নতুন প্রবীণদের নিয়ে আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পর্ব ০৪
আমার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী দুই যুগের বেশি সময় ধরে আমাকে অনুগ্রহ করছেন। তিনি দয়া করে আমাকে তাঁর সাথে থাকতে দিয়েছেন। আমার সকল অক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়েছেন । এক সময় আমি বিপ্লব আর শোষণমুক্ত সমাজ গড়বো বলে শপথ নিয়েছিলাম । নেতাদের অনুসরণ করে বিয়ে করবো না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। যৌবনে যখন ভাটার টান লেগেছে তখন বুঝতে পারছিলাম আমার একজন সঙ্গী দরকার। বেকার-রাজনৈতিক কর্মীকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হয়নি। বেশ কয়েকজনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাঁরা শুধু হেসেছে । বোধহয় তাঁরা আমার সাহস দেখে অবাক হয়েছিলেন । কোনো কোনো অভিভাবক আমাকে কিছু একটা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন । নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিয়ে করতে হলে বিয়ের বয়স পার হয়ে যাবে ।
বিয়ের ব্যাপারে আমি চরম হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। অনেক সাহস সঞ্চয় করে স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। তিনি সপ্তাহখানেক পর সম্মতি দিলেন শর্ত দিয়ে। শর্ত হলো বিয়ের এক বছরের মধ্যে চাকরি নিতে হবে। মহানন্দে পারিবারিক সদস্যদের উপস্থিতিতে সাদামাটা বিয়ে হলো । অনেক কষ্টে বিয়ের এক বছরের মধ্যেই চাকরি পেলাম। দুটি সন্তান পেলাম। চাকরিতে পদোন্নতি হলো । চাকরির টাকায় সংসার চলে না, অতঃপর ব্যবসা শুরু করলাম । চাকরিতে থাকাকালে আমি ভালো রোজগার করতে পারিনি। রোজগার বিষয়ে আমার স্ত্রীর মত হলো, রোজগার করতে ঘিলু লাগে। আরও অনেকেই আমার মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন। আমি এ বিষয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাইনি। যখন আমার স্ত্রী বললেন, তখন আমি নিশ্চিত হলাম । অফিসে আমার জুনিয়ররা প্রমোশন পেয়ে বস হয়েছে। আমি বসের আদেশ- নির্দেশ মান্য করেছি। ভেবেছি সবার যোগ্যতা-মেধা উঁচুস্তরের হয় না । আমার স্ত্রী সরকারি চাকুরে। বেতন আমার চাইতে বেশি পান। কার্যত তিনিই বাড়ির কর্তা। কাঁচা বাজারের দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে। তরকারি কিনতে