে বাবা-মাকে মিস করে কেটে যায় ইরার দিন। শ্বশুরালয়ের পাশেই থাকে রিমি আপু। খুব গল্পবাজ মেয়ে। এই আপুর সাথে গল্প করতে ইরার বেশ ভালো লাগে। শাশুড়ি মায়ের আদরও বেশ ভালো লাগে। ইরাকে নিজের মেয়ের মতোই যেন ভালোবেসে ফেলেছেন এই কয়দিনে ৷
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
একদিন রিমি আপু এসেছিল গল্প করতে। গল্পের এক ফাঁকে রুপা ভাবিও বাসায় এলেন। রুপা ভাবিও পাশের বাসাতেই থাকে। শাশুড়ি মায়ের খুব পছন্দের মানুষ। একটু বসেই সব সময় চলে যান উনি। সেদিনও তার ব্যতিক্রম কিছু হলো না; কিন্তু যাওয়ার সময় হঠাৎ ইরার রুমে উঁকি দিয়ে বললেন, ‘আসলাম, চলেও যাচ্ছি। বউ তো এক কাপ চা-ও খাওয়ালো না।’
ব্যস, এতেই শাশুড়ি মায়ের মাথা চড়ে গেল; আর ইরার রাতটা কাটল বালিস ভিজিয়ে। আরেকদিন জেরিন ভার্সিটি থেকে ফিরছিল। বাসে বসে বান্ধুবীকে ভাইয়ের বিয়ের ঘটনা বলছিল। কথার ফাঁকে বান্ধুবী বলল, ‘এমন গ্রামের মেয়েকে তোর ভাই কেন বিয়ে করল? কোনো যোগ্যতা আছে এই মেয়ের তোদের বাড়ির বউ হওয়ার?'
কথাটা জেরিনের খুব গায়ে লাগল। বাসায় ফিরে সব ঝাড়ল ইরার উপর।
উপরের গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক না। শ্বশুরবাড়ি কত কষ্টের জায়গা—এটা বুঝানো এ গল্প আওড়ানোর উদ্দেশ্য না। আজকের গল্পের ফোকাস অন্য জায়গায়। খেয়াল করুন, রুপা ভাবি বা জেরিনের বান্ধুবীর আপাতদৃষ্টিতে বলা ‘নির্দোষকথা’ একটা সংসার ভাঙার জন্য কতটা দায়ী হতে পারে।
এক কাপ কফি। একটা বই। একটুখানি বৃষ্টি। দখিনের আকাশে উড়ে যাওয়া কালো পাখির ঝাঁক। রাস্তায় গুটিকয়েক হুড তোলা রিকশা। ধূসর আকাশ। বৃষ্টির দিনে রোদেলার মনটা কেমন যেন উশখুশ করে। কেমন একটা গুমোট ভাব যেন। কিন্তু আজ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজ্যের চিন্তা। পাত্রপক্ষ এই করোনাতেই দেখা করতে চায়। রেস্টুরেন্ট তারা ম্যানেজ করবে। একটু আগেই কথাটা বলে গেছে রোদেলার বড় বোন মেঘলা। যদিও এইসব দেখাদেখি নিয়ে খুব বেশি আশা রাখে না রোদেলা। ফেলে আসা কয়েক বছর ধরে কম পাত্রের সামনে তো আর যাওয়া হয়নি। সব পাত্রই বায়োডাটায় দ্বীন খুঁজলেও বেলাশেষে সৌন্দর্য আর দুনিয়া খোঁজে। গায়ের রং বা টাকার গরমে কম মানুষকে গলতে দেখেনি রোদেলা। বইয়ের পাতায় যেন স্মৃতিগুলোর স্থির চিত্রের পালা বদল চলছে। অপলক তাকিয়ে আছে রোদেলা।
‘সকাল ১১টায় নানকিং-এ মিটিং’–বলল মেঘলা।
রোদেলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। কয়েক মাস আগের কিছু দুঃসহ স্মৃতি যেন ত্বরিত গতিতে নিউরনে ছুটে বেড়াতে লাগল। সেই পাত্রপক্ষ রোদেলাকে এত পছন্দ করেছিল যেন পারলে পরের দিনই বিয়ে পড়িয়ে নিয়ে যাবে এমন অবস্থা। তবে পাত্রের রোদেলাকে পছন্দ ছিল না। আর রোদেলার যেমন পরিস্থিতি, তাতে ও কখনো কোনো প্রস্তাবে হ্যাঁ/না কিছুই বলে না। শুধু ইস্তেখারা পড়ে আর আল্লাহর ওপরে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়। বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক হওয়ার পর পাত্রপক্ষ মোহরানা, রোদেলাকে চাকরি করতে না দেওয়া এমন হাজারো শর্তারোপ করে বসে। বাবাহীন একটা মেয়ে রোদেলা আর তার পরিবার চুপচাপ সব মেনে নিয়েছিল। কিন্তু রোদেলার মন তো কিছুতেই সায় দিচ্ছিল না। ও একমনে ইস্তেখারা পড়তে থাকে। রব ছাড়া আর কে আছে ওর অভিভাবক! কেউ-ই নেই। তাই যা বলার তাঁকেই বলে রোদেলা।
বিয়ের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। কমিউনিটি সেন্টার বুক করা হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ১০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। শপিং, শাড়ি-গয়না সব রেডি।
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.077868068738331 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community