শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ০৮

in #new2 months ago

চায়ের কাপটা টেবিলের উপর ঠুশ করে রেখে ফ্লোর কাঁপিয়ে নিজের রুমে ছুটল নীরা। গলা ফাটিয়ে কাঁদছে ঐশী। সপ্তাখানেক হবে, বেশ জ্বর। দ্রুত রুমে এসে নীরা আবিষ্কার করল তিনি কাঁথাও ভিজিয়ে রেখেছেন। ল্যাপটপে বুদ হয়ে আছে শাহেদ। একবারের জন্য ফিরে তাকানোর দরকারও বোধ করেনি। কাঁথা পালটাতে পালটাতে কয়েকবার কপালের চাদরে তিন চারটা ভাঁজ ফেলে তাকাল নীরা। ঐশীর চিৎকার ১৬০০hz অতিক্রম করার মতো। পাথর শাহেদ একটুও নড়ছে না। নীরা কোনোমতে কাঁথাটা নিচে ফেলে বাচ্চাকে কোলে তুলে নিল। আদুরে কণ্ঠে বার বার বলে চলল, ‘কেন কাঁদো! মা আসেনি বলে!! ও ও না না কাঁদে না মা। কাঁদে না। মা এসে পড়েছে।'
একই কথার লুপ ঘুরতে লাগল শাহেদের করোটির অন্ধকারে। ল্যাপটপ থেকে চোখ না সরিয়েই কিছুটা কর্কশ কণ্ঠে বলল, ‘নীরা! কাজ করছি আমি! পাশের রুমে যাও তো...!'

IMG_6585 copy.jpg

ঐশীর চিৎকারে কথা বাড়ানোর অবস্থায় নেই এখন নীরা। তাই পাশের রুমে এসে মেয়েটাকে একটু চুপ করানোর চেষ্টা করে চলেছে... সেই একই কথার বারে বারে উচ্চারণ!
কথাগুলো সেতুর কানেও বাজতে লাগল। মিটমিট করে একটু চোখ খুলে কানের উপর বালিশ চেপে অন্য দিকে ফিরল বিরক্ত মুখে। সেতুর চোখে রাজ্যের ঘুম। সারা রাত কেঁদে দিনের ১০টা পর্যন্ত ঘুমানো ওর প্রায় তিন মাসের রুটিন হয়ে উঠেছে। ডিভোর্সের পর থেকে এই একটা কাজই সেতু খুব মনোযোগ দিয়ে করতে পারে।
নীরাকে কিছুদিন সুনামগঞ্জ থাকতে হবে এনজিও-র কাজে। এ সময়ে ঐশীকে দেখে রাখার জন্যই সেতুকে ডেকে আনা। ভেবেছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। ঐশীকে দেখার মতো মানুষও পাওয়া যাবে, আর সাথে সেতুরও কিছু উপকার হবে, কিন্তু এখন

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.17
JST 0.032
BTC 63632.98
ETH 2727.39
USDT 1.00
SBD 2.58