শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ২৯

in #new4 months ago
আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......


পর্দার কথা বলবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার মাথায় রাজ্যের সব অমূলক প্রশ্ন আসবে। কেন পর্দা করতে হবে? কেন শুধু মেয়েরা পর্দা করবে? ছেলেরা কেন করবে না? মনের পর্দাই আসল পর্দা। এমন আরও অনেক কিছুই। অজ্ঞতার প্রতিষেধক হচ্ছে জ্ঞানীর কাছে জানতে চাওয়া। আর, নতুন কিছু শেখার প্রথম ধাপ হলো অমূলক প্রশ্ন না
করে মেনে নেওয়া ।
যেমন : ক্লাস সিক্সে যখন আমরা প্রথম বীজগণিত করা শুরু করি, তখন খুব বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন করতাম, এসব করে লাভ কী। কিন্তু হায়ার স্টাডিতে ‘বীজগণিত করে লাভ কী?' তা হারে হারে বুঝতে পেরেছি। দ্বীনের ব্যাপারেও ঠিক তাই! প্রথমেই আল্লাহর আদেশ বলে মন থেকে মেনে নিতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে আমাদের ব্রেইনের গিটগুলো খুলবে।

IMG_7449.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

এবার বিশ্বাসের অভাবের ব্যাপারটা বলি। একবার আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে ফোনালাপ হচ্ছিল। সে তার দৈনন্দিন দুঃখের কথা শেয়ার করছিল। আমি তাকে বুঝিয়ে বলছিলাম, ‘ধৈর্য ধর! দুনিয়া মানেই তো পরীক্ষা। যা যা দুনিয়াতে করতে পারিসনি তা তা জান্নাতে করিস ইনশাআল্লাহ!' সে কিছুটা অবজ্ঞার কণ্ঠে দীর্ঘশ্বাস মিশিয়ে বলল, “আহা জান্নাত! যাব কী যাব না কে জানে! এটা এটা যদি দুনিয়াতেই করতে পারতাম!’

হ্যাঁ, এখানেই আমাদের বিশ্বাসের অভাব। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, জান্নাত ও তার মাঝে ব্যবধান শুধু মৃত্যু।' আমরা শুধু মুখে বলি, আমরা বিশ্বাস করি, তাহলে কেন আমরা জান্নাতের আশা করতে পারি না? ঠিক আছে, আমরা গুনাহগার। তাই আমরা জান্নাতের আশা করতে পারি না; কিন্তু জান্নাত না হলে যে আমাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। কই জাহান্নামের ভয়েও তো আমরা গুনাহ থেকে বিরত হই না। ‘একটা মেসেজ ১০ জনকে দিলে কাল সুসংবাদ পাব।' এটা বিশ্বাস করে আমরা ১০ জনকে মেসেজটা দিতে পারি! অথচ ১০ বার সুরা ইখলাস পড়লে জান্নাতে একটা বাড়ি পাব। এটা আমাদের বিশ্বাস হয় না। হাজারটা প্রশ্ন করি। কী শুধু ১০ বার পড়লেই হবে, আর কিছুই না!
জ্ঞান অর্জনের জন্য বিশ্বাস করতে হবে। আবার বিশ্বাস অর্জনের জন্যও জ্ঞানের প্রয়োজন। তাই নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের আল্লাহর আদেশে বিশ্বাস রেখে ধাপে ধাপে দ্বীনের জ্ঞান বাড়াতে হবে। সেই জ্ঞানের উপর বিশ্বাস রেখে তা আমলে পরিণত করতে হবে। আমলহীন জ্ঞান অর্থহীন, আবার জ্ঞানহীন আমল ও অন্তসার শূন্য।
দারবিদা
চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলাম কোনো একটা অন্ধকার ঘরে। দূর থেকে আজানের সুর ভেসে আসছে। কোন ওয়াক্ত বুঝতে পারলাম না। শুধু ফজরের আজান ছাড়া অন্য আজান সব একই। তাই নিশ্চিত হলাম এটা ফজরের আজান না অন্তত। ঠিক কী কারণে আমি এমন ঘুটঘুটে অন্ধকারে শুয়ে আছি মনে করতে পারলাম না। শরীরটাও সম্পূর্ণ নিস্তেজ মনে হচ্ছে। এই তো আজান দিচ্ছে। এখনি তো সে সালাত আদায় করে নিবে। আজ যদি ও সালাত আদায় করে নেয়, তাহলে দারবিদা আমাদের গর্দান নিবে।

কোথা থেকে যেন কথাগুলো কানে ভেসে এল। হয়তো দরজার ওপার থেকে। কী আজব, দারবিদা কে? এটা কী কোনো নাম? মানুষের নাম? আর সালাত আদায় করলে গর্দান কেন নিবে। কাল রাতেও তো আম্মুর বকা খেয়ে এশার নামাজ পড়েছি বলে মনে পড়ছে। কই কেউ তো গর্দান নেয়নি! আজ কেন নেবে! আর এ যুগে কেউ ‘গর্দান’ শব্দ ব্যবহার করে? কী আজব শোনায় শব্দটা। এসব ভাবতে ভাবতে কী মনে করে অন্ধকারে হাতড়ে কিছু বালির স্তূপ পেলাম তা দিয়েই তায়াম্মুম করে নিলাম। শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করলাম। এর মধ্যেই দরজা খুলে একদল প্রহরী ঘরে প্রবেশ করল। অন্ধকার ঘর আলোকিত হয়ে গেল। প্রহরীদের মধ্যে একজন বলল, “দেখেছ! বলেছিলাম না, আজানের শব্দে ওর জ্ঞান ফিরে আসবে! দেখেছ! এতক্ষণে ওর অজু করাও শেষ! আমাদের আসতে আর একটু দেরি হলে ওর সালাতও শেষ হয়ে যেত। কী জবাব দিতাম তখন আমরা দারবিদাকে!' অন্য একজন প্রহরী প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে বলল, ‘কখনোও না! ওকে কখনোই আমরা সালাত আদায় করতে দেব না! ধরো সবাই! ওকে গাছের সাথে বেঁধে রাখ!’

সবাই মিলে আমার প্রচণ্ড ব্যথা ভরা শরীরকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে এল। আকাশ দেখে বুঝলাম আসরের ওয়াক্ত। উত্তপ্ত মরুভূমির মধ্যে কোনো কাঁটা যুক্ত গাছের সাথে আমাকে বেঁধে দেওয়া হলো। পুরো পিঠে কাঁটা বিঁধে রক্ত ঝরছে। তৃষ্ণায় গলা কাঠ হয়ে গেছে। হয়তো ওরা আমাকে এভাবে আরও অনেকদিন থেকে অত্যাচার করছে। আমি

IMG_7456.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

ইনশাআল্লাহ, একদিন আমরাই হবো জীবন্ত কুরআন। ইনশাআল্লাহ! একদিন আমাদের দেখেই মানুষ বুঝবে ‘সুন্নাহ' কোনো ব্যাকডেটেড ট্রেন্ড না! বরং সুন্নাহ সব যুগের জন্য আপডেটেড লাইফ স্টাইল। ইনশাআল্লাহ, একদিন আমাদের হাত ধরে পৃথিবীতে নেমে আসবে দ্বীনের সুশীতল ছায়া।

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊
সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.197626117350243 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 75904.17
ETH 2906.60
USDT 1.00
SBD 2.64