শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ২৮

আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.

জানিসই তো, আগে আরবরা অনেক সফর করত...। উপর নিচ মাথা নাড়ল নিশি। তো এমনই এক সফরে, আবু বকর রা. এবং উমর রা. এর সাথে একজন লোক ছিল, যে তাদের কাজ করে দিত। একদিন সকালে তাঁরা ঘুম থেকে উঠে দেখল লোকটা তাঁদের জন্য কোনো খাবারই তৈরি করেনি। ‘কেন আপু?’ নিশির কণ্ঠে কিছুটা অবাক ভাব ‘লোকটা ঘুমাচ্ছিল। এটা দেখে তাঁদের একজন বলল, ‘ও তো এমনভাবে ঘুমাচ্ছে, যেন ও নিজের ঘরেই আছে৷' বুঝলি?’ ‘হুম, তারপর?’ ‘এই কথাটা আসলে লোকটাকে ক্রিটিসাইজ করে বলেছিল। মানে অন্য কোথাও গিয়ে যখন কেউ বেশি খায়, তখন যেমন আমরা বলি, দেখ লোকটা এমনভাবে খাচ্ছে, যেন এটা তার নিজের বাড়ি৷ তেমন।’ ‘কে বলেছিল উমর রা.?' আম্মু জিজ্ঞেস করল। ‘বইয়ে এক্স্যাক্ট লেখা ছিল না। তাঁদের দুইজনের একজন বলেছিল আর কি!!’ ‘আচ্ছা, তারপর কী হলো আপু?' শোনার আগ্রহে যেন আর তর সইছে না নিশির। ‘তারপর তাঁরা লোকটাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কিছু খাবারের জন্য পাঠাল, কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন যে, তাঁরা তো খেয়ে নিয়েছে।' ‘কখন?' অবাক প্রশ্ন নিশির। ‘উফ নিশি। কথার মধ্যে এত প্রশ্ন করিস না তো৷ আমি তো বলছিই। ধৈর্য ধরে শুনলেই সবটা বুঝতে পারবি।' ইন্টারাপশনে বিরক্ত হওয়া রুমি আপুর প্রাচীন স্বভাব। ভুলেই গিয়েছিল নিশি।

ন্যানো সেকেন্ড বিরতি নিয়ে আপু আবার বলা শুরু করল, ‘তো লোকটা যখন ফিরে এসে তাঁদের কথাটা জানাল, তখন তাঁরাও ঠিক তোর মতোই অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাঁরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, নিশির মাথায় আবারও প্রশ্ন গিজগিজ করছে। ‘কী বলল?’ জিজ্ঞেস করতে গিয়েও মুখে কুলুপ এঁটে বসেছে নিশি। আপু বলে চলছেন, ‘বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমরা তো আপনার কাছে কিছু খাবারের জন্য পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু আপনি বললেন, আমরা নাকি খেয়ে নিয়েছি। কিন্তু আমরা কী খেলাম?' জবাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমাদের মৃত ভাইয়ের গোশত। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি, আমি তোমাদের দাঁতে তার গোশত আটকে আছে দেখতে পাচ্ছি।' কী ভয়ংকর তাই না?'

‘মানে কী? শুধু সে নিজের ঘরের মতো ঘুমাচ্ছে।' এটা বলাতেই গিবত হয়ে গিয়েছে?' আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল আম্মু। ‘হ্যাঁ মামি, এটাই গিবত হয়ে গেল!' রুমি আপুর কথা শেষ হওয়ার আগেই নিশি বলে উঠল, ‘গিবতের সংজ্ঞা তো এটাই; এমন কথা কারও অনুপস্থিতিতে বলা, যা সে শুনলে কষ্ট পাবে। যেমন : আমরা অনেককে বলি না ‘সে দিনে কয়বার গোসল করে।’ ‘ও কত বেশি খায়।’ ‘সে কত রাগী।’ ‘ও কত মোটা।' ‘সে কেমন খাটো।' এই কথাগুলোও গিবত। কারণ এমন কথা কারও পিঠপিছে

কীসে আমাকে আমার রবের স্মরণ থেকে বিমুখ রেখেছে! কোন মোহে আমার সময় কাটছে! এ সবই তো মিছে ছলনা। জানি, একদিন কিছুই রবে না। তবু কেন গুনাহচক্র থেকে নিজেকে ফিরাতে পারছি না। কেন মোহ কাটাতে পারছি না!
কারণ, আমাদের নফস! আমরা এমন যে, কোনো কিছুতে কী লাভ বা উপকারিতা আছে তা না জানলে, আমরা তা করতে পারি না৷
বুঝাতে পারিনি? আচ্ছা ধরুন, কেউ আপনাকে বলল, এখানে এক ঘণ্টা বসে থাকুন। আপনি কি পারবেন অযথা কোনো কারণ ছাড়া, কোনো প্রশ্ন ছাড়া এক জায়গায় এক ঘণ্টা বসে থাকতে?

না, পারবেন না। কিন্তু যদি সে এটা বলত যে, এখানে এক ঘণ্টা বসে থাকুন, কারণ এক ঘণ্টা পর অমুক কাজটা হবে, তাহলে কিন্তু ঠিকই আপনি বসে ওই কাঙ্ক্ষিত কাজটার জন্য অপেক্ষা করতে পারতেন। কেন আমরা নিজেদের নফস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না; এখন তবে সেই আলাপ পাড়ি। কারণ, আমাদের সঠিক জ্ঞান ও বিশ্বাসের অভাব। কীভাবে? প্রথমে জ্ঞানের অভাবের ব্যাপারটা বলি।
আমার এক কাজিন। পিচ্ছি ৩/৪ বছর বয়স হবে। ওকে ওর আম্মু A লিখা শিখাচ্ছিল। পিচ্ছি সারাক্ষণ A এর বাম পাশের (/) ও মাঝের) আঁকটা দিচ্ছে অথচ ডান পাশের আঁকটা দিচ্ছে না। এতে ওর A লিখা কিছুটা / এমন হচ্ছে। ওর আম্মু বার বার ঠিক করে দিচ্ছে। আর পিচ্ছি বার বার মুছে মাকে জিজ্ঞেস করছে আর একটা আঁক না দিলে কি
হবে?

আম্মু বুঝিয়ে বলছে A লিখা হবে না এভাবে। পিচ্ছি আবার জানতে চাচ্ছে, কেন এভাবে A লিখা হবে না। এখন এই ৩/৪ বছরের পিচ্চিকে কে কীভাবে বুঝাবে যে, ডান পাশের আঁকটা না দিলে কেন A লিখাই হবে না! তেমনি দ্বীনের অনেক ব্যাপারও আমাদের ম্যাচিউরিটি লেভেলের উপর ডিপেন্ড করে যে, আমরা কতটুকু বুঝব আর কতটুকু বুঝব না। যেমন : একজন ফ্যাশন্যাবল ট্রেন্ডি মেয়েকে যখন আপনি প্রথমবার

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊

সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ