বনফুল কে নিয়ে আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পর্ব ১১
স্বপ্নে আর বাস্তবে, মানুষের আশা আর প্রাপ্তিতে যে অসামঞ্জস্য এবং সেই অসামঞ্জস্য সত্ত্বেও মানুষ যে ভাবী জীবনের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলেছে, জীবনদার্শনিকের কাছে তাও কম হাসির বিষয় নয়! ‘সুলেখার ক্রন্দন'এর কথা মনে পড়ছে। জ্যোৎস্নামদির গভীর রাত্রে স্বপ্নময় আবেষ্টনীর মধ্যে দুগ্ধফেননিভশয্যায় একটি ষোড়শী তন্বীকে কাঁদতে দেখে কবিকল্পনায় প্রশ্ন জেগেছে, ‘কেন এ ক্ৰন্দন?' – পুত্রশোক? সিনেমায় না যেতে পারার অভিমান? শাড়ির পাড় পছন্দ করা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মতভেদের পরিণাম? না কুমারী-জীবনের মধুর পূর্বরাগের স্মৃতিমথিত বেদনা? অমন চাঁদনীরাতে কৈশোরের সেই অর্ধ-প্রস্ফুটিত প্রণয়-প্রসূন সহসা পূর্ণ- প্রস্ফুটিত হতে পারে না কি? দূরে ‘চোখ গেল'-পাখি অশ্রান্ত সুরে ডেকে চলেছে।
সম্মুখের বাগানে রজনীগন্ধাগুলি স্বপ্নবিহ্বল—চারিদিকে জ্যোৎস্নার পাথার! এমন দুর্লভক্ষণে হারানো প্রেমের কথা মনে হওয়া কি অসম্ভব, না অপরাধ? কাল্পনিক যখন এমনি কল্পনার জাল বুনে চলেছেন তখন সুলেখার ক্রন্দনের সত্য কারণটি আবিষ্কৃত হল। সুলেখা কাঁদছে দাঁতের ব্যথায়।—কল্পিত সত্যের সঙ্গে বাস্তব সত্যের কত তফাত! কিন্তু এও তো তবু কল্পনা। মানুষের প্রত্যাশা আর মানুষের প্রাপ্তির মধ্যে কি কম পার্থক্য ? কি সে চায় আর কতটুকুই বা সে পায়?—'যুগল স্বপ্ন' যুগলেরই বটে! স্বামী-স্ত্রী অত্যন্ত
Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community